Monday, 7 June 2021

সিলেটে ফের ভূমিকম্পঃ উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ সুরমা

সিলেটে ফের ভূমিকম্পঃ উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ সুরমা


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গতমাসের ২৯ তারিখের কয়েকদফা ভূমিকম্পের আতঙ্ক না কাটার আগেই সিলেটে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে আবারও দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

সন্ধ্যা ৬টা ২৮ ও ৬টা ২৯ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট। এসময় নগরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাসা ও অফিসে থাকা মানুষজন ঘর ছেড়ে আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৮। যার উৎপত্তিস্থল সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কাদিপুর বা আশপাশের এলাকায় বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় সিলেটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে।

এর আগে গত ২৯ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে প্রায় চারবার ভূমিকম্প হয়। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। পরদিন ভোরে আবার ভূমিকম্প হয়। যার সবগুলোর কেন্দ্রস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায়।

কোবরা সাপের কামড়ে মৃতপ্রায় রোগীকে বাঁচিয়ে তুললেন চিকিৎসকরা

কোবরা সাপের কামড়ে মৃতপ্রায় রোগীকে বাঁচিয়ে তুললেন চিকিৎসকরা



বিষাক্ত কোবরা সাপের (স্থানীয় ভাষায় জাতিসাপ) কামড়ে মৃতপ্রায় রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ ঘোষণা করেছেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা। এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাপেকাটা রোগীকে সুস্থ করল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

সুস্থ হওয়া ওই রোগীর নাম মো. জসিম হাওলাদার(৩৫)। বুধবার (২ জুন) পাটক্ষেতে কাজ করতে গেলে সাপে কামড় দিলে তার দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় এক ব্যক্তি তার স্বজনদের খবর দেন। স্বজনরা জসিমকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।


প্রথমে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরাজ মজুমদার ওই রোগীকে চিকিৎসা দেন। পরে খবর পেয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বি এম রাইসুল সাইফ জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে আসেন এবং তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলতে থাকে। টানা দুই দিন চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সুস্থ হয়ে ওঠেন জসিম।

ডা. মেহেরাজ মজুমদার বলেন, রোগী প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে হচ্ছিল এবং প্যারালাইজড ছিল পুরো বডি। তাকে দ্রুত অ্যান্টিভেনম এবং প্রথমবারে ১০টি ভায়াল দেয়া হয়। তাতেও যখন মনে হয়েছে আরও অ্যান্টিভেনম দরকার, তখন আরও চার ভায়াল দেয়া হয়। সর্বমোট ১৪ ভায়াল অ্যান্টিভেনমসহ আরও বেশ কিছু ইমার্জেন্সি মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে একটি মেডিসিন নড়িয়া উপজেলা পর্যায়ে না পাওয়ায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে আনা হয়।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ইমার্জেন্সি দরকারে যেন রোগীকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রোগী কিছুটা শঙ্কামুক্ত হন এবং শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। এখন রোগী সুস্থ আছেন এবং তাকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে।


সুস্থ হয়ে ওঠা সাপেকাটা রোগী জসিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি পাটক্ষেতে নিড়ানির (আগাছা পরিষ্কার করা) কাজ করছিলাম।এমন সময় সাপ কামড় দেয়। আমি পা ঝাড়া দিলে সাপ ছিটকে পড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। আমি অসুস্থ হয়ে যাই। এরপর কী হয়েছে আমার মনে নেই। এখন আমি সুস্থ আছি।’

নড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বি এম রাইসুল সাইফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে যেকোনো রোগীর চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সাপেকাটাসহ সব রোগী যাতে নির্ভয়ে এখানে আসেন সেটাই আমাদের কাম্য।’

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সফিকুল ইসলাম রাজীব বলেন, ওই রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তারপরও আমরা তার চিকিৎসাসেবা শুরু করি। চিকিৎসাসেবা দেয়ার পরে রোগীর চেতনা ফিরে আসে। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস

১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস


১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট সংসদে পাস হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট  পাস হয়।

