Monday, 17 January 2022

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করেন হিরো আলম?

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করেন হিরো আলম?



আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনেও লড়বেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া হিরো আলমকে।

বগুড়ার এই যুবক একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা, গায়ক ও সমাজহিতৈষী। ডিসলাইনের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায়ী হিরো আলম এখন পুরো বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত। অনেকেই হিরো আলমের আয়ের উৎস জানতে চায়। তিনি কীভাবে সিনেমা প্রযোজনা করেন, সেটা জানতে চান।

এ ব্যাপারে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফেসবুকে আমার ১৯ লাখের একটি ফ্যান পেজ রয়েছে। আর ইউটিউবে Hero Alom Official-এ সাবস্ক্রাইবার এখন ১৩ লাখের বেশি। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করেই আমার যত আয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তো আমার গাওয়া গানও দর্শকশ্রোতারা গ্রহণ করছেন। তবে আয় স্থিতিশীল না- কখনো বাড়ে, কখনো কমে। কোনো মাসে ৩ লাখ, কোনো মাসে আবার ১ লাখ, আবার এমনও হয় ৫০ হাজার আয় হয়।’

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যতীত স্টেজ-শো করেও আয় করেন হিরো আলম। তিনি জানান, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে কিছু টাকা আসে। এই আয়ের টাকা থেকে গরিবদের সাহায্য করি, সিনেমা নির্মাণ করি। টাকা তো জমাই না; যা আয়, তাই ব্যয়। তবে অর্থ বেশি হলে খুব ইচ্ছে ছিল বড় আয়োজনের আরও ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করার।’

 
প্রসঙ্গত, হিরো আলম অভিনীত ও প্রযোজিত ‘টোকাই’, ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’, ‘নষ্ট হওয়ার কষ্ট’ সিনেমা তিনটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। 
খুলছে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের পথ

খুলছে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের পথ


রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এই তালিকা তৈরির বিধান রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২-এর সংশোধিত খসড়া সরকারের সায় পেয়েছে। 

সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী একটি কাউন্সিল থাকবে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন  মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। কাউন্সিলে সদস্যসংখ্যা ৯ জনের পরিবর্তে ১১ জন হবে। আর কাউন্সিলের মহাপরিচালক সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন।

এই কাউন্সিলের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইনের খসড়ার তথ্য বলতে গিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব কাউন্সিলের কাছে দেওয়া হয়েছে। 

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য অপরাধ করেছে, তাদের তালিকা বা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের তালিকা প্রণয়ন এবং গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে এই কাউন্সিলের কাজ। 

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব স্তরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করাও হবে এই কাউন্সিলের কাজ।

২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়।

এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এখন জাতীয় সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে।
ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শাবিতে আন্দোলন

ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শাবিতে আন্দোলন



সোমবার নতুন করে কোন অঘটন না ঘটলেও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রীতিমতো উত্তাল। আন্দোলন চলছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শাবিতে প্রথমে হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু রোববার ভিসিকে অবরোধ করা এবং পুলিশী সহায়তায় তাকে মুক্ত করা, আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ গুলি টিয়ারশেল কাণ্ডের পর এখন তাদের দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবিতে সোমবার দিনভর তারা আন্দোলন করেছেন। তালা ঝুলিয়েছেন ভিসির কার্যালয় এবং প্রশাসনিক ভবনে।

এরপর বিকেলের দিকে আন্দোলনকারীরা ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাসভবন ঘেরাও করেন। এখনো তারা সেখানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন। 

আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকেলে ঘোষণাা দিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এমনকি আজ সোমবার রাতেও তারা ক্যাম্পাস ছাড়ছেন না। সারারাত গানবাজনা ও প্রতিবাদী শ্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জাগিয়ে রাখবেন।

এদিকে, রোববার রাতে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও আজ সোমবার দুপুরের মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা দিয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তারা কিছুতেই আন্দোলন থামাবে না বা ক্যাম্পাসও ছাড়বে না। 

এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে শাবি ক্যাম্পাসে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রাইসিস রেন্সপন্স টিম’ বা (সিআরটি) কে মোতায়েন করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ' ছাত্রী। 
চন্দরপুর বাজারে তালা ভেঙ্গে একাধিক দোকানে চুরি

চন্দরপুর বাজারে তালা ভেঙ্গে একাধিক দোকানে চুরি


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর বাজারে একাধিক দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে বাজারের বন্ধুমহল এবং মীম এন্ড তামভীর ভেরাইটিজ স্টোরের তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ চুরের দল। এসময় তারা নগদ অর্থ-সহ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।


এছাড়া চন্দরপুর-বিয়ানীবাজার সড়কের তিলপাড়া বাজারেও একই কায়দায় চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান দোকান চুরির ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনি বাজারের নিরাপত্তা রক্ষায় পাহারাদার নিয়োগের জন্য বণিক সমিতির প্রতি আহবান জানান।

এদিকে তালা ভেঙ্গে দোকান চুরির এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বাজার বণিক সমিতিকে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।

Tuesday, 16 November 2021

গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য হলেন গোলাপগঞ্জের সামাদ খাঁন

গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য হলেন গোলাপগঞ্জের সামাদ খাঁন



কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের সামাদ উদ্দিন খাঁন। রোববার গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নূর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে আরো ৩জনকে সদস্য করা হয়, তারা হলেন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ (শুভ),  এম এস এ মাহমুদ, মো: ইব্রাহিম হোসেন। 

এ ব্যাপারে নব নির্বাচিত সদস্য সামাদ উদ্দিন খাঁন
জানান, আমায় কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আমি কমিটির আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নূরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে আমি যেন ভালভাবে এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

উল্লেখ্য, সামাদ খানের বাড়ি উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া ইসলাম টুল গ্রামে।

Monday, 15 November 2021

এবার স্পন্সর ছাড়াই যাওয়া যাবে লন্ডন

এবার স্পন্সর ছাড়াই যাওয়া যাবে লন্ডন


বাংলা‌দেশিসহ উচ্চ শি‌ক্ষিত ও পেশাগতভাবে দক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন ভিসা চালু কর‌ছে ব্রিটেন। ‘স্কেল আপ’ না‌মে এই ভিসা আগামী বছর থে‌কে চালু করার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছেন ব্রিটে‌নের চ্যান্সেলর রি‌সি সুনাক।


ব্রিটে‌নে ওয়ার্ক পার‌মিটসহ অন্যান্য পূর্ণকালীন কা‌জের ভিসার ক্ষে‌ত্রে স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের হোম অফি‌স থেকে স্পন্সরশিপ লাই‌সেন্স নেওয়া থাকতে হয়। ‘টি আর টু’ বা ব্রিটে‌নের বাই‌রে থে‌কে দক্ষ জনশ‌ক্তি আনার এই লাই‌সেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী‌কে ক‌ঠিন শর্ত পূরণ কর‌তে হয়।
 
কিন্তু নতুন ‘স্কেল আপ’ ভিসার ক্ষে‌ত্রে নি‌য়োগকর্তার হোম অফি‌সের লাই‌সেন্স লাগ‌বে না। আবেদনকারীর ভিসা আবেদন দ্রুততম সম‌য়ের ম‌ধ্যে যাচাই কর‌বে হোম অ‌ফিস।

নতুন ভিসার ক্ষে‌ত্রে শর্তগু‌লো হলো- ন্যূনতম বেতন বছ‌রে ৩৩ হাজার পাউন্ড হ‌তে হ‌বে, নি‌য়োগকারী কোম্পানি কমপ‌ক্ষে তিন বছ‌রের পুর‌নো ও কোম্পানিতে ন্যূনতম দশজন কর্মী এবং কোম্পানির বছ‌রে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাক‌তে হ‌বে। ভিসার আবেদনকারী জব অফার লেটার ও নি‌য়োগদাতা কোম্পানির কাগজপত্র দি‌য়ে ভিসা পা‌বেন।


