Tuesday, 6 July 2021

ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভূমধ্যসাগর থেকে ২১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এসময় আরও ৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয় বলে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন।

তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী সাফাক্সের উপকূলে রোববার ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকা ডুবে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র হৌসেম এদেইন জেবাবলি জানিয়েছেন।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দা। 

গত ২৬ জুনের পর থেকে সাফাক্সের উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী চারটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এসব নৌকাডুবির ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া ৭৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হৌসেম এদেইন জেবাবলি।

তিউনিসিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় গত শনিবার নৌকাডুবে অন্তত ৪৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৮৪ জনকে। ওই নৌকায় বাংলাদেশ, মিসর, চাদ, সুদান ও ইরিত্রিয়া থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিলেন বলে তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দেশে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ফোনঃ রেজিস্ট্রেশনের নিয়মসহ জানুন বিস্তারিত

দেশে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ফোনঃ রেজিস্ট্রেশনের নিয়মসহ জানুন বিস্তারিত


বাংলাদেশে অবৈধ ফোনগুলো (স্মার্টফোন/ বাটনযুক্ত ফিচার ফোন) বন্ধ করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। এরজন্য সংস্থাটি নীতিমালাও তৈরি করেছে। জানুন-এর বিস্তারিতঃ

এখান থেকে যা জানা যাবেঃ

১। নীতিমালায় কি আছে?
২। নিবন্ধন করবেন কিভাবে?
৩। সেটটি নিবন্ধিত কিনা যাচাই করার সহজ পদ্ধতি।
৪। নিবন্ধন করতে কতদিন সময় পাবেন?
৫। সচল কিন্তু অব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন হবে কিনা?
৬। একই মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহার করা যাবে?
৭। একটি হ্যান্ডসেটে ভিন্ন ভিন্ন সিম ব্যবহার করা যাবে?
৮। ফোন বিক্রি বা কাউকে দিতে চাইলে/ সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলে করণীয় কী?
৯। বিদেশ থেকে ফোন কিনে আনলে বা বিদেশ থেকে ফোন উপহার আসলে করণীয়?

১০। মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে?
১১। কর্পোরেট সেট ও সিমের ক্ষেত্রে কী হবে?

Monday, 5 July 2021

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়


স্বাস্থ্য টিপসঃ সাধারণ সর্দি-জ্বর এক প্রকার ভাইরাসজনিত রোগ যা মূলত শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে হয়ে থাকে বা Upper respiratory tract কে আক্রান্ত করে। সাধারণত রিনো ভাইরাস নামক এক প্রকার ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।

সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস  করোনাভাইরাসের মত।  মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে এটা একটু দুর্বল প্রকৃতির ভাইরাস। কারণ এটা upper respiratory tract কে আক্রান্ত করলেও lower respiratory tract তথা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। তাই ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই বললেই চলে।


উপসর্গ-

১। নাক দিয়ে পানি পড়া,

২। নাক বন্ধ হয়ে আসা,

৩।  হালকা গলা ব্যাথা,

৪। কাশি,

৫। গায়ে গায়ে জ্বর।

৬।  জ্বর মোটামুটি ৯৯ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট  পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে,

৭। মাথা ব্যাথা,

৮। হাঁচি আসা,

৯। শারীরিক দূর্বলতা, ইত্যাদি।


টাইফয়েডের সাথে এই জ্বরের পার্থক্যঃ

♦ টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত সর্দি-কাশি থাকে না।

♦ রিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে সর্দি কাশি দিয়েই শুরু হয়।

♦ টাইফয়েড সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি উচ্চতাপমাত্রা সহ হয়ে থাকে।  Rhinovirus তুলনামূলক কম তাপমাত্রা।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া হতে পারে। এখানে ডায়েরিয়া থাকবে না।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে শরীরে র‍্যাশ দেখা দিবে,এখানে র‍্যাশ দেখা দিবে না।


করোনার সঙ্গে রিনো ভাইরাসের পার্থক্য :

করোনা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।  তবে রিনো ভাইরাস ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না।  কিংবা ফুসফুসে মারাত্মক জটিলতা করতে সক্ষম নয়।

সর্দি কাশি দিয়ে জ্বর শুরু হলে বুঝতে হবে ভাইরাল ফিভার এবং আতংকিত হবার কারণ নাই। করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।


জটিলতা

সর্দি-জ্বর থেকে অনেক সময় সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস,  মিডেল ইয়ার ইনফেকশন বা অটাইটিস মিডিয়া হতে পারে।কানে ব্যাথা করতে পারে।

নিউমোনিয়া হতে পারে, একিউট সাইনুসাইটিস হতে পারে।এজমা রোগীদের এজমা এটাক হতে পারে।


জ্বর হলে কি করবেনঃ

অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।


যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়

বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।


জ্বর হলে স্পঞ্জিং

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোন গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।


বিশ্রাম ও খাবার

জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।


জ্বরের সময় সচেতনতা

জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়। 

ফুলবাড়ীতে শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেন মাদকাসক্ত বাবা

ফুলবাড়ীতে শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেন মাদকাসক্ত বাবা



কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিজের ৫ বছর বয়সের ছেলেকে ধারালা ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে এক মাদকাসক্ত বাবা।

গত রবিবার বিকেলে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আশ্রয়ন মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শিশু ও তার মা-ভাইয়ের চিৎকার প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেও আঘাত পেয়ে শিশুটির কান ফেট যায়।

