Sunday, 8 August 2021

৬০ হাজার ইয়াবাসহ যুবদল নেতা আটক

৬০ হাজার ইয়াবাসহ যুবদল নেতা আটক



ডেস্ক নিউজঃ কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং থেকে তাজউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবদল নেতাকে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ। রোববার বিকালে কুতুপালং কচুবনিয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক তাজউদ্দিন উখিয়ার মরিচ্যাপালং এলাকার মৃত চেহের আলীর ছেলে এবং উত্তর হলদিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা যুবদলের সভাপতি।

উখিয়া থানার ওসি সঞ্জুর মোর্শেদ তার আটকের বিষয়টি তথ্য  নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে উখিয়ার কুতুপালংয়ের কচুবনিয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ তাজউদ্দিনকে আটক করা হয়। ইয়াবাগুলো এক রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গ্রহণ করে তিনি কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।

জানতে চাইল উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, তাজউদ্দিন হলদিয়া পালং উত্তর শাখা যুবদলের আহবায়ক ছিল। মাদকসহ আটকের খবর জানার পর তাকে সংগঠনের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে জেলা যুবদল নেতারা আমাকে জানিয়েছেন।
সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি গোলাপগঞ্জ থানার হারুনুর রশীদ চৌধুরী

সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি গোলাপগঞ্জ থানার হারুনুর রশীদ চৌধুরী



আবারও সিলেটে জেলার শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সিলেট জেলা এবং সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার গ্রহন করেছিলেন তিনি।


এবারে তাকে গত জুলাই মাসের (জুলাই) মাদক উদ্ধার, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, মামলা নিষ্পত্তি-সহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ ওসিতে ভূষিত করে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। 


একই অবদানের জন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  সুশংকর পালকেও শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পুরষ্কৃত করা হয়। 


রোববার (০৮ আগস্ট) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এসপি এম শামসুল হক মিলনায়তনে পুলিশ মাসিক কল্যাণ সভায় তাদেরকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। 


এছাড়াও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই (নিঃ)  একলাছ মিয়া ও এএসআই(নিঃ) মোঃ মনিরুল ইসলামকেও পুরস্কৃত করে উৎসাহিত করা হয়।


কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহফুজ আফজাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ লুৎফর রহমান-সহ সিলেট জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।


গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই অর্জন আমার একার নয় আমার থানার সকল অফিসার ও ফোর্সের পরিশ্রমের ফসল । তাদের দায়িত্বশীলতায় আমি এ পুরস্কার পেয়েছি।


উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী এর আগেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার ওসি থাকাকালীন সুনামগঞ্জ জেলায় ৭বার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসিতে ভূষিত বিয়ানীবাজারের সন্তান শেখ নাজিম

সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসিতে ভূষিত বিয়ানীবাজারের সন্তান শেখ নাজিম



সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন। 

শেখ নাজিম উদ্দিনের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে।


শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণ সভায় পুলিশের এ কর্মকর্তার সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
 
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, শেখ নাজিম উদ্দিন ২০১৯ সালে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্রঃ বিয়ানীবাজার নিউজ২৪
বিধিনিষেধ শিথিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি

বিধিনিষেধ শিথিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি



আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে চলমান লকডাউন শিথিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার (৮ আগস্ট) বিকালে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

যা আছে নতুন প্রজ্ঞাপনে-

১. সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে।


২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।


৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও, যুবক গ্রেপ্তার

মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও, যুবক গ্রেপ্তার




কুমিল্লা দাউদকান্দির মডেল মসজিদে হিন্দি গানের সাথে টিকটক ভিডিও শুটিং করার ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইয়াছিন (২০)। তার বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায়। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার  ভিংলাবাড়ী থেকে শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে তাকে আটক করা হয়।

রবিবার (০৮ আগস্ট) কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুর রহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আফজল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) নাজমুল হাসান রাফিসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।




