Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts

Monday, 9 May 2022

ফের বাড়ছে করোনা, দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান

ফের বাড়ছে করোনা, দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান


বিভিন্ন দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় সবাইকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ফের করোনা বাড়তে শুরু করেছে। তাই সচেতনতার পাশাপাশি এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। টার্গেট করা প্রায় সবাইকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য বুস্টার ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকেই অন্তত দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। এ ছাড়া যাদের বুস্টার ডোজের সময় হবে, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ টিকা নিয়ে নেবে।

Thursday, 24 February 2022

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা


ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের মোঃ সহির উদ্দিনের পুত্র সুলতান আহমদ খালেদ(২৬)। বর্তমানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ করে সুলতান আহমদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় আছিরগঞ্জ বাজারে ডাক্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার হাত-পা অবশ হয়ে আসলে পরিবারের লোকজন তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে পরীক্ষায় তার জিবিএস ভাইরাস ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার নিবিড় চিকিৎসা চলছে।

সুলতান আহমদ খালেদ পরিবারের একমাত্র পুত্র। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সুলতান আহমদ মেঝো সন্তান। সে বর্তমানে আছিরগঞ্জ বাজারের সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী। পরিবারের একমাত্র পুত্রের দ্রুত সুস্থতার জন্য তার পিতা সহির উদ্দিন সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

জিবিএস একটি বিরল নিউরোলজিক্যাল রোগ যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভুলভাবে তার পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের অংশ, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুর নানা অংশকে আক্রমণ করে।

জিবিএস (গুলেন ব্যারি সিনড্রোম) একদিকে যেমন সংক্ষিপ্ত/সংক্ষিপ্ত দুর্বলতাসহ প্রায় খুব খারাপ পক্ষাঘাতের মত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যাতে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ১০% রোগী জিবিএসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অপর ৯০% রোগীই সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেন। সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত রোগী, জিবিএসের সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা থেকেও পরিত্রান পান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আজীবন পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াতে হয়।

Sunday, 20 February 2022

২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ থাকছে না

২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ থাকছে না


আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার বিধিনিষেধ আর থাকছে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। 

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১ কোটি করোনা টীকা দেয়া হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াই স্থায়ী ঠিকানা লিখে নিয়ে গিয়েই টীকা দেয়া যাবে।  ২২ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনও করোনা বাধা নিষেধ থাকবে না। তবে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক থাকবে।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চ থেকে।

এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ‘বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন’ হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম এ তথ্য দিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিনের একটা ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা দেওয়ার। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আমরা বুস্টার ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। কাজেই আর বিলম্ব না করে আপনারা সবাই টিকা নিয়ে নিন।

উল্লেখ্য, করোনার ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় এবারের বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Sunday, 31 October 2021

‘কাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’

‘কাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’



আগামীকাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে, তবে কাল শুধু রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে একটি বইয়ের প্রকাশনী উৎসব শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে ঢাকার আটটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে দেশের ২১ জেলায় টিকা দেয়া হবে। স্কুল থেকেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা হচ্ছে। অভিভাবকেরা শুধু কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন শিক্ষার্থীদের।

এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ওজন বেশি কিংবা উচ্চতা কম এমন শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়; বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

