![]() |
ফাইল ছবি |
الأحد، 3 أبريل 2022
الأحد، 27 مارس 2022
কুলাউড়ায় পাখির বাসা খুঁজতে গিয়ে টিলা ধ্বসে প্রাণ গেল ৩ শিশুর
الأربعاء، 23 فبراير 2022
কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে পথশিশুর পা বিচ্ছিন্ন
الثلاثاء، 1 فبراير 2022
মৌলভীবাজারে আমেরিকায় পড়তে যাওয়ায় ঝর্ণা'র পরিবার ‘সমাজচ্যুত’
الأحد، 7 نوفمبر 2021
কমলগঞ্জে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার দুই আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত
মৌলভীবাজারের মিরতিংগা চা বাগানে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দুই জন কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর ব্যাটালিয়ান কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের দাবি, ৭ নভেম্বর রবিবার ভোরে মৌলভীবাজারের মিরতিংগা চা বাগান এলাকায় নিহত দুই জন র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহতদের একজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছেন কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত একজন নাজমুল হত্যার ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তোফায়েল মিয়া (৩৫)। তবে নিহত সুধাংশ দত্তের নাম মামলার এজাহারে নেই।
এদিকে শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জামাল জানান, ভোরে শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্প থেকে দুটি লাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কমলগঞ্জের চৈত্রঘাটে গত ৩১ অক্টোবর সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত নাজমুল হাসানের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯ সন্ত্রাসী। সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল।
নাজমুল ফেসবুক লাইভে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চার জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল। তার দাবি, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তার মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয় সেই দাবিও জানিয়েছিলেন নাজমুল।
الاثنين، 13 سبتمبر 2021
‘ম্যাগনেট পিলার’ খোঁজার বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব
الأحد، 5 سبتمبر 2021
কুলাউড়ায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ৩
الثلاثاء، 20 يوليو 2021
মৌলভীবাজারে একদিন আগেই ঈদের নামাজ পড়লেন শতাধিক পরিবার
মৌলভীবাজারে একদিন আগেই প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লি ঈদ উল আযহার নামায পড়েছেন। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ১৪ বছর ধরেই তাদের এ রীতি চলে আসছে বলে জানান নামজের ইমামের আসনে থাকা আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি ভারত)।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামক বাসার উঠানে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত ও কোরবানি করা হয় বলে জানান, নামজের ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী।
এসময় সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মুসল্লিরা নামাজ শেষে কোলাকোলি করেন।
আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর জানান, গত ১৪ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই এই নামায আদায় করছেন। প্রথমে তার বাসার ছাঁদে আর এখন তার উঠানে নামাজ আদায় করছেন।
الأحد، 4 يوليو 2021
বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী
বড়লেখায় পেট্রোল ঢেলে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছেন পাষণ্ড এক স্বামী। এ ঘটনায় ওই স্ত্রীর হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন গৃহবধূ রহিমা বেগম (২০)। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ উঠেছে, বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন তার স্বামী। এতে রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রোল ঢেলে রহিমাকে তার স্বামী পুড়িয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে। রহিমার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।’
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-মুখসহ শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে শিপন আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হতো। এতে স্বামী ও তার স্বজনরা রহিমাকে নির্যাতন করতো। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার সমাধান করে দিলেও কোনো লাভ হয়নি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।
এদিকে স্বামী ও তার স্বজনদের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাতমাস আগে এক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি হরিপুর গ্রামে চলে আসেন রহিমা। সন্তানকে দেখার সুযোগে প্রায় শ্বশুর বাড়িতে আসতেন রহিমার স্বামী শিপন আহমদ। গতকাল শনিবার (০৩ জুলাই) শিপন সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। রাতে সেখানে ঘুমান তিনি। কিন্তু ভোররাত পাঁচটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রহিমা বেগমের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন শিপন। ঘটনার পরই তিনি পালিয়ে যান। রহিমার চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিপনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পশ্চিম হাতলিয়া এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলাম সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রহিমা বেগমকে তার স্বামী শিপন আহমদ পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সিলেট একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রহিমার স্বামী শিপন ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই রহিমাকে নির্যাতন করতেন। বিষয়টি কয়েকবার বসে আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এরপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাত মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রহিমান। তাদের পরিবারে এক সন্তান রয়েছে। এই সুযোগে রহিমার স্বামী শিপন তাকে দেখতে আসতো। ঘটনার রাতেও শিপন শ্বশুর বাড়িতে এসে থেকেছে। ভোরবেলা সে স্ত্রী রহিমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।’