Sunday, 31 October 2021

সাকিবও ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকে

সাকিবও ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকে



বিশ্বকাপের শেষের দিকে বাংলাদেশ। তবে আসরটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না টাইগারদের। টানা হারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চোট সমস্যাও। প্রথমে পেসার সাইফউদ্দিন ছিটকে যাবার পর এবার বিশ্বকাপ শেষ হলো দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মূল পর্বে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এরপর শনিবার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানানো হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে।

পর্যবেক্ষণ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় সাকিবের বাম দিকের লোয়ার হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এটি গ্রেড ১ ইনজুরি।

সাকিব কবে ফিরবেন এ নিয়ে বলা হয়েছে, “টুর্নামেন্টের শেষ দুটি ম্যাচে থাকা হচ্ছে না এবং কবে দলে ফিরবেন সেটি পরবর্তী পর্যালোচনা শেষে জানানো হবে।” বিসিবি আরও জানিয়েছে, সাকিবের বদলি হিসেবে দলে নতুন কাউকে নেওয়া হবে না।

চলতি বিশ্বকাপে সময়টা সাকিবেরও ভালো কাটেনি। প্রথম বা কোয়ালিফাইং রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি, ওমানের সঙ্গে ৩টি ও পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে ৪ উইকেট নিলেও মূল পর্বে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটায় ২ উইকেট ছাড়া শূন্য হাতে ছিলেন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। ব্যাট হাতে যথাক্রমে ২০, ৪২, ৪৬, ১০, ৪ ও ৯ রান করেন তিনি।

এদিকে সাইফউদ্দিনের ছিটকে পড়ায় রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা রুবেল হোসেনকে দলে নেওয়া হয়। সাইফউদ্দিন আর সাকিবই নন শুধু, চোটে পড়েছে উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। অনুশীলনে পেটে ব্যথা পেয়ে খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। খেলতে না পারার শঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিও। এখন সাকিবের ছিটকে যাওয়ায় ১৪ জনের দলে পরিণত হয়েছে। বাকি আছে আরও দুটি ম্যাচ। আইসিসির নিয়মে এখন সাকিবের বদলে নতুন কাউকে যে দলে নেবে সেই সময়ও নেই বিসিবির হাতে।
এবার অ্যালকোহলের অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব

এবার অ্যালকোহলের অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব


সৌদি আরবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে গড়ে তোলা মেগিাসিটি ‘নিওম’ এ অ্যালকোহল পানের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই প্রকল্পের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর অংশ হিসেবে নিওম গড়ে তোলা হচ্ছে।  ‘ভিশন ২০৩০’ এর মাধ্যমে তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে চান প্রিন্স সালমান। 

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিওম তৈরি হচ্ছে। রোবট, এয়ারবোর্ন ট্যাক্সিসহ নানান প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটানো হবে ওই প্রকল্পে। 

২০২৫ সালে সেখানে প্রথম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন সেখানে মানুষও বসবাস শুরু করবে। 

নিজস্ব আইনের মাধ্যমে নিওম পরিচালিত হবে৷ এক-দুই বছরের মধ্যে সেই আইন তৈরি হয়ে যাবে৷ নিওম পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিন সালমান৷

উচ্চভিলাষী এই প্রকল্পের অধীনে ‘নিওম’ মেগাসিটিতে অ্যালকোহল পানের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি এখনও বাতিল করা হয়নি বলে এএফপিকে জানিয়েছেন নিওমের টেক অ্যান্ড ডিজিটাল হোল্ডিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোসেফ ব্র্যাডলি।

বুধবার রিয়াদে ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ' অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিদেশি মেধাবী মানুষ ও পর্যটক আকর্ষণে অ্যালকোহলের গুরুত্বের বিষয়টি ‘সবাই বোঝেন'৷ 

তবে নিওম পরিচালনার জন্য যে আইন করা হচ্ছে সেটি দেখেননি জানিয়ে  এএফপির সাংবাদিককে তিনি বলেন, আমি আপনাকে খুব স্পষ্টভাবে জানাতে পারি যে, সবাই বুঝতে পারেন, আমরা এমন একটি আইন তৈরি করতে যাচ্ছি যেটা পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে, প্রযুক্তি খাতকে আকৃষ্ট করবে এবং নির্মাণ শিল্পকে আকৃষ্ট করবে। 