এ সময় ধারালা ছুরি কেড়ে নিতে গিয়ে শামছুল হক নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে আমজাদ হোসন (৩৩) এর স্ত্রী রেহেনা বেগম (২৫) স্বামীর নিষেধ সত্বেও ৪/৫ দিন আগে দুই ছেলে রবিউল (৯) ও রেজাউলকে (৫) নিয়ে একই ইউনিয়নের আজায়াটারী গ্রামে বাবা জয়নাল আবদীনের বাড়ীতে যান।

বাবার বাড়ী থেকে রবিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ীতে ফিরলে উত্তজিত হয় আমজাদ ধারালা ছুরি হাতে সবাইকে জবাই করার জন্য ধাওয়া করে। বড় ছেলে রবিঊল ও স্ত্রী রেহেনা পালিয়ে বাঁচলেও ছোট ছেলে রেজাউলকে ধরে এলাপাতারী চড়- থাপ্পর দেয়ার এক পর্যায় মাটিতে ফেলে জবাই করার জন্য চেষ্টা করে মাদকাসক্ত আমজাদ।

পরে রবিউল ও রেহনার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে শিশু রেজাউলকে রক্ষা কর আমজাদকে পার্শ্ববর্তী এক বাড়ীতে আটক রাখে।

কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমজাদ মাদকাসক্ত। সে প্রায় সময় মাদক সেবন করে স্ত্রী সন্তানদের মারধার করে। আজকের ঘটনার পর স্বামীর বাড়ীতে থাকলে আবারও হামলা হতে পারে এই ভয়ে বাচ্চাসহ রেহেনাকে তার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজিব কুমার রায় জানান, এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১সপ্তাহ বেড়েছে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে

১সপ্তাহ বেড়েছে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে



করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো। 

করোনা নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে সারা দেশে। লকডাউনের চুতর্থ দিন রোববার চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর আজ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো সরকারের পক্ষ থেকে। 

এর আগে কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা শেষ হবে ৭ জুলাই। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।

গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।

লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দপ্তর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিলেটে এবার শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা

সিলেটে এবার শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা



সিলেটের মূক ও বধিরদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এবার থেকে শুনতে ও কথা বলতে পারবেন জন্মবধিররা।

হাসপাতালটির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শুনতে পাবে জন্মবধিররা। অস্ত্রোপচার করে মেশিন বসানো আর বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে তারা শোনার পাশাপাশি বলতে পারবেন কথাও। আগামী মাস থেকে ওসমানী হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটের কৃতিসন্তান জয়নুল বারী সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাবস্থায় তার বন্ধু এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক জন্মবধিরদের শ্রবণ চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রজেক্ট’ চালুর অনুরোধ জানান। তার অনুরোধে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজেক্টটির জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বর্তমানে প্রজেক্টটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার।

প্রজেক্টের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতোমধ্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের ল্যাবরেটরির কাজ শেষ হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্টও পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র অপারেশন থিয়েটারের কাজ চলমান আছে। সকল কাজ সম্পন্ন করে আগামী আগস্ট মাস থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ওসমানী হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন হাসপাতালটির নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়াদ্দারের তত্ত্বাবধানে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টে দক্ষতা অর্জন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম জানান- যারা কানে কম শুনে বা শ্রবণ শক্তি কম- হেয়ারিং এইড দিয়ে তাদের শ্রবণশক্তি বাড়ানো যায়। কিন্তু যারা জন্মবধির, হেয়ারিং এইড তাদের কোন কাজে আসে না। এরকম জন্মবধির বা মূক ও বধিরদের শ্রবণ ফিরে পাওয়ার জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে কার্যকর উপায়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর প্রচুর সাড়া মিলেছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে জন্মবধিরদের শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে দিয়ে ওসমানী হাসপাতাল মাইলফলক স্থাপন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু জানান, ঢাকার বাইরে দেশে প্রথম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মবধিরদের কানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর শ্রবণ শক্তি ফিরে পেতে তাদেরকে অডিও ভারভালসহ বিভিন্ন থেরাপি দেয়া হবে। এই প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে ৪৮টি কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ক্রয় করা হয়েছে। ল্যাবরেটরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল অপারেশন থিয়েটারের কাজ সম্পন্ন হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শুরু করা যাবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ প্রজেক্টের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতাধীন ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাও সম্পন্ন হয়েছে।

সাবেক স্ত্রী ফিরে এলেন সৎ মা হয়েঃ তুলকালাম কাণ্ড!

সাবেক স্ত্রী ফিরে এলেন সৎ মা হয়েঃ তুলকালাম কাণ্ড!

সাবেক স্ত্রী নিজের সৎ মা হয়ে ফিরে আসায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। নিজের সাবেক স্ত্রীকে সৎ মা হিসেবে পেয়ে তাজ্জব বনে গেছেন এ যুবক। দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বাবার খোঁজে আইনের শরণাপন্ন হলে এই অবাক করা তথ্য সামনে আসে।

জি নিউজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ ঘটনার তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুবকের বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। বাবার খোঁজ পেতে স্থানীয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তথ্য অধিক আইনে আরটিআই দাখিল করেন তিনি। তদন্তে বেরিয়ে আসে এই ঘটনা।

২০১৬ সালে ওই যুবক যখন বিয়ে করেন তখন তিনি আর তার স্ত্রী, দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। ছয় মাস পরই তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ওই তরুণ বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই তরুণ মাদকাসক্ত দাবি করে মেয়েটি বিচ্ছেদ চান।

এদিকে নিজের বাবার সঙ্গে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি জানার পর ওই তরুণ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দু’পক্ষকেই শনিবার থানায় তলব করা হয়।

সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক বাবা আর সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। আমরা দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছি। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পুলিশ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, সাবেক স্বামীর কাছে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মেয়েটি। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বেশ সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।