Thursday, 21 October 2021

জ্বর কোনো রোগ নয়, জানুন এর ইতিকথা

জ্বর কোনো রোগ নয়, জানুন এর ইতিকথা


জ্বর। এটি কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। এখন তো জ্বর শব্দটি প্রতিটি মানুষের কাছে আতঙ্ক। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে বিভিন্ন জ্বরের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাতে আতঙ্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। কলকাতাসহ অন্যান্য জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকের প্রাণ গেছে। যে কোনো মৃত্যুই বেদনার। তবে অনেক সময় দেখা যায় রোগীর পরিবার মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে ডাক্তারকেই দায়ী করে। এটা মোটেই কাম্য নয়। কেননা ডাক্তাররা রোগীকে বাঁচাতেই চান। রোগীরা প্রথমে নিজেরা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে যান। তুকতাক করে বিফল হন, কেউ বা নিজের ডাক্তারি নিজে করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হন, আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হয়।
প্রথমেই উল্লেখ করেছি জ্বর কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে। তবে সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম, ফুসফুস এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণে জ্বর হতে পারে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ডেঙ্গি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা খুবই কঠিন। যেহেতু বর্তমানে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি তাই এ রোগ নিয়ে প্রাথমিক ধারণা জানিয়ে রাখি।
ডেঙ্গি
ডেঙ্গি একটি ভাইরাস। ভাইরাসজনিত রোগের সাধারণত কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। ডেঙ্গি অভিধান অনুযায়ী ইংরেজি শব্দটির প্রকৃত উচ্চারণ ডেঙ্গি, তবে ডেঙ্গি শব্দটি বহুল প্রচলিত। অন্যান্য ভাইরাল রোগের মতো এরও কোনো প্রতিষেধক নেই, টিকাও নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়। অন্য ভাইরাল ফিভারের মতো এটিও আপনা-আপনি সেরে যায় সাত দিনের মধ্যে। তবে মূল ভয়টা হচ্ছে এর পরবর্তী জটিলতা নিয়ে। যদি সময়মতো ডেঙ্গির যথাযথ চিকিৎসা করা না যায়, তবে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। দেখা দেয় ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার বা রক্তক্ষরণকারী ডেঙ্গিজ্বর।
সাধারণত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গি ভাইরাস এডিস মশার দেহে ঢোকে। সেই ভাইরাসবাহী এডিস মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ডেঙ্গি ভাইরাস তার দেহে ঢুকে পড়ে এবং আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। কাজেই যেহেতু এডিস মশা এ রোগের বাহক, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের এলাকাজুড়ে মশা মারার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রও ধ্বংস করতে হবে।
লক্ষণ: হঠাৎ করে জ্বর। কপালে, গায়ে, চোখে ব্যথা। চোখ নাড়ালে, এদিক ওদিক তাকালেও ব্যথা। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া। কালো কিংবা লালচে কালো রঙের পায়খানা, এমনকি প্রস্রাবের সঙ্গেও অনেক সময় রক্ত বের হতে পারে। ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার খুবই মারাত্মক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
কীভাবে বোঝা যাবে: অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অস্থিরতা, অবসন্নভাব, পেটে তীব্র ব্যথা, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, বেশি বেশি প্রস্রাব হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ফের রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রচুর তরল খাবার খাওয়াতে হবে। পরিশুদ্ধ পানি যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সময়মতো সঠিক ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গি হেমারেজিক জ্বরও সারিয়ে তোলা যায়। বেশি রক্তক্ষরণ হলে ফ্রেশফ্রোজেন প্লাজমা কিংবা কনসেনট্রেটেড প্লেটলেট, অথবা প্রয়োজনে হোল ব্লাড প্রয়োজন হতে পারে।

