Monday, 9 August 2021

কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা

কালোজিরাতেই ঘায়েল হবে করোনাঃ গবেষণা


কালোজিরা,- প্রায় সকল রোগের ক্ষেত্রেই যার আছে ঔষধি গুণ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। প্রাচীনকাল থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে কালো জিরাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন চিকিৎসক-কবিরাজরা। দেখতে কালো হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি প্রায় সব অসুখেই কাজে আসে। এবার এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী হিসেবেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।


সিডনির একটি গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, এতে রয়েছে থাইমোকুইনোন নামে একটি উপাদান, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

ভাবতে অবাক লাগলেও এই রকম সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্যাটিভা।

আর এটিই বছরের পর বছর ধরে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে সংক্রামক অসুখ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উচ্চরক্তচাপ, অ্যালার্জি, ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও কালোজিরের ভূমিকা অব্যর্থ।

গবেষণার সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কালোজিরার থাইমোকুইনোন নামে উপাদানটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে আটকে যায়, ফলে ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।

এ ছাড়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক যে ‘সাইটোকাইন স্টর্ম’, সেটিও আটকে দিতে পারে কালোজিরা। সেই কারণেই করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে কালোজিরা।

তবে কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওষুধ তৈরির উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যা কাটানো সম্ভব।

তখন ওরাল মেডিসিন হিসেবেও এটি নেওয়া যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত রোগীদের নাকের স্প্রে হিসেবেই এর ব্যবহার হয়েছে।
বার্সায় বিনা বেতনে খেলতে পারতেন মেসি? নিয়ম যা বলছে

বার্সায় বিনা বেতনে খেলতে পারতেন মেসি? নিয়ম যা বলছে



স্পোর্টস ডেস্কঃ বার্সেলোনা ছাড়লেন মেসি। যা এখন পুরনো খবর। রোববার রাতে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন খুদেরাজের কান্না শুধু তার ভক্তদেরই নয় যে কারো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে।

অনেকেই বিস্মিত, কেউ কি একট ক্লাববে এতো ভালোবাসতে পারে? ক্লাবের দৈন্যদশায় নিজের বেতনের ৫০ শতাংশই কমিয়ে হলেও চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিলেন মেসি। তবুও দুর্ভাগ্য যে, এতটা ছাড় দেওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ক্লাবকে ছাড়তেই হলো মেসির   

তবে এর পাশাপাশি একটি প্রশ্নও বেশ জোরালো হয়ে সামনে এসেছে। তাহলো - মেসি কি পারতেন না, ১০০ শতাংশই ছাড়া দিতে? এতো আবেগ, এতো ভালোবাসা থাকলে তিনি কেন বিনা বেতনে খেলতে রাজি হননি? তাহলেই তো ঝামেলা চুকে যেত। মেসিকেও বার্সেলোনা ছাড়তে হতো না। বরং এতে বার্সা তার ঋণের বোঝা আরো কমাতে পারত।

বিশেষকরে মেসির সমালোচনাকারী বা দুর্মুখোরা এমনটা বেশি বলছেন।

কিন্তু চাইলেই কি তা করতে পারতেন মেসি? সেটির ব্যাখ্যা ইতোমধ্যে খুঁজে বের করে স্প্যানিশ ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ফুটবল এসপানা। তাদের বিশ্লেষণ বলছে, মেসি চাইলেও বিনা বেতনে তো দূরের কথা ৭০ শতাংশ কম বেতনেও খেলতে পারতেন না! এটা লিগ কর্তৃপক্ষের রীতিবিরুদ্ধ।

ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মিররের সাংবাদিক ও ‘দ্য ফ্রাইং প্যান অব স্পেন’ নামের বইয়ের লেখক কলিন মিলারের একটি টুইটকে উদ্ধৃত করে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে ফুটবল এসপানা।

ফুটবল এসপানা বলছে , বিনা বেতনে বা অস্বাভাবিক কম বেতনে চুক্তি করা বাস্তবে সম্ভব নয়।

