Friday, 13 August 2021

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানালেন ইসমাইল, উড়াতে গিয়ে মৃত্যু (ভিডিও)

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানালেন ইসমাইল, উড়াতে গিয়ে মৃত্যু (ভিডিও)

নিউজের নিচে ভিডিও দেখুন


প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই ইউটিউব দেখে নিজে নিজে হেলিকপ্টার বানিয়েছিলেন মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরেনো শেখ ইসমাইল নামের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণ। সেই হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে উড়াতে গিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই তার।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুলসাওয়াঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইসমাইল ইউটিউব দেখে এক আসন বিশিষ্ট প্রোটোটাইপ একটি হেলিকপ্টার নির্মাণ করেন।


অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে স্কুল ছেড়ে দেওয়া ইসমাইলের স্বপ্ন ছিল বিস্ময়কর কিছু করে তার গ্রামের সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। তাই তিনি নিজের ডাক নামের সাথে মিলিয়ে ‘মুন্না হেলিকপ্টার’ নির্মাণ করেন।

ইসমাইলের বন্ধু শচীন গণমাধ্যমকে জানান, থ্রি ইডিয়ট সিমেনার র্যা ঞ্চো চরিত্র ভীষণ প্রভাবিত করে ইসমাইলকে। তাই তিনি অসাধারণ কিছু করার জন্য গ্রামে বসেই হেলিকপ্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।

পরে ইউটিউবে হেলিকপ্টার বানানোর বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজেই হেলিকপ্টার বানানো শুরু করেন ইসমাইল।  হেলিকপ্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে ইসমাইলের প্রায় দু’বছর লেগেছিল। স্টিলের পাইপ দিয়ে তিনি হেলিকপ্টারের পাখা বানান। মারুতি ৮০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার চালানোর জন্য।


ইসমাইল চেয়েছিলেন ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পুরো গ্রামের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর দিতে।  এজন্য গত ১০ আগস্ট তিনি বন্ধুদের সামনে হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক উড্য়ন করেন।

ইসমাইল হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন চালু করার প্রায় সাথে সাথেই হেলিকপ্টারের পেছনের লেজের অংশ মূল শরীর থেকে খুলে হেলিকপ্টারের উপরের পাখায় আঘাত করে। স্টিলের পাখা ইসমাইলের গলায় আঘাত করলে সাথে সাথেই হেলিকপ্টার থেকে অচেতন হয়ে পড়ে যান ইসমাইল। এসময় বন্ধুরা তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে খরচ হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা

জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে খরচ হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা




জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। যেখানে খরচ ধরা হয়েছিলো ৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অথচ, বিদেশী কোম্পানিকে নিয়োগ দিলে সম্ভাব্য ব্যয় হতো প্রায় ১৮০কোটি টাকা। এর বিপরীতে খরচ বাঁচিয়ে এতো কম ব্যয়ে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করায় প্রশংসিত হচ্ছে বাপেক্স।


জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষি জমিতে দেশের ২৮তম এ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।


এ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের আগে সম্ভাব্যতা বিবেচনায় সেখানে অনুসন্ধান চালায় বাপেক্স। এরপর আসে সুখবর। অনুসন্ধান চালিয়ে সেখানে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে ফেলে বাপেক্স।

গত সোমবার (৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশের ২৮তম এ গ্যাসক্ষেত্রে জকিগঞ্জের ঘোষণা করেন। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে এ ঘোষণা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নতুন গ্যাসক্ষেত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার, অনুসন্ধানের জন্য বাপেক্সকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ এলাকায় ১০৩ লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো হয় ২০১৬-১৭ সালে। তখন বাপেক্সের খরচ হয় ৩ কোটি টাকা। ওই জরিপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তাব তৈরি করা হয়। প্রস্তাবে ৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সে প্রস্তাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সায় দেয়।


তবে এতো টাকা লাগেনি, বাপেক্স আরো কম ৭৫ কোটি টাকা খরচ করেই অনুসন্ধান গ্যাস কূপ খনন করে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। সবমিলিয়ে এটা আবিষ্কারে খরচ হয়েছে মাত্র ৭৮ কোটি টাকা।

