Friday, 12 November 2021

২ ধাপের ইউপি নির্বাচনঃ সিলেট জেলায় বিজয়ী যারা

২ ধাপের ইউপি নির্বাচনঃ সিলেট জেলায় বিজয়ী যারা


কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো সিলেট জেলার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন।এই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ১৫ টি ইউনিয়নের নির্বাচন।

এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ৫টি ,বালাগঞ্জের ৬টি ও সদর উপজেলার ৪ টি।

এসব ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে যারা জয়লাভ করেছেন তারা হলেন,সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রফিকুজ্জামান,জালালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মো: উবায়দুল্লাহ ইসহাক,মোগলগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মো: হিরণ মিয়া, এবং কান্দিগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মনাফ।

কোম্পানীগঞ্জে ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন আলম ও তেলিখাল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল অদুদ আলফু, ইছাকলস ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান, উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ফয়জুর রহমান মাস্টার ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ইকবাল হোসেন ইমাদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এবং বালাগঞ্জ উপজেলার, সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুনিম,পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মুজিবুর রহমান।পশ্চিম

গৌরীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমান বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের আনহার মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল আলম বিজয়ী হয়েছেন।পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের শিহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সিলেটের ১৫ ইউনিয়নে সর্বমোট ১৪৩ টি কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন ।এবং চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৬৮ জন।
নবীগন্জে এফআইভিডিবি- ইরি- এগ্রি প্রকল্পের নমুনা শস্য কর্তন

নবীগন্জে এফআইভিডিবি- ইরি- এগ্রি প্রকল্পের নমুনা শস্য কর্তন


আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট(ইরি)এর তত্বাবধানে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পিটুয়া গ্রামে ইরি-এগ্রি প্রকল্পের নমুনা শস্য কর্তন-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিল এন্ড মেলেন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এফআইভিডিবি’র সহযোগিতায় ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার পিটুয়া গ্রামের কৃষক সুন্দর চৌধুরীর জমিতে  শস্য কর্তন করা হয়। এই প্রদর্শনীতে ৬ প্রকার (ব্রি ধান-৮০, ব্রি ধান-৮৭, ব্রি ধান-৯৩, ব্রি ধান-৯৪, ব্রি ধান-৯৫ ও ব্রি ধান৪৯) জাতের ধানের চাষ করা হয়। কৃষক সুন্দর চৌধুরী ব্রি ধান৮০, ব্রি ধান৮৭ ও ব্রি ধান৯৫ জাত ৩ টি বেশি পছন্দ করেছে।

আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি)’র বাস্তবায়নাধীন নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাকসুদুল আলম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন, আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি)এর সিনিয়র স্পেশালিষ্ট, (এগ্রিকালচারাল রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) মোহাম্মদ আশরাফুল হাবিব।

উপস্থিত ছিলেন ইরি’র রিচার্জ টেকনিশিয়ান মোঃ আহাদাত হোসেন, আউশকান্দি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আহমদ, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)’র প্রজেক্ট অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল  ইসলাম, কৃষক সুন্দর চৌধুরী, সেলিম চৌধুরী, রাহেল চৌধুরী, মোঃ রেজওয়ান আলী, বিশিষ্ট মুরব্বী হাজী মোজেফর মিয়া, মোঃ সোহেল চৌধুরী, অলি আহমদ চৌধুরী, রাসেল চৌধুরী ও মোঃ আব্দুল আলী সহ এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ।

আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি) এই এলাকার জন্য উপযোগী আধুনিক উচ্চ ফলনশীল(উফসি) জাতের ধান কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত ৬টি জাত দ্বারা অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে  কৃষকের জমিতে হেড টু হেড প্রদর্শনী স্থাপন করেন।

Wednesday, 10 November 2021

আগামীকাল ৮৩৬ ইউপি নির্বাচনঃ বিনা ভোটে নির্বাচিত ৮১ চেয়ারম্যান

আগামীকাল ৮৩৬ ইউপি নির্বাচনঃ বিনা ভোটে নির্বাচিত ৮১ চেয়ারম্যান


দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বিনা ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন ৮১ জন চেয়ারম্যান। দেশের ১৮টি জেলার ২৮টি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এ চেয়ারম্যানদের সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) কোনো ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।

এই ৮১ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ৫ জন, ভোলার দৌলতখানে একজন, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একজন, নারায়ণগঞ্জ সদরে দুইজন, রূপগঞ্জে তিনজন, শেরপুর সদরে তিনজন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে তিনজন, জামালপুর সদরে পাঁচজন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে তিনজন, কুমিল্লার লাকসামে পাঁচজন, তিতাসে একজন, মেঘনায় একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন।

একইভাবে চাঁদপুর সদরে দুজন, ফেনীর ফুলগাজীতে তিনজন, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একজন, মাদারীপুরের কালকিনিতে একজন, শরীয়তপুর সদরে তিনজন, খুলনা সদরে একজন, মাগুরা সদরে তিনজন, যশোরের চৌগাছায় দুইজন, বাগেরহাট সদরে তিনজন, মোল্লাহাটে একজন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে একজন, সিরাজগঞ্জ সদরে তিনজন, রায়গঞ্জে তিনজন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাঁচজন, মিরসরাইয়ে ১৩ জন এবং ফটিকছড়ি উপজেলায় তিনজন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল ৮৪৬ ইউপিতে নির্বাচনের কথা থাকলেও নির্বাচন হচ্ছে ৮৩৬টিতে। এ ছাড়া কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই উপজেলায়ও কোনো ভোট নেওয়া হচ্ছে না।
৪র্থ ধাপে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারসহ দেশের ৮৪০ ইউপি নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর

