Tuesday, 18 March 2025

পানসী ও পাঁচ ভাই রেষ্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

পানসী ও পাঁচ ভাই রেষ্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা


সিলেট নগরীর দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জরিমানা করা হয় ১ লাখ টাকা।


সোমবার (১৭মার্চ) বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেততৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।


দুটি রেস্টুরেন্টের  মধ্যে নগরীর জিন্দাবাজারের পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত না করার অভিযোগে ও পানসি রেস্টুরেন্টকে বাসি খাবার সংরক্ষণ ও পরিবেশনের প্রস্তুতির অভিযোগে জরিমানা করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয় ১ লাখ টাকা।


অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, জরিমানা আদায়ের পাশপাশি সতর্ক করা হয়েছে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের। জনস্বার্থ বিবেচনায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোথাও ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন, গ্রাহক হয়রানি-জুলুমের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নঃ মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নঃ মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান



যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশটি উদ্বিগ্ন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে’ পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সোমবার  (১৭ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা নির্যাতন, হত্যা ও নিপীড়নের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বড় কারণ।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা কথা বলতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদী উপাদানের উত্থান প্রসঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, বাংলাদেশের সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভার মধ্যে আলোচনা কেবল শুরু হচ্ছে, তবে এখনও উদ্বেগের অবসান হয়নি।


দিল্লিতে ‘ইসলামিক খিলাফতের’ আদর্শ নিয়েও কথা বলেছেন তুলসি গ্যাবার্ড। উগ্রপন্থি উপাদান ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলো বৈশ্বিকভাবে কেমন করে এ ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে, তা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি৷ 

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়৷ সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো, ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা। এতে অবশ্যই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছাড়া অন্য যেকোনো ধর্মের মানুষের ওপর প্রভাব পড়ে। তারা এটা সন্ত্রাস ও অন্যান্য সহিংস পন্থায় বাস্তবায়নের পথ বেছে নেয়।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের আদর্শকে শনাক্ত ও পরাজিত করা এবং তিনি যেটাকে ‘কট্টর ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদ’ বলেন, সেটিকে নির্মূলের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসলামি সন্ত্রাসবাদের পেছনে যে আদর্শ কাজ করে তা চিহ্নিত করতে এবং এই আদর্শ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Sunday, 16 March 2025

সিলেটে রমজানেও থেমে নেই অসামাজিকতা : ৬ নারী-পুরুষ আটক

সিলেটে রমজানেও থেমে নেই অসামাজিকতা : ৬ নারী-পুরুষ আটক



পবিত্র রমজানেও থেমে নেই সিলেটে অসামাজিক কার্যকলাপ। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ফ্লাটেও চলছে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।


সিলেট নগরীর মেন্দিবাগ পয়েন্টের গার্ডেন টাওয়ারের ১২তম তলার ৪১২৪নং ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসএমপি'র সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর একটি টিম।


অভিযানে পাঁচ নারী ও এক পুরুষকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, শামীম আহমদ (৩৪), আয়েশা আক্তার (৪০), সুপ্রিয়া চৌধুরী (২২), জারা আহমদ (১৮), তানিশা বেগম (২৩), জাহানারা বেগম (৪০)।


বিষয়টি রোববার রাতে নিশ্চিত করেছেন এসএমপি'র মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। 


তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপি এ্যাক্টের ৭৭ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে। 
রমজানের মাহাত্ম্য নষ্ট করে ইফতারি নামক কুপ্রথা

রমজানের মাহাত্ম্য নষ্ট করে ইফতারি নামক কুপ্রথা



শুরুটা করছি একটি ঘটনা দিয়ে-

রমজান মাসের ঠিক চার মাস পূর্বে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন শামীম আহমদ ও হেলেনা বেগম। বিয়ের পর প্রথম রমজান মাসে ইফতারি আসবে সেই আশায় থাকেন বরের পিত্রালয়ের লোকজন। সিলেটের ঐতিহ্য হিসেবে যথারীতি হেলেনার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ইফতার পাঠানোও হয়। কিন্তু সেই ইফতার সামগ্রী শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনমতো হয়নি। আর সেটা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নানান কথা শুনতে হয় হেলেনাকে। এরই জেরে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন হেলেনা। ঘটনাটি সিলেটের জৈন্তাপুরের। 

পুরো দেশেব্যাপী এরকম ৮/১০টি ঘটনা প্রতি রমাজনেই ঘটে থাকে। এরকম আত্মহত্যার ঘটনা এমনকি ডিভোর্স, অত্যাচার-নির্যাতনে কত বিবাহিতার সংসার তছনছ হয়ে যায় তার ইয়ত্তা নেই।  ইফতারি, আম-কাঠালী, বরের আত্মীয়স্বজনদের কাপড়চোপড় উপহার সামগ্রী-সহ হরেক রকমের কুপ্রথা যেন আমাদের সভ্য সমাজের মানুষজন অসভ্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। এসব রেওয়াজ কতশত পরিবারের হাহাকার বয়ে আনে তা আমরা ক'জনই জানি? সামাজিক রীতির নামে সিজনালভাবে আমরা আত্মহত্যা, ডিভোর্স আর পারিবারিক কলহের জন্ম দিচ্ছি সেদিকে আমাদের কারো ভ্রুক্ষেপই নেই!