ব্রিটেনে ছাত্র ও অভিবাসী ভিসার পরামর্শক স্টাডি এইডের প‌রিচালক আহ‌মেদ বখত চৌধুরী রতন রবিবার বাংলা ট্রিবিউন‌কে ব‌লেন, এ ভিসার সব‌চে‌য়ে বড় সু‌বিধা হলো এতে ব্রিটে‌নে পাঁচ বছর বসবা‌সের পর আবেদনকারী ব্রিটে‌নে ‘ইন‌ডে‌ফি‌নিট লিভ টু রি‌মেইন’ বা স্থায়ী বসবা‌সের সু‌বিধা পা‌বেন। বাংলা‌দেশ থে‌কে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, নার্সসহ পেশাজী‌বীরা এ ভিসায় ব্রিটে‌নে আস‌তে পার‌বেন। ত‌বে সর্বনিম্ন বেতনসীমা ৩৩ হাজার পাউন্ড হওয়ায় কম দক্ষ কোনও কর্মীর ক্ষে‌ত্রে এ ভিসার সু‌বিধা নেওয়া ক‌ঠিন হ‌বে।

তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনে বর্তমা‌নে স্টুডেন্ট ভিসায় যারা বসবাস কর‌ছেন বা আস‌ছেন তারাও কোর্স শে‌ষে এ ভিসার জন্য আবেদন কর‌তে পার‌বেন।

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া


ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপার কমতি নেই অস্ট্রেলিয়ার। এখন পর্যন্ত হওয়া ১২ আসরের মধ্যে পাঁচবারই সেরা মুকুট উঠেছে অসিদের মাথায়। কিন্তু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে ছয় আসর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি ক্যাবিনেট ছিল পুরোপুরি শূন্য।

অবশেষে সপ্তম আসরে এসে অধরা শিরোপার দেখা পেল বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল জিততে তাদের গড়তে হতো ইতিহাস। নতুন রেকর্ড গড়েই শিরোপা ঘরে তুলেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ফাইনালে অসিদের সামনে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৭২ রান। যা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। শিরোপা জেতার পথে নতুন রেকর্ড গড়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অসিদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রেখেছেন তিন নম্বরে নামা ডানহাতি ব্যাটার মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৭ রান। বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করে বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। রান তাড়া করতে নেমে ৩১ বলে ফিফটি করে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন মিচেল মার্শ।

তার ৭৭ রানের ইনিংসের সুবাদেই মূলত সাত বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বল রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২৮ রান করে।

অথচ শুরুতেই অধিনায়কের বিদায়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের করা ১৭২ রানের সংগ্রহটি তখন মনে হচ্ছিল বেশ কঠিন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে অসিদের ম্যাচে রাখেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও তিন নম্বরে নামা মিচেল মার্শ।

১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে বোল্টের বিপক্ষে কোনো জবাবই খুঁজে পাননি ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারে আসে মাত্র ১ রান। টিম সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারে দুই চারের মারে ১০ রান তুলে নেন ওয়ার্নার।

তার দেখাদেখি বোল্টের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন ফিঞ্চ। কিন্তু পরের বলেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন বোল্ট। ডিপ মিড উইকেটে বেশ খানিকটা পথ দৌড়ে দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচ ধরেন মিচেল।

শুরুতেই অধিনায়ক ফিরে গেলে খানিক খোলসবন্দী হয়ে পড়েন ওয়ার্নার। তবে অপরপ্রান্তে তাকে চাপমুক্ত রাখেন মিচেল মার্শ। অ্যাডাম মিলনের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলেই দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান মার্শ। প্রথম পাওয়ার প্লে'তে অস্ট্রেলিয়া করে ৪৩ রান।

এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওয়ার্নারও। বিশেষ করে ইশ সোধির করা নবম ওভারে হাঁকান দুই চার ও একটি বিশাল ছক্কা। যার সুবাদে প্রথম ছয় ওভারে ৪৩ রান করা অস্ট্রেলিয়া পরের চার ওভারেই পেয়ে যায় আরও ৩৯ রান।

জুটি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাননি ওয়ার্নার ও মার্শ। দুজন মিলে তাণ্ডব চালাতে থাকেন কিউই বোলারদের ওপর। উইকেটের আশায় ১১তম ওভারে জিমি নিশামকে আনেন কিউই অধিনায়ক। সেই ওভারে একটি করে ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার ও মার্শ।