মিলার তার টুইটে লিখেছেন, ‘স্প্যানিশ আইন অনুসারে,যে কোনো নতুন চুক্তিতে খেলোয়াড়ের বেতন তার আগের চুক্তির বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হয়। আর্থিকভাবে ক্লাবগুলো যাতে কোনো দুর্নীতি করতে না পারে সে জন্যই এই নিয়ম। সে হিসেবে বার্সেলোনায় মেসির বিনা বেতনে খেলা আইনত অবৈধ। ’

এ তো গেল নিয়মের প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু বিবিসি স্পোর্টসের সাংবাদিক রাজ চোহান বলছেন, সেটা করা গেলেও চুক্তি নবায়ন করতে পারতেন না মেসি।

এর ব্যাখ্যায় এক টুইটে রাজ চোহান লিখেছেন, ‘বার্সার আয়-বেতনের অনুপাত এই মুহূর্তে প্রায় ১১৫ শতাংশ। মেসিকে এক পয়সাও না দিলে এটা হবে ৯৫ শতাংশ। আর লা লিগার বেতনের সীমা নির্দিষ্ট করা আছে ৭০ শতাংশে। তাই মেসি যদি বিনা বেতনেও খেলতে চাইত, বার্সা তাকে নিবন্ধন করাতে পারত না।’

এর মানে মেসির বিষয়টি ছাড়াও বার্সা কে আরো বেশ কিছু ঝামেলা পোহানো বাকি।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের ওয়েবসাইট ইউরোস্পোর্টও একই ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের কথায়, মেসির সঙ্গে চুক্তি তো দূরের কথা গ্রিজমান, কুতিনিও, উমতিতি, পিয়ানিচ, ব্রাথওয়েইটদের কাউকে অন্য ক্লাবে বিক্রি করার আগপর্যন্ত বার্সা নতুন চার খেলোয়াড়কে (আগুয়েরো, মেম্ফিস, এরিক গার্সিয়া, এমারসন রয়াল) নিবন্ধন করানোর উপায় নেই।
জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা

জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা



জকিগঞ্জে সন্ধান পাওয়া গ্যাস কূপকে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ‘এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ ঘোষণা দেন।

জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।

এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে 'বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)'।

গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।

কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


ফরিদপুর যুব সমাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

ফরিদপুর যুব সমাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার



দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর একটি আদর্শ ও ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ শেখ ফরিদ আনচারী (রাঃ) এর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত এ  গ্রামের একদল নির্ভীক ও সমাজ উন্নয়নে নিবেদিত তারুন্যদীপ্ত মানুষের সফল প্রয়াস ফরিদপুর যুব সংঘ।
 
গ্রামের শিক্ষা,স্বাস্থ্য,  ক্রীড়া ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডে সদা তৎপর এ সংঘের সদস্যরা। এ গ্রামেরই কৃতি সন্তান, সংঘের উপদেষ্টা  যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবী জুয়েল আহমদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংঘের গৃহীত কার্যক্রম ইতোমধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। 

গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামের বৃহৎ যোগাযোগের মাধ্যম সাতমাইল- ফরিদপুর রাস্তার সংস্কারে এগিয়ে আসেন সংঘের সদস্যরা। তারা স্হানীয়ভাবে চাদা সংগ্রহ করে নেমে পড়েন রাস্তা সংস্কারে।

গতকাল (৮ আগষ্ট) সকালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে জুয়েল আহমদ ও ওয়ার্ড মেম্বার রৌশন আহমদ রাস্তা সংস্কারের লক্ষ্যে সাতমাইল থেকে কাজ শুরু করেন। গ্রামের যুব সমাজ ও সংঘের সদস্যরা ইট ও বালির মিশ্রনে পুরো রাস্তার ভাংচুর অংশ মেরামত করেন। তাদের এসব মহান কার্যক্রম পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্হানীয় লোকজন তা অবলোকন করতে আসেন। একার পক্ষে যা করা সম্ভব নয়, তা সকলের পক্ষে সহজেই সম্ভব তা প্রমান করে দিলেন এই তরুণরা। গ্রামের ছোটবড় সকলের অংশ গ্রহণে সাময়িকভাবে এ রাস্তা সংস্কারের ফলে যাত্রী ও যান চলাচল সহজতর ও দুর্ঘটনা মুক্ত হয়েছে বলে স্হানীয়রা মনে করছেন।

