Thursday, 22 July 2021

শুক্রবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে

শুক্রবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনঃ যা আছে প্রজ্ঞাপনে



আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে কঠোর লকডাউনে থাকবে সারাদেশ। এ লকডাউন বহাল থাকবে আগামী ০৫ আগস্ট পর্যন্ত।

ঈদের আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিলো।

প্রজ্ঞাপনে ২৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো-

১. ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

২. সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহণ (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

৩. শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

৪. সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৫. সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

৬. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।

৭. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৮ ব্যাংকিং/বীমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৯. সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

১০. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ/বিক্রয়, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোডিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশাকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।

১১. বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

১২. জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ডভ্যান/নৌযান/পণ্যবাহী রেল/ফেরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

১৩. বন্দরসমুহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল) এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

১৪. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন/বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

১৫. অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৬. টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।

১৭. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (অনলাইন টেকঅ্যাওয়ে) করতে পারবে।

১৮. আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট/প্রমাণ প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেবে।

২০ ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

২১. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি/কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

২২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

২৩. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮-এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।

এদিকে বুধবার কঠোর লকডাউন বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার ঈদের আগে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কোরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এরপর দিন ২৩ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ শুরু হবে। শেষ হবে ৫ আগস্ট। এটা পূর্ব নির্ধারিত প্রজ্ঞাপন। এই ইস্যুতে গুজবে কান দেবেন না।

‘বিধি-নিষেধের সময় সব অফিস বন্ধ থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারা দেশে সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। বিধি-নিষেধ শেষে যেন ঢাকায় চাকরিরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে আসেন।’

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।

Wednesday, 21 July 2021

শৈশবের ঈদঃ জাহিদ উদ্দিন

শৈশবের ঈদঃ জাহিদ উদ্দিন

ঈদ মানেই আমেজ, ঈদ মানেই খুশি
ঈদ মানেই জড়িয়ে থাকা শৈশবের কিছু স্মৃতি।
আর হ্যা এই ঈদের সাথে শৈশব-কৈশোরের নানাবিধ আবেগ, অনুভূতি আর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।  শৈশবের আবেগ আর অনুভূতির বিরাট একটা অংশ জুড়ে থাকা ঈদের দিনের স্মৃতি নিয়ে লিখেছেন সাংবাদিক জাহিদ উদ্দিন।



শৈশবের ঈদ
জাহিদ উদ্দিন


ছোট বেলার ঈদের আনন্দ এখন আর নেই। ঈদ আসার আগ থেকেই শুরু হয়ে যেত ঈদের প্রস্তুতি। মাকে বুঝিয়ে ঈদের জামা কেনা, ঈদের জন্য টাকা জমিয়ে রাখা এসব ছোট খাটো অনূভুতিগুলো এখন কেবলই স্মৃতি।  


ঈদের দিন রাতে কি যে আনন্দ হত, বলে বুঝানোর ভাষা নেই। ওইদিন কোনভাবেই ঘুমাতে পারতাম না, সারা রাত জেগেই কাটিয়ে দিতাম। ইমাম সাহেব যখন মসজিদে ফজরের আজান দিতেন তখন প্রতিযোগিতা করে গোসল করতে চলে যেতাম, কার আগে কে গোসল করবে। গোসল শেষ হলে শুরু হতো ঈদের সালামী ভাগিয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিত৷ যখন সালাম দিয়ে বড়দের কাছে ঈদের সালামী পেতাম তখন কি যে আনন্দ লাগতো। নতুন জামা কাপড় পড়ে লাচ্ছি সেমাই খেয়ে জায়নামাজ হাতে নিয়ে যখন ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম, তখন মনে আনন্দের বন্যা ভয়ে যেত। নামাজ শেষে কোলাকুলি, মোসাফা ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিতো। ছোট্ট বন্ধু আরেক ছোট্ট বন্ধুর কাধে কাধ মিলিয়ে যখন কোলাকুলি করতো এ-ই দৃশ্য অন্যরকম। 


