Thursday, 4 November 2021

তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে নিখোঁজ গোলাপগঞ্জের জহিরুল

তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে নিখোঁজ গোলাপগঞ্জের জহিরুল


তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন গোলাপগঞ্জের জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি গত ৪ আগস্ট তুরস্ক থেকে গ্রিসে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। এতে দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় দিন কা.টাচ্ছেন তার পরিবার ও স্বজনরা।

জানা যায়, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মধ্যপাচ্যের দেশ বাহরাইনে বসবাস করছিলেন। প্রায় এক বছর আগে এক দালাল জহিরুলকে আশ্বাস দেয় ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড পাঠানোর। দালালের পাল্লায় পড়ে জহিরুল পাড়ি জমান তুরস্কে। দালাল আশ্বাস দিয়েছিল তুরস্কে এক মাস থাকার পর পোল্যান্ডে যাওয়া যাবে।

কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও পোল্যান্ডে না যেতে পেরে বাধ্য হয়ে অবৈধ পথে গ্রিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন জহিরুল। এরপর গেল গত ৪ আগস্ট আরেক দালালের সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা চুক্তি করে রওনা দেন গ্রিসের উদ্দেশ্যে। একসঙ্গে ২৬ জন বাংলাদেশি টানা দুই দিন পায়ে হেঁ.টে গ্রিসে প্রবেশকালে জহিরুল ক্লান্ত অবস্থায় দলচ্যুত হয়ে পড়ে।
বিপুল ভোটে নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিলর হলেন নায়িকা পূর্ণিমার বোন

বিপুল ভোটে নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিলর হলেন নায়িকা পূর্ণিমার বোন


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। শাহানার পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি। তিনি সম্পর্কে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার ফুফাতো বোন। বিষয়টি অভিনেত্রী পূর্ণিমা নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে বোনের এই জয়ে আনন্দ প্রকাশ করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার দেয়া হয় ফল। সেখানে জানা যায়, বিপুল ভোটে জিতেছেন শাহানা। প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্কের সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

শাহানা হানিফ ব্রুকলিনের নির্বাচনী এলাকা ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে, যা মোট ভোটের ৮৯.৩ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ব্রেট ওয়েনকফ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫২২ ভোট, যা মোট ভোটের ৮ শতাংশ।

পূর্ণিমা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শাহানার জয় আমাদের পরিবারের জন্য অনেক গর্বের একটি বিষয়। অনেক আগে থেকেই সে এর সঙ্গে জড়িত ছিল। এ জন্য অনেক স্ট্রাগলও করেছে। অবশেষে সে এর ফল পেয়েছে। খুব কম বয়সে সে এটা অর্জন করেছে। ওর জন্য দোয়া করবেন সবাই।’

পূর্ণিমা আরও জানান, শাহানা হানিফের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রেই। সর্বশেষ ২০১৬ সালে শাহানা বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার এই আসা ছিল মূলত বাংলা শিখতেই। আদর্শলিপি কিনে শিক্ষক রেখে প্রায় ৮-৯ মাস ধরে তিনি বাংলা শেখেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতেই দেশে এসে এত পরিশ্রম করে বাংলা শিখে যান তিনি। এবার তারই ফল পেলেন। বাঙালিরা তাকে আপন ভেবে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
‘প্রেমিকের’ অন্যত্র বিয়ে ঠিক, প্রতিবাদে অনশনে ‘প্রেমিকা’

‘প্রেমিকের’ অন্যত্র বিয়ে ঠিক, প্রতিবাদে অনশনে ‘প্রেমিকা’


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া গ্রামের পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন তার ‘প্রেমিকা’ নাসিমা আক্তার। আব্দুস সালাম উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করেন এবং আগামীকাল শুক্রবার গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও অনশনরত নাসিমা আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন নাসিমা। তিনি আব্দুস সালামের চাচাতো ভাই শাহ আলমের সাবেক স্ত্রী।

নাসিমার দাবি, চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের পর থেকে সালাম তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেন। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্তে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা হলেও সালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে চাননি। পরে ওই নারী আব্দুস সালামের বিষয়ে তার তৎকালীন কর্মস্থল হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার পুলিশকে অবগত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে গোপনে শুক্রবার উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় সালামের বিয়ে ঠিক করেছে তার পরিবার। এ খবর পেয়ে নিজের অধিকার আদায়ে বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন নাসিমা আক্তার।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে অনশনে থাকা নাসিমা আক্তার বলেন, আব্দুস সালামের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে রাত্রীযাপনও করেছে। আমার পূর্বের স্বামীকেও তার কথায় তালাক দিয়েছি। এখন সে গোপনে অন্য নারীকে বিয়ে করতে দিন-তারিখ ঠিক করেছে। এ খবর জেনে তাকে বিয়ে করার জন্যই এ বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে প্রবেশের পর আমাকে সালামসহ তার ভাবিরা মিলে মারধর করেছে।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সালামের বাবা ও দুই ভাবি জানান, সালাম এই নারীকে (নাসিমা আক্তার) বিয়ে করতে রাজি নন। তাই তারা অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে নাসিমা আক্তার হঠাৎ করে এসে গালমন্দ শুরু করে বাড়ির সামনে বসে আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু সালাম বৈঠকের রায় মানেননি। এখন আর আমাদের কিছু করা নেই।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ফের দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের

