Sunday, 31 October 2021

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাসির-তামিমা

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাসির-তামিমা


‘অবৈধ বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত’ হওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মিসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য আসামি হলেন- তামিমার মা সুমি আক্তার।

রোববার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, যথাযথভাবে তালাক না দেওয়ায় তামিমা সুলতানা এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। এ পরিস্থিতিতে নাসির-তামিমার বিয়ে বৈধ হিসেবে গৃহীত হবে না বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করে পিবিআই। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক তাদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আজকের দিন (৩১ অক্টোবর) ধার্য করেছিলেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ওই সময় বলেছিলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে; যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা চাকরির সুবাধে ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন। এ ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়; যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা, যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিব তামিমার কাছ থেকে তালাকের কোনো নোটিস পাননি। একইসঙ্গে তামিমা জাল তালাক নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে বলেও জানায় প্রতিবেদনটি।

তালাক না দিয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন রাকিব। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওইদিনই তামিমার ‘অবৈধ বিয়েকাণ্ড’ রাকিবের নজরে আসে।
পরীমণির রিমান্ড : হাইকোর্টে দুই বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনা

পরীমণির রিমান্ড : হাইকোর্টে দুই বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনা


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নায়িকা পরীমণির কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তারা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

পরিমণির আইনজীবী জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন।


এ বিষয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গেল ২৪ অক্টোবর রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট। নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

গেল ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমণির। গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘বউ বাজার’ যেখানে কুমারী মেয়েদের বাজারে তোলা হয় বিয়ের জন্য

‘বউ বাজার’ যেখানে কুমারী মেয়েদের বাজারে তোলা হয় বিয়ের জন্য

বাজারে কি কি কিনতে চান আপনি? চাল, ডাল, তেল, লবণ কিংবা জামা-কাপড়, জুতা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ঈদের সময় গরু ছাগলও। তবে কখনো কি শুনেছেন বাজারে বউ কিনতে পাওয়া যায়? দেখে শুনে দরদাম করে নিতে পারবেন জীবন সঙ্গিনীকে। কখনো কখনো আবার ডিসকাউন্ট অফারও পাওয়া যায়।

অবিশ্বাস হলেও সত্যি এরকমই একটি বাজার বসে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ায়। বছরে চারবার মেয়েদের সাজিয়ে-গুছিয়ে ওঠানো হয় এই মেলায়। দূর-দূরান্ত থেকে খদ্দেররা আসেন এই মেয়েদের বিয়ে করার জন্য। নগদ টাকা দিয়ে স্ত্রী হিসেবে মেয়েদের কিনে নেন তারা। দূর থেকে দেখে মনে হবে রঙের মেলা বসেছে শহরের প্রান্তে। কাছে গেলে ততটাই তাজ্জব হতে হয়। মেলার মতোই সাজানো গোছানো চারপাশ। জিনিসপত্র সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। মানুষজন রং বেরঙের পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সাজে এক ঝাঁক তরুণীর ভিড়। মডেলিংয়ের কায়দায় তারা হেঁটে বেড়াচ্ছে, নাচছে। আর পাশে তাদের অভিভাবকরা দাঁড়িয়ে জোরে জোরে নিলাম তুলছেন। যে মেয়ে যত সুন্দর তার দাম তত বেশি। একবিংশ শতকে এসে মেয়ে কেনা-বেচা এমনটা আবার হয় নাকি? জায়গাটা মধ্য বুলগেরিয়ার স্তারা জাগোরা। বসন্তের শুরুতে এখানে বসে বউ মেলার আসর। কুমারী মেয়ে বিক্রি হয় বলে অনেকে আবার কুমারী মেলাও বলে থাকেন।

মেলা নয়, এটা মূলত ‘ব্রাইড মার্কেট’ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় বউ কেনার হাট। শুনতে খারাপ লাগলেও এখানকার এক সম্প্রদায়ের কাছে এটাই ঐতিহ্য। এই সম্প্রদায়কে স্থানীয়রা কালাইদঝি বলে। তরুণী ও কুমারী মেয়ের বর খোঁজার জন্যই এমন হাটের আয়োজন। রীতিমতো নগদ টাকা দিয়ে কালাইদঝিরা তাদের মেয়েদের এই হাটে বিক্রি করে। এই হাটে ১৩ থেকে ২০ বছরের মেয়েদের চাহিদা বেশি। দাম অনেক। বয়স বাড়লে দামও কমে। প্রশ্ন জাগতেই পারে কারা এই কালাইদঝি? সভ্য ইউরোপের মাঝখানে এমন মধ্যযুগীয় কায়দায় মেয়েদের বেচা-কেনাইবা হয় কীভাবে?

