Monday, 30 August 2021

গোলাপগঞ্জে ১৬টি গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী পুলিশের খাঁচায়

গোলাপগঞ্জে ১৬টি গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী পুলিশের খাঁচায়



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে ১৬টি গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো: মুজিবুর রহমান(৪৫)কে ওসমানীনগর থানার বুরুঙ্গা বাজার এলাকা  থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। আটক মুজিবুর রহমান উপজেলার বাঘা ইউপির গোলাপনগর গ্রামের মৃত আব্দুছ ছবুর ঝরাই মিয়ার ছেলে।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গত রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওসমানীনগর থানাধীন বুরুঙ্গা বাজার এলাকা কে মো: মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৬টি গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। সে দীর্ঘ দিন ধরে থানা এলাকার বাইরে থাকায় এবং ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করে পুলিশে চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অবশেষে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের মাধ্যমে ওসমানী নগর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্ররণ করা হয়েছে। 


এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মোঃ লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লন্ডনে গ্রেটার সিলেট উপজেলা ফুটবল কাপ সম্পন্ন

লন্ডনে গ্রেটার সিলেট উপজেলা ফুটবল কাপ সম্পন্ন


লন্ডনে সোনালী অতীত ইউকে’র আয়োজনে গ্রেটার সিলেট উপজেলা কাপ ২০২১ সম্পন্ন হয়েছে। লন্ডনের ম্যাবলি গ্রীন এস্ট্রো ভেন্যুতে গতকাল ২৯ আগস্ট দিনব্যাপী এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনাড়ম্বর এ আয়োজনে সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৬টি উপজেলা ফুটবল টিম অংশগ্রহণ করে। দিনশেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় সিলেট সদর উপজেলা বনাম ছাতক উপজেলা।


ফাইনাল পর্বে শক্তিশালী এ দুই দলের খেলা ড্র হলে ট্রাইবেকারের মাধ্যমে সিলেট সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।


পরে বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন টাওয়ার হ্যামলেটস'র স্পিকার আহবাব হোসেন।

এদিকে এ আসরকে ঘিরে ম্যাবলি গ্রীন এস্ট্রো ভেন্যুটি এক মহা মিলনমেলায় রূপ লাভ করে। আগত দর্শকগণ খেলা উপভোগ পাশাপাশি একে অন্যের সাথে দেখা সাক্ষাৎ-সহ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।


আসরের গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দলের স্পন্সরকারক আতিকুর রহমান জানান, ভেন্যুটি মহামিলন মেলায় পরিণত হয়েছিলো। আমরা সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি। তিনি আয়োজক ও দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নিজের দল গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ভবিষ্যতে আরোও ভালো রেজাল্ট করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ

অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ



টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ‘কোমায়’ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম না ফেরার দেশে চলে গেলেন।সোমবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। এরপর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি ‘কোমায়’ চলে যান।


রোববার দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হলেও স্বজনরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এরপর সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হিরো আলমের মামলার হুমকি, ভাইরাল শ্যামল বিব্রত

হিরো আলমের মামলার হুমকি, ভাইরাল শ্যামল বিব্রত



হিরো আলমকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লীর শ্যামল চন্দ্র বর্মণ (৩০) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবসহ ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল যুবক এখন বিব্রত। হিরো আলম মামলা করার হুমকি দেওয়ার পর থেকে শ্যামল আর কারও সাথে তেমন কথা বলছেন না। বিষয়টি নিয়ে শ্যামলের সঙ্গে কথা হয়। শ্যামলের দাবি, ভাইরাল হওয়ার পর তাকে অনেক ইউটিউবার নানাভাবে চাপে ফেলে ভুলভাল ভুঝিয়ে ভিডিও বানিয়েছে। তাকে দিয়ে গান গাইয়েছেন।


শ্যামল বলেন, আমি কিছু বুঝি নাই। আমাকে নানা কিছু বোঝানো হয়েছে, যা ইচ্ছা তাই শেখানো কথা বলানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ফেসবুক বুঝি না। এমনকি হিরো আলমকে চিনি না। হিরো আলম মামলার হুমকি দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও এখন বিব্রত।