নিওমে অ্যালকোহল নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সে ব্যাপারে তিনি প্রায়ই প্রশ্নের সম্মুখীন হন বলেও জানিয়েছেন ব্র্যাডলি। এটা পরিষ্কার যে নিওমকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে৷ আমরা চাই বিশ্বের সেরা মেধাবীরা নিওমে আসুক৷

উপসাগরীয় দেশগুলোতে বিদেশিরা সীমিত পরিসরে বৈধ উপায়ে অ্যালকোহল পান করতে পারলেও সৌদি আরবে এখনও সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷

এ মাসের শুরুতে সৌদি আরবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছিলেন, সীমিত পরিসরে (নির্দিষ্ট জায়গায় কিংবা শুধু বিদেশিদের জন্য) অ্যালকোহল পানের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনায় আছে। তবে এটাকে ‘স্পর্শকাতর ইস্যু' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন এর ফলে কর্তৃপক্ষ ‘সামাজিক সমালোচনা' শুরুর আশঙ্কাও করছে।
নিজ উদ্যোগে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন যুবক

নিজ উদ্যোগে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন যুবক


বাস্তব অনেক সময় সিনেমাকেও হার মানায়। সেই কথাটিকেই যেন ফের প্রমাণ করলেন এই যুবক। নিজের স্ত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে বিখ্যাত বলিউড সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনমের’ কাহিনীকেও হার মানিয়েছেন তিনি। 

‘হাম দিল দে চুকে সনমে’ ঐশ্বরিয়া শেষমেষ স্বামী অজয় দেবগনকে ছেড়ে প্রেমিক সালমান খানকে বিয়ে করতে রাজি না হলেও এই যুবকের স্ত্রী অবশ্য বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় স্বামীর সম্মতিতেই দিব্যি প্রেমিককে বিয়ে করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা পঙ্কজ শর্মার সঙ্গে চলতি বছরের মে মাসে কমল নামে এক তরুণীর বিয়ে হয়।

পঙ্কজ গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত। সাংবাদিকদের পঙ্কজ জানান, বিয়ের পর থেকেই কমল তাকে এড়িয়ে চলতেন। এমনকি শ্বশুরবাড়ির কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলতেন না কমল। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার জানতে চাইলে কমল স্বীকার করেন যে, পঙ্কজকে তার পছন্দ নয়। তিনি তার প্রেমিক পিন্টুকে বিয়ে করতে চান। 

পঙ্কজ যখন বিষয়টি তার শ্বশুরবাড়িতে জানান তখন কমলের বাবা-মাও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে কমল নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল ছিলেন।

বিষয়টি শেষপর্যন্ত অ্যান্টি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সেল এবং উত্তর প্রদেশের ওয়ান স্টপ সেন্টার আশা জ্যোতি কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে ওই তরুণী, তার স্বামী, তার প্রেমিক এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়।

আলোচনার পরও কমলকে নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল দেখে পঙ্কজ প্রেমিকের সঙ্গেই তার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।  এমনকি বিয়েকে আইনি বৈধতা দিতে নিজের উদ্যোগে একজন আইনজীবীও নিয়ে আসেন পঙ্কজ। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আত্মীয়স্বজন ও অতিথিদের উপস্থিতিতে পিন্টু আর কমলের বিয়ে হয়। 
‘কাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’

‘কাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু’



আগামীকাল থেকে ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে, তবে কাল শুধু রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে একটি বইয়ের প্রকাশনী উৎসব শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে ঢাকার আটটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে দেশের ২১ জেলায় টিকা দেয়া হবে। স্কুল থেকেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা হচ্ছে। অভিভাবকেরা শুধু কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন শিক্ষার্থীদের।

এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ওজন বেশি কিংবা উচ্চতা কম এমন শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়; বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাসির-তামিমা

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাসির-তামিমা


‘অবৈধ বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত’ হওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মিসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য আসামি হলেন- তামিমার মা সুমি আক্তার।

রোববার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, যথাযথভাবে তালাক না দেওয়ায় তামিমা সুলতানা এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। এ পরিস্থিতিতে নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ হিসেবে গৃহীত হবে না বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করে পিবিআই। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক তাদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আজকের দিন (৩১ অক্টোবর) ধার্য করেছিলেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ওই সময় বলেছিলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে; যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা চাকরির সুবাধে ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন। এ ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়; যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা, যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিব তামিমার কাছ থেকে তালাকের কোনো নোটিস পাননি। একইসঙ্গে তামিমা জাল তালাক নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে বলেও জানায় প্রতিবেদনটি।

