Sunday, 11 July 2021

গোলাপগঞ্জে বাড়ছে করোনাঃ আমুড়া-শরীফগঞ্জ ছাড়া সবক'টি ইউনিয়নে রয়েছেন রোগী

গোলাপগঞ্জে বাড়ছে করোনাঃ আমুড়া-শরীফগঞ্জ ছাড়া সবক'টি ইউনিয়নে রয়েছেন রোগী



গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। সর্বশেষ গতকাল (১০ জুলাই) নতুন আরো ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৫জনে। 

মধ্যে বেশ কিছু মাস এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ না থাকলেও জুন মাস থেকে ফের বেড়েছে  এর প্রতাপ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর ইসলাম শাহিনের দেয়া তথ্যানুযায়ী বর্তমানে উপজেলার আমুড়া ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে করোনা রোগী নেই, বাকি ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় রয়েছে করোনার উপস্থিতি।

নতুন সংক্রমিত ৩৫জন করোনা রোগীর মধ্যে পৌরসভায় রয়েছেন ৬ জন, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নে ২ জন, ঢাকাদক্ষিণে ইউনিয়নে ৯ জন, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে ৭ জন, বুধবারীবাজার ইউনিয়নে ২ জন, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ৩, বাদেপাশা ইউনিয়নে ২, লক্ষীপাশা ইউনিয়নে ১ জন, বাঘা ইউনিয়নে ২ জন এবং ফুলবাড়ী ইউনিয়নে রয়েছেন ১ জন রোগী।

দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছেঃ ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা

দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছেঃ ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা



বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ফলে আগামী ২১ জুলাই (১০ জিলহজ) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে রবিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

ধর্মীয় হিসেব অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে আগামী ২১ জুলাই সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

কোপা কাপ নিল আর্জেন্টিনা, প্রাণ গেল ইয়াছিনের!

কোপা কাপ নিল আর্জেন্টিনা, প্রাণ গেল ইয়াছিনের!

প্রতীকী ছবি

কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে স্বপ্নের কাপ আর্জেন্টিনা নিয়ে গেলেও বিজয় উল্লাসে প্রাণ গেলো বাংলাদেশের ইয়াছিন আলম (২৩) নামের এক যুবকের। রোববার সকালে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মনের আনন্দে এক মোটরসাইকেলে ৪ জন চড়ে ফুটবল খেলতে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই ইয়াছিন আলম নিহত এবং অপর ৩ জন আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর ২টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার আদর্শ কাশিমপুর গ্রামের ৪ যুবক ইয়াছিন আলম, সিফাত মিয়া, শরিফুল ইসলাম ও রাজ বাবু আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। রোববার ভোরে কোপা আমেরিকা ফুটবল খেলায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা অংশ নেয়। একপর্যায়ে ফুটবল খেলায় আর্জেন্টিনা ১ গোলে বিজয়ী হয়ে কাপ নেয়। নিজেদের দল ফুটবল খেলায় জয়লাভ করায় মনের আনন্দে উল্লিখিত ৪ যুবক কুমেদপুর কাদেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে খেলার আয়োজন করে। আর্জেন্টিনার ওই ৪ সমর্থক মনের আনন্দে একটি মোটরসাইকেলে চেপে বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মাদ্রাসা মাঠের উদ্দেশে রওনা দেন।

তাদের মোটরসাইকেলটি খেলার মাঠ থেকে মাত্র ৫শ গজ দূরে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই চালক ইয়াছিন আলম নিহত হন। মোটরসাইকেলের অপর ৩ আরোহী মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত ৩ জনকে পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, কুমেদপুর-লালদীঘি সড়কে দুর্ঘটনার ব্যাপারে এখনো খবর পাইনি।

অবশেষে মেসির হাতে কোপা আমেরিকা

অবশেষে মেসির হাতে কোপা আমেরিকা



স্পোর্টস ডেস্কঃ ২০১৪ এই মারাকানাতেই মেসির চোখের পানি মিশে গিয়েছিল ঘাসের সঙ্গে। বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিটার পাশ দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে গিয়েছিলেন, কিন্তু ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এরপর আরও দু’বার ফাইনালে উঠে হতাশায় মোড়াতে হয়েছিল মেসিকে।

