Wednesday, 16 February 2022

২৬ ফেব্রুয়ারি পর সিলেটে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া বন্ধ

২৬ ফেব্রুয়ারি পর সিলেটে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া বন্ধ


নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই দেশে এখন পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার মিলিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৮ ডোজ। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সিলেট সহ সারাদেশে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শেষ হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। যারা এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ পাননি তাদের বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় এনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এরপর আর কোনো স্থানেই প্রথম ডোজ না দিয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সময়ের মধ্যেই প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শেষ করতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সরকারিভাবে দেশের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা।
 
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৯৫৩ জনকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। এর মাঝে ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ২১ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও এক কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ৯৩২ জনকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ সংখ্যক জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা সারাদেশে একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। এদিন আমাদের সর্বোচ্চসংখ্যক ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমরা এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানাই। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে আমরা দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকব। তাই আর দেরি না করে সবাই এসে কোভিডের ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে— যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ও যারা মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই ভ্যাকসিন নেননি। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুহার কম। এমন অবস্থায় আমরা সবাইকে আহ্বান করছি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।

যারা এখন পর্যন্ত এক ডোজও পাননি তাদের ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১০ কোটির অধিক প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছি। ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে আমরা আরও কিছুদিন সময় পাচ্ছি। আশা করছি এর মাঝেও সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েই আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। রাজধানীতে ইতোমধ্যেই ভাসমান নাগরিকদের মাঝে ও দোকান কর্মচারীদের আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছি। অন্যান্য পেশারও যদি কেউ এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকে তবে তাদের আমরা তা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।
 
আশা করছি আমাদের যে সক্ষমতা তাতে ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে আরও অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। তিনি বলেন, এই কয়েকদিনের নিয়মিত ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষে আমরা ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেবো। এদিন আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির মাঝেই আমরা প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষ করব। এরপরে আমরা দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিতে চাই। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো সঙ্কট নেই। প্রতিটা কেন্দ্রেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি যারা এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেননি তারা খুব দ্রুতই সেটা গ্রহণ করে নিজেদের সুরক্ষিত করবেন।

এ দিকে বিভিন্ন জেলা পর্যায়েও ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য নেওয়া হচ্ছে নানা রকমের পরিকল্পনা। দেশে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৯ জন। কিন্তু এই সময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগে পিছিয়ে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিবাসীরা। তবে এই জেলাতেও বেড়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের হার। এর আগে, দেশে ২৭ জানুয়ারি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

একই দিন ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অফিসিয়ালি এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন শুরু করা হয়। কর্মসূচি উদ্বোধনের একদিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রাথমিকভাবে ৫৪১ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। এদিন জানানো হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ে।

২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সারা দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এর পরপরই বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়। ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ২৩ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের জন্য এসএমএস পাঠানো হচ্ছে না।

২৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে। তবে এটি চালু কবে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার ওপরে নির্ভর করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশে ১৯ জুন থেকে শুরু হতে হয় চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। রাজধানীর চারটি মেডিকেল কলেজসহ দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলায় এক যোগে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করে সরকার। চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে পাঁচ লাখ মানুষকে টার্গেট করা হয়। 
জকিগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মোশাররফ হোসেন

জকিগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মোশাররফ হোসেন




সিলেট জেলা পুলিশের জকিগঞ্জ থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মোঃ মোশাররফ হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে।

বুধবার তাকে জকিগঞ্জ থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ পদে পদায়ন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র লুৎফুর রহমান।

এর আগে তিনি সিলেট মেট্রপলিটন পুলিশের কতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জকিগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি আবুল কাশেমকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। 
যে রোগে মারা গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী

যে রোগে মারা গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী


উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ী আর নেই। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
 
বাপ্পী লাহিড়ী একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ড. দীপক নামজোসি জানিয়েছেন, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মারা গেছেন বাপ্পী লাহিড়ী।
 
এই রোগে ঘুমানোর সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। অর্থাৎ শ্বাস কখনো শুরু হয়, কখনো আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তবে সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হলো অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।