তালাক না দিয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন রাকিব। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওইদিনই তামিমার ‘অবৈধ বিয়েকাণ্ড’ রাকিবের নজরে আসে।
পরীমণির রিমান্ড : হাইকোর্টে দুই বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনা

পরীমণির রিমান্ড : হাইকোর্টে দুই বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনা


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নায়িকা পরীমণির কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তারা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

পরিমণির আইনজীবী জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন।


এ বিষয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গেল ২৪ অক্টোবর রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট। নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

গেল ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমণির। গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘বউ বাজার’ যেখানে কুমারী মেয়েদের বাজারে তোলা হয় বিয়ের জন্য

‘বউ বাজার’ যেখানে কুমারী মেয়েদের বাজারে তোলা হয় বিয়ের জন্য

বাজারে কি কি কিনতে চান আপনি? চাল, ডাল, তেল, লবণ কিংবা জামা-কাপড়, জুতা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ঈদের সময় গরু ছাগলও। তবে কখনো কি শুনেছেন বাজারে বউ কিনতে পাওয়া যায়? দেখে শুনে দরদাম করে নিতে পারবেন জীবন সঙ্গিনীকে। কখনো কখনো আবার ডিসকাউন্ট অফারও পাওয়া যায়।

অবিশ্বাস হলেও সত্যি এরকমই একটি বাজার বসে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ায়। বছরে চারবার মেয়েদের সাজিয়ে-গুছিয়ে ওঠানো হয় এই মেলায়। দূর-দূরান্ত থেকে খদ্দেররা আসেন এই মেয়েদের বিয়ে করার জন্য। নগদ টাকা দিয়ে স্ত্রী হিসেবে মেয়েদের কিনে নেন তারা। দূর থেকে দেখে মনে হবে রঙের মেলা বসেছে শহরের প্রান্তে। কাছে গেলে ততটাই তাজ্জব হতে হয়। মেলার মতোই সাজানো গোছানো চারপাশ। জিনিসপত্র সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। মানুষজন রং বেরঙের পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সাজে এক ঝাঁক তরুণীর ভিড়। মডেলিংয়ের কায়দায় তারা হেঁটে বেড়াচ্ছে, নাচছে। আর পাশে তাদের অভিভাবকরা দাঁড়িয়ে জোরে জোরে নিলাম তুলছেন। যে মেয়ে যত সুন্দর তার দাম তত বেশি। একবিংশ শতকে এসে মেয়ে কেনা-বেচা এমনটা আবার হয় নাকি? জায়গাটা মধ্য বুলগেরিয়ার স্তারা জাগোরা। বসন্তের শুরুতে এখানে বসে বউ মেলার আসর। কুমারী মেয়ে বিক্রি হয় বলে অনেকে আবার কুমারী মেলাও বলে থাকেন।

মেলা নয়, এটা মূলত ‘ব্রাইড মার্কেট’ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় বউ কেনার হাট। শুনতে খারাপ লাগলেও এখানকার এক সম্প্রদায়ের কাছে এটাই ঐতিহ্য। এই সম্প্রদায়কে স্থানীয়রা কালাইদঝি বলে। তরুণী ও কুমারী মেয়ের বর খোঁজার জন্যই এমন হাটের আয়োজন। রীতিমতো নগদ টাকা দিয়ে কালাইদঝিরা তাদের মেয়েদের এই হাটে বিক্রি করে। এই হাটে ১৩ থেকে ২০ বছরের মেয়েদের চাহিদা বেশি। দাম অনেক। বয়স বাড়লে দামও কমে। প্রশ্ন জাগতেই পারে কারা এই কালাইদঝি? সভ্য ইউরোপের মাঝখানে এমন মধ্যযুগীয় কায়দায় মেয়েদের বেচা-কেনাইবা হয় কীভাবে?