জকিগঞ্জে গেল ১ মার্চ বাপেক্স খননকাজ শুরু করেছিল। কাজ শেষ হয় ৭ মে। চারটি স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে একটিতে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের গ্যাস পাওয়া যায়। ৬ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আছে এই ক্ষেত্রে। ৭০ শতাংশ গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় উত্তোলন করা যাবে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করার বিবেচনায় আগামী এক যুগ এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জকিগঞ্জে পাওয়া গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।


জানা গেছে, জকিগঞ্জ ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের জন্য জ্বালানি বিভাগ নির্দেশনা দিয়েছে। ৩৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা শ্রমিকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা শ্রমিকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন



সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী  হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশের আজকের এই অবস্থান জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরই অবদান। সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু তার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দেয়নি এদেশীয় দূসররা। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে শেষ করতে পারলেই এদেশকে তারা কবজা করতে পারবে। কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। 

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।  

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সভাপতি মাস্টার আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস আলী’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ,জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সেক্রেটারী শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা সাংগঠনিক রফিকুল ইসলাম,দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ,যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তপন চন্দ্র পাল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিনিয়র সহ সভাপতি ইছহাক আহমদ,জাতীয় শ্রমিকলীগ লালাবাজার ইউনিয়ন  আহবায়ক আব্দুল হোসেন, জালালপুর ইউনিয়ন আহবায়ক এপ্রিল আলী, যুগ্ম আহবায়ক আজাদ মিয়া, মোল্লারগাঁও আহবায়ক দারা মিয়া, কামালবাজার ইউনিয়ন আহবায়ক হাসান আলী, বরইকান্দি ইউনিয়নের আহবায়ক সোহেল আহমদ, সিলাম ইউনিয়নের আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহবায়ক খলিল মিয়া, তেতলী ইউনিয়নের আহবায়ক জানু মিয়া, কুচাই ইউনিয়নের আহবায়ক ফুকন মিয়া, দাউদপুর ইউনিয়নের আহবায়ক জামাল মিয়া, মোগলাবাজার আহবায়ক আনা মিয়া প্রমুখ। 

আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ফারুক আহমদ।
নাজিরবাজার লতিফিয়া পাঠাগার সভাপতি মাও একরামুল হকের ইন্তেকাল

নাজিরবাজার লতিফিয়া পাঠাগার সভাপতি মাও একরামুল হকের ইন্তেকাল



দক্ষিন সুরমার নাজির বাজার লতিফিয়া ইসলামী পাঠাগারের সভাপতি ও বিবিদইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা একরামুল হক ১১ অগাস্ট দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটের সময় সিলেট নগরীর  মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! 

মরহুমের জানাযার নামাজ  বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায়  ফরিদপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন। পরে মরহুমের লাশ ফরিদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নাজিরবাজার লতিফিয়া ইসলামী পাঠাগারের সভাপতি মাওলানা একরামুল হকের মৃত্যুতে লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জুয়েল আহমদ, দক্ষিণ সুরমা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফি, আবু দৌলত আদর্শ স্মৃতি পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি জহির উদ্দীন জালাল শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 

তারা এক শোক বার্তায় বলেন,একরামুল হক  অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার ইন্তেকালে সমাজ একজন উত্তম গুনী ব্যক্তিকে হারালো। আল্লাহ যেন মাওলানা একরামুল হককে জান্নাতের মেহমান হিসেবে ক্ববুল করেন।

Thursday, 12 August 2021

চার সন্তানের জন্য বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত জিলু মিয়া

চার সন্তানের জন্য বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত জিলু মিয়া



বিশ্বনাথে বিরল রোগে ‘নিউরোফাইব্রোমাটোসিসে’ আক্রান্ত দিনমজুর জিলু মিয়া (৪৫)। হতদরিদ্র এই দিনমজুরের স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার।

