Monday, 9 August 2021

ক্লাসরুমে টুকরা করে অধ্যক্ষকে পুঁতে ফেলা হয় নিজ স্কুলের মাঠেই

ক্লাসরুমে টুকরা করে অধ্যক্ষকে পুঁতে ফেলা হয় নিজ স্কুলের মাঠেই



স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে সোমবার সকালে এক খুদে বার্তায় অভিযান চালানোর এ তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হয়।

র‍্যাব বলছে, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র‍্যাবের হাতে আটক তিনজনও র‍্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।

মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন।

২০১৯ সালে মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাকারীদের মৃত্যুদণ্ডঃ গুলি বা ফাঁসিতে ঝুলানোর রায়

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাকারীদের মৃত্যুদণ্ডঃ গুলি বা ফাঁসিতে ঝুলানোর রায়



গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

এই রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যদণ্ডাদেশের (ডেথ রেফারেন্স) অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। 

ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম ২০১৭ সালের আগস্টে এ মামলার রায়ে ‘হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত পদ্ধতিতে গুলি করে’ ১০ আসামির দণ্ড কার্যকর করতে বলেছিলেন।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

সোমবার প্রকাশিত ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলে যেকোনো পদ্ধতি (ফায়ারিং স্কোয়াডে বা ফাঁসে ঝুলিয়ে) অনুসরণ  করে দণ্ডিত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারবে।

এর ব্যাখ্যায় উচ্চ আদালত বলেছে, গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির যেহেতু খুব একটা দেখা যায় না, সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উভয় পদ্ধতির যে কোনো একটি অনুসরণ করে তা কার্যকর করতে পারে।

ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৬৮ ধারায় বলা হয়েছে, আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। আর ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩৪ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ড হলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা মৃত্যু পর্যন্ত গুলি চালিয়ে তা কার্যকর করা যাবে।

তবে বাংলাদেশে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনো নজির নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে জজ আদালত আসামিদের ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বললেও হাইকোর্ট তা বদলে দিয়েছিলেন। 

সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে কোটালীপাড়ার মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় উভয় পদ্ধতির যে কোনো একটি অনুসরণ করার কথা বিচারিক আদালত আদেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু ফায়ারিং স্কোয়াডে জনগণের উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে না থাকায় হাইকোর্ট বিভাগ ওই আদেশ পরিবর্তন করে শুধু দণ্ডিত ব্যক্তির গলায় রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩৪এ ধারায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দু’ধরনের পদ্ধতি থাকলেও বর্তমান মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক দণ্ডিতদের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। এ ধরনের পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির যেহেতু খুব একটা দেখা যায় না, সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উভয় পদ্ধতির যে কোনো একটি অনুসরণ করে তা কার্যকর করতে পারে।

সুতরাং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সম্পর্কিত আদেশ পরিবর্তন করা হল।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।

২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।

তার এক দিন পর নিজের নির্বাচনি এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।

ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।


তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর
মেসির দলবদলের প্রভাব শেয়ার বাজারে

মেসির দলবদলের প্রভাব শেয়ার বাজারে



পিএসজিতে যোগ দিতে পারেন লিওনেল মেসি-শুধু এমন সম্ভাবনার কারণেই হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে ফরাসি ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম।

প্যারিসের ক্লাবটিতে সাবেক বার্সেলোনা অধিনায়ক যোগ দিলে বাড়বে ফরাসি ফুটবলের জনপ্রিয়তা। একই কারণে বাড়তে পারে টিভি দর্শকের সংখ্যাও। দুইয়ে মিলিয়ে শেয়ার বাজারে এই প্রভাব।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ ওয়ানের দল অলিম্পিক লিওঁর শেয়ারের দাম বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ। টিভি গ্রুপ টিএফওয়ান এবং চ্যানেল প্লাসের মালিক ভিভেন্দির শেয়ারের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৩ ও দশমিক ২ শতাংশ।

গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে ৩৪ বছর বয়সী মেসি নিশ্চিত করেন, পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য অন্য কয়েকটি দলের কাছ থেকেও তিনি প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান আর্জেন্টাইন তারকা।
কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা

কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা


কালোজিরা,- প্রায় সকল রোগের ক্ষেত্রেই যার আছে ঔষধি গুণ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। প্রাচীনকাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। দেখতে কালো হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি প্রায় সব অসুখেই কাজে আসে। এবার এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী হিসেবেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।