কালাইদঝি হলো পূর্ব ইউরোপের এক প্রাচীন জনগোষ্ঠীর নাম।বুলগেরিয়ার খুব ছোট এক জনগোষ্ঠী রোমা, তারা রক্ষণশীল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। মূলত যাযাবর জাতি। এক জায়গায় থাকা তাদের অভ্যাস নেই। পূর্ব ইউরোপে এই সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ বাস করে। তামার জিনিসপত্র তৈরি করা তাদের পেশা। এটা দিয়েই তাদের পেট চলে। তবে এখন কালাইদঝিরা নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। খুবই দরিদ্র এই লোকগুলো। তাই পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়ার জন্য এমন মেলার আয়োজন করে থাকে কালাইদঝিরা।

এটা তাদের রোজগারের একটি পন্থা। অনেকেই রোমা সম্প্রদায়ের এই রেওয়াজকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আখ্যা দিলেও তাদের কাছে এটা ঐতিহ্য এবং তারা এটিকে টাকা রোজগারের একটা উপায় হিসেবে দেখে থাকে। কেমন হয় এই ব্রাইড মার্কেট? বছরে চারবার এমন মেলার আয়োজন হয়। তবে বসন্তকালে এই মেলা কিছুটা আলাদা। আয়োজনটা হয় বড় করে। মূলত ফাঁকা মাঠেই হয় এলাহি আয়োজন। নির্ধারিত দিনে সকাল হতেই মেয়েদের সাজিয়ে গুজিয়ে বাবা-মায়েরা হাজির হয়ে যায় মেলার মাঠে। মঞ্চও তৈরি থাকে। যারা একটু বেশি টাকা-পয়সা খরচ করে, তারা মেয়েদের মঞ্চের উপর তুলে দেয়। তারপর শুরু হয় আইপিএলের নিলামের মতো দরদাম করা।

মেলায় বউ কিনতে নানা জায়গা থেকে হাজির হয় পুরুষেরা। নিলামের মতো করে যে পুরুষ বেশি দাম দেয় তার হাতেই মেয়েকে তুলে দেয় তাদের অভিভাবকরা। এই মেলায় তরুণীদের সাজ-পোশাকও দেখার মতো। পোশাকের সঙ্গে তাদের গয়না ও তাদের চুলের সাজ নজর কাড়ে পুরুষের। পছন্দের পাত্রী কেনার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াও বেশ। গ্রিল করা মাংস আর বিয়ার থাকে তাদের পছন্দের তালিকায়। জীবনসঙ্গী পছন্দ হয়ে যাওয়ার পর নাচ-গান শুরু হয়। নাবালিকা বিয়ে এখানে বৈধ। এ কারণেই ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েরা বিক্রি হয় এই মেলায়। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন এনজিও এবং নারী অধিকার কর্মীরা এই বউ মেলা বন্ধ করাও আন্দোলন করছেন।

রোমা সম্প্রদায়ের মেয়েরা এই বিয়েতে কতটা খুশি হয় বা আদৌ খুশি হয় কিনা সেই প্রশ্ন তাদের পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কালাইদঝিরা সব কিছুকেই তাদের রোজগারের পাল্লায় মাপে। এই লোকগুলোর কাছে পেট ভর্তি থাকাটাই বড় কথা। এই বিয়ের মূল শর্ত হলো মেয়েদের সতীর্থ। কুমারীত্ব হারিয়ে ফেললে তাকে দাম দিয়ে কেউ কিনবে না। তাই এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হওয়ার পরে তাকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তাদের বাবা-মায়েরা। তাকে বাড়িতে একটু একটু করে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করে বাবা-মায়েরা। মেয়েকে শেখানো হয় কেমন আদব-কায়দা করলে তাকে একটি ছেলে পছন্দ হতে পারে। যে যত সুন্দরভাবে নিজেকে মেলে ধরবে, ততটাই দাম পাবে তার পরিবার।

এই কুমারী মেলা বা বউ মেলা কতটা সত্যি তা জানার জন্য অনেক বছর আগে দুই চিত্র পরিচালক, মিলেন লারসন ও এলিস টেম্পল বুলগেরিয়া গিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন, এখানকার মেয়েদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বাইরে থেকে যতটা চাকচিক্য ভেতরে ততটা খুশি নন তারা। আড়াই লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মেয়েদের দাম ওঠে। কম বয়সী সুন্দরী মেয়েদের দাম আরো বেশি।

অনেক মেয়ে জানিয়েছেন পাত্র পছন্দ না হলেও দাম বেশি দিলে তার হাতে হাত রাখতে হয়। অপছন্দের মানুষের সঙ্গে কাটাতে হয় সারাজীবন। তবে এতো কিছুর পরো কালাইদঝিরা তাদের এই সংস্কৃতি হারাতে চান না। তরুণ প্রজন্মেরা রাজি না থাকলেও তাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা এই প্রথা নষ্ট করতে রাজি না। তারা তরুণী মেয়েদের তারা মেলায় অংশ নিতে বাধ্য করে। আর তারাও টাকার জন্য এই মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে।