Monday, 9 August 2021
বার্সায় বিনা বেতনে খেলতে পারতেন মেসি? নিয়ম যা বলছে
জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা
জকিগঞ্জে সন্ধান পাওয়া গ্যাস কূপকে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ‘এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ ঘোষণা দেন।
জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।
এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে 'বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)'।
গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।
কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।
ফরিদপুর যুব সমাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার
দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর একটি আদর্শ ও ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ শেখ ফরিদ আনচারী (রাঃ) এর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত এ গ্রামের একদল নির্ভীক ও সমাজ উন্নয়নে নিবেদিত তারুন্যদীপ্ত মানুষের সফল প্রয়াস ফরিদপুর যুব সংঘ।
গ্রামের শিক্ষা,স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডে সদা তৎপর এ সংঘের সদস্যরা। এ গ্রামেরই কৃতি সন্তান, সংঘের উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবী জুয়েল আহমদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংঘের গৃহীত কার্যক্রম ইতোমধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামের বৃহৎ যোগাযোগের মাধ্যম সাতমাইল- ফরিদপুর রাস্তার সংস্কারে এগিয়ে আসেন সংঘের সদস্যরা। তারা স্হানীয়ভাবে চাদা সংগ্রহ করে নেমে পড়েন রাস্তা সংস্কারে।
গতকাল (৮ আগষ্ট) সকালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে জুয়েল আহমদ ও ওয়ার্ড মেম্বার রৌশন আহমদ রাস্তা সংস্কারের লক্ষ্যে সাতমাইল থেকে কাজ শুরু করেন। গ্রামের যুব সমাজ ও সংঘের সদস্যরা ইট ও বালির মিশ্রনে পুরো রাস্তার ভাংচুর অংশ মেরামত করেন। তাদের এসব মহান কার্যক্রম পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্হানীয় লোকজন তা অবলোকন করতে আসেন। একার পক্ষে যা করা সম্ভব নয়, তা সকলের পক্ষে সহজেই সম্ভব তা প্রমান করে দিলেন এই তরুণরা। গ্রামের ছোটবড় সকলের অংশ গ্রহণে সাময়িকভাবে এ রাস্তা সংস্কারের ফলে যাত্রী ও যান চলাচল সহজতর ও দুর্ঘটনা মুক্ত হয়েছে বলে স্হানীয়রা মনে করছেন।
সিএনজি মালিক সাজু বলেন, রাস্তাটির সংস্কারের ফলে আমরা শান্তিতে চলাচল করতে পারব, এতে যাত্রীরা ও দুর্ঘটনা মুক্ত থাকতে পারবে।
সংঘের উপদেষ্টা, অত্র এলাকার আগামীদিনের কর্নধার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জুয়েল আহমদ বলেন, আমরা সবসময় মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। আর এ রাস্তা তো আমার গ্রামের চলাচলের রাস্তা। তাই সকলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গ্রামের যুব সমাজ ও যুব সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তার উন্নয়নে এগিয়ে এসেছি। আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজের কল্যাণে কাজ করা। তিনি শুধু রাস্তাঘাট নয় এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সকলের সমান অংশগ্রহণের দাবী জানান।