রোগীর মৃত্যু হয় কেন: অত্যধিক তাপমাত্রার জ্বরের জন্য দেহে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। কোষের অভ্যন্তরীণ তরল কমে যায়, আশপাশের রক্তনালিতে চাপ পড়ে, শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ইন্টারনাল ব্লিডিং। বেশি মাত্রায় রক্তক্ষরণ চলতে থাকলে অণুচক্রিক বা প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ফলে ধীরে ধীরে রক্তক্ষরণ আরও বাড়তে থাকে। দেখা দেয় শক সিন্ড্রম। শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভাবে রোগীর দ্রুত অবনতি ঘটে। রোগীর মৃত্যু হয়।
কোন পরীক্ষা করতে হবে: রোগের লক্ষণ দেখে চিকিৎসকের পরামর্শমতো রক্তে বিশেষ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নির্ণয়ের মাধ্যমে সাধারণত ডেঙ্গি শনাক্ত করা হয়। প্রথমদিন এনএসআই পরীক্ষা, চতুর্থদিনের মাথায় প্লেটলেট কাউন্ট করাতে হবে। এটি ব্যয়বহুল পরীক্ষা হলেও করতে হবে। সাধারণ জ্বর যদি উচ্চ তাপমাত্রায় (১০৩-র বেশি) হয়, তাহলে প্রথমেই রক্তের একটি রুটিন পরীক্ষা করে আণুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট দেখে নেওয়াটা জরুরি। যদি প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা সংখ্যায় এক লাখের কম হয়, তাহলে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা: বেশিরভাগ ডেঙ্গিজ্বরই সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খাওয়া, বিশ্রাম ও তরল খাবার, ওআরএস, নুন-চিনির পানি খেতে হবে। সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ সাধারণ ডেঙ্গির চিকিৎসা। তবে ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ মোটেই নয়। এতে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। জ্বরের সঙ্গে রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখামাত্র হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে বিশেষ চিকিৎসার জন্য।
কখন মশা কামড়ায়: ডেঙ্গির মশা, মানে এডিস মশা সকাল-সন্ধ্যায় কামড়ায়। ভোরে সূর্যোদয়ের আধঘণ্টার মধ্যে এবং সন্ধ্যায়। সূর্যাস্তের আধঘণ্টা আগে এডিস মশা কামড়াতে পছন্দ করে। তাই এ দুই সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকতে হবে। আমরা যদি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকি, তাহলে ডেঙ্গিকে অনেকটাই মোকাবেলা করা সম্ভব। কাজেই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে নিজের ঘর ও আঙিনায় মশার উৎস ধ্বংস করুন। ফুলের টব, পুরোনো ক্যান বা পাত্র, এসি মেশিনের জমা পানি, গামলা, গাছের কোটরে জমা পানি পরিষ্কার, ছোট আবদ্ধ জায়গায় যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে। এসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে।
চিকুনগুনিয়া 
চিকুনগুনিয়া জ্বরের কারণ একটি আলফা ভাইরাস, গোত্র টোগা ভাইরাস। এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গির বাহক এডিস মশা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসেরও বাহক। অন্যান্য মশার কামড়েও এ রোগের বিস্তার হতে পারে তবে তা সীমিত আকারে। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং বমি। হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে যাওয়া এ লক্ষণ চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গির মধ্যে প্রধান পার্থক্য। ডেঙ্গিতে অস্থিসন্ধি ফোলে না। চিকুনগুনিয়ায় উলটো। এডিস মশা কামড়ানোর ৩-৭ দিনের ভেতর চিকুনগুনিয়া জ্বরের আক্রমণ হয়। এ জ্বর কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা কয়েক মাস থাকতে পারে। একবার চিকুনগুনিয়া হলে সারা জীবনে আর চিকুনগুনিয়া জ্বর হয় না। চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। এ জ্বরের কোনো টিকা নেই। জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া জ্বর শনাক্ত করা যায়, তবে সাধারণত রক্ত পরীক্ষা ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেই চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা হয়ে থাকে। এ জ্বরে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম বা অতি বিরল।

