Saturday, 7 August 2021

সকালে সাদা ড্রেসে ঢুকে গভীর রাতে কালো পোশাকে বেরিয়ে যান পরীমনি (ভিডিও)

সকালে সাদা ড্রেসে ঢুকে গভীর রাতে কালো পোশাকে বেরিয়ে যান পরীমনি (ভিডিও)



চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে পুলিশে। 

জানা গেছে, বিপুল মাদকসহ পরীমনিকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কটি ফাঁস হয়।

পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত রাজারবাগের মধুমতির বাসভবনের কেয়ারটেকার শামীমকে সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআরসহ পুলিশ সদর দপ্তরে ডেকে পাঠান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরীমনির বক্তব্যের সত্যতা পান। 

ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমনি। 

রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দুজন লিফটে প্রবেশ করেন। পরে গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ট্রলি ব্যাগ। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে আবার আসে পরীমনির গাড়ি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমনির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক।

সূত্রে জানা গেছে, বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে পরিচয় ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েনের। সেই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরপর পরীমনির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন তিনি। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে বের হতেন দুজনে। সর্বশেষ নায়িকা সাকলায়েনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান।

হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দুজন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন। একসঙ্গে  মদপানও করেছেন। 

গোলাম সাকলায়েন পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক এবং সরকারি বাসায় প্রবেশের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার না করে বলেন, মামলাটির চার্জশিট জমা দেয়ার পর, পরীমনি কেনো যেকোনো কারো সঙ্গে সম্পর্ক চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে কোনো কোনো মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।



Friday, 6 August 2021

গণটিকাঃ ৩টি নয়, আগামীকাল ১টি ওয়ার্ডেই দেয়া হবে ভ্যাকসিন, পাবেন ৬০০জন

গণটিকাঃ ৩টি নয়, আগামীকাল ১টি ওয়ার্ডেই দেয়া হবে ভ্যাকসিন, পাবেন ৬০০জন



করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশের একযোগে চলবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডে মোট ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পেইনের আগের দিনে বড় পরিবর্তন করা হয়েছে।



নতুন পরিবর্তনে আগামীকাল শুধুমাত্র ১টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এছাড়া ১৮বছরের পরিবর্তে ২৫ বছরের নাগরিকগণকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শুক্রবার রাতে এ তথ্য কুশিয়ারা নিউজকে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।

তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে শুধুমাত্র ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।


তিনি আরোও জানান, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক পুরুষ, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, শুধু তারাই এই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে সক্ষম হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনভাবেই টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাবেনা।


তিনি আরও বলেন, টিকাকেন্দ্রে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা গ্রহণ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজে থেকে সচেতন থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এর আগে দফায় দফায় গণটিকা ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন পরিবর্তন করেছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এবার চূড়ান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় আপাতত শুধু ০৭ আগস্ট (এক দিন) ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর সাত দিন বন্ধ থাকার পর ১৪ আগস্ট থেকে এ ক্যাম্পেইন আবার চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও এ ক্যাম্পেইন চলমান থাকবে।
অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়



স্পোর্টস ডেস্কঃ একের পর এক ইতিহাস গড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেই এই ফরমেটে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বাদ পেয়েছিল টাইগাররা।

সেই ইতিহাসের পাতায় নতুন রেকর্ড যোগ হয় টানা দ্বিতীয় জয়ে। সামনে ছিল প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কোনো ফরমেটে সিরিজ জয়ের হাতছানি। সেই ইতিহাসও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল গড়ে ফেলল দুই ম্যাচ হাতে রেখেই।


আজ (শুক্রবার) মিরপুরে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে ঘরের মাঠের বাংলাদেশ। সেটাও আবার যেনতেনভাবে নয়। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে।

অস্ট্রেলিয়ার জয়ের লক্ষ্য ছিল ১২৮ রানের। শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। ওই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ২২ রান। তরুণ মাহেদি হাসান ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হজম করে বসলে শঙ্কা ভর করে টাইগার শিবিরে। তবে পরের দুই বলে মাত্র ১ রান দেন মাহেদি।

চতুর্থ বলটি ইয়র্কার করতে গিয়েই যেন ‌'নো' দিয়ে বসেন। অস্ট্রেলিয়া ফ্রি-হিট পেলে আবারও দুশ্চিন্তা তৈরি হয় স্বাগতিকদের। তবে মাহেদি সেই সময়ও মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পেরেছেন। শেষ তিন বলে দেন মাত্র ২ রান। বিজয় উল্লাসে মাতে টাইগার শিবির।