সোমবার (৭ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২১’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এ সম্পূরক বিল আনা হয়।

বরাদ্দকৃত ব্যয়ের চাইতে কোনো মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যয় বৃদ্ধি হলে বা বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করতে না পারলে তা অনুমোদন করতে যে বিল পাস করা হয় বা নতুন যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তাই মূলত সম্পূরক বিল।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা আলোচনা করেন। এ সময় সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম প্রশ্নে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিদের নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। উঠে আসে স্বাস্থ্যখাতের নানান অনিয়ম, দুর্নীতিও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।

সম্পূরক বাজেটের উপর বিরোধীদল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের ১১ জন সংসদ সদস্য ১৯০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশারফ হোসেন, গণফেরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ১৯টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ১৯টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ নিট দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগ সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। ১২৬টি চলমান এবং ৩১টি নতুন প্রকল্পে অর্থের সংস্থান করায় এ অতিরিক্ত বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আর সবচেয়ে কম ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। এ বিভাগের ১২টি চলমান প্রকল্পের অর্থের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার।

২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মহামারির সঙ্কটে সেই গতিপথ ঠিক থাকেনি। সংশোধনে তা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের সাধারণ বাজেট পেশ হয়। একই সাথে পেশ হয় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট।

হেফাজতের নতুন কমিটি থেকে মামুনুল বাদ

হেফাজতের নতুন কমিটি থেকে মামুনুল বাদ


কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্মমহাসচিব আলোচিত নেতা মামুনুল হক।

মামুনুল হককে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে  সোমবার (৭ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম।

এছাড়াও এই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সহ অনেকেই।

আরও পড়ুন: হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা

আগের কমিটিতে শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ছেলে মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব পদ ছাড়াও ছিলেন ঢাকা মহানগর কমিটির সেক্রেটারি। গত নভেম্বরে এক ধর্মীয় সভায় রাজধানীর ধোলাইখাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসেন মামুনুল।

গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে। এরপর ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে তার নারী কেলেংকারি ইস্যুতে ভাঙচুর ও নাশকতার আরো দুইটি মামলায়ও প্রধান আসামি মামুনুল হক।

এছাড়া, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি গড়ে তোলেন কওমী মাদরাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব শাহ আহমদ শফী।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আহমদ শফী মারা যান। এরপর ১৫ নভেম্বর প্রতিনিধি সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমির নির্বাচিত হন আগের কমিটির মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। আর নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী, যিনি গত ১৩ ডিসেম্বর মারা যান।

হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা

হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা



কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার (৭ জুন) সকাল ১১ টায় রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়।

নব গঠিত এ কমিটিতে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্মমহাসচিব মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী-সহ অনেকেই। বিতর্কিত হওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

কমিটিতে নায়েবে আমির হিসেবে রাখা হয়েছে ৯ জনকে। তারা হলেন- মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট) ও মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুবসহ (বরিশাল), মাওলানা আবদুল হক (ময়মনসিংহ), মাওলানা ইয়াহইয়া (হাটহাজারী মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ মাদরাসা), মাওলানা তাজুল ইসলাম ও মাওলানা মুফতী জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদরাসা)।

যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নাম রয়েছে ৫ জনের। তারা হলেন- মাওলানা সাজেদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা লোকমান হাকীম (চট্টগ্রাম), মাওলানা আনোয়ারুল করীম (যশোর) ও মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী।

সহকারী মহাসচিব হিসেবে আছেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম ও মাওলানা ইউসুফ মাদানী। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মীর ইদ্রিস (চট্টগ্রাম), অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী (মেখল) ও সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট)।

প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানীকে (সাভার) এবং সহ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা জামাল উদ্দীনকে (কুড়িগ্রাম)। দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী (উত্তরা) এবং সহকারী দাওয়া হিসেবে আছেন মাওলানা ওরম ফারুক (নোয়াখালী)।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে ৯ জনকে। তারা হলেন- মাওলানা মোবারাকুল্লাহ (বি.বাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (মাদানীনগর), মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল (চট্টগ্রাম), মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা), মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ফতেহপুরী) এবং মাওলানা মাহমুদুল আলম (পঞ্চগড়)।

কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন- সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুন ইজহারসহ নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া হেফাজতের নেতারা।

একইভাবে আল্লামা আহমদ শফীর হত্যা মামলার অভিযুক্ত নেতাদেরও বাদ দেওয়া হয়েছে কমিটি থেকে। এছাড়া সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে একক আধিপত্য বিস্তারকারী ‘রাবেতা’ ও ‘জমিয়ত’ সিন্ডিকেটও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ শফী অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। 

Sunday, 6 June 2021

এবারও খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: খোলার দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ

এবারও খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: খোলার দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ



শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আশাবাদ জানালেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও তা সম্ভব হচ্ছে না।

দীর্ঘ ১বছর ধরে টানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটের শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (৬ জুন) দুপুরে সিলেটের চৌহাট্টায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, সারা দেশে করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। হাট বাজার, অফিস আদালত, শপিংমল সবকিছুই চালু অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকারের এই সতর্কতার বাণী কার্যত অথর্বতায় পরিণত হয়েছে। গত ১৫ মাসে কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রত্যেকবার ছুটি বাড়িয়েছে। যা ক্রমশই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংস করছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ছাত্রদের অসংগঠিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৫% ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়েও বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর করের বোঝা চাপানোর চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ ট্যাক্স প্রস্তাব করা হয়েছে। যা নানা কৌশলে ছাত্রদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। 

বক্তারা জানান, সরকার ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে বিভিন্ন সময় ছাত্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বললেও এক্ষেত্রে ছাত্রদের আর্থিক সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করেনি। ফলে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, অনির্দিষ্টকাল ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা কোনভাবেই ছাত্রদের স্বার্থে নয় বরং ছাত্রদের ওপর বিভিন্ন অন্যায় অন্যায্য সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার স্বার্থেই করা হচ্ছে। আবার এটি শুধু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা নয়। আজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর যেভাবে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপানো হল, সেরকম নানা অন্যায় সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতেও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো হতে পারে। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে ‘ট্যাক্স নয়, ক্লাস চাই’ এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।

এসময় বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নেত্রী তানজিনা বেগম, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মনীষা ওয়াহিদ, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা, মেট্রোপলিটনের শিক্ষার্থী তারেক চৌধুরী, সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাজী পলাশ, জুমায়েল বক্স প্রমুখ।
দুই বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করছিলেন মামুনুল: নারায়ণগঞ্জের এসপি

দুই বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করছিলেন মামুনুল: নারায়ণগঞ্জের এসপি


নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করার বিষয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি দিতে পারেননি।

এমনকি, কোন কাজি তাঁর বিয়ে পড়িয়েছেন, সেটিও তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি।

রোববার (০৬ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মামলায় আঠারো দিনের রিমান্ড শেষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার।   

পুলিশ সুপার আরোও জানান, ‘মামুনুল যেগুলো বলেছেন, সেগুলো বাস্তবিক অর্থে কোনো বিয়ে নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেটা আছে, কাউকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক করা ধর্ষণের আইনের মধ্যে পড়ে। মামুনুল দুই বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছেন।’

পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘ধর্ষণের যে অভিযোগ ওই নারী করেছেন, সেটির প্রাথমিকভাবে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আমরা আশা করছি, ওই নারী সুবিচার পাবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের যে সময় আছে, ওই সময়ের মধ্যে আমরা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব বলে আশা করছি।’

মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে করা ছয়টি মামলা থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে তদন্ত করছে। সবগুলো মামলায় তিনদিন করে ১৮দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বেশকিছু চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন এবং তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

এর আগে, শনিবার ১৮দিনের রিমান্ড শেষে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আহমেদের আদালতে সশরীরে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠান।