Friday, 27 August 2021

এড. জামানকে জেলা বিএনপি’র আহবায়কের বিরূপ মন্তব্য, বিয়ানীবাজার বিএনপির প্রতিক্রিয়া-বিবৃতি

এড. জামানকে জেলা বিএনপি’র আহবায়কের বিরূপ মন্তব্য, বিয়ানীবাজার বিএনপির প্রতিক্রিয়া-বিবৃতি



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে অবমূল্যায়ন করে সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের বিরূপ মন্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

কামরুল হুদা জায়গীরদারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুক্রবার উপজেলা বিএনপির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নজমুল হোসেন পুতুলের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদের পরিচালনায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করে গণ মাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন।

 
উপজেলা বিএনপির বিবৃতি-

কয়েকদিন আগে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে। তাতে সিলেটের বিএনপির ত্যাগী নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দল ত্যাগ করেছেন । সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কারণ তিনি সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

দেশ মাতৃকার টানে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে তৃণমুলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন এডভোকেট জামান। দলের দুর্দিন থেকে শুরু করে আজ-অব্দি তিনি মাঠের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের প্রাণ হয়ে আছেন। তিনি ড্রয়িং রুমের কোন রাজনীতিবীদ নন, এসি রুমের কোন নিস্ক্রিয় নেতা নন। তিনি আন্দোলন সংগ্রামের সম্মুখ সারির যোদ্ধা। বিএনপির শুরু থেকে দলকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত ত্যাগ পরিশ্রম করেছেন। দলের দুর্দিনে সামনের কাতার থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখেছেন। তাঁর হাত ধরেই সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারও আগে ছাত্রদল এবং যুবদলকেও একইভাবে সিলেটে শক্তিশালী করতে কাজ করেন জামান। এডভোকেট জামান এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক সংগঠক, যিনি আন্দোলন-সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
 
এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের বিষয়ে সিলেটের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট এবং অনলাইন পত্রিকার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বিরূপ মন্তব্য করে তার অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি চরমভাবে ব্যথিত, মর্মাহত হয়েছে।

এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান বর্তমান সরকারের শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ৩৫টি মামলার আসামি হয়েছেন। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯০-এর গণ-আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা সর্বজনবিদিত। ওয়ান ইলিভেনের সময় আর পরে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের শত নির্যাতন উপেক্ষা করে জামান খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়ে গেছেন।

 
এডভোকেট জামান দলের ভিতরের বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা, বিভিন্ন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারনে রাগে ক্ষোভে দল ত্যাগ করেছেন। জামান ব্যক্তিগত কোন কারণে দল ত্যাগ করেননি। দল ত্যাগ করে অন্য কোন দলে যোগদান করেননি। এডভোকেট জামানের পদত্যাগের পর জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বিভিন্ন মিডিয়ায় এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানকে অবহেলা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করে বলেন (কয়েকজনের পদত্যাগের কারনে দলে কোন প্রভাব পড়বেনা) অবহেলা মারাত্মক একটি অপরাধ। কাউকে বা কোন কিছুকে অবহেলা, অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করলে নিজেকে আরো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করার জন্য হাজার জন তৈরী হবে। অবহেলা করা মানুষগুলো একসময় বিশাল আকার ধারণ করে ফিরে আসে।

প্রায় ১০ বছর পর এডভোকেট জামান সম্প্রতি সব মামলা থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুমের পর থেকে আন্দোলন করতে গিয়ে একের পর এক মামলার আসামি হয়েছেন। এডভোকেট সামসুজ্জামান রাজনীতি করতে গিয়ে সব সময় দলের এবং কর্মীদের স্বার্থ এমনকি সিলেট অঞ্চলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকেছেন। সব ধরনের ভয়-ভীতি ও লোভ-লালসাকে উপেক্ষা করে দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সততা ও সাহসিকতা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
 
দলের এ দুঃসময়ে তার নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে তার বিকল্প হতে পারে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের স্বার্থে এবং সিলেটের রাজনীতিকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে বাঁচাতে জননেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে আমরা বিএনপির রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি। এই ত্যাগী নেতার প্রতি বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এখনো আছে।আমরা মনে করি এডভোকেট জামান তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। দলে তার অবদান, ত্যাগ পরিশ্রম উল্লেখ্য করার মতো। কোন অবস্থাতেই অবহেলা করার মতো নয়। কাজেই বিএনপি কিংবা অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আরো সর্তক হবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আলী হাসান, মুজিবুল ইসলাম তাজুল, মোঃ আব্দুল করিম, মাসুক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সাইফুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মোঃ ছরওয়ার হোসেন, তিলপারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম শায়েখ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ মোঃ খছরুজ্জামান খছরু, মোঃ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, মোঃ আলাই উদ্দিন আলাই, সেলিম আহমদ, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ তামভির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খায়রুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক মোঃ জাবেদুল হক, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল জব্বার,, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাছিত, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, সদস্য মোঃ আব্দুর রব, ছাদ উদ্দিন সুনা মিয়া প্রমুখ।
ট্রলারের ধাক্কায় নৌকাডুবি, মৃত্যু বেড়ে ১৭