এই রোগে আক্রান্তের গলার পেশি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে যায়। এই পেশি মুখগহ্বরের টাকরা, আল জিভ, জিহ্বা ও টনসিলের মতো অংশগুলোকে ধরে রাখে। ফলে এই পেশির শিথিলতায় শ্বাস নেওয়ার পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে ও ঘুমের সময় আচমকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

এই রোগের একটি লক্ষণীয় উপসর্গ হলো সশব্দে নাক ডাকা। এছাড়াও ঘুমের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে আসা, আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া ও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায় এই রোগে।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ সেকেন্ডের বেশি এমন অবস্থা থাকলে দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, বার্ধক্য উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসনালীর সমস্যা এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
একটি গবেষণা বলছে, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই রোগের ফলে ঘুমের মধ্যে হ্রদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ নিয়ে সঙ্গীতের তিন মহাতারকা হারাল ভারত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান লতা মঙ্গেশকর।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি লতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।

আর গতকাল রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের স্বর্ণালী যুগের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, শৌচাগারে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা। দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নন্দিত গায়িকার। চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

১৯৭০-৮০ দশকে ‘চালতে চালতে,’ ডিস্কো ড্যান্সার এবং শারাবির মতো বেশ কিছু গান দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেন বাপ্পী লাহিড়ী। বাঘি থ্রিয়ের জন্য ভানকাস গানটি ছিল বলিউডে বাপ্পী লাহিড়ীর শেষ গান।

অন্য আর সব শিল্পী ও সুরকার থেকে বাপ্পী লাহিড়ীকে সহজেই আলাদা করা যায় তার শরীরে থাকা সোনার অলংকার ও সানগ্লাসের জন্য।
 
বলিউডে ভালোবেসে বাপ্পী লাহিড়ীকে সকলে ‘বাপ্পী দা’ বলে ডাকতেন।
 
গত বছরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তী এই সঙ্গীত শিল্পী। সে সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা



মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছাতে নিজেদের মুখ সেলাই করছেন অভিবাসীরা। মুখ সেলাই করা এসব অভিবাসীর সংখ্যা এক ডজন। নথিপত্রহীন এসব অভিবাসী মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থান করছেন এবং মেক্সিকো হয়ে মার্কিন সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি আদায়ে ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করে মুখ সেলাই করা অভিবাসীদের অনেকের ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থান করা এসব অভিবাসীর বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের। সুঁচ ও প্লাস্টিকের সুতো ব্যবহার করে তারা একে অপরের মুখ সেলাই করতে সহায়তা করছেন।

রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঠোঁট সেলাই করা হলেও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য মুখ একটু ফাঁকা রাখা হচ্ছে এবং সেলাইয়ের সময় রক্ত বন্ধ করতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
 
ইরিনিও মুজিকা নামে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক কর্মী বলছেন, ‘প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিজেদের দু’টি ঠোঁট একসঙ্গে সেলাই করছেন অভিবাসীরা। অভিবাসীরাও মানুষ এবং তাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা আশা করি, জাতীয় অভিবাসন ইনস্টিটিউট এই বিষয়টি দেখতে পাবে।’

গুয়েতেমালার সীমান্তবর্তী তাপাচুলা শহরের এই নাটকীয় প্রতিবাদে অংশ নেওয়াদের অনেকে তাদের সন্তানদেরও সঙ্গে রেখেছেন। গুয়েতেমালার এই শহরটি মাসের পর মাস ধরে হাজারও অভিবাসীতে পূর্ণ থাকে এবং বৈধ ভাবে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেতে অভিবাসীরা সেখানে অপেক্ষা করেন।

ইয়োরজেলিস রিভেরা নামে ভেনেজুয়েলার এক নারী বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্য এটি করছি। সে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে কিছুই খায়নি এবং …কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা কোনো সমাধানমূলক উদ্যোগও দেখতে পারছি না।’
 
রিভেরা আরও বলেন, আমরা এখানে বন্দির মতো অবস্থান করছি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মেক্সিকোর অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইএনএম’র কাছ থেকে উত্তরের জন্য আমি এখানে অপেক্ষা করছি।