ভাইরাল ফিভার 
ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাস জ্বর বছরের যে কোনো সময় হতে পারে। তবে সাধারণত গ্রীষ্মকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। ভাইরাল ফিভার ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। জ্বরের শুরুতে এর প্রকৃতি বোঝা না গেলেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাল ফিভার চিহ্নিত করা সম্ভব। সাধারণ লক্ষণ হলো হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা করা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, শরীরের চামড়ায় বা ত্বকে র্যা শ দেখা দেওয়া ইত্যাদি। 
একই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনো কখনো খিঁচুনি হতে পারে। এ সময় দ্রুত জ্বর কমাতে সারা শরীর ভিজে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছতে হবে। মাথায় পানি দিতে হবে। রোগীকে পাখার তলায় রাখুন। জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। জ্বর বেশিমাত্রায় (১০২) হলে, মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করুন। খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। অন্যান্য উপসর্গের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। রোগীকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করান। সব খাবারই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে। তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি খাওয়া উচিত। টক জাতীয় ফল যেমন- বাতাবি লেবু, আমড়া, কমলালেবু ইত্যাদি খেতে হবে।
সংক্রামক ভাইরাল ফিভার যেমন- ইনফ্লুয়েঞ্জা, পক্স, মাম্পস এসব ক্ষেত্রে রোগ যাতে অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য আক্রান্ত রোগীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করলে ভালো। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে নিরাপদ দূরে থাকুন। রোগীর কাপড় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ডেঙ্গিজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সব সময় মশারির ভেতরে রেখে পরিচর্যা করুন। শিশু এবং বৃদ্ধদের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে রাখুন। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন।
ম্যালেরিয়া 
বিশেষ এক ধরনের মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগ হয়। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। এ রোগে আক্রান্ত হলে বারবার জ্বর এবং কাঁপুনি দেখা দেয়। এটি এমনকি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। স্ত্রী এনোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে মশা কামড়ালে তখন এটি নিজের মধ্যে এক ধরনের জীবাণু গ্রহণ করে। এ মশা অন্য কাউকে কামড়ালে তখন তার রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণু ছড়ায় এবং তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। গর্ভবতী মহিলা যদি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন তাহলে তার গর্ভে থাকা সন্তানের মধ্যেও জীবাণু ছড়ায়। আবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি কাউকে রক্ত দিলে তারও সংক্রমণ হতে পারে।
ম্যালেরিয়া হলে সামান্য অথবা তীব্র কাঁপুনি, শীত অনুভূত হওয়া, প্রচণ্ড জ্বর, অত্যধিক ঘাম, ক্লান্তি, অবসাদ ছাড়াও মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দুইবার রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। প্রথম সতর্কতা হিসেবে মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরের দেওয়ালে কীটনাশক ওষুধ দিলে ভালো হয়। এ রোগ হলে রক্তশূন্যতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, শরীরে পানিশূন্যতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
টাইফয়েড
টাইফয়েড জ্বরের জন্য স্যালমোমেলা বা ব্যাসিলাস টাইফোসা নামক ব্যাকটেরিয়া দায়ী। সাধারণ দূষিত খাবায় এবং পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে টাইফয়েড হতে পারে। এ রোগ হলে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, পায়খানায় সমস্যা, ডায়রিয়া, চামড়ায় লালচে দানা বা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। এছাড়া শরীরের ওজন কমতে পারে, পেট ফোলা, পেট ফাপতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী প্রলাপও বকে। এক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস জানা দরকার, রক্ত পরীক্ষা, বোনম্যারো টেস্ট জরুরি। রোগ ধরা পড়লে কালবিলম্ব না করে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। পথ্য বলতে পর্যাপ্ত তরল খাবার। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারই ভালো। এ রোগ প্রতিরোধে রোগীকেই সচেতন হতে হবে। ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে। বাসি খাবার বিশেষ করে শাকসবজি না খাওয়াই ভালো। সবজি গরম করে খাওয়া উচিত।

Wednesday, 18 August 2021

টিকা নেওয়ার পর রাত জাগা'দের জন্য সতর্কবার্তা

টিকা নেওয়ার পর রাত জাগা'দের জন্য সতর্কবার্তা


স্বাস্থ্য কথাঃ মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিন বা টিকা। তবে এ টিকা গ্রহণের পর কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রত্যেকেরই উচিৎ।

ভারতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিশাখা তার এক গবেষণার পর জানিয়েছেন, টিকাগ্রহণকারী ব্যক্তিকে দিনে কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর নির্ঘুম রাত কাটালে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাঁধাগ্রস্ত হয়।


কারণ ব্যাখ্যা করে ডা. বিশাখা বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি রেসপন্স তৈরি হয়। কিন্তু নির্ঘুম রাত কাটানোর প্রভাবে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে বাধা পায়। আর এতে করে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাই নষ্ট হয়ে যায়। ভ্যাকসিনের মূল কাজই হলো শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরী করা। কিন্তু রাত জাগলে বা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে বাধা পাবে শরীর।

এছাড়াও তিনি ধূমপায়ীদের জন্য সতর্কবার্তা প্রদান করেন। 

টিকা নেওয়ার পর ধূমপায়ীদের জন্য সতর্কবার্তা

টিকা নেওয়ার পর ধূমপায়ীদের জন্য সতর্কবার্তা



স্বাস্থ্য কথাঃ ধূমপানের সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্কটা মাসতুতো ভাইয়ের মতো। কারণ ধূমপান আগে থেকেই ফুসফুসের বারোটা বাজিয়ে রাখে। রোগীর অবস্থা জটিল করে তুলতে করোনাভাইরাসকে তখন খুব একটা কষ্ট করতে হয় না।