ট্রলারের ধাক্কায় নৌকাডুবি, মৃত্যু বেড়ে ১৭



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক।

শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইসকা বিলে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- রুবিনা বেগম (৪০), মোসা. ফরিদা বেগম (৪০) ও তার স্বামী জজ মিয়া, অঞ্জনা (৪২) ও তার স্বামী পরিমল বিশ্বাস। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী আলী আক্তার রিজভী বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইসকা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। 

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্থানীয় মানুষও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

এছাড়াও নৌকাডুবির ঘটনায় আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে আছেন।


জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। বালুবোঝাই ট্রলারটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কথার ফুলঝুরি নয়, কাজের মাধ্যমে জনগনের মাঝে বেচে থাকতে চাই: শফি চৌধুরী

কথার ফুলঝুরি নয়, কাজের মাধ্যমে জনগনের মাঝে বেচে থাকতে চাই: শফি চৌধুরী



সিলেট ৩ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী বলেছেন, কথার ফুলঝুরি নয়, কাজের মাধ্যমে জনগনের মাঝে বেচে থাকতে চাই। দীর্ঘ ৪২ বৎসরের রাজনৈতিক  ও সামাজিক কার্যক্রমে জনগনই ছিলেন আমার মুল পুজি। এদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমাকে প্রেরনা জুগিয়েছে। 


আসন্ন নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতার মাপকাটিতে বিবেচনা করে আপনাদের একজন খাদেম হিসেবে যদি নির্বাচিত করেন তবে অতীতের মত সিলেট ৩ আসনের প্রতিটি জনপদের বাসিন্দাদের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে এ আসনে একটি আধুনিক ও মডেল আসনে পরিনত করব ইনশাআল্লাহ। তাই বৃহত্তর স্বার্থে ৪ তারিখের নির্বাচনে 'বাস গাড়ী' মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। 

তিনি ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার  রাতে দক্ষিন সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিশিষ্ট মুরব্বী মোঃ আব্দুল মুতলিব এর সভাপতিত্বে সভায় এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ-সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ জার্মানিতে আটক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ জার্মানিতে আটক



বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী নতুন একটি জাহাজ আটক করেছে জার্মানি। ২৩ আগস্ট জার্মানির ব্রেমেন বন্দরে জাহাজটি আটক করা হয়েছে। আটক জাহাজটির নাম এমটি বাংলার অগ্রদূত।

দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজটিতে ২৭টি ত্রুটি শনাক্ত করেছে জার্মানির পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল বা পিএসসি।


ইউরোপিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, জাহাজটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)। এটি তেল পরিবহনকারী জাহাজ।

এ ঘটনায় গেল বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশের নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ নৌ বাণিজ্য কার্যালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, অসংখ্য ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ আটকের ঘটনা উদ্বেগের বিষয়। জাহাজের নাম উল্লেখ না করে সেখানে আরও বলা হয়, বেশিরভাগ ত্রুটিই জাহাজ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সম্পর্কিত। এটি দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার প্রতিফলন। বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে যাতে ওই সব অঞ্চলে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত না হয়, সে জন্য কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে।

জানা গেছে, এই জাহাজটি সময় ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির কাছে।  জাহাজটিতে কর্মরত রয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকেরা।

আদেশ জারির বিষয়ে নৌ বাণিজ্য কার্যালয়ের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজগুলো যাতে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন প্রতিপালন করে, বহির্বিশ্বে যেন বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্যই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 


জাহাজটির নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি নেই দাবি করে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর সুমন মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে কাগজপত্র হালনাগাদ করা হয়নি।  তাই সমস্যা হয়েছে।  এখন হালনাগাদ করা হয়েছে।  জাহাজটি বন্দর ত্যাগের অনুমতি পাবে শিগগিরই।
সিলেটবাসীর স্বপ্নের মহাসড়কে ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ

সিলেটবাসীর স্বপ্নের মহাসড়কে ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ



ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটির ৬ লেনে উন্নীতকরনের কাজ অবশেষে চুড়ান্ত ধাপে পৌছাচ্ছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তাদের বোর্ডে এ মহাসড়কের কাজের জন্য ১৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট -১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোমেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেন্ট্রটর বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।


তবে এই কাজ শুরুর ক্ষেত্রে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশে জমি অধিগ্রহনের সমস্যা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, সিলেট আর হবিগঞ্জ ছাড়া বাকি জায়গার জমি অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই দুটি স্থানে জমি অধিগ্রহনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা ঠালবাহানা করছেন।

