Monday, 9 May 2022
Thursday, 24 February 2022
ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা
Sunday, 20 February 2022
২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ থাকছে না
Sunday, 31 October 2021
‘কাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’
Thursday, 21 October 2021
জ্বর কোনো রোগ নয়, জানুন এর ইতিকথা
Wednesday, 18 August 2021
টিকা নেওয়ার পর রাত জাগা'দের জন্য সতর্কবার্তা
টিকা নেওয়ার পর ধূমপায়ীদের জন্য সতর্কবার্তা
কারণ ব্যাখ্যা করে ডা. বিশাখা বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি রেসপন্স তৈরি হয়, ধূমপান সেটাকে দুর্বল করে দেয়। ওই অবস্থায় আবার আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি প্রথম ডোজ নেওয়ার পর নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
করোনা টিকায় জ্বর-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যা করবেন
Tuesday, 17 August 2021
শরীরে শক্তি পাচ্ছেন না? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার
খাবার আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। সঠিক ও সুষম খাবার গ্রহণের ফলে সুস্থ থাকা যায়। খাবারের তারতম্যের কারণে অনেক সময় শরীর নির্জীব হয়ে যায়।
দিনের মধ্যে কখনও কখনও শক্তি কম-বেশি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। আর এটি মূলত হয়ে থাকে আপনার খাবারের প্রভাবের কারণেই। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। যেমন— ঘুম, কাজকর্মের মাত্রা, চাপের মাত্রা ইত্যাদি।
খাবার যেমন আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে, তেমনি কিছু খাবার রয়েছে; যেগুলো আপনার শক্তি কমিয়ে ফেলার কারণ হিসেবেও কাজ করে। জানুন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরের সঞ্জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়।
১. প্রক্রিয়াজাত শস্য
আমরা সবাই জানি যে, শস্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড থাকে, যা আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শস্যের কিছু খাবার যেমন, সাদা পাউরুটি, সাদা পাস্তা এবং সাদা ভাত এগুলো আপনার শক্তির মাত্রাকে বৃদ্ধি করার চেয়ে কমাতে পারে বেশি।
এগুলো খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময়ে শস্যের বাইরের ব্রন নামের একটি স্তরকে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন এ খাবারগুলো শক্তি উৎপাদনের চেয়ে শক্তি হ্রসে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই এ খাবারগুলো এড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত ছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. সকালের নাস্তায় চিনিযুক্ত খাবার
চিনিযুক্ত যে কোনো খাবারই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর এটি যদি হয় সকালের নাস্তায়, তবে সেটি আপনার শক্তির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে অনেকটাই। খুব কম পরিমাণে ফাইবার থাকে এমন খাবারের সঙ্গেও যদি আপনি চিনিযুক্ত করেন, তাও সেটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে বেশি। তাই শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে হলে সকালের নাস্তায় চিনি যুক্ত করা এড়াতে হবে।
৩. কফি
পরিমিত পরিমাণে কফি পান করলে সেটি আমাদের ওপরে ইতিবাচকভাবে শারীরিক ও মানসকি প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া এটি ডায়বেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে বেশি পরিমাণে কফি খেলে এতে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর ফলে এটি আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা কমিযে ফেলতে পারে।
৪. ফ্রাইস ও ফাস্টফুড
বর্তমান সময়ের অতিজনপ্রিয় খাবারের তালিকায় ফ্রাইস ও ফাস্টফুডগুলো প্রথমে দিকেই থাকে। আর মজার বিষয় হচ্ছে— এগুলো যারা খান তারা বিভিন্ন ক্ষতি জেনেই খেয়ে থাকেন। তবে এসব খাবারের অন্যতম একটি ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে, এগুলো আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে।
৫. এনার্জি ড্রিংকস
এ নামটি শুনেই মনে হতে পারে অনেকের যে, এটি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এসব ড্রিংকস সাময়িকভাবে আপনার শক্তি বাড়িয়ে তুললেও পরে শক্তি হ্রাস করে ফেলে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় মিলেছে যে, এনার্জি ড্রিংকস ঘুমের সময়কাল এবং গুণগতমান কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে শরীরে শক্তি উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো।
৬. কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার
অনেকে মনে করেন যে, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো এলেও স্বাস্থ্যকর। তবে এ ধরনের খাবার আপনার সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যলোরি শরীরকে প্রদান করতে পারে না। ফলে আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।
সৌজন্যেঃ যুগান্তর
Saturday, 14 August 2021
করোনার পর চুল পড়া থামছে না? নিজেই বানান এই তেল
Monday, 9 August 2021
কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা
কালোজিরা,- প্রায় সকল রোগের ক্ষেত্রেই যার আছে ঔষধি গুণ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। প্রাচীনকাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। দেখতে কালো হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি প্রায় সব অসুখেই কাজে আসে। এবার এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী হিসেবেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত
Friday, 6 August 2021
গণটিকার বয়সসীমায় পরিবর্তন
Thursday, 5 August 2021
গণটিকাদানের তারিখ চূড়ান্তঃ ৭ আগস্ট একযোগে টিকাদান কর্মসূচী
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুশিয়ারা নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।
Saturday, 31 July 2021
৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকার নিবন্ধন
Monday, 5 July 2021
এই সময়ে জ্বর-সর্দি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়
স্বাস্থ্য টিপসঃ সাধারণ সর্দি-জ্বর এক প্রকার ভাইরাসজনিত রোগ যা মূলত শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে হয়ে থাকে বা Upper respiratory tract কে আক্রান্ত করে। সাধারণত রিনো ভাইরাস নামক এক প্রকার ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।
সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস করোনাভাইরাসের মত। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে এটা একটু দুর্বল প্রকৃতির ভাইরাস। কারণ এটা upper respiratory tract কে আক্রান্ত করলেও lower respiratory tract তথা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। তাই ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই বললেই চলে।
উপসর্গ-
১। নাক দিয়ে পানি পড়া,
২। নাক বন্ধ হয়ে আসা,
৩। হালকা গলা ব্যাথা,
৪। কাশি,
৫। গায়ে গায়ে জ্বর।
৬। জ্বর মোটামুটি ৯৯ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে,
৭। মাথা ব্যাথা,
৮। হাঁচি আসা,
৯। শারীরিক দূর্বলতা, ইত্যাদি।
টাইফয়েডের সাথে এই জ্বরের পার্থক্যঃ
♦ টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত সর্দি-কাশি থাকে না।
♦ রিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে সর্দি কাশি দিয়েই শুরু হয়।
♦ টাইফয়েড সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি উচ্চতাপমাত্রা সহ হয়ে থাকে। Rhinovirus তুলনামূলক কম তাপমাত্রা। টাইফয়েডের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া হতে পারে। এখানে ডায়েরিয়া থাকবে না। টাইফয়েডের ক্ষেত্রে শরীরে র্যাশ দেখা দিবে,এখানে র্যাশ দেখা দিবে না।
করোনার সঙ্গে রিনো ভাইরাসের পার্থক্য :
করোনা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। তবে রিনো ভাইরাস ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। কিংবা ফুসফুসে মারাত্মক জটিলতা করতে সক্ষম নয়।
সর্দি কাশি দিয়ে জ্বর শুরু হলে বুঝতে হবে ভাইরাল ফিভার এবং আতংকিত হবার কারণ নাই। করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।
জটিলতা
সর্দি-জ্বর থেকে অনেক সময় সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস, মিডেল ইয়ার ইনফেকশন বা অটাইটিস মিডিয়া হতে পারে।কানে ব্যাথা করতে পারে।
নিউমোনিয়া হতে পারে, একিউট সাইনুসাইটিস হতে পারে।এজমা রোগীদের এজমা এটাক হতে পারে।
জ্বর হলে কি করবেনঃ
অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।
যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়
বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।
জ্বর হলে স্পঞ্জিং
জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী। এ কাজে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আর শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করাই সুবিধাজনক, তাই বড় কোন গামলা ভর্তি করে পানি নেয়া উচি। স্পঞ্জিং আলো-বাতাসযুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভালো কাজ দেয়।
বিশ্রাম ও খাবার
জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে।
জ্বরের সময় সচেতনতা
জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে হলে রুমাল বা টিসু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং তা যেনো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা একদম ফেলা যাবে না, এতে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে যেখানে আলোবাতাস বেশি আসে এমন কক্ষে থাকতে হবে জ্বরের সময়।