সীমান্তে আটকে থাকা এসব অভিবাসীদের ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মেক্সিকোর অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তবে তারা জানিয়েছে, মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে অবস্থিত তাদের দফতরে প্রতিদিন এ বিষয়ক শতাধিক আবেদন জমা পড়ছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর মধ্য আমেরিকা থেকে লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে অনেকে পায়ে হেঁটে আবার অনেকে ‘ক্যারাভ্যান’ নামে পরিচিত বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছান।

অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে কার্যত সংগ্রাম করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। নিজ নিজ ভূখণ্ড থেকে মেক্সিকো পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছানোই এসব অভিবাসীর লক্ষ্য। অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব মানুষের দাবি, অত্যাচার, সহিংসতা ও দারিদ্র্যতার কারণে তারা মাতৃভূমি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চান।

রয়টার্স বলছে, সহিংসতা ও দারিদ্র্যতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে মেক্সিকোতে পৌঁছানো মানুষের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে। ২০২১ সালে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে আশ্রয় চাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। আশ্রয়প্রার্থী এসব মানুষের বেশিরভাগই হাইতি ও হন্ডুরাসের বাসিন্দা।

Tuesday, 15 February 2022

মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ ৪.৫৮ পেলেন সেই উজ্জ্বল

মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ ৪.৫৮ পেলেন সেই উজ্জ্বল


মুখ দিয়ে লিখে পরীক্ষা দেওয়া রংপুরের মিঠাপুকুরের জুবায়ের হোসেন উজ্জ্বল এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

উজ্জ্বল উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বালারহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেন।

উজ্জ্বল উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের হতদরিদ্র চাষি জাহিদ সারোয়ারের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

জানা গেছে, জন্মের পর থেকে বহুমাত্রিক শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তার বেড়ে ওঠা। নিজ বিছানাকে শ্রেণিকক্ষ বানিয়ে উজ্জ্বল দিনরাত মুখ দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়াশোনা করেন। শুধু তাই নয়, মুখ দিয়ে মোবাইল ফোন চালিয়ে অনলাইনে ক্লাসও করেছেন তিনি।

শারীরিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে জুবায়ের হোসেন উজ্জ্বলের অভাবনীয় এমন সাফল্যে খুশি তার পরিবার, কলেজের শিক্ষক ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।

উজ্জ্বলের বাবা জাহিদ সারোয়ার বলেন, এসএসসি পাস করার পর উজ্জ্বলকে বালারহাট কলেজে ভর্তি করে দেই। করোনার কারণে অটো পাস দেওয়ার খবরে তার মন খারাপ ছিল। তার ইচ্ছা ছিল, পরীক্ষা দিয়েই সে এইচএসসির বাধা টপকাবে। পরে সশরীরে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনে সে দারুণ খুশি হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অটোরিকশায় শুয়ে সে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া-আসা করতো। পরীক্ষার হলে বিছানায় শুয়ে মুখ দিয়ে কলম চালিয়ে সবগুলো পরীক্ষা দিয়েছে উজ্জ্বল। সে পরিবারের বোঝা না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে চায়। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।

উজ্জ্বল বলেন, ‘মুখ দিয়ে লিখতে আমার বেশ কষ্ট হয়। তবে সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

বালারহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও লেখাপড়ার দিকে মেধাবী উজ্জ্বলের দারুণ আগ্রহ। সে যে ফল এনেছে, তা অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীও করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার কেন্দ্রে শুয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ড থেকে অনুমতি নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা চাই, প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে সে জীবনে ভালো কিছু করুক।’ 
তরুণ-তরুণীর প্রেম নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৪

তরুণ-তরুণীর প্রেম নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৪


নোয়াখালীর সেনবাগে তরুণ-তরুণীর প্রেমকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রামের ৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় বাজার সংলগ্ন চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের ৩-৪টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় গ্রামের রাকিবের সঙ্গে বীরকোট গ্রামের নাসিমা আক্তার নুপুরের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের পরিবারের সদস্যরা কেউই রাজি ছিল না। দু’জনকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু তারা তাদের সম্পর্ক চালিয়ে আসেন।

