Tuesday, 17 August 2021

শরীরে শক্তি পাচ্ছেন না? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

শরীরে শক্তি পাচ্ছেন না? এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার



খাবার আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। সঠিক ও সুষম খাবার গ্রহণের ফলে সুস্থ থাকা যায়। খাবারের তারতম্যের কারণে অনেক সময় শরীর নির্জীব হয়ে যায়।

দিনের মধ্যে কখনও কখনও শক্তি কম-বেশি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।  আর এটি মূলত হয়ে থাকে আপনার খাবারের প্রভাবের কারণেই।  এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে।  যেমন— ঘুম, কাজকর্মের মাত্রা, চাপের মাত্রা ইত্যাদি।

খাবার যেমন আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে, তেমনি কিছু খাবার রয়েছে; যেগুলো আপনার শক্তি কমিয়ে ফেলার কারণ হিসেবেও কাজ করে। জানুন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরের সঞ্জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়। 


১. প্রক্রিয়াজাত শস্য

আমরা সবাই জানি যে, শস্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড থাকে, যা আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শস্যের কিছু খাবার যেমন, সাদা পাউরুটি, সাদা পাস্তা এবং সাদা ভাত এগুলো আপনার শক্তির মাত্রাকে বৃদ্ধি করার চেয়ে কমাতে পারে বেশি।

এগুলো খাবার প্রক্রিয়াজাত করার সময়ে শস্যের বাইরের ব্রন নামের একটি স্তরকে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন এ খাবারগুলো শক্তি উৎপাদনের চেয়ে শক্তি হ্রসে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই এ খাবারগুলো এড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত ছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।


২. সকালের নাস্তায় চিনিযুক্ত খাবার

চিনিযুক্ত যে কোনো খাবারই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর এটি যদি হয় সকালের নাস্তায়, তবে সেটি আপনার শক্তির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে অনেকটাই। খুব কম পরিমাণে ফাইবার থাকে এমন খাবারের সঙ্গেও যদি আপনি চিনিযুক্ত করেন, তাও সেটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে বেশি। তাই শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে হলে সকালের নাস্তায় চিনি যুক্ত করা এড়াতে হবে।



৩. কফি

পরিমিত পরিমাণে কফি পান করলে সেটি আমাদের ওপরে ইতিবাচকভাবে শারীরিক ও মানসকি প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া এটি ডায়বেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে বেশি পরিমাণে কফি খেলে এতে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর ফলে এটি আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা কমিযে ফেলতে পারে।


৪. ফ্রাইস ও ফাস্টফুড

বর্তমান সময়ের অতিজনপ্রিয় খাবারের তালিকায় ফ্রাইস ও ফাস্টফুডগুলো প্রথমে দিকেই থাকে। আর মজার বিষয় হচ্ছে— এগুলো যারা খান তারা বিভিন্ন ক্ষতি জেনেই খেয়ে থাকেন। তবে এসব খাবারের অন্যতম একটি ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে, এগুলো আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে।


৫. এনার্জি ড্রিংকস

এ নামটি শুনেই মনে হতে পারে অনেকের যে, এটি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এসব ড্রিংকস সাময়িকভাবে আপনার শক্তি বাড়িয়ে তুললেও পরে শক্তি হ্রাস করে ফেলে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় মিলেছে যে, এনার্জি ড্রিংকস ঘুমের সময়কাল এবং গুণগতমান কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে শরীরে শক্তি উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো।


৬. কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার


অনেকে মনে করেন যে, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো এলেও স্বাস্থ্যকর। তবে এ ধরনের খাবার আপনার সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যলোরি শরীরকে প্রদান করতে পারে না। ফলে আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।


সৌজন্যেঃ যুগান্তর

জামিন পেয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

জামিন পেয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর



পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

তবে এই মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।

গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা হেলেনা জাহাঙ্গীর। গত মাসে ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টারকে ঘিরে বিতর্কিত হন। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ বাতিল করা হয় তার।

গত ২৯ জুলাই রাতে গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব। তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়েছে। 

গত ৩ আগস্ট পৃথক চার মামলায় আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মিরপুর থানায় প্রতারণা মামলা এবং পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনের মামলায় চার দিন করে মোট আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গত ৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। 
ফখরুল সাহেব, শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না: ওবায়দুল কাদের

ফখরুল সাহেব, শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না: ওবায়দুল কাদের



খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেছেন, শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘সিরিজ বোমা হামলা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল  কাদের এসব কথা বলেন।  ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন আমাদের নাকি রাজনীতির শিষ্টাচার ও সৌজন্যতাবোধ নেই।  কারণ আমি বলেছি- বেগম জিয়ার জন্মদিন ছয়টি।  তার কাছে জানতে চাই- একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি জন্মদিবস কেন? আগে ছিল পাঁচটা।  সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার সময় দেখলাম আরেকটা।  ফখরুল সাহেব, এখানে শিষ্টাচার ও সৌজন্যতার বিরুদ্ধে কী করলাম? সত্য তুলে ধরলাম।  এসব জন্মদিবস আপনাদেরই সৃষ্টি।  আওয়ামী লীগের সাজানো কিংবা বানানো কিছু নয়।  করোনা পরীক্ষার সময় জন্মদিবসটা কে লিখেছিল তার উত্তর জানতে চান কাদের। 


এ সময় খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিবস জনগণকে জানানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।  বলেন, এবারও (শোক দিবসে) জন্মদিবস পালন করেছেন।  প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার মানসিকতা এখনও এখান থেকে সরে যায়নি।  কেক কাটেন নাই, কিন্তু ফুলতো দিয়েছেন।  মিলাদ মাহফিল করেছেন।  মানে হলো ১৫ আগস্ট জন্মদিবস।  আপনারা এটাকেই করবেন। শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না।
আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে: নাসুম আহমদ

আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে: নাসুম আহমদ



ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত হারানোর পর ম্যাচ জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদের পারফরম্যান্সের আলোচনায় পারদ চড়িয়ে ছিল তার নিষিদ্ধ হওয়ার সংবাদ। দেশের গণমাধ্যমে খবর হয়েছিল, নিজ জেলা সুনামগঞ্জে আজীবন নিষিদ্ধ রয়েছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার।


সেখানে বলা হয়েছিল, ২০১৫ সাল নাসুমের দুর্দান্ত পারফর্মে মুগ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিজ জেলার হয়ে ম্যাচ না খেলে সিলেট বিভাগীয় দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন নাসুম। আর সেকারণে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তবে দীর্ঘ সাত বছর পর নাসুম বা তার ক্লাবের পক্ষে কেউ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের সম্পাদক রেজানুল হক রাজা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার পুরো বিষয়টি অস্বিকার করলেন টাইগার স্পিনার নাসুম।

‘আজীবন নিষিদ্ধ’ হওয়ার খবরে বিস্মিত নাসুম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়ালেখা কিংবা ক্রিকেট খেলা, সবকিছুই সিলেটে। আমার বাবার জন্মও সিলেটে। একসময় আমার দাদাবাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় ছিল। কিন্তু আমার দাদা ১৯৫৮ সালে সিলেটে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। ছোটবেলা সুনামগঞ্জে একবার গিয়েছিলাম এবং রাস্তাঘাটও ঠিক ভাবে চিনিনা ওখানকার। পরবর্তীতে ওখানকার একটা টুর্নামেন্টে একবার 'খ্যাপ' খেলতে গিয়েছিলাম।’

যেখানে সুনামগঞ্জের হয়ে কখনও খেলিনি সেখানে নিষিদ্ধ কিভাবে হই- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো লিখেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে হয়তো অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন আমি আমার জেলা দলে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে? ২০০৫ সালে ১১ বছর বয়সে আমি পেশাগতভাবে ক্রিকেট শুরু করি এবং ওই বছর জেলা ক্রিকেটে সুনামগঞ্জের কোন দলই ছিল না। তখন থেকে সবসময়ই সিলেটের হয়ে খেলেছি। সিলেট লীগে খেলেছি ২০০৬ সাল থেকে এবং সিলেট জেলা দলে খেলেছি ৩ বছর, আর বিভাগীয় দলে ২০১০ সাল থেকে।’


নাসুম আহমেদ দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৮.৬০ স্টাইক রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগার স্পিনে অন্যতম অস্ত্র ছিলেন বাঁ-হাতি অর্ধোডক্স স্পিনার নাসুম। তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভক্ত-সমর্থকদের কাছে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দোয়া চেয়ে লিখেন, ‘আল্লাহ্‌ এর অশেষ রহমতে আমি বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে সবার দু'য়া কামনা করি।
ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর অনুমতি

ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর অনুমতি



ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এছাড়াও বিশ্বের ২৭টি দেশের যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৬ আগস্ট) এ সংক্রান্ত জারি করা সার্কুলারে বেবিচক জানায়, এসব নির্দেশনা আজ থেকেই কার্যকর করা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।


