Wednesday, 3 November 2021

দাম বাড়ল ডিজেল-কেরোসিনের, রাত ১২টা থেকে কার্যকর

দাম বাড়ল ডিজেল-কেরোসিনের, রাত ১২টা থেকে কার্যকর



ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম প্রতি লিটার ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হবে।

বুধবার জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এই জ্বালানির তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রূপি ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম। 

এতে বলা হয়, বর্তমান ক্রয়মূল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন ডিজেলে লিটারপ্রতি ১৩.০১ এবং ফার্নেস অয়েলে লিটারপ্রতি ৬.২১ টাকা কমে বিক্রয় করায় প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্টোলিয়াম পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করেছে। নতুন এই মূল্যবৃদ্ধি আজ (বুধবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০০৮ সালের ২২ ডিসেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং এতদসংক্রান্ত সময় সময় জারিকৃত সংশোধনীসহ অন্যান্য সব বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেট্টোলিয়াম পণ্যের মূল্য হ্রাস করে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। 

Tuesday, 2 November 2021

যে সমীকরণে সেমিফাইনালে যেতে পারে ভারত

যে সমীকরণে সেমিফাইনালে যেতে পারে ভারত



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ে মিশন শুরু ভারতের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও স্রেফ উড়ে যায় কোহলিরা। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫১/৭ রানে ইনিংস গুটানো ভারত হেরে যায় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ১১০/৭ রানে থেমে যাওয়া ভারত ম্যাচ হারে ৮ উইকেটে। 

পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের কারণে ভারতের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ।

নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। সেই ম্যাচে আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তাহলে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এমন ফলাফল হলে পাকিস্তানের পরে রানার্স আপ লড়াই হবে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মধ্যে। তখন রানরেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারা সেমিফাইনালের যাবে। 
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড

শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড


শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড। ১৬৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকার ইনিংস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় শ্রীলংকা। দলীয় ২৪ ও ৩৪ রানে ফেরেন চারিথ আসালঙ্কা ও কুশাল পেরেরা। এরপর ৫৭ রানে ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ১০.৫ ওভারে ৭৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষে। 

এর আগে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস শেষ করে ফেরেন জস বাটলার। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিপূর্ণ করেন এ ওপেনার। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য শ্রীলংকাকে ১৬৪ রান করতে হবে। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। 

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় ইংলিশরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। ১.২ ওভারে দলীয় ১৩ রানে লংকান লেগ স্পিনার ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন জেসন রয়। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মালান। তিনি দুশমন্ত চামিরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। ৩৫ রানে প্রথম সারির ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জস বাটলার।

১৮.২ ওভারে দলীয় ১৪৭ রানে সজোরে ব্যাট চলাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মরগান। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অধিনায়ক মরগান ফিরে গেলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান জস বাটলার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে খেলেন শেষ বল পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রান করেন এ তারকা ব্যাটসম্যান। সংক্ষিপ্ত স্কোর ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬৩/৪ (জস বাটলার ১০১*, ইয়ন মরগান ৪০, ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গা ৩/২১)। শ্রীলংকা: ১৮.৬ ওভারে ১৩৭/১০ (ভানুকা রাজাপক্ষে ৭৬, আভিস্কা ফার্নান্দো ৫৭ , কুশাল পেরেরা ৩৪)
টেসলার শেয়ার বিক্রি করে বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে রাজি ইলন মাস্ক!

টেসলার শেয়ার বিক্রি করে বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে রাজি ইলন মাস্ক!


বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছেন যে তিনি টেসলার শেয়ার বিক্রি করতে প্রস্তুত। তবে টেসলার শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে তার একটি শর্ত রয়েছে। মাস্ক জানান, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়ে যদি বিশ্ব ক্ষুধা দূর করা সম্ভব হয়, তাহলে তিনি নিজের সংস্থার শেয়ার বেচে দিয়ে সেই অর্থ দান করবেন। 

খুদে ব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি লেখেন, যদি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের টুইটার থ্রেডে ব্যাখ্যা করতে পারে কীভাবে ৬ বিলিয়ন ডলারে বিশ্ব ক্ষুধা দূর হবে, আমি এখনই টেসলার শেয়ার বিক্রি করব।

টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও বলেন যে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রকাশ করা উচিত যে তারা কীভাবে তাদের তহবিল ব্যবহার করছে। মাস্ক আরও বলেন, এটি ওপেন সোর্স অ্যাকাউন্টিং হওয়া উচিত, যাতে জনগণ দেখতে পারে কীভাবে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক বলেছেন যে তিনি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে ৬ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রি করবেন যদি সংগঠনের পরিচালক ডেভিড বেসলি প্রমাণ করতে পারেন যে তহবিল বিশ্ব ক্ষুধা সমাধানে সহায়তা করবে। মাস্কের টুইট জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক্সিকিউটিভ ডেভিড বেসলির করা একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে এসেছে। বেসলি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে মাস্ক এই টুইট করেন।

