Saturday, 18 September 2021

‘আমি হচ্ছি কানাডা সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী’

‘আমি হচ্ছি কানাডা সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী’



নিজেকে কানাডায় ‘প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী’ হিসেবে দাবি করেছেন ফেডারেল জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, আমি তাঁকে বলেছি- আমি হচ্ছি কানাডা সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী। কারণ আমি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি কানাডিয়ানের প্রতিনিধিত্ব করি, তাদের সেবা করি।


কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সম্প্রচারিত ‘শওগাত আলী সাগর লাইভের’ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে তিনি লিবারেল পার্টির মনোনয়নে স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট এলাকায় সর্বাধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কানাডিয়ান ভোটার বসবাস করেন।


এ নির্বাচনী এলাকা থেকেই প্রভিন্সিয়াল সংসদে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম।

আলোচনায় বিল ব্লেয়ার বলেন, কানাডার তিনটি নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশি ভোটারের প্রাধান্যগুলো হচ্ছে- তার নিজের স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট, বিচেস ইস্ট ইয়র্ক এবং কুইবেকের পাপিন্যু। তিনি বলেন, স্কারবোরো সাউথওয়েস্টে আমি, বিচেস ইস্ট ইয়র্কে নাথানিয়াল আরস্কিন স্মিথ এবং পাপিন্যূতে জাস্টিন ট্রুডো এমপি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।


বিল ব্লেয়ার বলেন, আমরা তিনজন প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলি এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ হয়। আমি জাস্টিন ট্রুডোকে বলেছি- আমি হচ্ছি কানাডা সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী, কারণ আমি সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনিও সর্বাধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সেজন্য তিনি গর্বিত। কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কতটা গতিশীল- সেটা জাস্টিন ট্রুডো এবং আমি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি।
বিয়ানীবাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

বিয়ানীবাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ


সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।


জানা যায়, আজ (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের রামদা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষনিক সংঘর্ষের কারণ জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘন্টাব্যাপী সময় ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষকারী উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের বেশ কয়েজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘন্টাব্যাপী সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটক পড়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা ও চারখাই ফাড়ির পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌছায়।


এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব  ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন  জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সংঘর্ষ থামাতে দুই গ্রামবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন।

Friday, 17 September 2021

কোচিং সেন্টারের শিক্ষক থেকে যেভাবে ইভ্যালির সিইও রাসেল

কোচিং সেন্টারের শিক্ষক থেকে যেভাবে ইভ্যালির সিইও রাসেল



মো. রাসেল। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে তিনি ২০০৯ সালে রাজধানীর একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা শুরু করেন। দুই বছর এই শিক্ষকতা করেন। পরে ২০১১ সালে একটি ব্যাংকে চাকরি শুরু করেন। ৬ বছর সেখানে চাকরি করার পর ২০১৭ সালে নিজেই ব্যবসায় নামেন। এরমধ্যে ২০১৩ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। ২০১৮ সালে চালু করেন ইভ্যালি। এরপর থেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান রাসেল। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ গ্রাহককে আকৃষ্ট করেন খুব দ্রুত। জনসাধারণকে প্রলোভন দেখিয়ে নেমে পড়েন ইভ্যালির নামে অফার-বাণিজ্যে। হাতিয়ে নেন গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা। 


রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গত বুধবার গভীর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।  পরদিন (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে রাসেলের বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব। সেখান থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।  পরে তাদের র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে আজ (শুক্রবার) সংবাদ সম্মেলন শেষে রাসেল ও শামীমাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।


র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লোকসানে ছিল। গ্রাহকের টাকা দিয়েই অফিস খরচ ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন তিনি।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাভারে ইভ্যালির সিইও রাসেলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তবে তার কোম্পানি হাজার কোটি টাকার দেনায় ডুবে আছে। এসব দেনা কী করে পরিশোধ করবেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাসেল।

র‌্যাব কমান্ডার আরও জানিয়েছেন, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল সিইও রাসেলের।


সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছে— বিদেশি একটি ই-কমার্সের কৌশল ১:২ আলোকে প্রথম তিনি তার ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম তিনি একটি ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তী সময় কোনো আন্তর্জাতিক বা দেশীয় বড় প্রতিষ্ঠানে তার কোম্পানি দায়সহ বিক্রি করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা ছিল তার। একইভাবে তিন বছর পূর্ণ হলেই শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্তি  হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সর্বশেষ দায় মেটাতে না পারলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। র‌্যাবের কাছে রাসেল তার ব্যবসায়িক অপকৌশলের কথা স্বীকার করেন। 

র‌্যাব জানায়, রাসেলের ব্যবসায়িক অপকৌশলের মধ্যে অন্যতম হলো— নতুন গ্রাহকের ওপর দায় চাপিয়ে পুরনো গ্রাহকদের আংশিক অর্থ বা পণ্য ফেরত দেওয়া। যার তার এই দায় ট্রান্সফারের দুরভীসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে তিনি এভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হয় তার দায় ততই বাড়তে থাকে। রাসেল জেনেশুনেই এই অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। 