এবার ভারতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিশাখা তার এক গবেষণার পর জানালেন, যারা ধূমপান করে আসছিলেন এতোদিন, তাদের দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার আছে ঠিকই। তবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কিছুতেই আর ধূমপান করা যাবে না। সেইসঙ্গে বাদ দিতে হবে যাবতীয় অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।

কারণ ব্যাখ্যা করে ডা. বিশাখা বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি রেসপন্স তৈরি হয়, ধূমপান সেটাকে দুর্বল করে দেয়। ওই অবস্থায় আবার আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি প্রথম ডোজ নেওয়ার পর নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।






 
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
করোনা টিকায় জ্বর-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যা করবেন

করোনা টিকায় জ্বর-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যা করবেন



স্বাস্থ্য কথাঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিন বা টিকা। বিশ্বব্যাপী টিকা নেয়ার হিড়িক এখন বাংলাদেশেও পড়েছে। দেশের অনেকেই ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন, অনেকে রয়েছেন অপেক্ষমান।

শুরুতে দেশে টিকা নেয়ায় জনগণের অনাগ্রহ থাকলেও বর্তমানে টিকা নেয়ার প্রতিযোগিতায় দেখা যাচ্ছে। আর তাতে হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় টিকা রেজিস্ট্রেশন সাইট সুরক্ষা অ্যাপস।

তবে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ায় সকলের আগ্রহ বাড়লেও টিকা গ্রহণের পর শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে অনেকেই জানেন না। যদিও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিতান্তই সাময়িক, তবু এ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরী। এ সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর জন্য প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা। তবে এক্ষেত্রে কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা চলবে না। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ জ্বর জ্বর ভাব, জ্বর, গা ও হাত-পা ব্যথা আসছে অনেকের। টিকা নেওয়ার পরে জ্বর এলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন-


আপনি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত?

টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া কিন্তু ইতিবাচক ইঙ্গিত এবং এটি সাময়িক। তাই এ নিয়ে ভয় পাবেন না। টিকা নেওয়ার পর ব্যথা হতে পারে, তবে তা কমানোও সম্ভব। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়। এরপরও যদি আপনি চিন্তিত থাকেন, তবে টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার কথা ভেবে টিকা গ্রহণ করাই উত্তম।

টিকা নেওয়ার স্থানে ব্যথা হলে কী করবেন?

অনেকের ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার পর সেই স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। যেদিন টিকা নেওয়া হচ্ছে সেদিনই রাত থেকে ব্যথা শুরু হতে দেখা যাচ্ছে। এসময় পেশী ফুলে যেতে পারে। তবে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ সমস্যা সাময়িক। ব্যথার স্থানে ঠান্ডা পানি বা আইসব্যাগ দিয়ে সেঁক দিন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে আসবে।

টিকা নেওয়ার আগে বা পরে কি পেইনকিলার খাওয়া যায়?

টিকা নেওয়ার পরে সবার ক্ষেত্রে একইরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। কারও হালকা ব্যথা বোধ হতে পারে, কারও অনেক বেশি। আপনি যদি খুব বেশি ব্যথা বোধ করেন তবে পেইন কিলার খেতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে টিকা নেওয়ার আগে-পরে কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ এখনও দেওয়া হয়নি। তবে টিকা নেওয়ার পর ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে পারেন।


অন্যান্য উপসর্গে করণীয়ঃ

টিকা নেওয়ার পর জ্বর আসছে অনেকের। কারও ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে শরীর ব্যথা, ক্লান্তি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা জরুরি। এতে শরীর ভেতর আর্দ্র থাকবে। খাবার খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। এতে টিকার পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে দেবে। অসুস্থ বোধ করলে কিছুদিন বিশ্রাম করতে পারেন।