এর আগে মঙ্গলবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড বেসলি বলেন, সরকার শোষিত। এবং এই কারণেই ধনকুবেরদের এখন পদক্ষেপ নিতে হবে। ৬ বিলিয়ন ডলার ৪২ মিলিয়ন মানুষকে সাহায্য করতে পারে। এই অর্থ তাদের সাহায্য করতে পারে যারা সত্যিই মারা যেতে চলেছে। যদি আমরা তাদের কাছে না পৌঁছাই তাহলে তারা মারা যাবে। এটা জটিল নয়। এর জবাবে ইলন মাস্ক বেসলিকে বিষয়টি প্রমাণ করতে বলেন।

Monday, 1 November 2021

মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়: শেখ হাসিনা

মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়: শেখ হাসিনা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ করে দরিদ্রতম যে ৪৮টি দেশ সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত, অথচ বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে যাদের অবদান মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ, তাদের অর্থায়ন চাহিদার আশু স্বীকৃতি দরকার।

তিনি বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন একটি বৈশ্বিক এবং আন্তঃসীমান্ত সমস্যা এবং এর মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়। জলবায়ু দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং এই সবের প্রভাব নাজুক দেশগুলোকে অপূরণীয় ক্ষতির অগ্রভাগে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। 

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কোপ২৬ সম্মেলনস্থলের কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন। 

তিনি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে প্রধান্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যৌথ প্রচেষ্টা সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।’

সিভিএফের চেয়ার শেখ হাসিনা সিভিএফ ও কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবের প্রথম দফায় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান অর্জনে আমাদের মধ্যে জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া, গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বাড়াতে হবে।

দ্বিতীয় দফায় বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অবস্থান প্যারিস চুক্তিতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সুরক্ষিত করতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে বিদ্যমান এবং ভবিষ্যৎ ওডিএ’র অতিরিক্ত। এই পরিমাণটি অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাতের সঙ্গে বরাদ্দ করা উচিত।’

তৃতীয়ত, শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু অভিবাসীদের সমস্যা-জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে মানুষ তাদের পৈতৃক ভিটা এবং ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে চ্যুত হয়েছে, যা আলোচনা করা দরকার এবং এইসব মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব নিতে হবে।

চতুর্থ দফায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে রাখতে তাদের উচ্চাভিলাষী এবং আগ্রাসী এনডিসি ঘোষণা করতে প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর ওপর চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।’

এ ছাড়াও, জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা মেটানোসহ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা তাঁর পঞ্চম দফায় বলেন, একই সঙ্গে, সিভিএফ ও কমনওয়েলথ সদস্যদের উন্নয়ন চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি একসঙ্গে আমাদের অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিভিএফের ৪৮ সদস্য দেশগুলো মোট বৈশ্বিক নির্গমনের মাত্র পাঁচ শতাংশের জন্য দায়ী, অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য মৌলিক হুমকি সৃষ্টি করেছে। অধিকন্তু, কোভিড-১৯ মহামারি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী, সাহসী এবং দায়িত্বশীল পদক্ষেপের জন্য কার্যকর সহযোগিতা ও সহযোগিতার তাৎপর্য প্রমাণ করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য আমাদের দুর্বলতা এবং প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা’ পূরণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশকে প্রায়ই গ্রাউন্ড জিরো বলা হয়। ‘আমাদের দুর্বলতা এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনুকরণীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। 
স্বামীর সহযোগিতায় স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

স্বামীর সহযোগিতায় স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ


নিঝুমদ্বীপে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় মো. শরীফ নামে আরও এক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক শরীফ (২৮) উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে। সে ধর্ষণ মামলার এজহারভুক্ত আসামি। এর আগে এই ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগী নারীর স্বামীসহ আরও চারজনকে আটক করে। নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ৩ আগস্ট নিজ এলাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাতিয়ার মুক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলার যোগে রওনা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বন্দরটিলাঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছুপথ যাওয়ার পর সোহেলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করে তাকে নামিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। ওই নারীর স্বামী হচ্ছে সোহেল। তারা ওই গৃহবধূকে পাশ্ববর্তী বান্ধাখালি গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে সোহেল, হক সাব, রাশেদ, আক্তারসহ ৭জন তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে চিৎকার করেন ওই গৃহবধূ।

এসময় স্থানীয় লোকজন স্বামী সোহেলকে আটক করে বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সৌরজিতের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হক সাব, রাশেদ, আক্তার হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এদের সবার বাড়ি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নরে ৭ ওয়ার্ডে মদিনা গ্রামে।

এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাস আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এই মামলায় পূর্বে আটক হওয়া ৪ জনের মধ্যে দু'জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরও আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হত্যা নয়, সালমান শাহ ৫ কারণে ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন: পিবিআই

হত্যা নয়, সালমান শাহ ৫ কারণে ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন: পিবিআই



চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)-এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত পিবিআইর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। 

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।

সালমান শাহের মায়ের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সালমান শাহর আত্মহত্যার ৫ কারণ

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা, স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, মাত্রাতিরিক্ত আবেগ প্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়া বা আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া ও সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

এদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন সালমান শাহের মায়ের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। একইসঙ্গে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর ভার্চুয়ালি জবানবন্দি নিতে আবেদন করা হয়। আদালত মামলার বাদী উপস্থিত না থাকায় আবেদনটি খারিজ করে দেন।

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। এর আগের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।