অথচ, রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার নৈকট্যলাভের সুযোগ মেলে এ মাসে। কিন্তু পবিত্র এই মাসে ইফতারি নামক নিন্দিত কাজ ক্ষুণ্ণ করছে রমজানের মাহাত্ম্য। ইফতারি প্রথা দরিদ্রদের জন্যে এক মহাআতঙ্কের নাম ও ধনবানদের জন্যে এক বিলাসী প্রথা।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই প্রথার প্রচলন রয়েছে। আর এটা এমনভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে গেছে যে, শ্বশুরবাড়ি থেকে ইফতারি আসতেই হবে। অনেক সময় দরিদ্র বাবা মেয়ের সুখের জন্যে নিজের কষ্ট লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ইফতার পাঠায়। অন্যদিকে ইফতার প্রেরণেই যে মেয়ের নিষ্কৃতি মিলবে- এমন নয়। বাড়ির অন্য বউদের শ্বশুরবাড়ি থেকে পাঠানো ইফতারের সঙ্গে তুলনাও করা হয়। যার শ্বশুরবাড়ি থেকে যত বেশি ইফতার আসে তার ততো সুনাম। তেমনি যে মেয়ের বাবার সে সক্ষমতা কম তিনি ইফতার দিয়ে খুশি করতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে কথা শুনতে হয় মেয়েকে।
হয়তো মেয়েটি জানে তার বাবার অবস্থা তবুও শ্বশুরবাড়িতে নিজের সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখতে অনেক সময় ভেতরে চাপা কষ্ট নিয়েই বাবাকে অনুরোধ করে। মেয়ের আবদার ফেলতে পারেন না বাবা। যেভাবেই হোক টাকা সংগ্রহ করেন। সামাজিকতার এই নিয়মের চাহিদা মেটাতে কেউ সুদে টাকা নেন, কেউ গরু বিক্রি করেন কেউবা নিজের চিকিৎসার টাকা দিয়ে ইফতার সামগ্রী কিনে মেয়ের বাড়িতে পাঠান।

পক্ষান্তরে বিত্তশালী পরিবারগুলোতে চলে ইফতার প্রেরণের প্রতিযোগিতা। কে কতো বেশি ইফতার পাঠালো, কতো খরচ করলো- এ জাতীয় হিসাব-নিকাশে চলে যায় রমজান মাস।

তবে এই প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার বর্তমান প্রজন্ম। অনেকেই এ কুপ্রথা ভেঙ্গে দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমি নিজেও এই প্রথার ঘোর বিরোধী। আমার বিয়ের পর এবারের রমজানই প্রথম রমজান মাস। সে উপলক্ষে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ইফতারি আসবে এমন প্রস্তাবনা শুনার সাথে সাথেই আমি তা শক্তভাবে বারণ করি। সবাইকে বুঝিয়ে বলি এসব কুপ্রথা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিৎ। কিন্তু শশুড়বাড়ির লোকজন সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যাহার করতে মোটেও রাজি নন। কিন্তু আমার অনড় অবস্থান এবং বিস্তর আলোচনার পর উনারাও নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করেন। 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে একটি বিষয় বেশ পরিষ্কার, আর তা হচ্ছে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব কুপ্রথা আমাদের সমাজে বেশ শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে। আমার শ্বশুরালয়ের সকলেই সমাজ সচেতন মানুষ। অথচ এই কুপ্রথাকে উনারাও সহজে বর্জন করার পক্ষে নয়। তার একমাত্র কারণ আমাদের সমাজের দৃষ্টিকোণ। আমার ঘরে ইফতারি না আসলে হয়তো উনাদের মেয়ের সম্মান কমে যাবে, অথবা আশেপাশের অনেকের ইফতারি আসবে আমার ঘরে না আসলে তা বেমানান দেখাবে এমন চিন্তা প্রত্যেক শ্বশুরালয়ের মানুষজনের মনে বিচরণ করে। বাস্তবে ঘটেও তা। সুতরাং ইফতারি প্রথা বর্জন করতে হলে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। 

আমি এব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কে কি মনে করলো তাতে আমার ভ্রুক্ষেপ নেই। ইফতারি না আসলে যে গৃহকর্ত্রীর সম্মান কমে যাবে কিংবা তা মানদণ্ডে বিচার করা হবে তার পক্ষে আমি মোটেও নই। প্রসঙ্গত বলতে হয় যে, শ্বশুরালয় থেকে চাইলেই ৫০০ মানুষের ইফতারি আসবে এমন সামর্থ্যও উনাদের রয়েছে, মাশাআল্লাহ। কিন্তু চাইলেই ইফতারি পাওয়া যাবে তবে সমাজ থেকে ব্যাধি দূর করা চাইলেই সম্ভব নয়। তাই আমরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এসব ব্যাপারে এখনই সোচ্চার না হই তবে তা দূর করতে আরোও এক মহাকাল পথ পাড়ি দিতে হবে।