Tuesday, 17 August 2021

শরীরে শক্তি পাচ্ছেন না? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

শরীরে শক্তি পাচ্ছেন না? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার



খাবার আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। সঠিক ও সুষম খাবার গ্রহণের ফলে সুস্থ থাকা যায়। খাবারের তারতম্যের কারণে অনেক সময় শরীর নির্জীব হয়ে যায়।

দিনের মধ্যে কখনও কখনও শক্তি কম-বেশি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।  আর এটি মূলত হয়ে থাকে আপনার খাবারের প্রভাবের কারণেই।  এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে।  যেমন— ঘুম, কাজকর্মের মাত্রা, চাপের মাত্রা ইত্যাদি।

খাবার যেমন আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে, তেমনি কিছু খাবার রয়েছে; যেগুলো আপনার শক্তি কমিয়ে ফেলার কারণ হিসেবেও কাজ করে। জানুন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরের সঞ্জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়। 


১. প্রক্রিয়াজাত শস্য

আমরা সবাই জানি যে, শস্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড থাকে, যা আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শস্যের কিছু খাবার যেমন, সাদা পাউরুটি, সাদা পাস্তা এবং সাদা ভাত এগুলো আপনার শক্তির মাত্রাকে বৃদ্ধি করার চেয়ে কমাতে পারে বেশি।

এগুলো খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময়ে শস্যের বাইরের ব্রন নামের একটি স্তরকে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন এ খাবারগুলো শক্তি উৎপাদনের চেয়ে শক্তি হ্রসে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই এ খাবারগুলো এড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত ছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।


২. সকালের নাস্তায় চিনিযুক্ত খাবার

চিনিযুক্ত যে কোনো খাবারই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর এটি যদি হয় সকালের নাস্তায়, তবে সেটি আপনার শক্তির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে অনেকটাই। খুব কম পরিমাণে ফাইবার থাকে এমন খাবারের সঙ্গেও যদি আপনি চিনিযুক্ত করেন, তাও সেটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে বেশি। তাই শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে হলে সকালের নাস্তায় চিনি যুক্ত করা এড়াতে হবে।



৩. কফি

পরিমিত পরিমাণে কফি পান করলে সেটি আমাদের ওপরে ইতিবাচকভাবে শারীরিক ও মানসকি প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া এটি ডায়বেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে বেশি পরিমাণে কফি খেলে এতে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর ফলে এটি আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা কমিযে ফেলতে পারে।


৪. ফ্রাইস ও ফাস্টফুড

বর্তমান সময়ের অতিজনপ্রিয় খাবারের তালিকায় ফ্রাইস ও ফাস্টফুডগুলো প্রথমে দিকেই থাকে। আর মজার বিষয় হচ্ছে— এগুলো যারা খান তারা বিভিন্ন ক্ষতি জেনেই খেয়ে থাকেন। তবে এসব খাবারের অন্যতম একটি ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে, এগুলো আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে।


৫. এনার্জি ড্রিংকস

এ নামটি শুনেই মনে হতে পারে অনেকের যে, এটি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এসব ড্রিংকস সাময়িকভাবে আপনার শক্তি বাড়িয়ে তুললেও পরে শক্তি হ্রাস করে ফেলে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় মিলেছে যে, এনার্জি ড্রিংকস ঘুমের সময়কাল এবং গুণগতমান কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে শরীরে শক্তি উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো।


৬. কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার


অনেকে মনে করেন যে, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো এলেও স্বাস্থ্যকর। তবে এ ধরনের খাবার আপনার সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যলোরি শরীরকে প্রদান করতে পারে না। ফলে আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।


সৌজন্যেঃ যুগান্তর

Saturday, 14 August 2021

করোনার পর চুল পড়া থামছে না? নিজেই বানান এই তেল

করোনার পর চুল পড়া থামছে না? নিজেই বানান এই তেল



স্বাস্থ্যঃ করোনা থেকে সেরে উঠলেও চুল পড়া সমস্যা কাটছে না অনেকের। শরীরে ভিটামিন ডি-সহ যাবতীয় খনিজ ও অন্যান্য ভিটামিন ঠিক থাকার পরও যদি চুল পড়ে তবে একটি ঘরোয়া তেল তৈরি করেই দূর করতে পারেন এ সমস্যা।