অস্ট্রেলিয়াকে এমন চাপে ফেলার অবশ্য বড় কারিগর মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ দুই ওভারে সফরকারিদের দরকার ছিল ২৩ রান। এমন সময়ে ১৯তম ওভারে এসে মাত্র ১ দেন কাটার মাস্টার। তাতেই পাহাড়সমান চাপ গিয়ে পড়ে ড্যান ক্রিশ্চিয়ান আর অ্যালেক্স কারের ওপর।


তারা সেই চাপ নিতে পারেননি। ক্রিশ্চিয়ান ১০ বলে ৭ আর কারে ১৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ উইকেট হাতে রেখেই হার মানে অস্ট্রেলিয়া। ২০ ওভার শেষে তোলে ৪ উইকেটে ১১৭ রান।


রান তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল অসিরা। ওপেন করতে নেমে অসি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড (১) দলীয় ৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরত যান। নাসুম আহমেদকে পুল করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ হন তিনি।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে তুলেন ম্যাকডরমট আর শন মার্শ। তেড়েফুরে না মেরে ওয়ানডের মতো দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। ১২তম ওভারে এসে জুটিটি ভাঙতে পারতো।

কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের ওভারের প্রথম বলে ম্যাকডরমটের সহজ ক্যাচ লংলেগ বাউন্ডারিতে ফেলে দেন শরিফুল। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৪১ বলে ৩৫ রান করা ম্যাকডরমটকে পরের ওভারেই বোল্ড করে দেন সাকিব।


তার পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এবার শরিফুলের ওভারের প্রথম বলটিতেই লেগ সাইডে তুলতে গিয়ে মিডঅনে শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ হন ময়েচেস হেনড্রিকস (২)।

অস্ট্রেলিয়ার ওপর রানের চাপ বাড়তে থাকে। বাংলাদেশি বোলাররাও চেপে ধরেন সাধ্যমতো। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। সেই চাপের সুযোগটা নেন শরিফুল।

১৮তম ওভারের প্রথম বলে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে নাইম শেখের ক্যাচ হন মার্শ (৪৭ বলে ৫১)। সেট ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরই কঠিন উইকেটে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে অসিরা। পরের কাজটা সেরেছেন মোস্তাফিজ দুর্দান্ত এক ওভারে, শেষে তুলির আচড় দিয়েছেন মাহেদি।


এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাপ্টেনস নকে ভর করে ধীরগতির পিচে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওভার পার হতেই উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে ইনিংসের প্রায় শেষ পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেছেন। ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫২ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অসি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছিল টাইগাররা। ৩ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর নাইম শেখকে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জশ হ্যাজলেউডের ওভারের শেষ বলের সুইং বুঝতে না পেরে ব্যাট ধরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন নাইম (১)।

পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান অ্যাডাম জাম্পা। প্রথম বলেই অসি লেগস্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন সৌম্য। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ১১ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় টানা অফফর্মে থাকা সৌম্যকে।


৩ রানে নেই ২ উইকেট। দলের এমন কঠিন বিপদের সময় হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রানের ঝড় তুলে ফিরতে হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।



ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলেই অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। ভেবেছিলেন লংঅফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে যাবেন। কিন্তু দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। তাতেই মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সাকিবের ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটিটি ভাঙে।

তবে এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে ২৩ বলে ২৯ আরেকটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন ধীর, চালিয়ে খেলেছেন আফিফ।

ঝড়ো গতিতে এগিয়ে যাওয়া আফিফ ভুল করে এক রান নিতে গিয়ে পড়েছেন রানআউটে। কভারে ঠেলে দিয়েই দৌড় দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু জায়গামতো পৌঁছতে পারেননি।

সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে দেন অ্যালেক্স কারে। ১৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় আফিফের ১৯ রানের ইনিংসটি থেমেছে তাতেই। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারীও (৮ বলে ৩) হ্যাজলেউডকে ক্রস খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে হয়েছেন ক্যাচ।


নুরুল হাসান সোহান শুরুটা করেছিলেন দারুণ। নিজের মুখোমুখি তৃতীয় বলেই লংঅনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তার ইনিংসটিও থেমেছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।

এই আউটে অবশ্য দায় মাহমুদউল্লাহর। কভারে ঠেলে দিয়েই টাইগার অধিনায়ক রানের জন্য কল দেন, কিন্তু সোহান (৫ বলে ১১) পৌঁছার আগেই সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন হেনড্রিকস।

মাহমুদউল্লাহ একটা প্রান্ত তবু ধরে ছিলেন। দেখেশুনে খেলে হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে নাথান এলিসের বলে বোল্ড হন ৫২ করে। পরের দুই বলে আরও দুই উইকেট নিয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন অসি পেসার।

