Saturday, 14 August 2021

জকিগঞ্জে ফ্রি ঔষুধ, অ্যাম্বুলেন্স-অক্সিজেন সেবা সেন্টারের উদ্বোধন

জকিগঞ্জে ফ্রি ঔষুধ, অ্যাম্বুলেন্স-অক্সিজেন সেবা সেন্টারের উদ্বোধন


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গরীব-অসহায় রোগীদেরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্রি অক্সিজেন সেবা, ২৪ ঘন্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান ও সর্বসাধারণকে করোনার ভ্যাক্সিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ ও নিবন্ধনে সহায়তা করতে সিলেট হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (শেইড) এর উদ্যোগে জকিগঞ্জ উপজেলা সেবা সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।


শনিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সেবা সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেইড ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুনতাসির আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সমাজ সেবায় ধর্ম-বর্ণ, দল-মত ও পথের কোন ভেদাভেদ নেই। নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির সেবায় আত্মনিয়োগ করা ইসলামের শিক্ষা। মানবতা এখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কোন ভেদাভেদের সুযোগ নেই। মানুষকে বাঁচানোই আসল রাজনীতি। জকিগঞ্জের প্রবাসীরা তাদের মানবিক চিত্তের পরিচয় দিয়ে শেইড ট্রাস্টের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন। আমরাও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সবসময়ই অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে শেইড ট্রাস্ট অঙ্গীকারবদ্ধ।


সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মানুষের এই দুর্দিনে জকিগঞ্জবাসী ঐক্যবদ্ধ। মানুষের কল্যাণে মানবিক কাজ করাটাও ইবাদত। শেইড ট্রাস্টের মানবিক এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই ভূমিকা রাখা দরকার। আমার পক্ষ থেকে সবসময় মানবিক এই কর্মসূচীতে সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

শেইড ট্রাস্ট জকিগঞ্জ সেবা সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর খায়রুল ইসলাম মুনশীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শায়খ মাওলানা আবদুল মুছাব্বির।

বক্তব্য রাখেন, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন, শেইড ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, ট্রাস্টি সদস্য মাওলানা নেহাল আহমদ, মাওলানা মুখলিছুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দার, মাজলিসুল ইত্তিহাদ জকিগঞ্জ এর সহ সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাফিজ আবদুল হাসিব, কোষাধ্যক্ষ কাতার প্রবাসী মাওলানা আবদুল হাসিব চৌধুরী, অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব মাওলানা আলাউদ্দিন তাপাদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শিহাব আহমদ, সাংবাদিক কেএম মামুন, মাওলানা আবদুস সালাম ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।


শেইড ট্রাস্ট জকিগঞ্জ সেবা সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর খায়রুল ইসলাম মুনশী জানিয়েছেন, সেবা সেন্টারের প্রয়োজনীয় ব্যয় স্পন্সর করছে প্রবাসীদের সংগঠন মাজলিসুল ইত্তিহাদ জকিগঞ্জ এবং কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে উদ্দিন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন ইউএসএ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জকিগঞ্জ উপজেলার গরীব-অসহায় রোগীদেরকে এই সেবা সেন্টারের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্রি অক্সিজেন সেবা, ২৪ ঘন্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান ও সর্বসাধারণকে করোনার ভ্যাক্সিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করণ ও নিবন্ধনে সহায়তা করা হবে। তাছাড়াও স্বচ্ছল রোগীদেরকে ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাবে।

সূঁচ নয়, নাক দিয়ে করোনা টিকা, ট্রায়াল হবে বাংলাদেশে

সূঁচ নয়, নাক দিয়ে করোনা টিকা, ট্রায়াল হবে বাংলাদেশে



সূঁচ ফোটানো টিকা নয়, বরং নাক দিয়ে টেনে নিলেই সেটা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেবে। এমন একটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন সুইডেনের বিজ্ঞানীরা।


পাউডারের মতো নাক দিয়ে নেয়ার সেই টিকা সুইডেনে ইতোমধ্যে প্রাণীর দেহে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং সেখানে শতভাগ সফলতা পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন। এখন বিজ্ঞানীরা মানব ট্রায়াল করতে চান।

এই গবেষণাকে যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করছেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

''প্রচলিত টিকা সংরক্ষণে অনেক ব্যবস্থা নিতে হয়। সেটা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে হয়। কিন্তু এই গবেষণাটি যদি সফল বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটা শুধু করোনাভাইরাসের জন্য নয়, অন্যসব টিকা নেয়ার ব্যাপারটিও অনেক সহজ করে দেবে।'' বলছেন অধ্যাপক কবির।


বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন প্রায় ২৪ হাজার মানুষ। ফলে বাংলাদেশে কোন টিকা উৎপাদনের সুযোগ পেলে সেটা রোগ প্রতিরোধে বিশাল সুবিধা দেবে বলে এই চিকিৎসক বলছেন।