সিডনির একটি গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, এতে রয়েছে থাইমোকুইনোন নামে একটি উপাদান, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

ভাবতে অবাক লাগলেও এই রকম সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্যাটিভা।

আর এটিই বছরের পর বছর ধরে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে সংক্রামক অসুখ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উচ্চরক্তচাপ, অ্যালার্জি, ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও কালোজিরের ভূমিকা অব্যর্থ।

গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কালোজিরার থাইমোকুইনোন নামে উপাদানটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে আটকে যায়, ফলে ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।

এ ছাড়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক যে ‘সাইটোকাইন স্টর্ম’, সেটিও আটকে দিতে পারে কালোজিরা। সেই কারণেই করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে কালোজিরা।

তবে কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওষুধ তৈরির উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যা কাটানো সম্ভব।

তখন ওরাল মেডিসিন হিসেবেও এটি নেওয়া যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত রোগীদের নাকের স্প্রে হিসেবেই এর ব্যবহার হয়েছে।
বার্সায় বিনা বেতনে খেলতে পারতেন মেসি? নিয়ম যা বলছে

বার্সায় বিনা বেতনে খেলতে পারতেন মেসি? নিয়ম যা বলছে



স্পোর্টস ডেস্কঃ বার্সেলোনা ছাড়লেন মেসি। যা এখন পুরনো খবর। রোববার রাতে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন খুদেরাজের কান্না শুধু তার ভক্তদেরই নয় যে কারো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে।

অনেকেই বিস্মিত, কেউ কি একট ক্লাববে এতো ভালোবাসতে পারে? ক্লাবের দৈন্যদশায় নিজের বেতনের ৫০ শতাংশই কমিয়ে হলেও চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিলেন মেসি। তবুও দুর্ভাগ্য যে, এতটা ছাড় দেওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ক্লাবকে ছাড়তেই হলো মেসির   

তবে এর পাশাপাশি একটি প্রশ্নও বেশ জোরালো হয়ে সামনে এসেছে। তাহলো - মেসি কি পারতেন না, ১০০ শতাংশই ছাড়া দিতে? এতো আবেগ, এতো ভালোবাসা থাকলে তিনি কেন বিনা বেতনে খেলতে রাজি হননি? তাহলেই তো ঝামেলা চুকে যেত। মেসিকেও বার্সেলোনা ছাড়তে হতো না। বরং এতে বার্সা তার ঋণের বোঝা আরো কমাতে পারত।

বিশেষকরে মেসির সমালোচনাকারী বা দুর্মুখোরা এমনটা বেশি বলছেন।

কিন্তু চাইলেই কি তা করতে পারতেন মেসি? সেটির ব্যাখ্যা ইতোমধ্যে খুঁজে বের করে স্প্যানিশ ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ফুটবল এসপানা। তাদের বিশ্লেষণ বলছে, মেসি চাইলেও বিনা বেতনে তো দূরের কথা ৭০ শতাংশ কম বেতনেও খেলতে পারতেন না! এটা লিগ কর্তৃপক্ষের রীতিবিরুদ্ধ।

ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মিররের সাংবাদিক ও ‘দ্য ফ্রাইং প্যান অব স্পেন’ নামের বইয়ের লেখক কলিন মিলারের একটি টুইটকে উদ্ধৃত করে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে ফুটবল এসপানা।

ফুটবল এসপানা বলছে , বিনা বেতনে বা অস্বাভাবিক কম বেতনে চুক্তি করা বাস্তবে সম্ভব নয়।

মিলার তার টুইটে লিখেছেন, ‘স্প্যানিশ আইন অনুসারে,যে কোনো নতুন চুক্তিতে খেলোয়াড়ের বেতন তার আগের চুক্তির বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হয়। আর্থিকভাবে ক্লাবগুলো যাতে কোনো দুর্নীতি করতে না পারে সে জন্যই এই নিয়ম। সে হিসেবে বার্সেলোনায় মেসির বিনা বেতনে খেলা আইনত অবৈধ। ’

এ তো গেল নিয়মের প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু বিবিসি স্পোর্টসের সাংবাদিক রাজ চোহান বলছেন, সেটা করা গেলেও চুক্তি নবায়ন করতে পারতেন না মেসি।