জিলু মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাখিছিরি গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। নিজের সঙ্গে তার দুই সন্তানের শরীরেও এই বিরল রোগে বাসা বেঁধেছে। 

সামান্য ভিটে অবশিষ্ট থাকা জিলু অন্যের কাজ করে ক্ষুদ্র উপার্জন করেন। এই অর্থ ও সরকার থেকে পাওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালান তিনি। 


ডাক্তার জানিয়েছেন, শুধু তার চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের আহার জোগাতে যেখানে তাকে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে চিকিৎসা জন্য এত টাকা সংগ্রহ তার জন্য দুঃসাধ্য। 

অসহায় জিলু মিয়া নিজেকে নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার থেকে বেশি চিন্তিত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সংসারের হাল ধরে রাখতে তার সুস্থ হওয়া খুবই প্রয়োজন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জিলু মিয়া। চিকিৎসার অর্থ বহনে অক্ষম উল্লেখ করে হৃদয়বান সকল মানুষকে তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে 'এক রেটে' ইন্টারনেট সেবা

১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে 'এক রেটে' ইন্টারনেট সেবা



সারাদেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এখন থেকে কম দামে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। নতুন এই দাম কার্যকর হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইন্টারনেটের নতুন এই ট্যারিফ ঘোষণা করেন। জুমের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হলো- তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আজকের এ ঘোষণার ফলে সারা দেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট ঘোষণা দেওয়ার পর- তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন এটা আর থাকবে না। 

এসময় জানানো হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা পূর্বের উল্লেখিত তিনটি স্ল্যাবে (৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা) ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা এনটিটিএন চালু হওয়ার ১২ বছর পর নতুন এই সেবামূল্য নির্ধারণ করা হলো।


এর আগেও এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল। কিন্তু তা কখনই সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম নির্ধারণ করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত।

এ সময় কল ড্রপ নিয়েও কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে শত শত অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে সরাসরি অভিযোগ করেন অনেকে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ প্রমুখ।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হয়। এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আইআইজি এবং আইএসপিএদের জন্য বেসরকারি এনটিটিএন’র ব্যাকহল (ক্যাপাসিটিভিত্তিক) ট্যারিফ।

সংবাদ সম্মেলনে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ বলেন, সারা দেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। এতদিন ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। কিন্তু ট্যারিফ ঠিক করে দেওয়ার ফলে সারা দেশে এখন থেকে এক রেটে কিনবে।
বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা হলো বরের

বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা হলো বরের


বিয়ের প্যান্ডেলে বর সেজে নয়, নিথর দেহে শেষ নামাজ হলো বর আল আমিনের (২৭)।

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের আগের রাতে মাস্টার্স পড়ুয়া বর আল আমিনের মৃত্যু হয়।বৃহস্পতিবার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল দক্ষিণপাড়ার বাড়ি থেকে তার বরযাত্রার কথা থাকলেও সকালে শয়নঘরে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। পরে বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা শেষে দুপুরে তার লাশ দাফন করা হয়।


স্থানীয়রা জানান, আল আমিন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলম আকন্দের ছেলে। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি সংসারের কাজ করতেন। আল আমিনের সঙ্গে একই উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ী গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলীর মেয়ে আরেফা আকতারের (১৮) বিয়ে ঠিক হয়। 

আত্মীয়স্বজন এসে বাড়ি ভরে যায়। বুধবার পরিবারের সদস্যরা দুজনের গায়েহলুদের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বরযাত্রার কথা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। দরজা খুলে বিছানায় আল আমিনের নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। 


তার মৃত্যুতে দুটি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। বরযাত্রার সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ের প্যান্ডেলের কাছে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে দেউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাই প্রধান জানান, আল আমিন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। স্বজনদের ধারণা, তিনি ঘুমের মধ্যে স্ট্রোকে মারা গেছেন। 

বাবা আলম আকন্দ জানান, ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে তাদের কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ নেই।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের কাছে এমন ঘটনা শুনলেও পরিবারের কেউ থানায় অবহিত করেননি।