সমাজে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এসব কুপ্রথা সামাজিক ব্যাধি হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করে ফেলেছে। তাই আসুন সবাই এসব কুদৃষ্টিভঙ্গি ও ইফতারি, আমকাঠালী-সহ সকল কুপ্রথার ব্যাপারে সোচ্চার হই। মনে রাখবেন, এসব কুপ্রথাকে যারা উৎসাহিত করেন তারা সকলেই আত্মহননকারী, বিবাহ বিচ্ছেদ ও নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর জন্য সমান অপরাধী। তাই এসব কুপ্রথাকে উৎসাহিকরণ নয়, দৃঢ়তার সহিত বর্জন করুন। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়-

আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে!'

বর্তমান প্রজন্মের সকলেই সচেতন, তাই এ প্রজন্ম জেগে উঠলেই রাত পোহাবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

সালমান কাদের দিপু
সম্পাদক ও প্রকাশক
কুশিয়ারা নিউজ।

Saturday, 15 March 2025

মায়ের সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ, থানায় বাবার অভিযোগ

মায়ের সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ, থানায় বাবার অভিযোগ


ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মায়ের সহায়তায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরীর বাবা একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার কারণে বাড়িতে থাকতে পারেন না।

এই সুযোগে স্ত্রী ফরিদা পারভীন তার ১২ বছর বয়সী কন্যাকে ভগবাননগর গ্রামের রবির ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ ও কৃষ্ণ কুমার মণ্ডলের ছেলে সন্ন্যাসী মণ্ডলের কাছে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিতেন। 

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গত ৭ মার্চ ভগবাননগর গ্রামের জোছনার মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে শরীফ এসে তার স্ত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতন চালান। এ ছাড়া একইভাবে গত ৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে সন্ন্যাসী কুমার পার্শ্ববর্তী কুলচারা গ্রামের তোজামের বাড়িতে নিয়ে তার কন্যাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। 

বাদী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা কেউ যাতে দেখতে না পায় সে জন্য তার স্ত্রী ফরিদা পারভীন ঘরের বাইরে থেকে পাহারা দিতেন।

গত ১২ মার্চ তার মেয়ে ধর্ষণের এসব ঘটনা তাকে জানালে স্ত্রীর সঙ্গে বাদীর ঝগড়া ও কথা-কাটাকাটি হয়।

এ বিষয়ে ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শরীফ ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পূলহরি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে থানার ওসি মাসুম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তার পরও আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত ১২ মার্চ তার মেয়ে ধর্ষণের এসব ঘটনা তাকে জানালে স্ত্রীর সঙ্গে বাদীর ঝগড়া ও কথা-কাটাকাটি হয়।

এ বিষয়ে ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শরীফ ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পূলহরি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে থানার ওসি মাসুম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তার পরও আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



সূত্র: কালেরকণ্ঠ
রমজান মাসে বিয়ে বাড়িতে ‘উচ্চ শব্দে’ গান, হামলায় আহত ১৫

রমজান মাসে বিয়ে বাড়িতে ‘উচ্চ শব্দে’ গান, হামলায় আহত ১৫


হবিগঞ্জের বাহুবলে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর অভিযোগে বিয়ে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করেছে একদল যুবক। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে বাহুবলের লামাতাশি ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

স্থানীয়রা জানান, ঘোষপাড়া গ্রামের হামিদ মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ইমন মিয়ার বিয়ে ঠিক হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে সাউন্ড বক্সে গান বাজানো হচ্ছিল। এসময় সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের কয়েকজন এসে গান বন্ধ করতে বলেন।

এর জেরে শুক্রবার দুপুরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কনের বাড়িতে হামলা চালায় একদল যুবক। এতে কনের মা-চাচিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে দুজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও তিন জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, “হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় সাবেক শিবির নেতা আটক

প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় সাবেক শিবির নেতা আটক



বরিশালের উজিরপুরে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তির অবস্থায় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা মাইনুল ইসলামকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে মুসল্লিবাড়িতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই বাড়িসংলগ্ন মসজিদে আগে ইমামতি করতেন মাইনুল। তার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে।

মাইনুল গৌরনদী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তবে জামায়াত দাবি করেছে, মাইনুল শিবিরের বহিষ্কৃত কর্মী।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদসংলগ্ন পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মাইনুলের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই তিনি (মাইনুল) ওই নারীর ঘরে অবাধে যাতায়াত করতেন। ওত পেতে থাকা স্থানীয় লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে নারীসহ মাইনুলকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নারীসহ মাইনুলকে গৌরনদী থানায় নিয়ে আসে।

গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিকে অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর গৌরনদী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা আল আমিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আগে শিবির করতেন। নানা বদমান থাকায় তাঁকে অনেক আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিবিরের বর্তমান কমিটির কোনো নেতার মোবাইল ফোন নম্বরও মাইনুলের কাছে নেই বলে দাবি করেন মাওলানা আল আমিন।