কালাইদঝি হলো পূর্ব ইউরোপের এক প্রাচীন জনগোষ্ঠীর নাম।বুলগেরিয়ার খুব ছোট এক জনগোষ্ঠী রোমা, তারা রক্ষণশীল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। মূলত যাযাবর জাতি। এক জায়গায় থাকা তাদের অভ্যাস নেই। পূর্ব ইউরোপে এই সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ বাস করে। তামার জিনিসপত্র তৈরি করা তাদের পেশা। এটা দিয়েই তাদের পেট চলে। তবে এখন কালাইদঝিরা নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। খুবই দরিদ্র এই লোকগুলো। তাই পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়ার জন্য এমন মেলার আয়োজন করে থাকে কালাইদঝিরা।

এটা তাদের রোজগারের একটি পন্থা। অনেকেই রোমা সম্প্রদায়ের এই রেওয়াজকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আখ্যা দিলেও তাদের কাছে এটা ঐতিহ্য এবং তারা এটিকে টাকা রোজগারের একটা উপায় হিসেবে দেখে থাকে। কেমন হয় এই ব্রাইড মার্কেট? বছরে চারবার এমন মেলার আয়োজন হয়। তবে বসন্তকালে এই মেলা কিছুটা আলাদা। আয়োজনটা হয় বড় করে। মূলত ফাঁকা মাঠেই হয় এলাহি আয়োজন। নির্ধারিত দিনে সকাল হতেই মেয়েদের সাজিয়ে গুজিয়ে বাবা-মায়েরা হাজির হয়ে যায় মেলার মাঠে। মঞ্চও তৈরি থাকে। যারা একটু বেশি টাকা-পয়সা খরচ করে, তারা মেয়েদের মঞ্চের উপর তুলে দেয়। তারপর শুরু হয় আইপিএলের নিলামের মতো দরদাম করা।

মেলায় বউ কিনতে নানা জায়গা থেকে হাজির হয় পুরুষেরা। নিলামের মতো করে যে পুরুষ বেশি দাম দেয় তার হাতেই মেয়েকে তুলে দেয় তাদের অভিভাবকরা। এই মেলায় তরুণীদের সাজ-পোশাকও দেখার মতো। পোশাকের সঙ্গে তাদের গয়না ও তাদের চুলের সাজ নজর কাড়ে পুরুষের। পছন্দের পাত্রী কেনার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াও বেশ। গ্রিল করা মাংস আর বিয়ার থাকে তাদের পছন্দের তালিকায়। জীবনসঙ্গী পছন্দ হয়ে যাওয়ার পর নাচ-গান শুরু হয়। নাবালিকা বিয়ে এখানে বৈধ। এ কারণেই ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েরা বিক্রি হয় এই মেলায়। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন এনজিও এবং নারী অধিকার কর্মীরা এই বউ মেলা বন্ধ করাও আন্দোলন করছেন।

রোমা সম্প্রদায়ের মেয়েরা এই বিয়েতে কতটা খুশি হয় বা আদৌ খুশি হয় কিনা সেই প্রশ্ন তাদের পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কালাইদঝিরা সব কিছুকেই তাদের রোজগারের পাল্লায় মাপে। এই লোকগুলোর কাছে পেট ভর্তি থাকাটাই বড় কথা। এই বিয়ের মূল শর্ত হলো মেয়েদের সতীর্থ। কুমারীত্ব হারিয়ে ফেললে তাকে দাম দিয়ে কেউ কিনবে না। তাই এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হওয়ার পরে তাকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তাদের বাবা-মায়েরা। তাকে বাড়িতে একটু একটু করে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করে বাবা-মায়েরা। মেয়েকে শেখানো হয় কেমন আদব-কায়দা করলে তাকে একটি ছেলে পছন্দ হতে পারে। যে যত সুন্দরভাবে নিজেকে মেলে ধরবে, ততটাই দাম পাবে তার পরিবার।