প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসকের উদ্যোগে মানব ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেজন্য এ মাসেই প্রস্তাবটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) জমা দেয়া হবে।

সুইডেনের ক্যারোলিস্কা ইউনিভার্সিটি গবেষণা করে এই টিকাটি আবিষ্কার করেছে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ নাক দিয়ে নেয়ার মতো টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।

সুইডেনের ইম্যিউন সিস্টেম রেগুলেশন হোল্ডিং এবি বা আইএসআর মানব ট্রায়ালের জন্য কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসাবে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে।


সিআরও হিসাবে কাজ করবেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এবং অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

প্রচলিত টিকার সঙ্গে এই টিকার কী পার্থক্য?

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলছেন, এটি একেবারে অভিনব একটি আবিষ্কার হবে। এটা টিকার ব্যাপারে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দেবে।

এই টিকার জন্য কোন সূঁচ ব্যবহার করতে হয় না অর্থাৎ তা ইনজেকশন আকারে দিতে হয় না। এটি নাক দিয়ে টেনে নেয়া যাবে। টিকা দেয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে হবে না। বাসায় থেকে নিজেরাই টিকা নিতে পারবেন। ফ্রিজে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখার দরকার হবে না। বাসার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যাবে।

নিউমোনিয়ার মতো অনেক ভাইরাস বায়ুবাহিত, নাক দিয়ে প্রবেশ করে। যেহেতু এটা নাকের মাধ্যমে দেয়া হবে, ফলে শরীরের সিস্টেমিক অ্যান্টিবডির পাশাপাশি স্থানীয় একটি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
সহজে পরিবহন, সরবরাহ করা যাবে, ব্যবহারও সহজ হবে।

যেভাবে হবে মানব পর্যায়ের গবেষণা

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আমরা রিসার্চ প্রটোকল তৈরি করেছি। এই মাসের শেষের দিকে সেটা বিএমআরসিতে এথিক্যাল পারমিশনের জন্য জমা দেবো। অনুমতি পাওয়া গেছে আশা করা যায়, সামনের মাসেই ট্রায়াল শুরু করা যাবে।

তবে এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।

টিকার মতো ওষুধ আবিষ্কারে প্রাণীদেহে পরীক্ষার পর তিন দফায় মানব দেহের ওপর পরীক্ষা করতে হয়। স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নিয়ে থাকেন।

প্রথম দফায় অল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হলে সেই দ্বিতীয় দফায় আরও বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানে সফলতা পাওয়া গেছে তৃতীয় পর্যায় কয়েক হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে ফেজ-ওয়ান ট্রায়ালে ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যারা সবাই স্বাস্থ্যকর্মী। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই পরীক্ষা হতে পারে।

সাধারণত যে দেশে ফেজ-ওয়ান ট্রায়াল হয়ে থাকে, সেই দেশেই পরবর্তী ফেজের ট্রায়ালগুলো হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে পরীক্ষা করে কী লাভ?


সুইডেনের এই আবিষ্কারের তথ্য জানতে পেরে ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি এই ট্রায়াল বাংলাদেশে নিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।

আইএসআর মালয়েশিয়া, মালদোভাসহ কয়েকটি দেশে পর্যালোচনার পর বাংলাদেশে ট্রায়ালে আগ্রহী হয়।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলছেন, ‘বাংলাদেশে ট্রায়াল হলে আমরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবো। আমরা সেটা উৎপাদনের অনুমতি পাবো। ফলে এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ হবে। সেক্ষেত্রে এই টিকাটি আমরা দেশেই উৎপাদন করতে পারবো। বলা যেতে পারে, গ্লোবাল মার্কেটে আমাদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হবে। 

৬ জুলাই এই টিকার উৎপাদনের ব্যাপারে বাংলাদেশি কোম্পানি ইউনিমেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে আইএসআর।

আইএসআরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এই টিকার উৎপাদন ও সরবরাহের এমওইউ করেছে আইএসআর।

অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি ইউনিমেড বছরে ১০ কোটি ইউনিট তৈরি করতে পারবে। পরবর্তী পাঁচ বছরে সেটি ৩০ কোটিতে নিয়ে যেতে পারবে। আইএসআর লভ্যাংশ এবং রয়্যালটি পাবে।

এর আগে চীনের টিকা সিনোভ্যাকের মানব ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরবর্তীতে নানা জটিলতায় তা আটকে যায়।


বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে দেশীয় বঙ্গভ্যাক্সসহ ভারত ও চীনের দুইটি টিকার ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি, ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে।