হিরো আলমকে নিয়ে যে ব্যক্তি ভিডিও বানিয়েছেন, তার সঙ্গে শ্যামল যোগাযোগ করেছেন। তারা ওই ভিডিওটি নাকি ডিলিট করবে না। তাছাড়া শ্যামলকে তারা হুমকি দিয়েছেন। শ্যামল যদি তাদের কথামত কাজ না করেন, তাহলে তারা শ্যামলের খারাপ কিছু করবেন। এনটাই অভিযোগ করলেন শ্যামল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল 'সি ইউ নট ফর মাইন্ড' খ্যাত শ্যামল একটি ফেসবুক লাইভে এসে বেশ কিছু কথা বলেন। সেই লাইভে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের কাছে একটি বিষয়ে মাফ চাইতে এসব কথা বলেন শ্যামল। শ্যামল দাবি করেন, তাকে ব্যবহার করে ইউটিউবাররা ফায়দা নিচ্ছে। তারাই তাকে গান গাওয়ানোর মতো কাজ করিয়েছে। এমনকি সোশ্যাল 'হাইপ' তোলার জন্য হিরো আলমের দিন শেষ, শ্যামলের বাংলাদেশ এ রকম কথাবার্তা বলানো হয়েছে বলে জানান শ্যামল।


তিনি বলেন, হিরো আলম ভাইয়ের সাথে আমার কোনো শত্রুতা নাই। হিরো আলম ভাই আমার এলাকার লোক। আমি তার ছোট ভাই। আমি তাকে বড়ভাই বলে ডাকি। আমি হিরো আলম ভাইকে বলবো অবশ্যই আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জেনে শুনে কাজটি করি নাই। তিনি আরও বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ। আপনি মামলা করলে আমার বাড়িঘর বিক্রি করেও আমি মামলা চালাতে পারবো না।

অপরদিকে ইউটিউবার ভাইদের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, আপনাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি আজকের পর থেকে কোন ইউটিউবার আমাকে নিয়ে কোন রং তামাশা করবেন না। কোন খারাপ কিছু বিষয়ে আমাকে ইউজ করবেন না। আমি কয়েকদিন ধরে খুব টেনশনে আছি।

শ্যামল চন্দ্রের বাবার নাম নেপাল চন্দ্র। তিনি মাছ ব্যবসায়ী। মা শেফালি রানি গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে শ্যামল সবার বড়। ছোট ভাই কমল চন্দ্র ও রাজা চন্দ্র বাবার সঙ্গে মাছের ব্যবসা করেন। শ্যামল চন্দ্র ২০০৫ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঠগড়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি অকৃতকার্য হন। এরপর অর্থাভাবে আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।


মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার পর গ্যাস লাইটারের ব্যবসা শুরু করেন শ্যামল। পাইকারিভাবে গ্যাস লাইটার কিনে দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন। আয়ের টাকায় সংসার চলত না বলে ব্যবসা ছেড়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে কাজ নেন তিনি। চার বছর ধরে সেই কাজই করছেন। মেসার্স এমএম ট্রেডার্সের অধীনে বামনডাঙা রেলস্টেশনে ২০১৮ সাল থেকে তিন হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন।

ছোটবেলা থেকেই শ্যামল সহজ-সরল ও সৎ। চলনবলন ও কথাবার্তায়ও রয়েছে তার সরলতার ছাপ। সম্প্রতি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পুটিমারী গ্রামে বিয়ে করেন শ্যামল। আলোচনায় আসার পর তার বিয়ের খবরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে।


শ্যামল রায়ের ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড ও ‘হ্যাভ অ্যা রিল্যাক্স’ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে ভাইরাল হয়। দেশের নেটিজেনদের কাছে শ্যামল নামটি অপরিচিত নয়। শ্যামল আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি ছোট-বড় ‘এ্যাভরিথিং’ যারা আছে, আমি সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলি। আমি আগে থেকেই এমন।
ধর্মীয় স্থাপনা, কবরস্থান ও শ্মশান তৈরিতে অনুমতি লাগবে