নিশামকে হাঁকানো ছক্কায় ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ হয় ওয়ার্নারের। প্রথম ১৮ বলে মাত্র ১৮ রান করা ওয়ার্নার ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ৩৪ বলে। অর্থাৎ পরের ১৬ বল থেকে তিনি করেন ৩৩ রান। মিচেল স্যান্টনারের করা পরের ওভারে পূরণ হয় অস্ট্রেলিয়ার দলীয় শতক।

তবে ওয়ার্নারকে বেশি দূর যেতে দেননি বোল্ট। ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করে দেন ওয়ার্নারকে। আউট হওয়ার আগে চার চার ও তিন ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

তাতেও অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। কেননা তৃতীয় উইকেট জুটিতেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালু রাখেন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইনিংসের ১৩ থেকে ১৭ ওভারের মধ্যে ৫০ রান নেন এ দুজন। যা অস্ট্রেলিয়ার জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেয়।

তবে ১৮তম ওভারে মিলনে দারুণ বোলিং করেন। যার বলে বাড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অপেক্ষা। পরে সাউদির করা ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেয় তারা। ম্যাক্সওয়েলের রিভার্স স্কুপে ফুরোয় দীর্ঘদিনের শিরোপার অপেক্ষা।

এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিউই ওপেনার গাপটিল।

কিন্তু পাওয়ার প্লে'তে সে তুলনায় রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের মতো দ্বিতীয় ওভারেও আসে একটি বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান সেমিফাইনালে কিউইদের জয়ের নায়ক মিচেল।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা সেই ওভারেই জীবন পান গাপটিল। তৃতীয় বলে তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগেছিল বল। কিন্তু সেটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। ফলে ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়ে যান গাপটিল।

তবে গাপটিলের ক্যাচ ছাড়লেও মিচেলকে ফেরাতে ভুল করেননি ওয়েড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ কাটার করেছিলেন জশ হ্যাজলউড। বলের গতি ব্যবহার করে লেট কাটের মতো খেলেন মিচেল। কিন্তু তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় ওয়েডের গ্লাভসে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৮ বলে ১১ রানের ইনিংসের।

মিচেলের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। প্রথম চার ওভারে ২৮ থেকে পরের দুই ওভারে কিউইদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে দারুণ বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে আটকে রেখেছেন অসি বোলাররা।

প্রথম উইকেটের সেই ধাক্কা টানা চার ওভার পর্যন্ত সইতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের পঞ্চম থেকে অষ্টম ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারিই হয়নি। আট ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে মাত্র ৪১ রান। উইলিয়ামসন তখন অপরাজিত ১২ বলে ৬ রানে আর গাপটিল খেলছিলেন ২৮ বলে ২২ রান নিয়ে।

সেখান থেকে নবম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান রেট কিছুটা বাড়িয়ে নেন উইলিয়ামসন। সেই ওভারেই পূরণ হয় কিউইদের দলীয় পঞ্চাশ। অ্যাডাম জাম্পার করা দশম ওভারে ছয়টি সিঙ্গেল নিলে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৭ রান।

ইনিংসের মাঝপথ পেরিয়ে যাওয়ার পরই যেন সম্বিৎ ফেরে উইলিয়ামসনের। মিচেল স্টার্কের করা ১১তম ওভারে পরপর তিন চারের মারে তুলে নেন ১৯ রান। স্টার্কের এই ওভারে উল্টো বিদায়ঘণ্টা বাজতে পারতো উইলিয়ামসনের। কিন্তু চতুর্থ বলে ক্যাচ ছেড়ে দেন হ্যাজলউড। ফলে ২১ রানে জীবন পেয়ে যান উইলিয়ামসন।

