‏إظهار الرسائل ذات التسميات স্থানীয় সংবাদ. إظهار كافة الرسائل
‏إظهار الرسائل ذات التسميات স্থানীয় সংবাদ. إظهار كافة الرسائل

الخميس، 14 أبريل 2022

চন্দরপুরে গোলারখাল রোডের বেহাল দশা: গর্ত-কর্দমাক্তে দুর্ভোগ চরমে

চন্দরপুরে গোলারখাল রোডের বেহাল দশা: গর্ত-কর্দমাক্তে দুর্ভোগ চরমে


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামের গোলারখাল সংলগ্ন রাস্তাটিতে ব্যাপক গর্ত আর কর্দমাক্তে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে যানবাহন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলে ব্যাপক দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবী, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়া এবং খাল খননকাজের অব্যবস্থাপনাই এই দুর্গতির কারণ। তারা জানান, স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানদের বারংবার প্রতিশ্রুতি থাকলেও উন্নয়নের মুখ দেখেনি রোডটি।


সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গোলারখাল সংলগ্ন এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া বিগত ২বছর পূর্বে খাল খনন কাজের অব্যবস্থাপনায় রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। অথচ এই দীর্ঘদিনেও রাস্তাটির মেরামতে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে এব্যাপারে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি তিনি।

স্থানীয়রা জানান, বিগত (২০১৬) ইউপি নির্বাচনে এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ। অথচ এই দীর্ঘ ৬বছরেও রাস্তাটির প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে।


রাস্তাটির ব্যাপারে কথা হলে ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল জানান, আপাতত ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তাটির সংস্কার কাজের কোনো বরাদ্দ নেই। তবে উপজেলা পরিষদে এ রাস্তাটির উন্নয়নকাজের প্রস্তাবনা দেয়া রয়েছে। সেখান থেকে শীগ্রই তা পাস হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

الجمعة، 25 مارس 2022

গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক

গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক


গোলাপগঞ্জের বানিগাজী গ্রাম থেকে ইয়াবা-সহ ৩ যুবককে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে বানিগাজী কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া তাদের নিকট আরোও ইয়াবা ছিলো, যা তারা কৌশলে অন্যত্র ফেলে দেয় বলেও জানানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের হাজী মোঃ ফারুক উদ্দিনের পুত্র আতাউল কবির রুমন (২৩), চন্দরপুর গ্রামের মরহুম জিলাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ আলী কাজল, বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের সদরপুর নালগ্রামের মরহুম পংকি মিয়ার পুত্র সাইদুর রহমান (২৭)।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৩ টার দিকে এস.আই পার্থ সারথী দাসের নেতৃত্বে ওই ৩ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এ.এস.আই শাহী্নুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য মুর্শালিন, শায়হান, আনোয়ার হোসেন বাবলু ও আলী আহসান।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এস.আই পার্থ সারথী দাস।

الثلاثاء، 22 مارس 2022

বানিগাজীতে মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

বানিগাজীতে মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত


গোলাপগঞ্জের বানিগাজীতে মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলীর পুত্র মরহুম ডাঃ আব্দুল মতিন এবং ডাঃ আব্দুল মতলিবের বাড়িতে সোমবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রি এ মেডিকেল ক্যাম্পে আগত ৫ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র এবং ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

এসময় চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ ফয়ছল মাহমুদ (এম.বি.বি.এস), সিলেট আল হারামাইন হসপিটালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আলেয়া ফেরদৌস নিপা (গাইনি বিভাগ), সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহনেওয়াজ মাহমুদ সৌরভ (এম.বি.বি.এস, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগে অভিজ্ঞ) এবং সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার মাহমুদ সাগর (এম.বি.বি.এস)।

এছাড়া মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার স্থানীয় চন্দরপুর বাজারের শাপলা ফার্মেসিতে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে রোগীগণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

السبت، 26 فبراير 2022

চন্দরপুরে ২ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?

চন্দরপুরে ২ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?