অভিযান পরিচালনাকারী কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, মসজিদে টিকটক ভিডিও তৈরিকারীকে তার বাসা থেকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। রবিবার গ্রেপ্তার ইয়াছিনকে আদালতে নিলে বিচারক গোলাম মাহবুব খান তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নির্মিত জেলার প্রথম মডেল মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগ ওঠে দুই তরুণ ও তরুণীর বিরুদ্ধে। তাদের ধারণ করা ভিডিওটি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

টিকটক ভিডিওটি নজরে আসে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানার। তিনিও তার ব্যবহৃত আইডি থেকে ওই দুই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। মো. জুয়েল রানা জানান, মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিওর বিষয়টি মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশীয় ১৫ প্রজাতির মাছের পেটে মিলল প্লাস্টিকের অস্তিত্ব

দেশীয় ১৫ প্রজাতির মাছের পেটে মিলল প্লাস্টিকের অস্তিত্ব



ডেস্ক নিউজঃ দেশীয় ১৫ প্রজাতির মাছের পেটে মিলেছে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’-এ গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার সুপারভাইজার (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক ও সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা পারভিন।

জাবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জান্নাত তার মাস্টার্সের থিসিসের অংশ হিসেবে এ গবেষণা করেন। যেখানে ১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ নিয়ে গবেষণা করা হয়। যার মধ্যে ১৫টি মাছের মধ্যেই প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিক) অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

সুমাইয়া জান্নাত বলেন, গবেষণার জন্য সাভার ও আশুলিয়া থেকে মাছ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাকৃত মাছগুলোর ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

গবেষণায় বলা হয়, কালবাউশ, বেলে, টেংরা, কই, বাটা, রুই, তেলাপিয়া, কমন কার্প, পাবদা, পুঁটি, রয়না, শিলং, বাইন, টাটকিনি ও বাছা মাছের শরীরে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে টেংরা, টাটকিনি ও রায়না মাছের শরীরে প্লাস্টিকের পরিমাণ বেশি।

এসব মাছে তিন ধরণের প্লাস্টিক পলিমারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। দৈনন্দিন ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল, জুস, শ্যাম্পুর বোতল, প্লাস্টিকের ব্যাগ, কনটেইনার, প্লাস্টিক ও ফোমের জুতা এবং মোড়ক থেকে এসব প্লাস্টিক পরিবেশে প্রবেশ করে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব মাছ পানির সবচেয়ে নিচের স্তরে বাস করে, তাদের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি বেশি। বাংলাদেশের জলাধারগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্যসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ফেলা হয়। আকারে খুবই ছোট হওয়ায় মাছ এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক নিজেদের খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে।

বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাছের পরিপাকতন্ত্র ফেলে দেয়া হয় বলে এসব প্লাস্টিক কণা খাদ্যের সঙ্গে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে না। তবে এসব প্লাস্টিক থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত রাসায়নিক মাছের দেহে জমা হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।


গবেষণার তত্ত্বাবধানে থাকা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘আমাদের দেশে যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। পানিতেও যেহেতু প্লাস্টিক ফেলা হয়, তাই জলজপ্রাণীরা সেগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে কি-না, তা এ গবেষণার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো- ১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৫টি প্রজাতির মধ্যেই খালি চোখে দেখা যায় না এমন প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা পাওয়া গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক কারণে নানাভাবে মানুষের শরীরে প্লাস্টিক প্রবেশ করছে। কিন্তু এসব প্লাস্টিক অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
এক দেশ, এক রেটঃ বেঁধে দেওয়া হলো আইআইজি-এনটিটিএন সেবার দাম

এক দেশ, এক রেটঃ বেঁধে দেওয়া হলো আইআইজি-এনটিটিএন সেবার দাম



টেক ডেস্কঃ সারাদেশে ইন্টারনেট সেবার দাম নির্দিষ্ট দেওয়ার পর এবার বেঁধে দেওয়া হলো আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) ও এনটিটিএন (ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা) সেবার মূল্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই সেবার মূল্য বেঁধে দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এরফলে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবার মূল্য ‘এক দেশ এক রেট’ শতভাগ বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ অগ্রসর হলো।