মেথি তেল তৈরির উপকরণ : মাঝারি আকারের এক বোল খাঁটি নারিকেল তেল, চার টেবিল চামচ মেথিদানা ও কিছু কারি পাতা।

প্রস্তুত প্রণালী : সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর মিশ্রণটা ঠান্ডা করে একটি কাচের জারে ২-৩ দিন রেখে দিন। এ ২-৩ দিন তেলটি ব্যবহার করবেন। এরপর সপ্তাহে অন্তত দু’বার তেলটি ভালো করে চুল ও স্কাল্পে মাখুন। ক’দিন পর নিজেই পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন।

Monday, 9 August 2021

কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা

কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা


কালোজিরা,- প্রায় সকল রোগের ক্ষেত্রেই যার আছে ঔষধি গুণ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। প্রাচীনকাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। দেখতে কালো হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি প্রায় সব অসুখেই কাজে আসে। এবার এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী হিসেবেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।


সিডনির একটি গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, এতে রয়েছে থাইমোকুইনোন নামে একটি উপাদান, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

ভাবতে অবাক লাগলেও এই রকম সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্যাটিভা।

আর এটিই বছরের পর বছর ধরে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে সংক্রামক অসুখ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উচ্চরক্তচাপ, অ্যালার্জি, ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও কালোজিরের ভূমিকা অব্যর্থ।

গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কালোজিরার থাইমোকুইনোন নামে উপাদানটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে আটকে যায়, ফলে ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।

এ ছাড়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক যে ‘সাইটোকাইন স্টর্ম’, সেটিও আটকে দিতে পারে কালোজিরা। সেই কারণেই করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে কালোজিরা।

তবে কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওষুধ তৈরির উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যা কাটানো সম্ভব।

তখন ওরাল মেডিসিন হিসেবেও এটি নেওয়া যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত রোগীদের নাকের স্প্রে হিসেবেই এর ব্যবহার হয়েছে।
গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত



করোনার সংক্রমণরোধে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের শর্তসাপেক্ষে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার (৮ আগস্ট) অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারী টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারী যদি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ গ্রহণের পর এইএফআই কেস হিসাবে শনাক্ত হন তবে তাকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না।

একইসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয় সম্মতিপত্রে টিকাগ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত টিকা প্রদান করা যাবে না।

নির্দেশনায় তিন নাম্বারে কাউন্সেলিং উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক গর্ভবতী নারীকে টিকা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবহিত করতে হবে।

এর আগে গত ২ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা এবং যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ।

নাইট্যাগের সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটা করতে চায়। তাই আমরা সবকিছু বিবেচনা করে সম্মতি দিয়েছি টিকা দেওয়ার জন্য। এর আগে গত পরশু এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানেই সম্মতি দিয়েছি যে এটা করা যাবে।

Friday, 6 August 2021

গণটিকার বয়সসীমায় পরিবর্তন

গণটিকার বয়সসীমায় পরিবর্তন



আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশে একযোগে চলবে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে  ১৮বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা বলা হলেও ক্যাম্পেইনের একদিন আগে বয়সসীমায় পরিবর্তন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।


এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকা প্রদান করতে হবে। তবে এই ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা প্রদান করা হবে না।

এর আগে গত ২৯ জুলাই ১৮ বছরের বেশি বয়সীদেরও করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। যা বর্তমানে ২৫ বছর করা হয়েছে।

Thursday, 5 August 2021

গণটিকাদানের তারিখ চূড়ান্তঃ ৭ আগস্ট একযোগে টিকাদান কর্মসূচী

গণটিকাদানের তারিখ চূড়ান্তঃ ৭ আগস্ট একযোগে টিকাদান কর্মসূচী



গণটিকাদানের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ০৭ আগস্ট সারাদেশের ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে একযোগে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এদিন প্রত্যেক ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডে (বর্তমান ১,২,৩ নং ওয়ার্ড) ৬০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে কুশিয়ারা নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।