এই কুমারী মেলা বা বউ মেলা কতটা সত্যি তা জানার জন্য অনেক বছর আগে দুই চিত্র পরিচালক, মিলেন লারসন ও এলিস টেম্পল বুলগেরিয়া গিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন, এখানকার মেয়েদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বাইরে থেকে যতটা চাকচিক্য ভেতরে ততটা খুশি নন তারা। আড়াই লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মেয়েদের দাম ওঠে। কম বয়সী সুন্দরী মেয়েদের দাম আরো বেশি।

অনেক মেয়ে জানিয়েছেন পাত্র পছন্দ না হলেও দাম বেশি দিলে তার হাতে হাত রাখতে হয়। অপছন্দের মানুষের সঙ্গে কাটাতে হয় সারাজীবন। তবে এতো কিছুর পরো কালাইদঝিরা তাদের এই সংস্কৃতি হারাতে চান না। তরুণ প্রজন্মেরা রাজি না থাকলেও তাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা এই প্রথা নষ্ট করতে রাজি না। তারা তরুণী মেয়েদের তারা মেলায় অংশ নিতে বাধ্য করে। আর তারাও টাকার জন্য এই মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে।

Friday, 29 October 2021

দক্ষিণ সুরমায় নবাগত ও বিদায়ী শিক্ষা অফিসারকে সংবর্ধনা

দক্ষিণ সুরমায় নবাগত ও বিদায়ী শিক্ষা অফিসারকে সংবর্ধনা


সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নবাগত শিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিন আহমদ ও মো. আব্দুর রাজ্জাক বিদায়ী উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকবৃন্দ আয়োজনে বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমায় কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মুনিরা বেগম চৌধুরীর সভাপতিত্বে  ও কুচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলা উদ্দিন ও পূর্বভাগ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিন্দিতা দত্তের যৌথ পরিচালনায় সংর্বধিত অতিথি’র বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নবাগত শিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিন ও বিদায়ী শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা রিসোর্স সেন্টার‘র ইনস্ট্রাক্টর লুৎফুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. লূৎফুর রহমান ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মুসলিমা বেগম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শিক্ষা  কমিটির সদস্য ফজলুল করিম হেলাল।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজামান। বক্তব্য রাখেন গাবরু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিপ্লব পুরকায়স্থ, চান্দাই সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শিল্পী দাস, ফরহাদপুর (শেখেরগাঁও) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কান্তি পুরকায়স্থ, হয়রত শাহ তৈয়ব  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস, কায়েস্থরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুরল জান্নাত রীপা, লালাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনাম উদ্দিন, খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদ উল্লাহ, জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (২) প্রধান শিক্ষক সুভাষ রজ্ঞন দাস, ঝাজর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (২) প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দাস।

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গোপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর মজুমদার। গীতা পাঠ করেন সাহদাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দনা পুরকায়স্ত।

আলোচনা শেষে নবাগত শিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিন ও বিদায়ী শিক্ষা আব্দুর রাজ্জাককে উপজেলা প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সংবর্ধিত অতিথি’র বক্তব্যে শিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিন বলেন, শিক্ষার সঠিক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা মান বাড়াতে হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকদের নজর রাখতে হবে।

Thursday, 28 October 2021

অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র

অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র



অবশেষে মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।

গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বম্বে হাই কোর্টে আরিয়ানের মামলার শুনানি শুরু হয়। পরে তা মুলতবি ঘোষণা করেন বিচারক। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি নীতিন সাম্বরের এজলাসে ফের জামিনের আবেদনের শুনানি কার্যক্রম শুরু হলে এদিনও মামলার রায় দেননি বিচারক। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে আবারো এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এনসিবির পক্ষে আইনজীবী অনিল সিং আদালতকে জানান, আরিয়ান খান গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করছেন। সেখানে বিপুল পরিমাণ মাদকের লেনদেন নিয়ে কথা হয়েছে, যা কমার্শিয়্যাল কোয়ান্টিটির। পাশাপাশি মাদক চক্রীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তার।

আরিয়ান খানের হয়ে আদালতে লড়েছেন ভারতের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রাহাতগি। এর আগে আরিয়ানের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেখান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাতে সঠিক এবং উপযুক্ত তথ্য থাকা জরুরি, কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

তিনি দাবি করেন, আরিয়ানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাতে বেশ কিছু জিনিসের উল্লেখ রয়েছে, যা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে কারাবন্দি শাহরুখপুত্র।

