‏إظهار الرسائل ذات التسميات কবিতা. إظهار كافة الرسائل
‏إظهار الرسائل ذات التسميات কবিতা. إظهار كافة الرسائل

الاثنين، 7 فبراير 2022

প্রকাশিত হলো— কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহর নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’

প্রকাশিত হলো— কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহর নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’


যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি, ইমেইল বডিতে সময়ের অনুবাদ কবিতাগ্রন্থের সাফল্যের দুবছর পর প্রকাশিত হল কবি, গল্পকার এ কে এম আব্দুল্লাহর নিজস্ব ধারার নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’।  

বইটি ২০২২ এর মহান একুশের গ্রন্থমেলায় অনার্য প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এছাড়া রকমরারী-সহ বিভিন্ন লাইব্রেরিতেও পাওয়া যাবে। বইটি প্রকাশ করেছে অনার্য প্রকাশনী। 

উল্লেখ্য, কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে কবিতায় তৈরী করেছেন তার এক নিজস্ব ধারা। যা পাঠকসমাজে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। আধুনিতায় ভরপুর প্রতিটি লাইন পাঠককে কৌতূহলী করার পাশাপাশি নিয়ে যায় এক ব্যাকুল ভাবনার রাজ্যে।নতুন এবং ভিন্ন স্বাদের তাঁর এ বইটিও পাঠক নন্দিত হবে বলেই প্রত্যাশা।

الثلاثاء، 1 فبراير 2022

এড. ইকবাল চৌধুরীকে নিয়ে কবি ইকবাল বাল্মিকীর শোকগাঁথা

এড. ইকবাল চৌধুরীকে নিয়ে কবি ইকবাল বাল্মিকীর শোকগাঁথা



বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সর্বত্র বইছে শোকের ছায়া। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন দেশ ও মাটির তরে নিবেদিত এ মহান নেতাকে। তেমনি কবিতার ছন্দে এ দীক্ষা গুরুকে বিদায় জানিয়েছেন প্রবাসী কবি ইকবাল বাল্মিকী। নিচে ইকবাল বাল্মিকীর রচিত কবিতাটি দেয়া হলো-


বিদায় হে দিক্ষা গুরু বিদায় 
ইকবাল বাল্মিকী

(জনতার মুখ প্রিয় ইকবাল ভাইয়ের জন্য শোকগাঁথা)

০১ 
একরাশ কান্না গলার কাছে থেমে আছে
একদল শাদা কবুতর  কালো হয়ে গেছে 
গোলাপের বাগান থেকে বনমালী আজ অদৃশ্য হলেন
বটবৃক্ষ যেন  মাথার উপর থেকে ছায়া সরিয়ে নিলেন ॥ 
প্রায় ত্রিশ বসন্তের আরও  আগে
একটি লাল বসন্তের গানে 
আমরা জেগেছিলাম মহামন্ত্রে 
মহামানুষের মিছিলের পুরোভাগে ….
তুমি ছিলে কান্ডারী আমরা মাত্র মাঝি মাল্লা 
শিকল ভাঙ্গার প্রশ্নে  ভীম সমুদ্রে ধরেছ পাল্লা 
কতো না চড়াই কতো না উৎরাই 
দিয়েছ পাড়ি, শঙ্কাহীন, ডরনাই 
তোমাকে কী কেড়ে নিতে পারে মৃত্যু হীমাগার 
যার স্হান  ধমনিতে, যে বক্ষ ছিল জনতার ॥

০২ 
এসো এক মহাপ্রাণের জন্য ক্রন্দন করি 
এসো এক কবিপ্রাণের জন্য ক্রন্দন করি
অশ্রু এবং প্রেম যে সম্পর্কে বাঁধা 
মানব কল্যাণে তেমন তোমার ইরাদা
আসন গেড়েছিল ,কর্মে 
তুমি চিরঞ্জীব এই মর্মে …
তোমার জন্য তাই অশ্রু বুঝাই শোকতরী ভাসিয়ে দিলাম 
ওগো বন্ধু, অদীনের মুজিবীয় সালাম এবং লাল সালাম ॥

০৩
হতে পারে ,কিশোর রাতে আর ডাকবেনা পাখি 
হয়তো বা লাল বইয়ের পাতায় জাগবেনা আখি
তবুওতো কিছু গল্প রেখে গেলে 
অনাগত কাল দেখবে চোখ মেলে
মানবপ্রেমী আদর্শের আল ধরে
নিভৃতে হাটে,কালে ও কালান্তরে …


উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮০ বছর। তিনি আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অগণিত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি-সহ বাধ্যর্ক জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