ক্ষোভে, দুঃখে একবার তো অবসরই ঘোষণা করে ফেলেছিলেন। অনেক আন্দোলন, অনুরোধ-উপরোধের পর ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কোপা আমেরিকার দুটি ফাইনালে হারের পর আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন মেসি। অনেকেই ধরে নিয়েছিল, হয়তো আর ফিরবেন না।

কিন্তু দীর্ঘ সময় যে আর্জেন্টিনা কোনো শিরোপার নাগাল পাচ্ছিল না, নিজের ক্যারিয়ার এত কিছুতে রাঙানো, তবুও কোথায় যেন ফ্যাকাশে, কোথায় যেন রঙহীন। একটি আন্তর্জাতিক শিরোপাও নেই। অবশেষে মেসি ফিরে আসলেন। খেললেন এবারের কোপা আমেরিকা।

শুধু খেলাই নয়, পুরো টুর্নামেন্টটাই নিজের করে নিলেন। অসাধারণ খেললেন প্রথম ম্যাচ থেকে। পুরো মেসিময় একটি টুর্নামেন্ট দেখলো ফুটবল বিশ্ব। অবশেষে এবারের কোপা আর হতাশ করেনি বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারকে। মারাকানাও খালি হাতে ফিরিয়ে দিলো না ফুটবলের বরপুত্রকে। দু’হাত ভরে দিলেন।

গোল্ডেন বল জিতলেন, গোল্ডেন বুট জিতলেন। অবশেষে প্রথমবারের মত কোপা আমেরিকার শিরোপাটাও হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ পেলেন লিওনেল মেসি। ২১তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক গোলে নিশ্চিত হলো জয়। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কোনো শিরোপা হাতে তুলে নিতে পারলেন মেসি।

সেলেকাওদের ১-০ তে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। দেশের হয়ে শিরোপা না পাওয়ার খরা মিটল লিওনেল মেসির।

আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলা আনহেল ডি মারিয়াকে আজ প্রথম একাদশে সুযোগ দেন কোচ স্কালোনি। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ডি মারিয়া। তার গোলেই ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। যে গোল আর শোধ করতে পারেনি নেইমাররা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আর্জেন্টিনার জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় সেলেকাওরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।

স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে যায় আর্জেন্টাইন শিবিরে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচ।

ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করায় রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।

১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।

১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।

পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। ওতামেন্দির পায়ে তা প্রতিহত হয়। এই ১৩ মিনিটে বারবার খেই হারাতে দেখা গেছে নেইমারকে।

২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।

মাঝমাঠ থেকে দি পলের উড়িয়ে মারা বল ধরে ব্রাজিল গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

এক্ষেত্রে ব্রাজিল ডিফেন্ডার রেনান লোদির সামনে সুযোগ ছিল ডি মারিয়াকে প্রতিহত করার। কিন্তু দৌড়ে ডি মারিয়ার নাগালই সেভাবে পাননি তিনি। ব্যর্থ হন।

২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।

এছাড়া ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ফাইনালে গোল পেল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

কোপা আমেরিকার সেরা গোলরক্ষক মার্তিনেজ

কোপা আমেরিকার সেরা গোলরক্ষক মার্তিনেজ


স্পোর্টস ডেস্কঃ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্তিনেজ ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার আসর নিজের করে নিলেন ।

সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভস উঠল তার হাতে। পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ের ফল পেলেন তিনি।

আলবিসেলেস্তেদের পক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর ছিলেন তিনি। আসরের সাত ম্যাচে মাত্র ৩ গোল হজম করেছেন ২৮ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক।

মূলত দলকে সেমি থেকে ফাইনালে তিনিই এনেছেন। শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার ৩টি শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন তিনি। রচনা করেন মহাকাব্যের।

আর ফাইনালে ব্রাজিল একটি গোলও দিতে পারেনি। রিচার্লিসনের কল্যাণে একবার জালের দেখা পেয়েছে সেলেকাওরা, তবে অফসাইড ভাগ্যে তা আর ঝুলিতে জমা করতে পারেনি তারা।

অথচ গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকদের সামনে ত্রাস ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা।

নিজেদের শেষ ২৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৬১ বার বল জড়িয়েছে ব্রাজিল। এর মধ্যে কোপা আমেরিকায় ফাইনালের আগপর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১২ গোল তাদের।

অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে দুইয়ের বেশি গোল করেছে তিতের শিষ্যরা।