সেলিম উদ্দিন নিহতের এক মাসঃ মৃত্যু- আজও রহস্য

সেলিম উদ্দিন নিহতের এক মাসঃ মৃত্যু- আজও রহস্য


গোলাপগঞ্জের আছিরগঞ্জ বাজারের পরিচিত মুখ সেলিম উদ্দিন (৪৫) নিহতের একমাস পেরিয়ে গেলেও আজও আসেনি ময়না তদন্ত রিপোর্ট। ফলে তার মৃত্যু ঘটনা আজও রহস্য হয়ে আছে।


গত ১৪ জুলাই উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রাম থেকে সেলিম উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঐদিন সকালে সেলিম উদ্দিনের বাড়ী থেকে প্রায় ২ শত ফুট দূরে নতুন একটি ভবনের পিছনে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই দাবী করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এলাকাবাসীও জানিয়েছিলেন ঘটনা বিবেচনায় বিষয়টি খুবই রহস্যজনক।


নিহতের ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, খাগাইল গ্রামের আখলুছ হাজীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করতেন সেলিম উদ্দিন। বেশ কিছুদিন থেকে একটি মহল প্রবাসী আখলুছ হাজীর বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে তাকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩/৪দিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সেই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়লেও একটি মহল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই আতঙ্কে তিনি বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দেন, এমনকি রাস্তাঘাটেও বের হতেন না। আতঙ্কে নিজের সিগারেট পর্যন্ত ছোট ভাইকে দিয়ে বাজার থেকে আনাতেন।

নাজিম উদ্দিনের দাবি হয়তো এর জের ধরেই আমার ভাইকে হত্যা করা হতে পারে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।


এঘটনায় নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলাও (নং-০৭/১৪.০৭.২০২১) দায়ের করেছিলেন।

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত রিপোর্ট আসলেই এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

কিন্তু কবে আসবে তদন্ত রিপোর্ট সেই অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন সেলিম উদ্দিনের পরিবার।


সেলিম উদ্দিন খাগাইল গ্রামের মরহুম আলাউদ্দিন দর্জির বড় ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী, ১ছেলে ও ১মেয়ে রয়েছেন।
ঢাকাদক্ষিণে ৪ শতাধিক অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ঢাকাদক্ষিণে ৪ শতাধিক অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ



গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খ্যাতনামা ব্যাবসায়ী কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী ও ডাইনার গ্রুপের সিইও গোলাম রব্বানী খানের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 


উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৪শতাধিক অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।

শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্যাংকার গোলাম ইজদানীর সভাপতিত্বে ও   উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম দস্তগীর ছামিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ-এর অন্যতম সদস্য সরোওয়ার হোসেন।

বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রহিম, সাবেক চেয়ারম্যান মজির উদ্দিন চাকলাদার,  ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-এর অধ্যক্ষ রেজাউল আমীন। 


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক নৌ বাহিনী কর্মকর্তা খসরু খান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য এম এ ওয়াদুদ এমরুল, ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-এর গভর্ণিং বডি সদস্য মো.আলাউদ্দিন, রেজোয়ান হোসেন রাজু, ইউপি সদস্য হোসাইন আহমদ,  আব্দুল করিম কাসেমী, নিজাম আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোস্তাফিজুর রব, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম লিপু, নকুল রাম মালাকার, ইউডিসি উদ্যোক্তা গোলাম রসুল খান প্রমুখ।

বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি, বিপদের শঙ্কা

বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি, বিপদের শঙ্কা



কুশিয়ারা নিউজডেস্কঃ গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে কুশিয়ারা নদীর পানি। প্রতিনিয়ন পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।



কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১০.৯৭ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১১.০৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া আমলশিদ পয়েন্টে গতকালের চেয়ে পানি বেড়েছে ০.৮ সেন্টিমিটার। গতকাল এ পয়েন্টে ছিল ১৩.৩১ সেন্টিমিটার, আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৯ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা ছাড়াও সিলেটের পাচটি নদীতে এমন ফুঁসে উঠার চিত্র দেখা গেছে।


সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে কুশিয়ারা, সুরমা, লোভা, ধলাই এবং সারি নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তাও বাড়ছে।

পাউবো জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১২.৩৬ সেন্টিমিটার। আজ শনিবার সকাল ৯টায় পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা থেকে মাত্র ০.৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

সুরমা নদীর পানি বেড়েছে সিলেট পয়েন্টেও। গতকাল সন্ধ্যায় যেখানে পানি ছিল ৯.৭৮ সেন্টিমিটার, আজ সেখানে ৯.৯৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।


কানাইঘাট দিয়ে বয়ে যাওয়া লোভা নদীর পানি গতকালের চেয়ে বেড়েছে ০.৭৪ সেন্টিমিটার। লোভাছড়া পয়েন্টে এ নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ছিল ১৩.৪৯ সেন্টিমিটার। আজ সকালে পানি ১৪.২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে গতকাল ছিল ১১.৭০ সেন্টিমিটার। আজ ০.২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ১১.৯৬ সেন্টিমিটার।