সিএনজি মালিক সাজু বলেন, রাস্তাটির সংস্কারের ফলে আমরা শান্তিতে চলাচল করতে পারব, এতে যাত্রীরা ও দুর্ঘটনা মুক্ত থাকতে পারবে।

সংঘের উপদেষ্টা, অত্র এলাকার আগামীদিনের কর্নধার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জুয়েল আহমদ বলেন, আমরা সবসময় মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। আর এ রাস্তা তো আমার গ্রামের চলাচলের রাস্তা। তাই সকলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গ্রামের যুব সমাজ ও যুব সংঘের সদস্যদের সাথে নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তার উন্নয়নে এগিয়ে এসেছি। আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজের কল্যাণে কাজ করা। তিনি শুধু রাস্তাঘাট নয় এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সকলের সমান অংশগ্রহণের দাবী জানান।
মহিয়সী নারী সানোয়ারা খানম চৌধুরীর মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

মহিয়সী নারী সানোয়ারা খানম চৌধুরীর মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল



লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান, বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাউথ সুরমা এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ও  হযরত আবুদৌলত  শাহজাকারিয়া র. মডেল মাদরাসার  প্রতিষ্ঠাতা পীর ফয়জুল হক এর  মমতাময়ী মা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী  সানোয়ারা খানম চৌধুরীর বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার দুপুরে হযরত আবুদৌলত শাহজাকারিয়া (র.) মডেল মাদরাসা মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিদূষী মহিলা সানোয়ারা খানম চৌধুরীর মাগফিরাত কামনাসহ তাহাকে যেন  মহান রাব্বুল আলামীন জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন এই কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত



করোনার সংক্রমণরোধে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের শর্তসাপেক্ষে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার (৮ আগস্ট) অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারী টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারী যদি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ গ্রহণের পর এইএফআই কেস হিসাবে শনাক্ত হন তবে তাকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না।

একইসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয় সম্মতিপত্রে টিকাগ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত টিকা প্রদান করা যাবে না।

নির্দেশনায় তিন নাম্বারে কাউন্সেলিং উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক গর্ভবতী নারীকে টিকা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবহিত করতে হবে।

এর আগে গত ২ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা এবং যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ।

নাইট্যাগের সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটা করতে চায়। তাই আমরা সবকিছু বিবেচনা করে সম্মতি দিয়েছি টিকা দেওয়ার জন্য। এর আগে গত পরশু এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানেই সম্মতি দিয়েছি যে এটা করা যাবে।
পৌরসভার প্রতি কঠোর বার্তা সরকারের

পৌরসভার প্রতি কঠোর বার্তা সরকারের



ডেস্কঃ দেশের পৌরসভাগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকার। পৌরসভাগুলোকে সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত পদ ব্যতিত কোনো জনবল নিয়োগ প্রদান না করতে নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ইতোমধ্যে নিয়োগকৃতদের বাতিল করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

এসব নির্দেশনা প্রতিপালন না করলে ওইসব পৌরসভাগুলোর সব ধরনের বরাদ্দ বাতিল, প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পৌরসভাগুলোতে সাংগঠনিক কাঠামো ও বিধিনিষেধ অনুসরণ না করেই চুক্তিভিত্তিক, আউটসোর্সিং, মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ করছে। যেটা কোনোভাবে কাম্য নয়। ইতোপূর্বে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলেও অনেক পৌরসভা সেগুলো মানছে না। এজন্য এ ব্যাপারে পুনরায় সতর্ক করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে ৬টি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- সুইপার, সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, মৌলভী, পুরোহিত ও ডোম। কিন্তু বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করছে। আর আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমেও প্রচুর কর্মচারী নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে করে বেতন-ভাতা প্রদানে পৌরসভাগুলোতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড উন্নয়ন কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিধিবহির্ভূতভাবে মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ না করা এবং পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামোর অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তিনটি পত্র জারি করা হলেও সব জায়গায় সেটার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।