৪র্থ ধাপে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারসহ দেশের ৮৪০ ইউপি নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর


আগামী ২৩ ডিসেম্বর দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৮৯তম কমিশন বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচন ভবনে বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তফসিল ঘোষণা করেন। একই তফসিলে তিনটি পৌরসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২৫ নভেম্বর। বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৩ ডিসেম্বর।

তফসিল অনুযায়ী চতুর্থধাপে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের যেসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ, ফুলবাড়ী, লক্ষীপাশা, বুধবারীবাজার, ঢাকাদক্ষিণ, লক্ষণাবন্দ, ভাদেশ্বর, পশ্চিম আমুড়া, উত্তর বাদেপাশা, শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন ও বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাতিউরা, তিলপাড়া, মুল্লাপুর, মুড়িয়া, লাওতা ইউনিয়ন।

এছাড়া সিলেট বিভাগের যেসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছেঃ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, উত্তরভাগ, মুনশীবাজার, পাঁচগাঁও, রাজনগর, টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর ইউনিয়ন ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর, মনুমুখ, কামালপুর, আপারকাবাগলা, আখাইলকুড়া, একাটুনা, চাদনীঘাঁট, কনকপুর, আমতৈল, নাসিরাবাদ, মুস্তফাপুর, গিয়াসনগর ইউনিয়ন।

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকুড়ি, মুড়িয়াউখ, বামৈ, করাব, বুল্লা (ইভিএম) ইউনিয়ন ও বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং উ.পূ, বানিয়াচং উ.প, বানিয়াচং দ.পূ, দৌলতপুর, খাগাপাশা, বড়ইউড়ি, খাগাউড়া, পুকড়া, সুবিদপুর, মকরমপুর, সুজাতপুর, মন্দরি, মুরাদপুর পৈলারকন্দি ইউনিয়ন।

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া, চিলাউড়া হলদিপুর, রাণীগঞ্জ, সৈয়দপুর শাহারপাড়া, আশারকান্দি, পাইলগাঁও, পাটলি ইউনিয়ন ও দিরাই উপজেলার রফিনগর, ভাটিপাড়া, রাজানগর, চরনারচর, দিরাই সরমঙ্গল, করিমপুর, জগদল, তাড়ল, কুলঞ্জ ইউনিয়ন ও বিশ্বম্বরপুর উপজেলার ফতেহপুর, বাধাঘাট দক্ষিণ, পলাশ, ধনপুর ও সলুকাবাদ ইউনিয়ন।


একসঙ্গে ৪ প্রেমিকা বাড়িতে, পালাতে না পেরে বিষপান যুবকের

একসঙ্গে ৪ প্রেমিকা বাড়িতে, পালাতে না পেরে বিষপান যুবকের


এক কিংবা দুই নয়, একসঙ্গে চারজন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছিলেন যুবক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রতারিত হওয়ার কথা বুঝতে পেরে ওই যুবকের বাড়িতে একসঙ্গে এসে হাজির হন চার প্রেমিকা। পালানোর রাস্তা না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম শুভময় কর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার দুই যুবতী, ভারথানা এলাকার একজন এবং জোরপাকড়ি এলাকার স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন শুভময়।

তাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই একসঙ্গে চারজনের সাথে প্রেম করছিলেন শুভময়। কিন্তু একপর্যায়ে প্রেমিকারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে চারজন একসঙ্গে তার বাড়িতে এসে হাজির হন। চার প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখে হতবাক হয়ে যান শুভময়। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। বোঝানোরও চেষ্টা করেন। তাতে কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই যুবক।

পরে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা শুভময়কে কোচবিহার শহরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

স্থানীয় পঞ্চায়েতপ্রধান জানান, সুস্থ হয়ে উঠলে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, এখনও এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, হিন্দুস্তান টাইমস
মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারে নতুন নিয়ম

মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারে নতুন নিয়ম


মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কোম্পানির ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যোগ হবে। তবে গ্রাহককে ওই প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একই ডেটা প্যাকেজ কিনতে হবে।ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ হলেও অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে। এই নির্দেশিকা আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে ‘মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ নিয়ে এক উপস্থাপনায় এসব তথ্য জানায় বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্টরা।

বিটিআরসি জানায়, কোনো গ্রাহক তিন দিন মেয়াদের তিন জিবি’র কোনো প্যাকেজ কিনলে তিন দিন শেষ হওয়ার আগেই তাকে তিন জিবি’র প্যাকেজ কিনতে হবে। সেটা ৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন- যেকোনো মেয়াদে হতে পারে। বর্তমানে একই মেয়াদের প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হয়।

মোবাইল অপারেটরদের সর্বোচ্চ তিন ধরনের প্যাকেজ থাকবে। নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ। একটি অপারেটরের নিয়মিত ও গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৮৫। তবে নিয়মিত অথবা গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির অধিক হতে পারবে না। মোবাইল ফোন অপারেটরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবে

প্যাকেজের ভিন্নতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য হবে ১০০ মেগাবাইট ডেটা অথবা ১০ মিনিট টকটাইম অথবা উভয়ই।

বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে গ্রাহকদের আপত্তির পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভা হয়। পরে আরও বিশ্লেষণের পর ডেটা প্যাকেজ নিয়ে নির্দেশিকাটি তৈরি হয়েছে। এই নির্দেশিকা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
জেএসসি-জেডিসিতে ‘অটো পাস’

জেএসসি-জেডিসিতে ‘অটো পাস’

চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও হবে না। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনায় ২০২১ সালের জেএসসি পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

২০২১ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে এর ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ সনদ দেওয়া হবে।

এজন্য আগামী ৬ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

এর আগে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের (২০২১) সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।