ধর্মীয় স্থাপনা, কবরস্থান ও শ্মশান তৈরিতে অনুমতি লাগবে



সারাদেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ধর্মীয় স্থাপনা, কবরস্থান ও শ্মশান তৈরি করতে চাইলে সরকারের অনুমতি লাগবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই নীতিমালায় এমন বিধানও থাকছে- ব্যক্তিগত উদ্যোগে ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার আয়ের উৎস দেখাতে হবে।


রোববার (২৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিমালা তৈরি করতে ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমন নীতিমালা করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য- এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বপন ভট্টাচার্য, মসিউর রহমান রাঙ্গা, শাহে আলম, ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী অংশ নেন।


সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত খসড়া প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে-

প্রতিযোগিতামূলকভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান বা শ্মশান স্থাপন না করা, এসব স্থাপনা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমতি গ্রহণ, খাসজমিতে এসব স্থাপনা তৈরি না করা এবং প্রস্তাবিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাস্টারপ্ল্যান তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং কবরস্থান বা শ্মশান স্থাপনে সরকারের অনুমোদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল।


সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণে একটি করে কবরস্থান স্থাপনের জন্য নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করে।

Sunday, 29 August 2021

বিড়াল উদ্ধার করে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন ৪ বাংলাদেশি

বিড়াল উদ্ধার করে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন ৪ বাংলাদেশি



গত সপ্তাহে দুবাইয়ে ভাইরাল বিড়াল উদ্ধারের ভিডিও দেখে চারজন প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদের কাছ থেকে প্রত্যেকে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১২ লাখ টাকা) পুরষ্কার পেয়েছেন।


দুবাইয়ের চারজন বাসিন্দা, যারা গর্ভবতী বিড়ালের দ্বিতীয়তলার বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তার জীবন বাঁচানোর পর ভাইরাল হয়েছিল। এরপর তারা দুবাই শাসকের কাছ থেকে নগদ এ পুরস্কার অর্জন করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম কর্তৃক অচেনা নায়ক’ হিসেবে প্রশংসিত এই চারজন ব্যক্তি তাদের দ্রুত চিন্তাভাবনার জন্য প্রত্যেককে ৫০ হাজার দিরহাম দিয়েছেন যারা বিড়ালের জীবন বাঁচিয়েছেন।


ভিডিও ফুটেজে বিড়ালটিকে বারান্দা থেকে ঝুলতে দেখা যায়। তিনজনের একটি দল দ্রুত একটি বেডশিট দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে নিচে অবস্থান নেয়। বিড়ালটি বিছানার চাদরে পড়ে, এতে তার জীবন বেঁচে যায়।

Saturday, 28 August 2021

রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০, টাইলস মিস্ত্রির ১,১০৫ টাকা

রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০, টাইলস মিস্ত্রির ১,১০৫ টাকা



সারাদেশে নির্মাণ ও কাঠশিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকের মজুরির পার্থক্য রাখা হয়েছে। এতে শহরে একজন রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ৯৪০ টাকা এবং গ্রামাঞ্চলে মজুরি ৮৭০ টাকা। শহরে টাইলস বা মোজাইকমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ১,১০৫ টাকা ও গ্রামে ১,০২০ টাকা। আর সাধারণ শ্রমিক বা জোগালির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ৬৮০ টাকা এবং গ্রামে ৬২০ টাকা।


আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে নির্মাণ ও কাঠশিল্প শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০১২ সালে নির্মাণ ও কাঠশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ছিল ৩৭৫ টাকা। এখন বেড়ে ৬৮০ টাকা হয়েছে। শহরাঞ্চলের জন্য এটি প্রযোজ্য হলেও গ্রামে মজুরি হবে ৬০ টাকা কম, অর্থাৎ ৬২০ টাকা।