সার্কুলারে আর্জেন্টিনা, বতসোয়ানা, কিউবা, সাইপ্রাস,সোয়াজিল্যান্ড, জর্জিয়া, ইরান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, স্পেনসহ মোট ১১টি দেশের জন্য পৃথক নির্দেশনা দিয়েছে বেবিচক।

বেবিচক জানায়, যারা এ ১১টি দেশ থেকে আসবেন তাদের অবশ্যই যাত্রার তারিখের ১৪ দিন আগে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিতে হবে। এছাড়াও দেশে ফিরে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে কারও মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ কিংবা উপসর্গ দেখা দেয়, তাকে নিজ খরচে হোটেল বুকিং করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এসব দেশ থেকে ভ্যাকসিন ছাড়া কোনো নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকরা স্ব স্ব দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। একই নির্দেশনা এসব দেশ থেকে আসা নাবিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে গত ৫ জুলাই জারি করা সার্কুলারে ভারতসহ ৮টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। দেশগুলো হলো- ভারত, বতসোয়ানা, নেপাল, মঙ্গলিয়া, নামিবিয়া, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া।
শোক দিবস উপলক্ষে জনতা ব্যাংক লিমিটেড, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কর্মসুচী পালন।

শোক দিবস উপলক্ষে জনতা ব্যাংক লিমিটেড, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কর্মসুচী পালন।



সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জনতা ব্যাংক লিমিটেড সিলেট বিভাগে পক্ষ থেকে সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে, সকাল দশটায় বিভাগীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোওয়া এবং দুপুর বারটায় জনতা ব্যাংক ষ্টাফ কোয়ার্টারের গবীর দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতিরণ দুপুর একটায় জনতা ব্যাংকের প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিচন্ন করা হয়েছে। 

এসব কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেছেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, উপমহাব্যবস্থাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সনদীপ কুমার রায়, বিভাগীয় কমিটির সিঃ সহসভাপতি ও সরকারী মহাব্যবস্থাপক শাহাদাৎ হোসেন সরকার, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শুভাশিস চক্রবর্তী, কাজীটিলা শাখার ম্যানেজার ছয়ফুল আলম চৌধুরী, শেখঘাট শাখার ম্যানেজার তানভীর আহমদ শাকিল, তাজপুর শাখার ময়ানেজার দীপংকর দেব, সিলেট কর্পোরেট শাখার সিঃ প্রিন্সিপাল অফিসার ইমন চন্দ্র দাস,বিয়ানীবাজার শাখার ম্যানেজার অশ্রুজিত পাল লিটু, স্টেশন রোড শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মতিন,কুমারগাও শাখার ম্যানেজার দীপীকা রহমান,সিনিয়র অফিসার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক রুহুল আলম, বিভাগীয কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান,জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ সিলেট অঞ্চলের সাধারন আলম হোসেন, জনতা ব্যাংক সিবিএ সিলেট অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক মীর ইয়াকুত আলী দুলাল,বিভাগীয় কার্য্যালয়ের কর্মকর্তা ও সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশীদ চৌধুরী প্রমুখ।
নুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফজলুর রহমান স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

নুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফজলুর রহমান স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল



দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের নুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট মোঃ ফজলুর রহমান স্মরণে রাইজিং ষ্টার সমাজ কল্যাণ সংস্থা রাজাপুর নুরপুর এর উদ্যোগে ১৬ আগষ্ট সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

রাইজিং ষ্টার সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মবশ্বির আহমদের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাঃ সমাপন সিনহা, লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুহিদ হোসেন, স্হানীয় ইউপি সদস্য রৌশন আহমদ, বিশিষ্ট মুরব্বী সিরাজ মিয়া,মলিক মিয়া। 


এসময় বক্তব্য রাখেন মরহুম ফজলুর রহমান এর পুত্র জাহিদ হোসেন, সংস্থার উপদেষ্টা শহীদ আলী, সাধারন সম্পাদক শাহ কামরান আহমদ। সাংগঠনিক সম্পাদক রোহেল আহমদ এর পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রিমন আহমদ। 

সভায় বক্তারা মরহুমের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন। তারা বলেন, ফজলুর রহমান ছিলেন অত্র এলাকার সর্বস্তরের মানুষের আপনজন, সব সময় তাদেরকে সেবা দিতে তৎপর থাকতেন। তার এ সেবার কারনে গোটা এলাকার জনগন তাকে আজীবন স্মরণ করবে। নেতৃবৃন্দ  তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন রাজাপুর পুর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ হোসাইন আহমদ। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে শিরনী বিতরন করা হয়।