বিশেষ প্রতিবেদনঃ গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তৈরি হয়েছে রহস্যের ধুম্রজাল। গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগম নামের ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সে চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

শিউলী বেগমের পিত্রালয়ও একই এলাকায়। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে।

ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছেন শিউলী বেগমের পরিবার। তাদের দাবী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে শিউলী বেগমের নিথর দেহ।


স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় প্রায় দুই মাস শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করেন, এমনকি হাসিমুখে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরেন। সালিশ-বৈঠকে শিউলী বেগম চেয়ারম্যান-মেম্বারগণকে স্বামীর বাড়িতে ফেরার পূর্ণ অনুমতিও দিয়েছিলেন। অথচ, স্বামীর বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ইকবাল হোসেন বাড়িতে আসলে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় শিউলী বেগম ঘুমিয়ে আছেন মনে করে ইকবাল আবারও বাড়ির বাইরে চলে যান। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের ভেতর শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসলে বলা যাবে না। লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তিনি। তবে ময়না তদন্ত শেষেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এঘটনায় শিউলী বেগমের পিতৃ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর মনে রয়েছে সংশয়। ঘটনাটি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা? এ প্রশ্নের সঠিক খোঁজ পেতে প্রশাসনের সর্বাত্মক তৎপরতা কামনা করেন তারা। তবে এ পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষাই করতে হচ্ছে সবাইকে।

আরোও পড়ুনঃ

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ সন্ধ্যায় লামা-চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে ময়না তদন্ত শেষে শিউলী বেগমের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার পিত্রালয়ে। তার পিতার বাড়ি একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শিউলী বেগম(২৫) চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছেন শিউলী বেগমের পরিবার। আর প্রত্যক্ষদর্শী-সহ এলাকাবাসী রয়েছেন রহস্যের বেড়াজালে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় প্রায় দুই মাস শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরেন। স্বামীর বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ইকবাল হোসেন বাড়িতে আসলে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় শিউলী বেগম ঘুমিয়ে আছেন মনে করে ইকবাল আবারও বাড়ির বাইরে চলে যান। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের ভেতর শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

তবে শিউলী বেগমের পরিবারের দাবী, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তারা।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।

الجمعة، 25 فبراير 2022

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিউলী বেগমের স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন। তাদের ২ কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলেও জানান তারা। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে পরিবারের লোকজন জানান, ইকবাল হোসেন গতকাল(বৃহস্পতিবার) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। 

শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন।

বিস্তারিত আসছে....

বিস্তারিত পড়ুনঃ 

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

الأربعاء، 23 فبراير 2022

বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘর পরিদর্শনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ও সিলেট জেলা পুলিশ

বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘর পরিদর্শনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ও সিলেট জেলা পুলিশ



গোলাপগঞ্জের বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া সেই বসতঘর পরিদর্শন করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানা এবং সিলেট জেলা পুলিশের মোবিলাইজেশন কন্টিনজেন্ট এর অফিসার ফোর্স। মঙ্গলবার রাত ১১টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এসআই মোফাখখারুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেন।

এসময় অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ঘর পরিদর্শন করে এসআই মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। ঘরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি ঘরের স্বত্বাধিকারীদের সাথে কথা বলে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বানিগাজী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথ ঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া বসতঘরের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ করে এমন দুর্ঘটনায় একমাত্র বসতভিটা হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন ফয়েজ মাস্টার এবং আব্দুল হামিদের পরিবার। তারা সরকারের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া হঠাৎ করে নিঃস্ব হওয়া পরিবার দুটিকে সরকারী-বেসরকারি পর্যায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন বলেও মনে করেন সমাজের সচেতন মহল।

