Saturday, 17 July 2021

লালাবাজারে জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

লালাবাজারে জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ


পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের  অসহায় জনসাধারণের মধ্যে জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে ১৭ জুলাই শনিবার বেলা ২ টায় লালাবাজার ইউনিয়নের খাজাকালু জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আহমদ এর সার্বিক তত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬নং লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল।  

সাংবাদিক ও রোটারিয়ান এস এ শফি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাজাকালু জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’র মুহতামিম শায়খ মাওলানা মর্তুজা আহমদ,  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ লোকমান আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ইঞ্জিনিয়ার সুরমান আলী, জাহেদ আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, রাসেল আহমদ, মোঃ রুহুল আমীন, সাহেদ আহমদ প্রমুখ। 

জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লন্ডনপ্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ লাল মিয়া ও উনার সহধর্মিণী জয়তুন হস্তশিল্প সেলাই প্রশিক্ষণ একাডেমী, জয়তুন বয়স্ক নারী শিক্ষা কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন মহীয়সী নারী রোটারিয়ান রাবেয়া তাহেরা মজিদ এর অর্থায়নে দক্ষিণ সুরমাসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। খাদ্যসামগ্রী হচ্ছে (চাল- ৯ কেজি, ডাল- ২ কেজি, পিয়াজ- ৩ কেজি, লবণ- ১ কেজি, সোয়াবিন তেল- ২ লিটার ও আলু- ৮ কেজি) মোট ২৫ কেজি।

উল্লেখ্য, জয়তুন ওয়েলেফেয়ার ট্রাস্ট" ২০০৯ সাল থেকে যেভাবে মানবতার কল্যানে করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল আযহা" উপলক্ষে অসহায় হতদরিদ্র ২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ বিষয়ক ৮টি বিকল্প প্রস্তাবনাঃ লেকচারার শরিফুল ইসলাম

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ বিষয়ক ৮টি বিকল্প প্রস্তাবনাঃ লেকচারার শরিফুল ইসলাম


এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ বিষয়ক ৮টি বিকল্প প্রস্তাবনা কুশিয়ারা নিউজের মুক্তমতে তুলে ধরেছেন ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম।

করোনাকালে পরীক্ষা নেওয়া এখন একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িঁয়েছে। সে হিসাবে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে  পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার কিছু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ দল বলছেন এ মহামারি আদৌ যাবে কি- না এ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। আন্তঃ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যনবৃন্দ এ লক্ষে মিলিত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে এ সংবাদ হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য আশার আলো।

আবার এই এইচ,এস,সি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে মেডিকেল, বুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ নানা বিষয় নিয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়বে, তাই এই পরীক্ষা ও মূল্যায়ণ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭২ সালের মত শতভাগ পাশের গ্লানি জাতি আর দেখতে চাই না।

তাই এখন দরকার অল্প দিনে পরীক্ষা শেষ করা, অল্প দিনে ফলাফল ও অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। উপরোক্ত ৩টি বিষয় বিবেচনা করলে সকাল বিকাল পরীক্ষা গ্রহন ছাড়া বিকল্প নেই। সে হিসেবে আমি নিম্নোক্ত প্রস্তাবগুলো পেশ করছি।

প্রস্তাব-০১:

পরীক্ষার ১ম দিন- ইংরেজি এই দিন ৩০% শিক্ষার্থী শুধু ১ বিষয়ে দিয়ে থাকে। আবার কিছু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা একটু কঠিন হলে রাগে, ক্ষোভে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে না। তাই ইংরেজি পরীক্ষা আগে নিলে প্রথম দিনের পর ৩০% শিক্ষার্থী কমে যাবে।

২য় দিন- আই সি টি+ ১ বিষয়ের ব্যবহারিক। এ দিনেও পুরাতন শিক্ষার্থী থাকে। তাহলে ২ দিন পর দেখা যাবে ৪০% শিক্ষার্থী কমে যাবে।