স্বপ্নের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিলেটের স্থানীয় নেতৃত্বের সহায়তা কামনা করেন ড. এ কে মোমেন। তিনি বলেন"১৯৯২ সালেই এই প্রকল্পের জন্য এডিপি টাকা দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকার ও অর্থমন্ত্রী (এম সাইফুর রহমান) এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি।

ড. মোমেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে আমেরিকায় পেয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন সিলেটে এত গাড়ি নেই যে রাস্তা বড় করতে হবে। এরপর ড. এ কে মোমেন তাঁকে বোস্টন শহরের একটি কম ব্যস্ততম এলাকায় নিয়ে গেয়ে বিশাল সড়ক দেখান।

ভার্চুয়াল বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন " প্রথমে এই কাজটি চীনের করা কথা ছিলো। এ ব্যাপারে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে চীনা প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এসে আলোচনাও করেন। যদিও পরে এই প্রজেক্ট থেকে চীন সরে যায়। এরপরেও এই কাজটি করার জন্য ২০১৫ সাল থেকেই আমি লেগে ছিলাম। এবার কাজটি সফলতার মুখ দেখছে" -বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এডিপির অর্থায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই টাকার বাইরেও জমি অধিগ্রহনের জন্য সরকারের নিজস্ব ফান্ড থেকে কিছু টাকা খরচ হবে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপির এপিএস শফিউল আলম জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, সহসভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হিমাংশু লাল রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু জাহিদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড আফসর আহমদ, সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এড. শামীম আহমদ, মিসেস হেলেন আহমদ, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তাসহ নেতৃবৃন্দ।
স্বপ্ন বাস্তবের পথেঃ পরীক্ষামূলক চললো মেট্রোরেল (ভিডিও)

স্বপ্ন বাস্তবের পথেঃ পরীক্ষামূলক চললো মেট্রোরেল (ভিডিও)



স্বপ্নের মেট্রোরেল রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে শুরু করে মিরপুর পর্যন্ত ঘুরে এসেছে।  শুক্রবার সকালে মেট্রোরেল ৬টি বগি নিয়ে মিরপুর পর্যন্ত চারটি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল এ রুটে চলাচল শুরু করল বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

এদিন ঢাকায় স্বপ্নের মেট্রো রেল চলাচল করতে দেখে নগরবাসী আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।  অনেককে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে।  

অনেকেই বলেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো রেল চলাচলের এ দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলেন।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ডিপো থেকে শুরু করে যেসব স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে তাদের মধ্যে ট্রেনটি আগামী রোববার আবার পরিচালনা করা হবে।  



মডার্নার টিকায় দূষণ, জাপানে ১৬ লাখ ডোজ বাতিল

মডার্নার টিকায় দূষণ, জাপানে ১৬ লাখ ডোজ বাতিল



মডার্নার উদ্ভাবিত করোনার টিকার ১৬ লাখের বেশি ডোজের ব্যবহার স্থগিত করেছে জাপান। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় সরবরাহকারীরা কিছু ভায়ালে দূষণ শনাক্ত করায় এসব টিকা ব্যবহার করা হবে না। যদিও জাপান সরকার ও মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিকা ব্যবহারের পর নিরাপত্তা ঝুঁকি কিংবা কার্যকারিতা কম হওয়ার প্রমাণ এখনো মেলেনি। আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে এসব টিকার ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে।


জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ১৬ আগস্ট বেশ কিছু ভায়ালে দূষণের বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করে মডার্নার টিকার স্থানীয় সরবরাহকারী তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল। গত বুধবার জাপান সরকারকে এ বিষয়ে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। 


প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তাকেদা কিছুটা সময় নেয়। তবে বিষয়টি জেনে এক দিনের মধ্যেই জাপান সরকার মডার্নার ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজ করোনার টিকার ব্যবহার স্থগিত করেছে।


এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না জানিয়েছে, এসব টিকা স্পেনের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রোভির কারখানায় বানানো হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে এসব টিকা দূষিত হয়ে থাকতে পারে। মডার্নার মুখপাত্র জানান, দূষিত সন্দেহ করা টিকার ব্যাচ এবং ওই ব্যাচের আগে-পরে পাঠানো টিকার সমস্ত লট ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে মডার্নার পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে।

দূষণের বিষয়টি সামনে আসায় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা এএনএ ও জাপান এয়ারলাইনসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত বন্ধ রেখেছে। জাপান এখন করোনার ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে লড়ছে।


এ ঘটনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা গতকাল জানান, এর ফলে জাপানের গণটিকাদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জাপানের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার আওতায় আসবেন। এমনকি দেশটির হাতে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা থাকবে।

উল্লেখ্য, জাপানের ৫৪ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দেশটির ৪৩ শতাংশ মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।