ফের দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের


গ্রাহক পর্যায়ে কেজিতে সাড়ে ৪ টাকা হারে বাড়িয়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ টাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসক ব্যতীত প্রতি কেজি ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা এবং মূসকসহ মূল্য হবে প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা। সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি বোতলজাতকৃত এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১ হাজার ৩১৩ টাকা।

এ আদেশ ৪ নভেম্বর থেকে প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দামই বহাল থাকবে।

কেজিপ্রতি এলপিজির দাম নির্ধারণের পাশাপাশি সিলিন্ডারের আকার অনুযায়ীও দাম নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। বিইআরসির নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী, এখন থেকে ১২ কেজি এলজিজির সিলিন্ডার বিক্রি হবে ১ হাজার ৩১৩ টাকায়।

১২ কেজির পাশাপাশি সাড়ে ৫ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি, ১৫ কেজি, ১৬ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৩ কেজি, ৩৫ কেজি ও ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দামও নির্ধারিত হয়েছে।


এখন থেকে সাড়ে ৫ কেজি ৬০২ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ১ হাজার ৩৬৮ টাকা, ১৫ কেজি ১ হাজার ৬৪১ টাকা, ১৬ কেজি ১ হাজার ৭৫১ টাকা, ১৮ কেজি ১ হাজার ৯৭০ টাকা, ২০ কেজি ২ হাজার ১৮৮ টাকা, ২২ কেজি ২ হাজার ৪০৭ টাকা, ২৫ কেজি ২ হাজার ৭৩৫ টাকা, ৩০ কেজি ৩ হাজার ২৮৩ টাকা, ৩৩ কেজি ৩ হাজার ৬১১ টাকা, ৩৫ কেজি ৩ হাজার ৮২৯ টাকা ও ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৪ হাজার ৯২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরমকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ সংক্রান্ত সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয় ২ নভেম্বর। ৩ নভেম্বর বিসিআরসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এলপিজির পাশাপাশি রেটিকুলেটেড এবং যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে সরবরাহ করা এলপিজির দাম ভোক্তাপর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ৯৯ টাকা ৩৭ পয়সা এবং মূসকসহ প্রতি কেজি ১০৬ টাকা ১৯ পয়সা ঠিক করা হয়েছে। অক্টোবরে এ গ্যাসের দাম মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ছিল ৯৫ টাকা ১৭ পয়সা এবং মূসকসহ প্রতি কেজি ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা।

যানবাহানে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের মূসক ছাড়া দাম প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৬১ পয়সা এবং মূসকসহ ৬১ টাকা ১৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অক্টোবরে এই গ্যাসের দাম মূসক ছাড়া প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ২৭ পয়সা এবং মূসকসহ ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল।

এর আগে মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই এলপিজির দাম বাড়ায় সরকার।

গত ১০ অক্টোবর এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল মূসকসহ ১২ কেজি এলপিজির দাম এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা করার কথা জানান।

এর আগে গত ২৯ জুলাই ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৮৯১ থেকে ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা করা হয়। আগস্ট মাস থেকে এই দাম কার্যকর হয়।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিবারই জানায় বিইআরসি।
অজিদের কাছে ৩৮ বলে লজ্জার হার টাইগারদের

অজিদের কাছে ৩৮ বলে লজ্জার হার টাইগারদের


ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে এমন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বোধ হয় দেখা যায়নি কখনই। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলো টাইগাররা।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল। সুপার টুয়েলভপর্বে পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হার নিয়ে সেই স্বপ্ন কবর দিয়ে ফিরছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলে।

তার চেয়েও বড় কথা, সেই হারগুলোর মাঝে লড়াকু মানসিকতার ছিঁটেফোটা দেখা যায়নি। বরং একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়তে পিছপা হয়নি লাল সবুজ জার্সিধারীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ৮২ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়।

আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। যেটা ছিল দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

এবার অস্ট্রেলিয়া আরও বড় লজ্জা দিলো বাংলাদেশকে। ৫ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস গুটিয়ে দিলো ৭৩ রানে। এটি টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।


টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ওপেনিং জুটি দাঁড়াতেই পারেনি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস।

মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারি বাইরে থেকে টেনে এনে বোল্ড হন লিটন। পরের ওভারে জশ হ্যাজলেউড তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (৮ বলে ৫), তিনিও হন বোল্ড।

তৃতীয় ওভারে আরও এক উইকেট। এবার মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২.৫ ওভারে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

ব্যাটারদের সেই আসা-যাওয়ার মিছিল আর একটু থেমেছিল ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। চার বলের ব্যবধানে দুই তরুণ নাইম শেখ (১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭) আর আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪ বলে ০) ফিরে সেই চাকা আবারও চালু করে দেন।

এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ১১তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় শামীম করেন ১৮ রান। পরের বলে মেহেদি হাসান এলবিডব্লিউ হন গোল্ডেন ডাকে।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়া থেকে তাল সামলে রাখতে পারেননি তিনিও। লেগ সাইডে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহ। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ১৬ রানে।

৬৫ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি ২ উইকেট হারিয়েছে আর ৮ রান যোগ করে। মোস্তাফিজুর রহমান আউট হন ৯ বলে ৪ রানে, তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। অসি লেগস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। ২টি করে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলেউডের।

লক্ষ্য মাত্র ৭৪ রানের। জবাব দিতে নেমে আর বেশি দেরি করতে চায়নি অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ বলে ৫৮ রান তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ।

ফিঞ্চ যেভাবে খেলছিলেন, পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অসি অধিনায়ককে (২০ বলে ৪০)।

সেই উইকেট দেখেই যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেন শরিফুল ইসলাম, বোল্ড করে দেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪ বলে ১৮)। তবে তাতে পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমেছে। অল্প সময়ে ম্যাচ হেরে যাওয়া রুখতে পারেননি তারা।
দেশসেরা মর্যাদা পেল সিলেট সিটি করপোরেশন

দেশসেরা মর্যাদা পেল সিলেট সিটি করপোরেশন


করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালেও কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দেশসেরা মর্যাদা ধরে রাখল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এ নিয়ে টানা তিনবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমাণক মূল্যায়নে সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম হলো সিসিক।

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এ কে এম মিজানুর রহমন স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অর্জিত নম্বরপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশ সেরা সিটি করপোরেশনের ধারাবাহিক এ অর্জনের খবরে নগর ভবনের সংশ্লিষ্টরা উচ্ছ্বসিত। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, করোনাভাইরাসের এ সময়েও সিলেট মহানগরের নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতায় সিসিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উন্নয়ন ও সেবা প্রদান করতে পেরেছে।

জীবনের ঝুঁকি জেনেও সিলেট সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাগরিক সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলেন।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিসিকের ধারাবাহিক এ অর্জন সিলেট নগরবাসীর। এ অর্জন মহানগরের নাগরিকদের। আমরা জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেবল আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।

মেয়র বলেন, দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমাণক মূল্যায়নে সিলেট সিটি করপোরেশনের সেরা হওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখায় নাগরিক সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে আমাদের আরও দায়িত্বশীল ও দায়বদ্ধ করে তুলেছে। আগামীতে সেবার মান বৃদ্ধি ও সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়নে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে ‘সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির’ আওতাধীন দেশের সব সিটি করপোরেশনসহ ২০ দপ্তর, সংস্থার ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য ৭ জুলাই ২০২০ সালে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও প্রমাণক ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়।

সরকারের নির্ধারিত মূল্যায়ন পদ্ধতির ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৭ দশমিক ১০ পেয়ে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম ও ২০ দপ্তর সংস্থার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের।
হিরো আলমের সিনেমায় গাইবেন রানু মণ্ডল

হিরো আলমের সিনেমায় গাইবেন রানু মণ্ডল



একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছেন হিরো আলম। তবে তার যেমন ভক্ত রয়েছে, তেমনি সমালোচকের সংখ্যাও কম নয়। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। খুব শিগগিরই নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করতে যাচ্ছেন হিরো আলম। তার নতুন দুই সিনেমায় দুটি গানে কণ্ঠ দেবেন রানাঘাটের স্টেশন থেকে বলিউডে পৌঁছে যাওয়া রানু মণ্ডল। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম নিজেই।

তিনি বলেন, ‘রানু মণ্ডলের সঙ্গে আমার আজকেই কথা হয়েছে। তিনি আমার ছবিতে গান গাইতে সম্মতি দিয়েছেন। আশা করি তার গানগুলো দর্শকরা গ্রহণ করবে।’

হিরো আলমের প্রোডাকশনের তৃতীয় এবং চতুর্থ সিনেমা দুটি পরিচালনা করবেন রাজু চৌধুরী এবং বাবু রেজা। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হবে।

অভিনয়ের পর গানের জগতে প্রবেশ করে ধামাকা দেখিয়েছেন হিরো আলম। কয়েক দিন পর পরই বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, চীনা ও আরবি ভাষায় নতুন নতুন গান ইউটিউবে প্রকাশ করেন; যা কিনা ঘণ্টা পেরুতেই লাখ লাখ ভিউ হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, হিরো আলম ও রানু মণ্ডল দুজনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে নেটাগরিকদের নজরে এসেছেন। হিরো আলম তার নিজ গতিতে কাজ করে গেলেও রানু মণ্ডল ছিটকে পড়েছেন। বলিউডে সুযোগ পেলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আবারও সেই স্টেশনেই ফিরতে হয়েছে তাকে। কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। সম্প্রতি দুজনই ভাইরাল ‘মানিকে মাগে হিতে’ গান গেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।