প্রবীন এ রাজনীতিবিদকে তাঁর নিজ গ্রাম রফিপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ জোহর সিলেটের দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহঃ) জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জ সরকারি এম,সি একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রসঙ্গত,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে জীবন অতিবাহিত করা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ-সহ পুরো সিলেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।

الأحد، 26 سبتمبر 2021

কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম

কবিতাঃ শৈশব কাল, এম.জেড.সায়েম



শৈশব কাল
এম,জেড,সায়েম

আমার ছোট্ট বেলা!
কত না দুষ্টুমিতে ভরা
কত না স্কুল কামাই করা, 
সবকিছু ফাঁকি দিয়ে মাঠে খেলা
নয়তোবা, ছোট্ট খালে মাছ ধরা,
আমার ছোট্টবেলা দুষ্টুমিতে ভরা।

কতনা ছিল কথার ফুলঝুরি,
খেলতাম তখন লুকোচুরি
আম কুড়াতে সকাল পার,
সকলে মিলে করতাম ফালাহার।

বর্ষায় নদীর অথৈই জলে
সাঁতার কাটতাম খেলাচ্ছলে,
লাই,কানামাছি আর গোল্লারছুট 
আরও কত্ত যে স্মৃতিরপট

চলে যেত দিন, ফিরতাম ঘর গোধুলি বেলায়
দুষ্টমিষ্ট দিন আজ হারিয়েছে হেলায়,
আক্ষেপ আর স্বাদ নিয়ে ভাবি
আহ! আমার সেই ছোট্ট বেলা..!

الأربعاء، 12 مايو 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ ঈদ মানে

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ ঈদ মানে


ঈদ মানে
আতাউর রহমান আফতাব

ঈদ মানে তো খুশির জেয়ার আনন্দ ধারায়,
শিশু-কিশোর হল্লা করে
নেঁচে নেঁচে হেসে খেলে আনন্দে গান গায়। 

ঈদ মানে তো খুশির খবর সারা জাহানময়,
গ্রীষ্মকালে কুশিয়ারা কলকলিয়ে বয়। 
ঈদ মানে তো পিঠা, পোলাও,মিষ্টি ও কাবাব,
কে যে বলে মুসলিম বিশ্বে
আছে কত অভাব! 

ঈদ মানে তো ভালোবাসা, বুকে বুক মিলায়,
হাজার পাখির গানে গানে হাজার নদির কলতানে সময় 
বয়ে যায়।

الأحد، 18 أبريل 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ করোনা ভাইরাস

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ করোনা ভাইরাস



করোনা ভাইরাস
আতাউর রহমান আফতাব

বছর ঘুরে এলো রমজান 
বেড়ে গেলো করোনা,
বৃষ্টি এলো বর্ষা এলো
সৃষ্টি হলেো ঝর্ণা। 

কাজের অভাব,লকডাউন,পাতে পড়ে আলু আর নুন,কাঁচা মরিচ ভর্তা,
আলু করুর স্বাদটা যদি 
পেত বড় কর্তা! 

রমজান এলো বছর ঘুরে 
সাথে এলো করোনা,
দ্বিগুণ বেগে প্রবাহিত 
মাধবকুণ্ডুর ঝর্ণা। 

ধার্মিকেরা জিকির করে 
মসজিদে বসে,
মরুভূমির খাজুরগুলি
ভরা মধুর রসে।

الجمعة، 2 أبريل 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ গ্রীষ্মকালের ডাক

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ গ্রীষ্মকালের ডাক




গ্রীষ্মকালের ডাক
আতাউর রহমান আফতাব

গ্রীষ্মকাল এলো বলে চারিদিকে মেঘের গর্জন,
চৈত্রমাসের শেষ পক্ষ
বাংলাদেশে বোশেখের ডাক,
বোরো ধান পাকেঁনি তো কৃষক বুনে কল্পনার জাল
এক পশলা বৃষ্টি পাতে পুটি মাছের ফাল। 

গ্রীষ্মকাল আসবে বলে
নববর্ষের শুরু হবে গান,
বাঙালীর ঘরে ঘরে দিন রাত 
হবে কত অনুষ্ঠান।

الجمعة، 26 مارس 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ মিছিল

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ মিছিল

মিছিল
আতাউর রহমান আফতাব


জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো!
জেগেছেরে জেগেছে বাঙ্গালী জেগেছ !!
শৈশবের মিছিল,
যখন তখন চলে মিছিল মাঠে অার ময়দানে
পেছকুন্দা মিছিল করে কাকতাড়ুয়ার গানে। 


যুদ্ধ চলে দিকে দিকে যুদ্ধ চলে বন্দরে
প্রিয়জনের দেখা নেই
কাদেঁ কেবল অন্তরে।

বাংলাদেশ  স্বাধীন হবে
বঙ্গবন্ধুর ডাক,
ফিরে এলো ২৬ শে মার্চ
কোথাও নেই ফাঁক। 


শৈশবের স্মৃতি গুলি উঠা-নামা করে,
মিছিল করে দামাল ছেলে
কে আর থাকে ঘরে !

এ কে এম আব্দুল্লাহ'র কবিতাঃ বিশ্বাসি মুখগুলো

এ কে এম আব্দুল্লাহ'র কবিতাঃ বিশ্বাসি মুখগুলো


বিশ্বাসি মুখগুলো
এ কে এম আব্দুল্লাহ


একদিন,জীবন থেমেছিল— আমার কোমল হাসির ভাঁজে।তোমরা আগুনের মাঠ চষে,এনে  দিলে বিজয়ের স্বাদ।যেখানে আজও রাতের আঁধার ভেঁঙে,পিতার স্বপ্নেরা করে ভিড়।আমি ক্লান্তিহীন মায়ের চোখে,গৌরবের মখমল পর্দার ফাঁকে কান পাতি। শুনি ভোরের আওয়াজ। এরপর স্বপ্নের সিঁড়ি ভেঙে, রাতের বাকস খুলে গেলে— বের হয়ে আসে পিতার রক্তাক্ত শার্ট।দৃষ্টির কেনভাস ভেঙে কলারে চমকায় পিতার বিজয় হাসি।আমি সাহসী যুবক হয়ে ওঠি। আর সেই হাসি মেখে স্পর্শ করি রক্তের দানা। 

এভাবে,আমি প্রতি রোজ লিখে রাখি,পৃথিবীর মলাটে মোড়ানো ইতিহাসের পাতায়,বিজয়ের দলিল। আমার কানে ভেসে আসে উল্লাসিত চরণধ্বনি,পিতার নির্মিত পথে। রাতের শেষে সুর্যের ছোঁয়ায় দুলে ওঠে আকাশ। সময়ের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিশ্বাসী মুখগুলো।  

আর আমি হৃদয়ের ড্রয়ার খুলে তুলে রাখি যতনে— তাদের চরণধ্বনি। 

الأحد، 21 مارس 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ কুশিয়ারার তীর

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ কুশিয়ারার তীর



কুশিয়ারার তীর
আতাউর রহমান আফতাব


বার মাস বয়ে চলে নদি কুশিয়ারা,

বর্ষাকালে স্রুতস্বিনী হয় যে পাগলপারা। 


দুই তীরে তার গাছ-গাছালী 

রবিশস্যের বাহার,

ফসল ফলে মাঠে মাঠে

ঘর-বাড়ি আর

সবুজের ছড়াছড়ি, মৌসুমী বাতাস

খালে বিলে সাঁতার কাঠে 

কত রঙের হাঁস। 


পলিমাটির ভরাট দেশ 

প্রেমের আলিঙ্গনে,

শিশু কিশোর খেলা করে

আনন্দিত মনে।

الخميس، 18 مارس 2021

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ লক ডাউন

আতাউর রহমান আফতাব'র কবিতাঃ লক ডাউন



লক ডাউন-------
আতাউর রহমান আফতাব

বাংলাদেশে লকডাউন চলছে
করোনার কাল,
পৃথিবী জুড়ে, দেশে দেশে হাহাকার, একটি রোগ কডিভ--১৯
মানবজাতিকে তোলপাড় করে দেয়।
অসহায় আমরা, 
খোদাতালার শ্রেষ্ট সৃষ্টি, আশরাফুল মাখলুকাত
আল্লাহ ই জানেন কখন ফুরায় কার হায়াত। 

সভ্যতা এগিয়ে  যায়, ধনধান্যে শ্যামলিমা উভয় বাংলায়
স্কুল,কলেজ খুলে না, ভয় ভীতিতে আতংকিত পৃথিবীর মানুষ,
পূব', পশ্চিম,উত্তর, দক্ষিণ,ঈশান,বায়ু,অগ্নি,নৈঋিত,আরো কত দিক

একটি রোগ বা রোগ জীবাণু, কত সূক্ষ্ম কীট
কখনো বাড়ে, কখনো কমে, জানে না কেউ ঠিক বা অঠিক

ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আছি সৃষ্টিকর্তার লীলা,
কেউ বুঝে না,কেউ জানে না
করছি কেন হেলা।