আর সেই ব্রাজিলই একটি গোলও দিতে পারল না ফাইনালে।

প্রতি ম্যাচে দুই বা ততোধিক গোল করা ব্রাজিল দলের ফাইনালে গোলশূন্য থাকার অন্যতম কারণ এমি. মার্তিনেজ।  পুরো ৯০ মিনিট জাল অক্ষত রেখে নিজ দলের শিরোপা জেতানোয় অবদান রেখেছেন তিনি।

পুরো ম্যাচে গোলপোস্ট বরাবর ১৩টি শট নিয়েছে ব্রাজিল। যার মধ্যে দুইটি ছিল লক্ষ্য বরাবর। দুটি শটই ঠেকিয়ে দিয়েছেন মার্তিনেজ।

বিশেষ করে ম্যাচের ৮৭ মিনিটের সময় ডি-বক্সের ভেতরে বাম পাশ থেকে বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। সেই শট ঠেকান মার্তিনেজ।

এমন দুর্দান্ত পারফর্ম করলে আসরের সেরা গোলরক্ষক তিনি না হয়ে আর কে হবেন!

অবশেষে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

অবশেষে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার



স্পোর্টস ডেস্কঃ কোপা আমেরিকার বহুলকাঙ্ক্ষিত ফাইনালে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। আর প্রথম একাদশে চমক হিসেবে নামা পিএসজি ফরোয়ার্ড আনহোল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা।

সেলেকাওদের ১-০ তে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। দেশের হয়ে শিরোপা না পাওয়ার খরা মিটল লিওনেল মেসির।

আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলা আনহেল ডি মারিয়াকে আজ প্রথম একাদশে সুযোগ দেন কোচ স্কালোনি। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ডি মারিয়া। তার গোলেই ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। যে গোল আর শোধ করতে পারেনি নেইমাররা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আর্জেন্টিনার জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় সেলেকাওরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।

স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে যায় আর্জেন্টাইন শিবিরে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচ।

ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করায় রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।

১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।

১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।

পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। ওতামেন্দির পায়ে তা প্রতিহত হয়। এই ১৩ মিনিটে বারবার খেই হারাতে দেখা গেছে নেইমারকে।

২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।

মাঝমাঠ থেকে দি পলের উড়িয়ে মারা বল ধরে ব্রাজিল গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

এক্ষেত্রে ব্রাজিল ডিফেন্ডার রেনান লোদির সামনে সুযোগ ছিল ডি মারিয়াকে প্রতিহত করার। কিন্তু দৌড়ে ডি মারিয়ার নাগালই সেভাবে পাননি তিনি। ব্যর্থ হন।

২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।

এছাড়া ২০০৫ কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ফাইনালে গোল পেল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল অনলাইনে দেখবেন যেভাবে

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল অনলাইনে দেখবেন যেভাবে


রাত পোহালেই রচিত হবে ইতিহাস। হয়তো তা ৯০ মিনিটের বা তা থেকে কিছু বেশি। হয়তো টাইব্রেকারের রুদ্ধশ্বাস যুক্ত হবে সেই ইতিহাস।

কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতি ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নামতে আর বেশি দেরি নেই। ১৪ বছর পর দেখ হচ্ছে দুদলের। মেসির দিকে তাকিয়ে আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ানদের ভরসা নেইমার।

ম্যাচটি ঘিরে বাংলাদেশে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। এ ম্যাচ দেখা মিস করবেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শনিবার সকাল থেকেই ম্যাচটি কোথায় কখন অনুষ্ঠিত হবে খোঁজ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সময়ে কখন কোন চ্যানেলে দেখানো হবে ফুটবলের এই মহারণ তার খবর নিয়েছেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৬টায় এস্তাদিও দে মারাকানা স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই খেলা। সুখবর হচ্ছে টিভিসেটে সামনে বসার সুযোগ নেই যাদের তারাও দেখতে পারবেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ।   

কোপা আমেরিকার এই ফাইনাল কখন, কোথায় হবে, ও যেখানে, যেভাবে দেখবেন-

তারিখ- ১১ জুলাই, রোববার। সময়- সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময়)

ভেন্যু- এস্তাদিও দে মারাকানা

টিভিতে দেখবেন যে চ্যানেলে- সনি সিক্স, সনি টেন ২।

অনলাইনে দেখবেন যেভাবে- টফি ও বঙ্গবিডি অ্যাপ।

(এছাড়াও টোটালস্পোর্টেক, ইয়াল্লাশুট, কুরার মতো অনানুষ্ঠানিক কিছু প্ল্যাটফর্মেও খেলা দেখা যাবে)