তিনি জানান ৭আগস্ট প্রতি ইউনিয়নের বর্তমান ১,২,৩নং ওয়ার্ডে ৩টি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে প্রত্যেকটিতে ২০০জন করে মোট ৬০০জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে  গণহারে এ টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে ইতোপূর্বে প্রকাশিত সূচিতে বলা হয়েছিলো ৭-১২ আগস্ট সারাদেশে গণহারে করোনার টিকা দেয়া হবে। এবার সেই সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী শুধু ৭ আগস্ট একযোগে সারাদেশে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এরপর এ কর্মসূচী ৭দিন স্থগিত রেখে ১৪আগস্ট থেকে পূণরায় শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চলমান লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় আপাতত এক দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর সাত দিন বন্ধ থাকার পর আবার ক্যাম্পেইন চালু হবে। তবে, চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।



Saturday, 31 July 2021

৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকার নিবন্ধন

৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকার নিবন্ধন



মহামারী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও জানান, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তারাও করোনার টিকা পাবেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এনআইডি না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এতে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, বয়স্করা যদি শুধুমাত্র এনআইডি নিয়েও টিকাদান কেন্দ্রে আসেন, তাদের টিকা দেওয়া হবে। কারণ করোনাভাইরাসে বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। তাই এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।

Monday, 5 July 2021

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়

এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়


স্বাস্থ্য টিপসঃ সাধারণ সর্দি-জ্বর এক প্রকার ভাইরাসজনিত রোগ যা মূলত শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে হয়ে থাকে বা Upper respiratory tract কে আক্রান্ত করে। সাধারণত রিনো ভাইরাস নামক এক প্রকার ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।

সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস  করোনাভাইরাসের মত।  মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে এটা একটু দুর্বল প্রকৃতির ভাইরাস। কারণ এটা upper respiratory tract কে আক্রান্ত করলেও lower respiratory tract তথা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। তাই ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই বললেই চলে।


উপসর্গ-

১। নাক দিয়ে পানি পড়া,

২। নাক বন্ধ হয়ে আসা,

৩।  হালকা গলা ব্যাথা,

৪। কাশি,

৫। গায়ে গায়ে জ্বর।

৬।  জ্বর মোটামুটি ৯৯ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট  পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে,

৭। মাথা ব্যাথা,

৮। হাঁচি আসা,

৯। শারীরিক দূর্বলতা, ইত্যাদি।


টাইফয়েডের সাথে এই জ্বরের পার্থক্যঃ

♦ টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত সর্দি-কাশি থাকে না।

♦ রিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে সর্দি কাশি দিয়েই শুরু হয়।

♦ টাইফয়েড সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি উচ্চতাপমাত্রা সহ হয়ে থাকে।  Rhinovirus তুলনামূলক কম তাপমাত্রা।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া হতে পারে। এখানে ডায়েরিয়া থাকবে না।  টাইফয়েডের ক্ষেত্রে শরীরে র‍্যাশ দেখা দিবে,এখানে র‍্যাশ দেখা দিবে না।


করোনার সঙ্গে রিনো ভাইরাসের পার্থক্য :

করোনা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।  তবে রিনো ভাইরাস ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না।  কিংবা ফুসফুসে মারাত্মক জটিলতা করতে সক্ষম নয়।

সর্দি কাশি দিয়ে জ্বর শুরু হলে বুঝতে হবে ভাইরাল ফিভার এবং আতংকিত হবার কারণ নাই। করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।


জটিলতা

সর্দি-জ্বর থেকে অনেক সময় সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস,  মিডেল ইয়ার ইনফেকশন বা অটাইটিস মিডিয়া হতে পারে।কানে ব্যাথা করতে পারে।

নিউমোনিয়া হতে পারে, একিউট সাইনুসাইটিস হতে পারে।এজমা রোগীদের এজমা এটাক হতে পারে।


জ্বর হলে কি করবেনঃ

অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।


যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়

বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।


জ্বর হলে স্পঞ্জিং

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোন গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।


বিশ্রাম ও খাবার

জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।


জ্বরের সময় সচেতনতা

জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।