৩য় দিন- বাংলা ৪র্থ দিন- পদার্থ/ হিসাব/ (পৌরণীতি/……). ৫ম দিন- রসায়ন/ ব্যবসা/( সমাজ/……) ৬ষ্ট দিন- জীব/ ফিন্যন্স/ (ইস. ইতি/ যুক্তি/.. ) ৭ম দিন- মানবিকের কেউ কোন বিষয় বাদ পড়লে যেমন ৬ষ্ঠ দিনে ইস. ইতি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যুক্তিবিদ্যা বাদ পড়েছে, সেক্ষেত্রে তার যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষা আলাদা সেটে নেওয়া যেতে পারে ।

* বিজ্ঞান ও বাকী শিক্ষার্থীদের ২ টি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা।

[ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৬টি শাখা রয়েছে। শুধুমাত্র মানবিকে নৈর্বাচনিক বিষয় রয়েছে ৬টি, ভবিষতে গুচ্ছভিত্তিক ৩ টি বিষয়ে আনা যেতে পারে। বাকী ৫টি শাখার জন্য নির্ধারিত ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয় রয়েছে। ]

প্রস্তাব -২: 

একসাথে ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র আগে দিয়ে শিক্ষার্থীর পছন্দমত এক পত্রে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে ।

প্রস্তাব -৩:

১ম পত্রে ৫০% প্রশ্নোত্তর ও ২য় পত্রে ৫০% প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।

প্রস্তাব -৪:

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে লটারী করে অর্ধেক শিক্ষার্থী সকালে ও বাকী শিক্ষার্থী বিকালে আলাদা সেটে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে ।

প্রস্তাব -৫:

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যিক বিষয়ের পরে মানবিকের শিক্ষার্থী সকালে ও বাকী শিক্ষার্থী বিকালে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । এক্ষেত্রে ১/২ টি বিষয়  ছাড়া আলাদা সেটের দরকার নেই।

প্রস্তাব -৬:

৩০% এর মত শিক্ষার্থী পুরাতন। তারা “আদু ভাই” হতে চলেছে। শুধু এদেরকে প্রতি বেঞ্চে ১ জন করে নিরাপদ দূরত্বে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বাকীদের এভাবে ২ ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে।

প্রস্তাব -৭:

রেড জোন চিহ্নিত জায়গার পরীক্ষা পরবতীতে নেওয়া যেতে পারে ।

প্রস্তাব-৮

 যে চাইবে সে নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষা দিতে পারবে। অন্যথায় পরবর্তীতে বা পরের বছর সুযোগ রাখা যেতে পারে।

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম,
লেকচারার, আইসিটি
দুবাগ স্কুল এন্ড কলেজ
বিয়ানীবাজার, সিলেট।

এখন থেকে সৌদিতে আজান-নামাজের সময় খোলা থাকবে দোকানপাট

এখন থেকে সৌদিতে আজান-নামাজের সময় খোলা থাকবে দোকানপাট



সৌদি আরবে বহুদিনের রেওয়াজ আজান হওয়ার সাথে সাথেই বন্ধ করতে হয় দোকানপাট, এমনকি আজানের পর থেকে নামজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হতো। তবে এ রীতিতে এখন পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে আজানের পরও সেখানে খোলা থাকবে দোকান। চলবে বেচা-কেনা।

এবিষয়ে সৌদি আরবের চেম্বারের প্রধান আজলান বিন আবদুল আজিজ আল-আজলান একটি পরিপত্র জারি করেন। গত শুক্রবার এ পরিপত্র জারি করা হয়, খবর আরব নিউজের।

এ পরিপত্রে বলা হয়, সেদেশে এখন থেকে নামাজের সময়েও দোকান খোলা থাকবে।

সৌদি চেম্বারের প্রধান দাবি করেন, এ সিদ্ধান্ত ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের শপিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং পরিষেবার স্তর উন্নত করার প্রয়াস।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ের বিশ্লেষক আলী সামীর শিহাবী এক টুইটবার্তায় বলেন, দৈনন্দিন জীবনে ধর্মের প্রভাব কমাতে এটি একটি প্রতীকী এবং ব্যবহারিক পদক্ষেপ। 