নির্মাণ ও কাঠশিল্পের নতুন মজুরিকাঠামোতে ছয়টি গ্রেড রয়েছে। সব গ্রেডেই শহরাঞ্চলে বাড়িভাড়া মূল মজুরির ৪০ শতাংশ ও গ্রামাঞ্চলে ৩০ শতাংশ। তা ছাড়া শহরাঞ্চলে চিকিৎসা ভাতা ৮০০ টাকা ও যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে সেটি কিছুটা কম, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা যথাক্রমে ৬০০ ও ৩০০ টাকা। যদিও সব গ্রেডেই মূল মজুরি শহর ও গ্রামে একই।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে ৬ নম্বর গ্রেডের সাধারণ শ্রমিক বা জোগালির মাসে মজুরি ১৭ হাজার ৭২০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি ১১ হাজার ৮০০ টাকা। বাড়িভাড়া মূল মজুরির ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ৪ হাজার ৭২০ টাকা। তার বাইরে চিকিৎসা ভাতা ৮০০ ও যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে ওই শ্রমিকের মাসে মজুরি ১৬ হাজার ২৪০ টাকা হবে। এ ক্ষেত্রে মূল মজুরি ঠিক থাকলেও বাড়িভাড়া ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ হাজার ৫৪০ টাকা। আর চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা যথাক্রমে ৬০০ ও ৩০০ টাকা।

৫ নম্বর গ্রেডের সহকারি রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিকমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি বা পলিশমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে হবে ৭৭০ টাকা। আর মাসিক মজুরি ২০ হাজার ১০০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি সাড়ে ১৩ হাজার। গ্রামাঞ্চলে এই গ্রেডের শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ১৮ হাজার ৪৫০ টাকা। দৈনিক মজুরি ৭১০ টাকা।

শহরাঞ্চলে ৪ নম্বর গ্রেডের সহকারী স্যানিটারিমিস্ত্রি, প্লাম্বার ও থাই অ্যালুমিনিয়ামমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি হবে ৮৩০ টাকা। আর মাসিক মজুরি ২১ হাজার ৬৪০ টাকা। তার মধ্যে মূল মজুরি ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে এই শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৬০ টাকা। তাঁদের মাসিক মজুরি ১৯ হাজার ৮৮০ টাকা।


৩ নম্বর গ্রেডের রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিকমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, সহকারী মোজাইক বা টাইলসমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে হবে ৯৪০ টাকা। গ্রামে সেটি ৮৭০ টাকা। এই শ্রমিকদের মাসিক মজুরি শহরাঞ্চলে ২৪ হাজার ৫৮০ টাকা হলেও গ্রামে ২২ হাজার ৬১০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৬ হাজার ৭০০ টাকা।

মজুরিকাঠামো অনুযায়ী, ২ নম্বর গ্রেডের স্যানিটারিমিস্ত্রি, প্লাম্বার ও থাই অ্যালুমিনিয়ামমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ১ হাজার ২০ টাকা আর গ্রামে ৯৪০ টাকা হবে। শহরাঞ্চলে এই শ্রমিকদের মাসিক মজুরি ২৬ হাজার ৬৮০ টাকা হলেও গ্রামে ২৪ হাজার ৫৬০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৮ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যদিকে ১ নম্বর গ্রেডে থাকা মোজাইক ও টাইলসমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি শহরাঞ্চলে ১ হাজার ১০৫ টাকা ও গ্রামে ১ হাজার ২০ টাকা হবে। এ ছাড়া শহরে মাসিক মজুরি ২৮ হাজার ৭৮০ টাকা হলেও গ্রামে সেটি কিছুটা কমে হবে ২৬ হাজার ৫১০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই মূল মজুরি ১৯ হাজার ৭০০ টাকা।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একজন শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। তবে সেটি প্রয়োজনে আরও তিন মাস বাড়াতে পারবেন নিয়োগদাতা। শিক্ষানবিশকালে মজুরি হবে মাসিক ১০ হাজার টাকা। দৈনিক ভিত্তিতে সেটি দাঁড়াবে ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া নতুন মজুরিকাঠামো সমন্বয় করার পর একজন শ্রমিক এক বছর কাজ করলে পরবর্তী বছর তাঁর মূল মজুরি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। পরের বছরও একই হারে বাড়বে।