Wednesday, 29 September 2021

টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ

টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ



টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার   রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে এ আদেশ দেন।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আ্যডভোকেট শিশির মনির এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ফোনালাপ ফাঁসের ২০টি ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন—অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। এতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


নোটিশে বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।

এ ছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

Tuesday, 28 September 2021

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস



শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন কক্সবাজার মহেশখালীর গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস (২৭)। অসহ্য যন্ত্রণায় প্রতিটি দিন পার হচ্ছে তার।

গত ২০ সেপ্টেম্বরের ইউপি ভোট চলাকালে নির্বাচনী সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের ছররা গুলির শিকার হন এই গৃহবধূ।  তবে তার দাবি, প্রতিপক্ষকে গুলি করার দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকেও প্রাণে মারার জন্য গুলি করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি দিলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম, মো. তারেক, জহির মিয়া ও আবুল বশরের ছেলে আজিজুল বশরসহ আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার একটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি করে। এসময় এক ব্যক্তিকে আমার সামনে গুলি করা হয়। আমি এই দৃশ্য দেখে ফেলায় আমাকেও গুলি করে তারা। এমনকি আমার বাড়িতে এসে দরজা, জানালায় গুলি করে। বাড়ির আসবাবপত্রও ভেঙে ফেলে।

তিনি বলেন, আমার শরীরে ৩৫টা গুলি। চিকিৎসক বলেছেন, গুলিগুলো বেরও করা যাবে না। হাতটাও অবশ হয়ে যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই নিষ্ঠুরতার বিচার দাবি করছি।


মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই বলেন, কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ



নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ‘এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র উজ্জ্বল কুমার দেব নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান। 

তবে ঘটনাটার পর ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। এছাড়াও ছাত্রের কোন বক্তব্য বা পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

ফেইসবুকের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ১০ম শ্রেণির মানবিক শাখার ৫জনের কাছে মোবাইল পান একজন শিক্ষক। এই ৫ জনের মধ্যে একজনের মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি ছিলো। তখন ওই স্যার এ ছাত্রকে জামাত-শিবির তকমা দিয়ে গালিগালাজ করা শুরু করেন বলে তারা পোস্টে অভিযোগ করে। ওই ছাত্রটি তখন স্যারকে জানায় সে তবলীগে ছিলো তাই বাড়িতে মোবাইল রেখে আসার সুযোগ পায়নি। প্রমাণস্বরূপ তার সঙ্গে থাকা কিছু কাপড়ও সে স্যারকে দেখায়। কিন্তু ওই স্যার এতে কর্ণপাত না করে তাকে চরম অপমান করেন ও গালিগালাজ করেন। 

সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে আরো অভিযোগ করে লেখেন, ওই স্যারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে কথা বলা। আর শিবির নাম নেয়া ছিলো একটি কৌশলমাত্র। তিনি ৫জনের কাছে মোবাইল পেয়েছেন, তাই ৫ জনকেই সমানভাবে শাস্তি দিবেন। তা না করে শুধু দাড়ি-টুপিওয়ালা ছাত্রকেই কেন টার্গেট করলেন? এর আগেও ওই স্যার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রদের। 

এদিকে বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা মাত্র সোমবার রাতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার প্রতিষ্ঠানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ক্ষুদেবার্তা প্রদান করেন। এতে তিনি লেখেন, ‘স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, আমি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ঢাকায় ছিলাম। আজ দুপুরে বাসায় এসেছি। কিছুক্ষণ আগে এমসি একাডেমির একটি বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমসি একাডেমি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। আগামীকাল আমি প্রতিষ্ঠানে এসে তোমাদের সাথে নিয়ে আমরা দেখবো। এখন পরীক্ষার্থীসহ কলেজ সেকশনের আমার যে সকল ছাত্র ফেইসবুকে এ কমেন্ট করছো তা প্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনা করে ডিলিট করে দাও। এটা তোমাদের প্রতি আমার বিশেষভাব অনুরোধ। তা না হলে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। বিষয়টি আমরা সবাই বসে গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। আশা করি তোমরা আমার কথাটি দায়িত্ব নিয়ে বিবেচনা করবে। সবাই ভালো থেকো।’

এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসবে। 

এ ব্যাপারে শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার দেবের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

এদিকে এই খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। 

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি সমাধানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে। আর যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ৪ জনকে আসামি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে এলাকাবাসী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 


তারা বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সুন্দিশাইল গ্রামের আব্দুছ ছত্তার ও তার স্ত্রী নুরুন্নেছার মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় স্বামী চিৎকার করলে স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় শুরু করেন। আব্দুছ ছত্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজা সুমন, আহাদ, এমন এগিয়ে এসে দেখতে পান কেউ একজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তারা দৌড়ে পালানো ব্যক্তির পিছু নেন। পরে পাশের আরেকটি বাড়ির উঠানে গিয়ে ধরে ফেললে তারা ঐ মহিলাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মহিলার চিৎকার শুনে ঐ ঘরের মালিক প্রত্যক্ষদর্শী মামলার স্বাক্ষী সাহেল আহমদ বের হয়ে দেখেন সুমন, আহাদ, এমন তারা ৩ জন মিলে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন মহিলাকে। পরে এলাকাবাসীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মহিলা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর থানায় উপস্থিত হয়ে আহত মহিলার ভাইপো মো.দেলোয়ার হোসেন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ এমরান আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। 

এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামি ব্যতিত বাকি ৪ জন নির্দোশ বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী। 

এবিষয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান আহমদের মামা অলিম উদ্দিন বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার ভাগনাসহ ৪ জনকে আসামি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না। মামলায় মূল আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা মহিলাকে কুপিয়ে আহত করেছে তাদের ১ জন ব্যাতিত বাকি ২ জনের নাম মামলায় দেওয়া হয়নি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা জড়িত নয় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'


স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.কামরান আহমদ বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পরে আমি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এজাহারে ১নং আসামি পরে বাকি যারা মামলায় রয়েছেন তার ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। আমি আসার পর তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। আমিও জানি তারা নির্দোশ। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।' 

এসময় উপস্থিত আসামি এমরানের মামাতো ভাই আলি আহমদ, এলাকার মুরব্বি আওলাদ হোসেন, লোকমান আহমদ, মুনশি নজমুল হক, আলাল আহমদ, জামাল আহমদ, রিয়াজ উদ্দিন, খালেদ আহমদ, মঈন উদ্দিন সাকন, জলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ উপস্থিত সবাই মূল আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্দোশদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, 'তদন্ত করে পাওয়া যাবে কারা ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, ১নং আসামি পরে বাকিরা যে ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তারা কোথায় ছিলেন, আপনি আমাকে বলেন?'
অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি মধুমতী নদীবিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছার প্রথম সন্তান। বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন শেখ হাসিনার।

সাফল্যগাথা এই কর্মময় জীবন কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাকীর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ২০ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল।

টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। তার দূরদর্শী ভূমিকায় করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে। করোনাভাইরাসসহ সব দুর্যোগ মোকাবিলা করেও দেশের অগ্রযাত্রাকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর তার সময়োপযোগী নেতৃত্ব দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বদরবারেও।

বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসাবে পরিচিত। এমন দক্ষ নেতৃত্বে তিনি আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। কারণ সব প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কন্যা শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই গণমানুষের নেতা।

রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও তিনি অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তার নেতৃত্বে আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব, সঠিক সিদ্ধান্ত ও অদম্য সাহসিকতায় বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও অব্যাহত কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শেখ হাসিনা চার দশক দলের এবং প্রায় ১৭-১৮ বছর সরকারের নেতৃত্বে আছেন। কাজেই তাকে পর্যবেক্ষণ করার যথেষ্ট সুযোগ আমরা পেয়েছি। এই পর্যবেক্ষণ থেকে আমার মন্তব্য হচ্ছে-১৭ মে ১৯৮১ সালে তিনি যখন ফিরে এসেছিলেন, তখন আমার মনে হয়েছিল, নির্বাসন থেকে বাংলাদেশ অস্তিত্বে ফিরেছে। কারণ পঁচাত্তরের পরে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পথে আছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের মধ্যে সম্মোহন আছে। এর দুটি উপদান। একটি হলো তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় সম্মোহন ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে শেখ হাসিনা সেটা ধারণ করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিজস্ব কর্মকাণ্ডভিত্তিক সম্মোহন। পাশাপাশি তার আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ করছি। সেটা হলো-তিনি সহসী। সাহস না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবিরোধীদের বিচার হতো না। তার সাহসী সিদ্ধান্ত না হলে পদ্মা সেতুও হতো না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উদ্ভাবনী, সৃজনশীলতা আছে। তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট অর্জন করেছি বলেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছি। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়া শেখ হাসিনার সামনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এক ফিনিক্স পাখি। ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এই বাংলার আপামর মানুষের কল্যাণে। পুরো জীবন কণ্টকাকীর্ণ এক দীর্ঘপথ হেঁটে, সহস বাধা মাড়িয়ে তিনি আজকের শেখ হাসিনা। এই পথের বাঁকে বাঁকে ছিল জীবনের ঝুঁকি। শত্রুর শ্যেনদৃষ্টি তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখে-এটি এই দেশের প্রতিটি মানুষই উপলব্ধি করে। দিনে দিনে শেখ হাসিনার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য।

টুঙ্গিপাড়া থেকে বিশ্বমঞ্চে : শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়িত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। গ্রামের সঙ্গে তাই তার নিবিড় সম্পর্ক। তার ডাকনাম হাসু। বঙ্গবন্ধু আদর করে এই নামেই ডাকতেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউ জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে মা-বাবাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবার নিয়ে পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনের ভাড়া বাসায় ওঠেন। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে টিকাটুলীর নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্রলীগের নেত্রী হিসাবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম দেন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা পুতুলের জন্ম হয়।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৮১ সালে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরেরই ১৭ মে ছয় বছর প্রবাস-জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম সরকার গঠন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিরোধী দলের নেতা হন। পরে ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন : শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছে। দেশবাসী আজ এর সুফল পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত, মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন থেকে রিজার্ভ ৪৮.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত, ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত ও প্রায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারীনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোরজি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

মহামারি করোনার সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করোনা মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি, শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোয় সময়োপযোগী ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ এবং তা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি রোল মডেল হিসাবে পরিগণিত হয়। যার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে ছিল বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

সবার জন্য বিনা মূল্যে টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চার কোটির বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে তিনি বিশ্বের সব মানুষের জন্য টিকাপ্রাপ্তির সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।

Monday, 27 September 2021

ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন

ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন



মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ইকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটি আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ, রোটারী ক্লাব অব সিলেট সিটির সেক্রেটারি রোটাঃ এস এ শফি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপাংকর দেব নাথ, সহকারী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস, শিহাব মোহাম্মদ তোফায়েল, ফজলুর রহমান, রুবিয়া আক্তার, আফরোজা আক্তার ফাতেমা,সুমন কুমার সিং। 

এসময় রোটাঃ এস এ শফি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির হাতে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার তুলে দেন এবং পরে সকলের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষের চারা রোপন করেন।
সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নৈতিকতা কমিটির সভা

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নৈতিকতা কমিটির সভা



সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের(টিটিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন যুক্তি(APA) বাস্তবায়ন উপলক্ষে নৈতিকতা কমিটির সভা ২৭ সেপ্টেেম্বর সোমবার দুপুরে আলমপুরস্হ টিটিসি হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ওয়ালিউল্লা মোল্লার সভাপতিত্বে ধারাবাহিক নৈতিকতা কমিটির সভায় টিটিসি কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিনকে শুদ্ধাচারে সেরা কর্মচারী হিসেবে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ট্রেড ভিত্তিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 
সভায় উপস্থিত ছিলেন চীফ ইন্সট্রাক্টর শাহ আলম পাটোয়ারী, শামীমা আক্তার, সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মনিরুজ্জামান মনির,মাজেদুর রহমান, মিতা রানী সিনহা,রেজাউল করিম, ইন্সট্রাক্টর মো দেলোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক, জাকির হোসেন, শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।