الأحد، 20 فبراير 2022

ছবিতে দেখুন বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ধ্বংসাবশেষ

ছবিতে দেখুন বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ধ্বংসাবশেষ

রান্নাঘরের ধ্বংসাবশেষ।
গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ন'টায় গোলাপগঞ্জের বানিগাজী গ্রামের দুটি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ছবি।
আব্দুল ফয়েজ ও আব্দুল হামিদের এই সেই যৌথ বসতঘর। যার পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া একটি কক্ষের ধ্বংসাবশেষ।
অপর আরেকটি কক্ষের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ।
পুড়ে যাওয়া একটি ঝুলন্ত ফ্যান।
অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরের দেয়াল।
অগ্নিকাণ্ডে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মায়া আর মমতা দিয়ে গড়া অনেক শখের ঘরটি
মেঝেতে পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র
ছাই হয়ে পড়ে আছে ঘরের আসবাবপত্র।
মেঝেতে পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে ব্যবহৃত জিনিসপত্র
ব্যবহারযোগ্য কিছুই নেই আর অবশিষ্ট।
এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আব্দুল মুহিতের আংশিক পুড়ে যাওয়া ঘর।

আরোও পড়ুনঃ 

বানিগাজীতে দু'টি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডঃ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি






السبت، 19 فبراير 2022

বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা

বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা

গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের পুড়ে যাওয়া সেই বসতঘর পরিদর্শন করেছেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি খাদ্য সামগ্রী ও শীত নিবারণী কম্বল নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান।

এসময় পরিবারগুলোর সাথে তিনি কথা বলেন এবং স্বচক্ষে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বসতঘর ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান।

ঘরের ভিতর পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ

পরিদর্শন শেষে নাজিরা বেগম শিলা বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো উপজেলা পরিষদ এবং সরকারের বিশেষ তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতিও আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলিম উদ্দিন বাবলু, বানিগাজী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর নুর, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ লিটন, কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক সালমান কাদের দিপু, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তাহের আহমদ প্রমুখ।

ঘরের ভিতর পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ

উল্লেখ্য, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বানিগাজী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথ ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দু'টি বসতঘরের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


এদিকে, দুর্ঘটনার সময় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ে গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিম দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে ফায়ার সার্ভিস টিম আসার পূর্বেই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ মুহুর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহত্তর চন্দরপুর এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এসময় শতশত মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকল বাহিনী এসেই পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিমের লিডার মোঃ লিয়াকত আলী জানান বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এলাকাসীর সহযোগিতায় দীর্ঘসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও জানান তিনি।
বানিগাজীতে দু'টি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডঃ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বানিগাজীতে দু'টি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডঃ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


গোলাপগঞ্জের বানিগাজীতে দু'টি বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথ ঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দু'টি বসতঘরের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার সময় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ে গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিম দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে ফায়ার সার্ভিস টিম আসার পূর্বেই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ মুহুর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহত্তর চন্দরপুর এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এসময় শতশত মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকল বাহিনী এসেই পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিমের লিডার মোঃ লিয়াকত আলী জানান বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এলাকাসীর সহযোগিতায় দীর্ঘসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও জানান তিনি।

الأربعاء، 26 يناير 2022

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিবন্ধন পেলো বানিগাজী যুব সংঘ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিবন্ধন পেলো বানিগাজী যুব সংঘ


গোলাপগঞ্জ উপজেলার বানিগাজী গ্রামের সামাজিক সংগঠন 'বানিগাজী যুব সংঘ'কে নিবন্ধন দিয়েছে
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেট। যার নিবন্ধন নং- যুবউ/সিল/০০৯৮/২০২১

গত ২৯ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেট-এর উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সনদে এ তথ্য জানা যায়।

উল্লেখ্য, গ্রামের জনকল্যাণমূলক কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বানিগাজী যুব সংঘ। ইতোমধ্যে গ্রামের বেশকিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেছে সংগঠনটি।

এদিকে সংগঠনটি নিবন্ধিত হওয়ায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং সংগঠনের সকল সদস্য-সহ গ্রামবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুব সংঘের সভাপতি সুলতান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ লিটন। সংগঠনটি যেন আজীবন সামাজিক ও মানবতার কাজে অংশ নিয়ে সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছতে পারে সেজন্য সকলের দোয়া ও পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন তারা।

السبت، 4 سبتمبر 2021

চন্দরপুরে যুবকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মানিব্যাগ হারিয়েছেঃ খোঁজ পেতে সহযোগিতা কামনা