কোরবানির জন্য যে পশুটা কিনে আনা হত বাড়িতে যতদিন থাকতো ওর প্রতি অন্যরকম এক ভালবাসা তৈরী হয়ে যেত। নিজে বাড়িতে থাকার সুবাদে যখনি সময় পেতাম ওই পশুটির জন্য গাছের পাতা নিয়ে আসতাম। এনে নিজ হাতে খাইয়ে দিতাম আর অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতাম কিভাবে খায় দেখার জন্য। যখন ওই পশুটি কোরবানী দিয়ে দেওয়া হত অনেক কষ্ট লাগতো, অজান্তে চোখে জল এসে যেত। অল্পদিনে ওর প্রতি একটা ভালবাসা জন্ম হয়ে যেত। 

 

ঈদের নামাজ ও কোরবানি শেষে সকলে মিলে হৈ-হুল্লোড় আর বাদ ভাঙ্গা আনন্দ এখন ঈদে খুঁজে পাইনা। ঈদ এলে ইচ্ছে করে সেই ছোট বেলায় ফিরে যেতে। সময়ের ব্যবধানে ছোটবেলা হাঁরিয়ে ফেলেছি, এখন কেবল স্মৃতি। এই ভালবাসার দিনগুলো আর ফিরে আসবেনা আমার জীবনে।  দিন যতই যাচ্ছে বাড়ছে যান্ত্রিকতা, বাড়ছে ব্যস্ততা। এখনো ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে ইচ্ছে করে চিৎকার করে কাঁদি।


লেখক
সাংবাদিক জাহিদ উদ্দিন
প্রধান সম্পাদক
Gvoice24.com

ব্রিটেনে ঈদঃ হাসনাত মুহ: আনোয়ার

ব্রিটেনে ঈদঃ হাসনাত মুহ: আনোয়ার

করোনাকালীন চতুর্থ ঈদ উদযাপন করলেন বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ। গতকাল (২০ জুলাই) সৌদি আরব, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। আর আজ (২১ জুলাই) বাংলাদেশ, ভারত-সহ আরোও কিছু দেশে ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। এ দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে মুসলিমদের মাঝে থাকে আনন্দ আর খুশির আমেজ। তবে এই খুশির অনুষ্ঠান একেক দেশে একেকভাবে পালিত হয়। কাকন ফকির নামে বহুল পরিচিত হাসনাত মুহাম্মদ আনোয়ার লিখেছেন ব্রিটেনের ঈদের আমেজ উদযাপনের ইতিকথা....


ব্রিটেনে ঈদ
হাসনাত মুহ: আনোয়ার 


ঈদ উপলক্ষে বৃটেনে বাংলাদেশের মত সাজ সাজ রব হয়না। স্বদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে যদিও আমরা সংখ্যাগুরু কিন্তু এখানে সংখ্যালঘু অর্থাৎ মাইনরিটি। জনসংখ্যার হিসেবে মাত্র শতকরা দশজন মুসলিম এদেশে বাস করেন। দোকানপাটে কেনাবেচা প্রচুর হলেও দোকান গুলোর সাজসজ্জা বা ডেকোরেশন ও বিজ্ঞাপনে ঈদের উপস্থিতি এতদিন তেমন ছিলনা বললেই চলে। ঈদ উপলক্ষে মূল্যহ্রাস, বিরাট ছাড় .. ইত্যাদি খুব একটা চোখে পড়তো না। হ্যাঁ, মুসলীম বা এশীয় দোকানগুলোতে এর প্রভাব পড়ে বৈকি, কিন্তু মূলধারা বা মেইনস্ট্রীম শপিংমল গুলোতে খুব একটা সাড়া পাওয়া যেতোনা। 