র‌্যাব জানায়, ইভ্যালি ছাড়াও রাসেলের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ই-ফুড, ই-খাত ও ই-বাজার অন্যতম।


ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামোর বিষয়ে রাসেল জানান, রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইভ্যালির হেড অফিস এবং ধানমণ্ডির আরেকটি স্থানে এর কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। একইভাবে আমিনবাজার ও সাভারে তাদের ওয়্যার হাউস চালু করা হয়। কোম্পানির শুরুর দিকে প্রায় দুই হাজার স্টাফ কর্মরত ছিলেন এবং অস্থায়ীভাবে ১৭০০ লোক কর্মরত ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে বর্তমানে ১৩০০ স্টাফ ও ৫০০ অস্থায়ী কর্মচারীতে দাঁড়িয়েছে।

সব মিলিয়ে কর্মচারীদের প্রাথমিক বেতন ছিল ৫ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা বর্তমানে দেড় কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত কর্মীদের অনেককেই বেতন দিতে সক্ষম হননি রাসেল।

রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন পদাধিকার বলে মাসে পাঁচ লাখ টাকা বেতন নিতেন। তিনি ও তার স্ত্রী ইভ্যালি থেকে কেনা একটি অডি গাড়ি, রেঞ্জ রোভার নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতেন। তাদের কোম্পানিতে ২৫-৩০টি গাড়ি রয়েছে।
ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডি তিন দিনের রিমান্ডে

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডি তিন দিনের রিমান্ডে



অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।


আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশার থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


আসামিপক্ষের শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মনিরুজ্জামান আসাদ ও আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ আবু।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল।


আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল র‌্যাবের কাছে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।

এর পর বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের নেয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে, সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।
বিয়ানীবাজারে ১০দিন ধরে যুবক নিখোঁজঃ সন্ধান কামনা

বিয়ানীবাজারে ১০দিন ধরে যুবক নিখোঁজঃ সন্ধান কামনা

গত ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বিয়ানীবাজারের রেজাউল ইসলাম (৩২) নামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবক। তার বাড়ি উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের শানেশ্বর গ্রামে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় রেজাউল ইসলাম। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবার। এ ঘটনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তার ভাই রেজাউল ইসলাম।
 
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার উজ্জ্বল ‌শ্যামলা বর্ণের এই যুবক হারিয়ে যাওয়ার সময় পরনে প্যান্ট ও শার্ট পড়া ছিলো। তার সন্ধান পেলে পরিবারের সাথে যোগাযোগের ( ০১৭৩৮-২০৮৫২৭) অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

Thursday, 16 September 2021

বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারঃ প্রধান শিক্ষক কারাগারে

বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারঃ প্রধান শিক্ষক কারাগারে


বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় পৌর এলাকার বৃহত্তর ফতেহপুর হযরত হায়দর শাহ (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ আব্দুর রহিমকে (৫৫) আটকের পর জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে তাকে বৃহস্পতিবার আটক করে আদালতে প্রেরণ করে বিয়ানীবাজার থানাপুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে ভিকটিম ছাত্রের পিতা বিজিবি সদস্য এ মামলা (নং- ৫) দায়ের করেন। আটক শিক্ষক বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।


মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাতে ফতেহপুর এলাকার হায়দর শাহ (রহঃ) মাদ্রাসার ছাত্ররা পৌরশহরে স্বশস্ত্র অবস্থান নেয়। এ সময় তারা পৌর কিচেন মার্কেট ও সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিসে হামলায় চালায়। এ ঘটনায় সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন বিয়ানীবাজার থানায় হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ।


এদিকে, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলাৎকারের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে হায়দর শাহ (রহঃ) মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) আব্দুর রহিমকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিজিবির দায়িত্বশীলরা রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে হস্তান্তর করে। হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে রাত ৯টার দিকে ভিকটিমের পিতা বিজিবি সদস্য থানায় মামলা দায়ের করেন।


স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেন, আটক মুহতামিমের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে বিষয়গুলো সমাধান করে নেন। তবে আটক হওয়া অভিযোগের ভিকটিম একজন বিজিবি সদস্যের ছেলে হওয়ার এই বিষয়টি গোপনে সুরাহার সকল প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে।
বিয়ানীবাজারে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

বিয়ানীবাজারে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক


বিয়ানীবাজারে ট্রাক ও অটোরিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের শেওলা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বিয়ানীবাজার পুলিশ। বর্তমানে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
 
তাৎক্ষণিকভাবে কি কারণে পরিবহণ শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে সেটি জানা যায়নি। একই সাথে আহতদের নাম-পরিচয়ও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকায় সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।


বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ঘটনাস্থলের পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পুলিশ উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা উত্তরবাজার স্ট্যান্ড অফিসে ও ট্রাক চালক শ্রমিকরা শেওলায় জড়ো হচ্ছেন।