এর ব্যাখ্যায় এক টুইটে রাজ চোহান লিখেছেন, ‘বার্সার আয়-বেতনের অনুপাত এই মুহূর্তে প্রায় ১১৫ শতাংশ। মেসিকে এক পয়সাও না দিলে এটা হবে ৯৫ শতাংশ। আর লা লিগার বেতনের সীমা নির্দিষ্ট করা আছে ৭০ শতাংশে। তাই মেসি যদি বিনা বেতনেও খেলতে চাইত, বার্সা তাকে নিবন্ধন করাতে পারত না।’

এর মানে মেসির বিষয়টি ছাড়াও বার্সা কে আরো বেশ কিছু ঝামেলা পোহানো বাকি।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের ওয়েবসাইট ইউরোস্পোর্টও একই ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের কথায়, মেসির সঙ্গে চুক্তি তো দূরের কথা গ্রিজমান, কুতিনিও, উমতিতি, পিয়ানিচ, ব্রাথওয়েইটদের কাউকে অন্য ক্লাবে বিক্রি করার আগপর্যন্ত বার্সা নতুন চার খেলোয়াড়কে (আগুয়েরো, মেম্ফিস, এরিক গার্সিয়া, এমারসন রয়াল) নিবন্ধন করানোর উপায় নেই।
জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা

জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা



জকিগঞ্জে সন্ধান পাওয়া গ্যাস কূপকে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ‘এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ ঘোষণা দেন।

জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।

এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে 'বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)'।

গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।

কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


ফরিদপুর যুব সমাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

ফরিদপুর যুব সমাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার



দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর একটি আদর্শ ও ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ শেখ ফরিদ আনচারী (রাঃ) এর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত এ  গ্রামের একদল নির্ভীক ও সমাজ উন্নয়নে নিবেদিত তারুন্যদীপ্ত মানুষের সফল প্রয়াস ফরিদপুর যুব সংঘ।
 
গ্রামের শিক্ষা,স্বাস্থ্য,  ক্রীড়া ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডে সদা তৎপর এ সংঘের সদস্যরা। এ গ্রামেরই কৃতি সন্তান, সংঘের উপদেষ্টা  যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবী জুয়েল আহমদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংঘের গৃহীত কার্যক্রম ইতোমধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। 

গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামের বৃহৎ যোগাযোগের মাধ্যম সাতমাইল- ফরিদপুর রাস্তার সংস্কারে এগিয়ে আসেন সংঘের সদস্যরা। তারা স্হানীয়ভাবে চাদা সংগ্রহ করে নেমে পড়েন রাস্তা সংস্কারে।

গতকাল (৮ আগষ্ট) সকালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে জুয়েল আহমদ ও ওয়ার্ড মেম্বার রৌশন আহমদ রাস্তা সংস্কারের লক্ষ্যে সাতমাইল থেকে কাজ শুরু করেন। গ্রামের যুব সমাজ ও সংঘের সদস্যরা ইট ও বালির মিশ্রনে পুরো রাস্তার ভাংচুর অংশ মেরামত করেন। তাদের এসব মহান কার্যক্রম পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্হানীয় লোকজন তা অবলোকন করতে আসেন। একার পক্ষে যা করা সম্ভব নয়, তা সকলের পক্ষে সহজেই সম্ভব তা প্রমান করে দিলেন এই তরুণরা। গ্রামের ছোটবড় সকলের অংশ গ্রহণে সাময়িকভাবে এ রাস্তা সংস্কারের ফলে যাত্রী ও যান চলাচল সহজতর ও দুর্ঘটনা মুক্ত হয়েছে বলে স্হানীয়রা মনে করছেন।

সিএনজি মালিক সাজু বলেন, রাস্তাটির সংস্কারের ফলে আমরা শান্তিতে চলাচল করতে পারব, এতে যাত্রীরা ও দুর্ঘটনা মুক্ত থাকতে পারবে।

সংঘের উপদেষ্টা, অত্র এলাকার আগামীদিনের কর্নধার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জুয়েল আহমদ বলেন, আমরা সবসময় মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। আর এ রাস্তা তো আমার গ্রামের চলাচলের রাস্তা। তাই সকলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গ্রামের যুব সমাজ ও যুব সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তার উন্নয়নে এগিয়ে এসেছি। আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজের কল্যাণে কাজ করা। তিনি শুধু রাস্তাঘাট নয় এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সকলের সমান অংশগ্রহণের দাবী জানান।