৪ ওভারে ৩৪ রানে এলিস নেন ৩ উইকেট। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে জস হ্যাজেলউড ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ২টি উইকেট শিকার অ্যাডাম জাম্পার।



আগামীকাল গণটিকাঃ ক্যাম্পেইনে আবারও পরিবর্তন

আগামীকাল গণটিকাঃ ক্যাম্পেইনে আবারও পরিবর্তন



করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশের একযোগে চলবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডে মোট ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পেইনের আগের দিনে বড় পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন পরিবর্তনে আগামীকাল শুধুমাত্র ১টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এছাড়া ১৮বছরের পরিবর্তে ২৫ বছরের নাগরিকগণকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


শুক্রবার রাতে এ তথ্য কুশিয়ারা নিউজকে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।

তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে শুধুমাত্র ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।

তিনি আরোও জানান, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক পুরুষ, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, শুধু তারাই এই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে সক্ষম হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনভাবেই টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাবেনা।


তিনি আরও বলেন, টিকাকেন্দ্রে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা গ্রহণ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজে থেকে সচেতন থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এরআগে দফায় দফায় গণটিকা ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন পরিবর্তন করেছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এবার চূড়ান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় আপাতত শুধু ০৭ আগস্ট (এক দিন) ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর সাত দিন বন্ধ থাকার পর ১৪ আগস্ট থেকে এ ক্যাম্পেইন আবার চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও এ ক্যাম্পেইন চলমান থাকবে।

আগামীকাল গণটিকাঃ বাদেপাশা ইউনিয়নের যারা, যেখানে পাবেন ভ্যাকসিন

আগামীকাল গণটিকাঃ বাদেপাশা ইউনিয়নের যারা, যেখানে পাবেন ভ্যাকসিন




করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশের একযোগে চলবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।

এদিন গণটিকাদানের লক্ষে গোলাপপগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।



উপজেলার উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এ লক্ষে আমকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐ টিকাকেন্দ্রে ১নং ওয়ার্ডবাসী করোনার টিকা গ্রহণ করবেন।
আগামীকাল গণটিকাঃ বুধবারীবাজার ইউনিয়নের যারা, যেখানে পাবেন ভ্যাকসিন

আগামীকাল গণটিকাঃ বুধবারীবাজার ইউনিয়নের যারা, যেখানে পাবেন ভ্যাকসিন



করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশের একযোগে চলবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।



এদিন গণটিকাদানের লক্ষে গোলাপপগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এ লক্ষে কটলীপাড়া মহিলা মাদ্রাসাকে টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐ টিকাকেন্দ্র থেকেই ১নং ওয়ার্ডবাসী করোনার টিকা গ্রহণ করবেন।





দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ সিলেটে

দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ সিলেটে



সিলেটে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’। যেখানে থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’। থাকবে ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীকী উপস্থাপনা।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আঙুল উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তাঁর সেই উঁচু অঙ্গুলির আদলে এই কমপ্লেক্সে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাজা’। যেখানে সিনেপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, ১ হাজার আসনের কনভেনশন হল, মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক স্মারক সংগ্রহশালাও রাখা হবে।



কমপ্লেক্সে থাকবে খোলা পার্ক, বইমেলা বা কুঠিরশিল্প মেলা করার জন্য ৩৪২টি স্টল বসানোর সুবিধা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ রাখা হবে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এ কমপ্লেক্সের অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের মানুষের অন্তরে বঙ্গবন্ধুর অক্ষয় স্মৃতি জাগরুক রাখার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ বৃহৎ স্থাপনা গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সিলেট সিটি করপোরেশন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলতি বছরের ১০ জুন ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ বরাবারে একটি আবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ স্থাপনের অনুমতি দেয় ট্রাস্ট।

সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেট নিয়ে গড়ে তোলা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করবে সিলেট সিটি করপোরেশন। অত্যাধুনিক এই কমপ্লেক্সের নকশাও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।


‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ নির্মাণে নকশা প্রণয়নের কাজ করেছে ট্রায়াঙ্গল কনসালট্যান্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে হবে এই কমপ্লেক্স। হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেটের জায়গায় এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এখানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা থাকবে। রাখা হবে দৃষ্টিনন্দন নাগরিক চত্বর।

এ লক্ষে হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ৬ তলাবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হবে। ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে’র ল্যাম্পপোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে।


এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রকল্পটির পুরো নকশা সিসিকে জমা করা হয়েছে। এটি সরকারি পর্যায়ে অনুমোদনও পাওয়া গেছে। এখন অর্থবিভাগ থেকে বাজেটের অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।