চন্দরপুরে যুবকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মানিব্যাগ হারিয়েছেঃ খোঁজ পেতে সহযোগিতা কামনা



চন্দরপুর চৌমুহনীতে প্রবাস ফেরত যুবকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং প্রবাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-সহ একটি মানিব্যাগ হারিয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে চৌমুহনীর একটি দোকানে ফ্লেক্সিলোড করে ফেরার পথে মানিব্যাগটি হারিয়ে যায়।

প্রবাস ফেরত ওই যুবকের বাড়িও চন্দরপুর গ্রামে। সে আতাউল হক লনি মিয়ার পুত্র শাহরিয়ার আহমদ কামরান।


কামরান জানান, যোহরের নামাজের সময়ে আমি ফ্লেক্সিলোড করে চন্দরপুর পূর্ব মহল্লা জামে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে যাই। মসজিদে নামাজ শেষেই খেয়াল করি পকেটে মানিব্যাগটি নেই। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মানিব্যাগটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।

তিনি বলেন, মানিব্যাগটিতে আমার সৌদি আরবের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র-সহ প্রায় ৫ হাজার টাকাও ছিলো। কোনো হৃদয়বান ব্যাক্তি যদি মানিব্যাগটি খোঁজে পান তবে নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

যোগাযোগঃ
শাহরিয়ার আহমদ কামরান
মোবাইলঃ ০১৭৯১-৪৫৭৬০১

الجمعة، 3 سبتمبر 2021

বাদ জুম্মা চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে সোনাহর আলী'র জানাযাঃ সকলের উপস্থিতি কামনা

বাদ জুম্মা চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে সোনাহর আলী'র জানাযাঃ সকলের উপস্থিতি কামনা





গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব, প্রবীণ মুরব্বী হাজী সোনাহর আলী'র জানাযার নামাজ আজ বাদ জুম্মা (দুপুর ২টা) চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।এতে সকলের উপস্থিতি ও দোয়া কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যবৃন্দ।



এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সোনাহর আলী (সুনাই হাজী) তাঁর নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র, ৩ কন্যা ও নাতিনাতনি-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চন্দরপুর ও আশপাশ এলাকার সালিশ ব্যক্তিবর্গ-সহ মুরব্বী-যুবসমাজ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

الجمعة، 16 يوليو 2021

চন্দরপুরে একসাথে স্বামী-স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

চন্দরপুরে একসাথে স্বামী-স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত



গোলাপগঞ্জে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১১ ও ১২ তারিখের নমুনা পরীক্ষায় উপজেলাজুড়ে নতুন করে আরও ১৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ দুই দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর ইসলাম শাহিন।

আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী গ্রামের ২ জন, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামের ২ জন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ১ জন, বাদেপাশা ইউনিয়নের ২ জন, গোলাপগঞ্জের ৩ জন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ১ জন, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ২ জন এবং আমুড়া ইউনিয়নের ২ জন৷

বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামের আক্রান্ত ২জন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী গৃহিণী এবং স্বামী সাবেক স্কুল শিক্ষক। তারা কিছুদিন থেকে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হওয়ায় করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। এতে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

তবে আক্রান্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা এখন সুস্থ রয়েছেন। শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ প্রায় নেই বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত ওই মহিলা। তিনি জানান তার স্বামীও এখন প্রায় সুস্থ রয়েছেন।

তবে উপজেলার করোনা শনাক্তের সর্বশেষ আপডেট ইউনিয়নভিত্তিক জানানো হলেও সঙ্গত কারণে রোগীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা হচ্ছে। তাই নিজ নিজ এলাকার  সর্বশেষ তথ্য জেনে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।

এদিকে চন্দরপুর গ্রাম ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে সচেতনতার কোনো বালাই নেই সেখানে। কঠোর লকডাউনেও সেখানে অবাধে চলাচল ছিলো এলাকাবাসীর। অথচ মহামারি করোনা সেখানে কড়া নাড়াচ্ছে। ফলে নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে নিরাপদ দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার এবং সর্বোপরি সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন সচেতন মহল।