অ্যাডাম জাম্পার করা পরের ওভারে মার্টিন গাপটিল আউট হন ৩৫ বলে মাত্র ২৫ রান করে। তবে পথ হারাননি উইলিয়ামসন। ম্যাক্সওয়েলের করা ১৩তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ছক্কার মারে তুলে নেন ১৬ রান। সেই ওভারে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে হাঁকানো দ্বিতীয় ছক্কায় মাত্র ৩২ বলে ফিফটি পূরণ হয় কিউই অধিনায়কের।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ১৪তম ফিফটি। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তার ৩২ বলের ফিফটিই দ্রুততম। এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর কেউ এর চেয়ে দ্রুত পঞ্চাশ করতে পারেননি।

অধিনায়কের দেখাদেখি হাত খুলে মারতে শুরু করেন চার নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপসও। জাম্পার করা ১৫তম ওভারে একটি করে চার-ছক্কার মারে নিয়ে নেন ১২ রান। স্টার্কের করা পরের ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব চালান উইলিয়ামসন। চারটি চার ও এক ছয়ের মারে নিয়ে নেন ২২ রান।

এই ওভারে হাঁকানো ছক্কাটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন উইলিয়ামসন। পাশাপাশি একই ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডও নিজের করে নেন কিউই দলপতি।

নিজের প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে ১৯ রান দেন স্টার্ক। আর ১৬তম ওভারে ২২ রান খরচ করার মাধ্যমে মাত্র তিন ওভারেই ৫০ রান দিয়ে বসেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইক বোলার। যা বাড়িয়ে দেয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের চিন্তা।

ইনিংসের ১৬ ওভারের মধ্যে স্টার্কের করা প্রথম তিন ওভারে উইলিয়ামসন মোকাবিলা করেন ১২টি বল। যেখানে সাত চার ও একটি ছক্কা হাঁকান উইলিয়ামসন। যা কি না বিশ্বকাপের এক ম্যাচে নির্দিষ্ট কোনো বোলারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড।

স্টার্কের দেদারসে রান বিলানোর ধারাটা খানিক চেপে ধরেন অন্য দুই পেসার প্যাট কামিনস ও জশ হ্যাজলউড। কামিনসের করা ১৭তম ওভারে আসে মাত্র ৮ রান। পরের ওভারে ৫ রান দিয়ে উইলিয়ামসন ও ফিলিপসকে সাজঘরে পাঠান হ্যাজলউড।

আউট হওয়ার আগে ১০ চার ও তিন ছয়ের মারে ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন উইলিয়ামসন। যা কি না বিশ্বকাপ ফাইনালে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ঠিক ৮৫ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস।

অন্যদিকে ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এ দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটির সংগ্রহ মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৮ রান। ফিলিপস-উইলিয়ামসন ফিরে যাওয়ার পর শেষ দুই ওভারে আসে ২৩ রান। জিমি নিশাম ৭ বলে ১৩ এবং টিম সেইফার্ট করেন ৬ বলে ৮ রান।

স্কোরকার্ড

নিউজিল্যান্ড: ১৭২/৪ (মার্টিন গাপটিল ২৮, ড্যারেল মিচেল ১১, কেন উইলিয়ামসন ৮৫, গ্লেন ফিলিপস ১৮, জেমস নিশাম ১৩*, টিম সেইফার্ট ৮*; জশ হ্যাজলউড ৪-০-১৬-৩, মিচেল স্টার্ক ৪-০-৬০-০, অ্যাডাম জাম্পা ৪-০-২৬-১, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩-০-২৮-০, প্যাট কামিনস ৪-০-২৭-০, মিচেল মার্শ ১-০-১১-০)

অস্ট্রেলিয়া: ১৭৩/২ (অ্যারন ফিঞ্চ ৫, ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩, মিচেল মার্শ ৭৭*, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮; ট্রেন্ট বোল্ট ৪-০-১৮-২, টিম সাউদি ৩.৫-০-৪৩-০, অ্যাডাম মিলনে ৪-০-৩০-০, ইশ সোধি ৩-০-৪০-০, মিচেল স্যান্টনার ৩-০-২৩-০, জেমস নিশাম ১-০-১৫-০)

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল মার্শ (৭৭ রান)

ম্যাচ অব দ্য টুর্নামেন্ট: ডেভিড ওয়ার্নার (২৮৯ রান)