এদিকে, ধলাই নদীর পানি ইসলামপুর পয়েন্টে গতকাল ১০.৩১ সেন্টিমিটার ছিল, আজ বেড়ে ১০.৯৮ সেন্টিমিটার হয়েছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সরকার জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
লকডাউন শিথিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত : ফখরুল

লকডাউন শিথিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত : ফখরুল



ডেল্টা করোনাভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। একইসাথে ১৯ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছু খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা সংক্রমণের ও মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস না পাওয়ার পরও এই সিদ্ধান্ত জনবহুল দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির আরো বেশি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই বলে এসেছে ‘দিন আনে দিন খায়’ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি ছিল। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। এ কারণেই অপরিকল্পিত লকডাউন ফলপ্রসূ হয়নি।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের কোনো বাস্তব সম্মত ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে পারেনি। উপরন্ত দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে অন্যান্য উৎস থেকে টিকা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বিনষ্ট করেছে।

টিকা নিয়ে বিএনপি কোনো রাজনীতি করছে না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, অপরাজনীতি করছে আওয়ামী লীগ সরকার। মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে এক দিকে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে, অন্য দিকে জনগণকে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে। সরকারের হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, দুই ডোজ টিকা পেয়েছে মাত্র ৫২ লাখ মানুষ। প্রথম ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ। অথচ জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।

তিনি আরো বলেন, টিকা নিয়ে আজ পর্যন্ত সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। টিকা নিয়ে এই প্রতারণা অপরাধের সামিল। জনগণের জীবন বিপন্ন করার সকল দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।
অবিলম্বে টিকা সংগ্রহে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদানের জন্য প্রয়োজনে মেগাপ্রজেক্ট স্থগিত করে হলেও সম্ভাব্য সকল উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে।


এ সময় আন্তর্জাতিক মান অক্ষুণ্ন রেখে দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব খুলনার রূপসায় মন্দির-দোকান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, সাম্প্রতিক সময়ে মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় খাসিয়াদের ওপর হামলা, পটুয়াখালীর রাখাইনপল্লী উচ্ছেদের হুমকির তীব্র নিন্দা জানান। এ সকল সাম্প্রদায়িক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের নির্লিপ্ততার নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান তিনি।

পাশাপাশি অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেছে কিছু বাংলাদেশি: ডিএমপি কমিশনার

তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেছে কিছু বাংলাদেশি: ডিএমপি কমিশনার



তালেবানদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কিছু বাংলাদেশি আফগানিস্তান গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।  


তিনি বলেন, তাদের সাথে যুদ্ধ করতে বাংলাদেশের কিছু মানুষ অলরেডি হিজরত করেছে। আমরা ধারণা করছি, কিছু মানুষ ইন্ডিয়ায় ধরা পড়েছে। আর কিছু মানুষ হেঁটে বা অন্য উপায়ে আফগানিস্তানের পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার।

এ সময় ১৫ আগস্টে যেকোনো ধরনের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুতির কথা জানান শফিকুল ইসলাম।


তিনি বলেন, জঙ্গিদের নজরদারির জন্য সাইবার তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন সারা পৃথিবী সাইবার ওয়ার্ল্ডের মধ্যে বন্দি হয়ে গেছে। জঙ্গিরাও সাইবার মিডিয়ামগুলো ব্যবহার করে তাদের রিক্রুটমেন্ট করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে প্রবণতাগুলো দেখছি তা হলো, আফগানিস্তানের যাওয়ার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে, তালেবানদের পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, শুধু আমরা না, সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন সংস্থা তাদের মনিটর করার চেষ্টা করছে। যখনই সন্দেহভাজন কিছু পাওয়া যায়, আমাদেরকে জানানো হয়। যত গোয়েন্দা সংস্থা আছে সবাই তৎপর আছে।

যারা তালেবানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে আফগানিস্তানে যাচ্ছে তারা দেশেও ছোট ছোট ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন ডিএমপি কমিশনার।


তিনি আরও বলেন, জঙ্গিরা থেমে নেই। বাংলাদেশে যাতে আর একটিও জঙ্গি হামলার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত পরশুদিন আমরা জঙ্গি সংগঠনের একজন লিডিং সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। তিনি বোমা বিশেষজ্ঞ, অনলাইনে তিনি বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন। নারায়ণগঞ্জের যে শক্তিশালী বোমা উদ্ধার হয়েছে সেটাও সরাসরি তার তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়।


তিনি বলেন, জঙ্গিদের প্রধান টার্গেট হলো আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এ জন্য ১৫ আগস্টকে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

সূত্রঃ যুগান্তর