Wednesday, 27 October 2021

ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার

ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার


প্রচারের একটি বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

এসব মাধ্যমে ব্যবহার করে যখন যার যা খুশি, তাই সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন থেকে তা আর করতে পারবে না। সরকারের দৃষ্টিতে গুজব ও ক্ষতিকর সম্প্রচারের বিষয়গুলো চাইলেই বন্ধ করে দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ও ভিডিও বন্ধ করতে সক্ষম হব।

বুধবার (২৭ অক্টোবর)সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনায় ৩০০ লিংকে আমরা রিপোর্ট করেছি। এবার আমরা ৩৬৪টি লিংক বন্ধ করেছি। ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে আমি এখন পর্যন্ত ফেসবুকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। বাংলাদেশে তাদের বিশাল বাজার। আশা করছি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ফেসবুক-ইউটিউব বুঝতে শুরু করেছে।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেভাবে চাপ দেওয়া দরকার সেই চাপ অব্যাহত আছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভ্যাট দেয়।

তিনি বলেন, আমি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কুমিল্লার বিষয়ে ফেসবুককে খুব কড়া ভাষায় অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। ওষুধ দিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে। এক সময় গুজব রটানো কঠিন হয়ে যাবে।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেনুর মিয়া।
এক হাজার টনের ফেরি উদ্ধারে ৬০ টন সক্ষমতার হামজা

এক হাজার টনের ফেরি উদ্ধারে ৬০ টন সক্ষমতার হামজা


মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ১৪টি ট্রাক ও ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডুবে গেছে এক হাজার টন ওজনের রো রো ফেরি আমানত শাহ। ফেরিটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। তবে হামজার উদ্ধার ক্ষমতা রয়েছে ৬০ টন। ফেরি আমানত শাহর যে ওজন তাতে হামজা কোনো কূলকিনারা পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এদিকে আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে প্রত্যয়- যার উদ্ধারের সক্ষমতা ২৫০ টন। 

বুধবার সকালে দৌলতদিয়া থেকে আসার পর পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের কাছে ফেরিটি ডুবে যায়। তবে এতে কোনো যাত্রী বা পরিবহণ শ্রমিক নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ১০টি ট্রাক ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সাতটি টিম কাজ করছে। এছাড়া কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। 

ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহ ফেরিটি ৪২ বছরের পুরনো। ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ ১৯৭৯ সালে আরিচা ফেরি সেক্টরে যোগ হয়। ফেরির মাস্টার শরিফুল ইসলাম লিটন জানান, ৪ মাস আগে ফেরিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ভারি মেরামত শেষে পাটুরিয়া সার্ভিসে আসে। তবে সম্প্রতি ফেরিটির তলদেশে একটি ফুটো হয়। সেটি মেরামত করার কথা ছিল। সেই ফুটো দিয়েই ফেরির ভেতরে পানি প্রবেশ করে বলে দাবি ট্রাক চালকদের। 

প্রত্যক্ষদর্শী ফেরির যাত্রী আবদুর রাজ্জাক জানান, ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ-এ পানি উঠতে শুরু করে মাঝ নদী থেকেই। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি যখন মাঝ নদীতে পৌঁছায়, তখনই সামনের দিকে ডান পাশে থাকা একটি ছিদ্র দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ফেরির ভেতর পানি জমে যায়। এ সময় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল ফেরিতে।

তিনি বলেন, ফেরিতে পানি উঠতে দেখে স্টাফসহ যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। তখন ফেরির মাস্টার ইঞ্জিনের গতি বাড়িয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যে ফেরিটি পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়। পন্টুনের সঙ্গে রশি না বাঁধতেই ফেরির ডালা নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় দুটি ট্রাক ফেরি থেকে নেমে যায়। আরেকটি ট্রাক অর্ধেকটা নামার পরইপরই ফেরি কাত হয়ে যায়। এ সময় ট্রাকটি পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যায়।

আরেক ট্রাকচালক আমির হোসেন জানান, তিনি সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন। গাড়ি ফেরিতে তোলার পরই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তার গাড়ি যখন পদ্মায় ডুবে যায় তখনই আচমকা জেগে উঠেন তিনি। পরে নদীতে থাকা একটি ট্রলারের সহায়তায় তীরে ওঠেন।