আনন্দের কথা, গত ক’বছর ধরে আস্তে আস্তে লন্ডন ও এর বাইরের শহর গুলোতেও ঈদ উপলক্ষে এর ছাপ পড়তে শুরু করেছে। স্ট্রীট লাইটিং এ 'ঈদ মোবারক' লেখা আলোকসজ্জা, মসজিদের গম্ভুজের আদলে নিয়ন সাইন বা লাইটিং, বড় কার পার্কিং ও খোলা ময়দানে ঈদ জামাত, শপিংমল গুলোতে ঈদ মোবারক সাইন, গৃহসজ্জার ডেকোরেশন যেমন: বেলুনে ঈদ মোবারক লেখা, ওয়াল হেঙ্গিং স্টিকার,প্লাস্টিকের ব্যানারে লেখা ঈদ মোবারক সাইন, ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এখন। মুসলীম/ এশীয় দোকান গুলোতে ঈদকার্ড বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের রাত বারোটা পর্যন্ত মূলত: মহিলাদের জন্য ও মহিলা ব্যবস্থাপনায় 'চাঁদ রাত' নাম দিয়ে শপিং এর ব্যবস্থা, মুসলীম পোশাক ও মেয়েদের সাজ সজ্জার দ্রব্যাদি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। হিজাব, জিলবাব, আতর, টুপীর বাজারও বেশ রমরমা। এ অবস্থা দৃষ্টে বেনিয়া ইংরেজ বসে থাকে কী করে। তারাও মেইনস্ট্রীম দোকান গুলোতে ধীরে ধীরে মুসলীম খদ্দের আকর্ষণের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে নেই। ব্যবসাটাই মূলকথা। আজদা (Asda),টেসকো ও তাদের দোকানে ঝুলিয়ে দিচ্ছে বিরাট ও দৃষ্টি আকর্ষণীয় সাইন। এরই মাধ্যমে আমাদের জানাচ্ছে— ঈদ মোবারক। 


আপনাদের সবাইকে -ঈদ মোবারক।


হাসনাত মুহাম্মদ আনোয়ার (কাকন ফকির)
সাহিত্যিক, গীতিকবি ও সুরকার।

ফুটবল খেলা নিয়ে ঈদের দিন কোটালীপাড়ায় সংঘর্ষঃ পুলিশসহ শতাধিক আহত

ফুটবল খেলা নিয়ে ঈদের দিন কোটালীপাড়ায় সংঘর্ষঃ পুলিশসহ শতাধিক আহত



গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঈদের দিন (বুধবার) সকাল ৯ টায় উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াকাটা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।


জানা যায়, দুইদিন আগে গত সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে পাড়াকাটা গ্রামের কিশোররা দুভাগে ভাগ হয়ে স্থানীয় জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলে। ওইদিন খেলায় জয়-পরাজয় নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। 


এরই সূত্র ধরে আজ বুধবার সকালে পাড়াকাটা গ্রামের স্বপন গাইনের ছেলে সজল গাইনের (১৭) সাথে আজাহার মল্লিকের ছেলে জামাল মল্লিকের (৩৮) কথাকাটাকাটি হয়। এরপর দুদল গ্রামবাসী বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা ও ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্তকেন্দ্রের এএসআই মাসুদ আহমদ, কনস্টেবল মহাসীন গাজী, মাহাবুবুর রহমান এবং স্থানীয়দের মধ্যে রিফাত শেখ (১৮), জগদিশ ফলিয়া (৭০) ফায়জুল মল্লিক (২২), মৃদুল গাইন (৩২), শিবনাথ (৬৫), রুস্তুম মল্লিক (৬৪), বাবুল মল্লিক (২৮), ইমন হালদার (১৫), নুরে আলাম (১৫), নান্নু মল্লিক (৩৫), জসিম মোল্লি (৩৫), রনি মোল্লি (১৩), গবিন্দ গাইন (৩২), আশুদেব গাইন (২৯), তনময় গাই (৩৫), শুশান্ত গাইন (৩৯), উজ্জল গাইন (১৭), সজিব ফলিয়া (২১), নিখিল গাইন (৪১), রসময় গাইন (৪০), তরিকুল মোল্লা (১৭), রহিমা বেগম (৫৫), নাদেম মোল্লা (১৭) ,বিধান গাইন (৩০), নিমচাঁদ (৬০), কৌশিক গাইন (১৭), প্রদীপ গাইন (৫৫), জয় গাইন (১৫), অনিমেশ ফলিয়া (১৫), সম্রাট গাইন (১৫), সুজিৎ গাইন (২১), বিষ্ণু গাইন (৩৫)।


কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tuesday, 20 July 2021

এবার কানাডায় মসজিদে ইসলামবিদ্বেষীদের ভয়াবহ হামলা

এবার কানাডায় মসজিদে ইসলামবিদ্বেষীদের ভয়াবহ হামলা



কানাডার ক্যামব্রিজ এলাকায় ইসলামবিদ্বেষীরা একটি মসজিদে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।

এতে হাতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর আরব নিউজ ও সিবিসি নিউজের।

শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত কানাডায় এ ধরণের ঘৃণা সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়ে চলছে।

বাইতুল করিম নামে কানাডার ওই মসজিদের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশটির আহমেদিয়া মুসলিম জামাত নামে একটি ইসলামি সংগঠন জানিয়েছে।   

কানাডার আহমেদিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট লাল খান মালিক ওই বিবৃতিতে বলেছেন, মসজিদে এ ধরণের হামলায় আমরা শঙ্কিত।

মসজিদ হলো শান্তির প্রতীক। এখান থেকে শান্তির বাণী প্রচার করা করা। কিন্তু এখানেও হামলা চালাচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি।

এটাকে কাপুরুষোচিত হামলা বলে তিনি উল্লেখ করেন। এটি সংস্কার করতে কয়েক লাখ ডলার প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

এমন সময় মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটলো, যখন ইসলামভীতি দূর করতে কানাডায় সর্ব ধর্মীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল।

গত বুধবার যোহর নামাজের সময় ওই মসজিদে ইসলামবিদ্বেষীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন এবং লুটপাট করে।

দুই মাস আগেও এক ধর্মবিদ্বেষী গাড়ি চালক মুসলিম একটি পরিবারের ৪ সদস্যকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করে।

পরে সেই ঘাতক পুলিশের কাছে শিকারও করে যে, তাদের পোশাক দেখে তার মনে হয়েছিল এরা সবাই মুসলিম- এ কারণেই তাদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করে ওই বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ যুবক। 

আতাউর রহমান আফতাব'র একটি ছড়াঃ ঈদের খুশি

আতাউর রহমান আফতাব'র একটি ছড়াঃ ঈদের খুশি



ঈদের খুশি
আতাউর রহমান আফতাব


ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে শৈশবের খবর
স্মৃতিগুলি ভেসে ওঠে যখন তখন জব্বর। 


ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে কোরবানীর ঈদ,
মসজিদেতে পড়বো নামাজ
চোখে যে নেই নীদ।


ঈদের খুশি নিয়ে এলো
হাজার পাখির গানে,
জাগলো সাঁড়া ঘরে ঘরে
নীল আকাশের পানে। 


ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
ঢেউ উঠেছে ঢেউ উঠেছে
কুশিয়ারার জলে,
খাল-নালা আর সাগর নদী
মিলায় গলে গলে।  

মৌলভীবাজারে একদিন আগেই ঈদের নামাজ পড়লেন শতাধিক পরিবার

মৌলভীবাজারে একদিন আগেই ঈদের নামাজ পড়লেন শতাধিক পরিবার



মৌলভীবাজারে একদিন আগেই প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লি ঈদ উল আযহার নামায পড়েছেন। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ১৪ বছর ধরেই তাদের এ রীতি চলে আসছে বলে জানান নামজের ইমামের আসনে থাকা আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি ভারত)।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামক বাসার উঠানে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত ও কোরবানি করা হয় বলে জানান, নামজের ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী।

এসময় সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মুসল্লিরা নামাজ শেষে কোলাকোলি করেন।

আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর জানান, গত ১৪ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই এই নামায আদায় করছেন। প্রথমে তার বাসার ছাঁদে আর এখন তার উঠানে নামাজ আদায় করছেন।