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটিতে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে।ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। তিনি সৌদি আরবকে রক্ষণশীল সমাজ থেকে বের করে আনতে চাইছেন।  এজন্য অভিভাবক ছাড়া নারীদের হজের অনুমতি দেওয়া, নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া, সিনেমা হল খুলে দেওয়ার মতো অসংখ্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ঈদের পর ২৩ তারিখ থেকে কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউন

ঈদের পর ২৩ তারিখ থেকে কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউন



ঈদের পর কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউন হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, কুরবানির ঈদকে ঘিরে আমাদের বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সবকিছু বিবেচনা করে চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিলো। তবে ঈদের পর আবার লকডাউনে চলে যাবে দেশ, যা হবে খুবই কঠোর।

শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ৯৬ তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও জানান, এবারের কঠোর লকডাউনে সরকারী-বেসরকারী অফিসসমূহ বন্ধ থাকার পাশাপাশি গার্মেন্ট ও শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে।


Friday, 16 July 2021

গোলাপগঞ্জে আরও ৭ করোনা রোগী শনাক্ত

গোলাপগঞ্জে আরও ৭ করোনা রোগী শনাক্ত


গোলাপগঞ্জে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকালের (১৫ জুলাই) নমুনা পরীক্ষায় উপজেলাজুড়ে নতুন করে আরও ৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।


শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর ইসলাম শাহিন।

তবে এব্যাপারে ইউনিয়নভিত্তিক তথ্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি। ইউনিয়নভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য আজ রাতেই জানা যাবে বলে জানান ডা. শাহীনুর ইসলাম।


চন্দরপুরে একসাথে স্বামী-স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

চন্দরপুরে একসাথে স্বামী-স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত



গোলাপগঞ্জে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১১ ও ১২ তারিখের নমুনা পরীক্ষায় উপজেলাজুড়ে নতুন করে আরও ১৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ দুই দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর ইসলাম শাহিন।

আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী গ্রামের ২ জন, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামের ২ জন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ১ জন, বাদেপাশা ইউনিয়নের ২ জন, গোলাপগঞ্জের ৩ জন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ১ জন, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ২ জন এবং আমুড়া ইউনিয়নের ২ জন৷

বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামের আক্রান্ত ২জন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী গৃহিণী এবং স্বামী সাবেক স্কুল শিক্ষক। তারা কিছুদিন থেকে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হওয়ায় করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। এতে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

তবে আক্রান্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা এখন সুস্থ রয়েছেন। শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ প্রায় নেই বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত ওই মহিলা। তিনি জানান তার স্বামীও এখন প্রায় সুস্থ রয়েছেন।

তবে উপজেলার করোনা শনাক্তের সর্বশেষ আপডেট ইউনিয়নভিত্তিক জানানো হলেও সঙ্গত কারণে রোগীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা হচ্ছে। তাই নিজ নিজ এলাকার  সর্বশেষ তথ্য জেনে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।

এদিকে চন্দরপুর গ্রাম ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে সচেতনতার কোনো বালাই নেই সেখানে। কঠোর লকডাউনেও সেখানে অবাধে চলাচল ছিলো এলাকাবাসীর। অথচ মহামারি করোনা সেখানে কড়া নাড়াচ্ছে। ফলে নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে নিরাপদ দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার এবং সর্বোপরি সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন সচেতন মহল।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে সংঘর্ষঃ আহত ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে সংঘর্ষঃ আহত ৫


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন- মিনার মিয়া, মো. আলম, রবিউল, জালাল মুন্সি ও ফুরকান মুন্সি। তাদের মধ্যে মিনার মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খেওয়াই গ্রামের সর্দার বাড়ির শিপন (১৯) ও মুন্সি বাড়ির হৃদয়ের (১৮) মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হৃদয় আর্জেন্টিনা ও শিপন ব্রাজিল দলের সমর্থক। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে সকালে এলাকায় পুলিশ আসে। তবে এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, ‘সকালে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।’

এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালের এ ম্যাচকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। ফলে ফাইনালের দিন এ জেলায় কোনও অঘটন ঘটেনি।