এ বিষয় নিয়ে বিটিআরসি শনিবার (৭ আগস্ট) আইএসপিএবি ও আইআইজি ফোরামের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করে সরকারের সিদ্ধান্ত (সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া) জানায়।


এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো গত ৬ জুন সরকার তিনটি ক্যাটাগরিতে (৫, ১০ ও ২০ এমবিপিএস) ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেয়। তখন এর বাইরে ছিল আইআইজি ও এনটিটিএন খাত। ফলে এতদিন ইচ্ছেমতো সেবার মূল্য নির্ধারণ করা হতো। এতে করে আইএসপি খাতে প্রকাশ্যে অসন্তোষ ছিল। তাই এবার দীর্ঘদিনের সেই অসন্তোষ দূর হতে যাচ্ছে।

ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়ার সময় ঘোষণা করা হয়, শিগগিরই আইআইজি ও এনটিটিএন সেবার দাম বেঁধে দেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত। 

জানা গেছে, এই দুটি সেবার দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হতে পারে।  

আইআইজি ও এনটিটিএন সেবার দাম বেঁধে দেওয়া হলে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারীরা ভালো মানের সেবা পাবেন। এছাড়া দাম একই হওয়ার কারণে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো মানের সেবা দিয়ে গ্রাহক ধরে রাখতে চাইবে। অপরদিকে ঢাকার বাইরের ডাটা প্রোভাইডার ও আইএসপিরা (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) বিশেষ সুবিধা পাবে যা প্রকারান্তরে গ্রাহকরা ভোগ করবে বলে জানান আইএসপি ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এর আগে এন্ড ইউজারদের (ইন্টারনেট ব্যবহারকারী) জন্য মূল্য বেঁধে দিয়েছিলাম। এটা কোনও পূর্ণ চিত্র ছিল না এই খাতের জন্য। অন্যদিকে আইএসপিগুলো যে সেবা দেয়, তা আইআইজি ও এনটিটিএন অপারেটরের ওপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত এই দুটো সেবার দাম বেঁধে দেওয়া। আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সেবা পরিবহন মূল্যের যে প্রস্তাবনা পাঠায় তা আমরা দেখে অনুমোদন করে দিয়েছি।  

তিনি আরও বলেন, আমরা ‘এক দেশ এক রেট’ ঘোষণা করার পর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আইএসপির অভিযোগ পাচ্ছিলাম, এনটিটিএন ও আইআইজি সেবা মূল্য বেঁধে দেওয়া না হলে এই রেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আশা করি এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন করতে আইএসপিগুলোর কোনও অসুবিধা হবে না।


জানা গেছে, আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টা স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দিয়েছে বিটিআরসি।   

জানতে চাইলে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিটিআরসি গত ১০-১২ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করছে। অবশেষে সফল হলো। এতে করে ব্যবহারকারীরা মান সম্মত সেবা পাবেন। বিটিআরসি একইসঙ্গে গ্রেড অব সার্ভিস নিশ্চিতের কথাও বলেছে। এসবের ফলে সারাদেশে ইন্টারনেটে ‘এক দেশ এক রেট’ বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো।

দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকার এক দেশ এক রেট ঘোষণা করার পরও ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে আইএসপিগুলো এই সেবা দিতে পারছিল না। তাদের ব্যান্ডউইথ ট্রান্সমিশন (পরিবহন) খরচ বেশি লাগত। সেবামূল্য বেঁধে দেওয়ার কারণে আইএসপিগুলো ঢাকার দামেই জেলা বা উপজেলায় ব্যান্ডউইথ পাবে। তাদের ট্রান্সমিশন খরচ কম পড়বে। 

তিনি আরও বলেন, অনেক আইএসপি দুই বা তিন এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে নিতো। এখন আর এটা থাকবে না।