এর জের ধরে সোমবার রাতে নুপুরের পরিবারের পক্ষে বীরকোট গ্রামের কিছু যুবক কেশারপাড় বাজারে রাকিবকে খুঁজতে আসেন এবং তাকে না পেয়ে বাজারের লোকজনকে গালমন্দ করে দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় তাদের বাজার কমিটির লোকজন বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় ইট ও লাঠির আঘাতে উভয় গ্রামের ৪ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। ঘটনার সময় আশপাশের বাড়িঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 
স্বামীর প্রতি ক্ষোভ থেকে নিজ সন্তানকে খুন করেন নাজমিন

স্বামীর প্রতি ক্ষোভ থেকে নিজ সন্তানকে খুন করেন নাজমিন


স্বামীর প্রতি ক্ষোভ থেকেই নিজের ১৭মাসের কন্যা সন্তানকে খুন করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নাজমিন। 

নিজ সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার এ ঘটনায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেভ্রুয়ারি) নাজমিনকে আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু রিমান্ডে প্রথম দিনেই সবকিছু স্বীকার করায় বাকী দুইদিন আর রিমান্ডের প্রয়োজন পড়েনি।

তাই শনিবার নাজমিনকে আদালতে প্রেরণ করলে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন ভূঁইয়া তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সিলেটপ্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসএমপি শাহপরাণ (রহ.) থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিসুর রহমান।
 
রিমান্ডে নাজমিন জানান, স্বামীর প্রতি ক্ষোভেই ১৭ মাস বয়সী শিশু সন্তান নুসরাত জাহান সাবিহাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছি। পুরো তিন মিনিট সাহিবার মুখে বালিশচাপা দিয়ে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন নাজমিন।

জানা যায়, ২০১৫ সালের মে মাসে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমিনের। বিয়ের ৬ মাস পর সাব্বির বিদেশে চলে যান। পরে তিনি শাহপরান এলাকার নিপোবন-৪৯ নং বাসায় থেকে সিলেটের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে থাকেন।

পুলিশের জবানবন্দিতে নাজমিন জানান, বিদেশের যাওয়ার পর থেকে সাব্বির ভরণ পোষন তো দূরের কথা, খোঁজ খবরও রাখেননি। উল্টো পরিচিতজনদের দিয়ে নাজমিনকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলতেন। এ অবস্থায় চার বছর পর ২০২০ সালে দেশে আসেন সাব্বির। দেশে এসে নাজমিনকে বুঝিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তিনি। তখন নাজমিন গর্ভবতী হন। তাকে গর্ভবতী রেখে সাব্বির আবারও কাতার চলে যান। তবে প্রবাসে যাওয়ার পরপরই গর্ভের সন্তান নিজের নয় বলে দাবি করেন সাব্বির।

নাজমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাতে থাকে, আমি বাধ্য হয়ে বলি- ডিএনএ টেস্ট করার কথা। কিন্তু সাব্বির তাতেও সায় দেননি। সন্তান জন্মের পর মেয়ের চেহেরা অবিকল তার বাবার মতো হওয়ায় তার সন্দেহ দূর হয়। সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। চার-পাঁচ দিন পর পর শুধু কয়েক মিনিটের জন্য মেয়েকে দেখতে যান। কিন্তু আমি স্ত্রী হিসেবে তাকে কাছে পাইনি।

নাজমিন বলেন, সাব্বির পরকীয় আসক্ত। সে বহু নারীর কাছে যায়। এজন্য আমার কাছে যাওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি।

নিজের অবুঝ শিশু সন্তানকে কেন হত্যা করলেন পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমিন বলেন, আমি সাব্বিরের দেওয়া কষ্ট, অপবাধ সইতে পারিনি। তাই ইমোশনাল হয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করেছি। হত্যার পর যখন বুঝতে পারি- আমি বড় ধরণের পাপ করে ফেলেছি, তখন আমার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নেই, আমার বমি করে। পরে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহমদ বুধবার রাতে বাদি হয়ে নাজমিনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১।


সূত্রঃ সিলেট প্রতিদিন