Tuesday, 10 August 2021

বিয়ের আসর থেকে বউকে রেখে জানালা ভেঙে পালালেন বর

বিয়ের আসর থেকে বউকে রেখে জানালা ভেঙে পালালেন বর



ডেস্কঃ কনের বাড়িতে বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া শেষ। এর আগে সেরে ফেলা হয় বিয়ের পর্বটিও। তবে কনেকে শ্বশুরবাড়ি নেওয়ার আগ মুহূর্তে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে থাকেন বরযাত্রীরা। বর ইব্রাহিম হোসেনও (২২) কিশোরী বউকে রেখে পালিয়ে যান। তবে আটক হন ঘটক। রোববার (৮ আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বর ইব্রাহিম হোসেন সাঁথিয়ার ফকিরপাড়া গ্রামের ফজর প্রামাণিকের ছেলে। আর কনে করমজা গ্রামের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের অভিভাবক, ঘটক ও বর কনেকে আশ্রয়দানকারীদের বাল্যবিবাহ সংঘটনের অপরাধে সর্বমোট ১৩০০০/- টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ জানান, করমজায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের খবর আসে। এরপরই সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান পুলিশ ফোর্সসহ মেয়ের বাবা মো. রিপন আলীর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা পৌঁছার আগেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও যাত্রীরা পালিয়ে যান। তবে ঘটককে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। ঘটকের তথ্যমতে বর-কনেকে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে পাওয়া যায়। এ সময় বর ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফের রিমান্ডে পরীমণি-রাজ

ফের রিমান্ডে পরীমণি-রাজ



রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও ২ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরীমণির পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন মুখ্য মহানগর দায়রা আদালতের হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস।

এদিকে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মাদক মামলায় রাজের ২ দিন এবং পর্ণোগ্রাফি ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাজের সহযোগী সবুজকে ৪ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চারদিনের রিমান্ড শেষে বনানী থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

পরীমনিকে দেখতে আদালত প্রাঙ্গণে শত শত মানুষের ভিড় জমিয়েছে। মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে এজলাস থেকে বের করে দেয়া হয় সাংবাদিকদের।

এর আগে, ৪ আগস্ট বনানীর নিজ বাসা থেকে মাদকসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন নায়িকা পরীমনি। মাদক মামলায় তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
সবসময় মানুষকে দান করা পরীমণি এখন পরিস্থিতির শিকার: পরীমণির নানা

সবসময় মানুষকে দান করা পরীমণি এখন পরিস্থিতির শিকার: পরীমণির নানা



পরীমণি নিজের জন্য কিছুই করেনি, সব মানুষকে দান করে এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার শতবর্ষী নানা।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে পরীমণির সাথে দেখা করতে আদালতে এসেছেন তিনি। সাথে থাকা একজনের দাবি, পরীমণির নানার বয়স ১২০ বছর!

তার নানা সাংবাদিকদের জানান, নিজের জন্য জীবনে সে কিছু করে নাই। সব কিছু মানুষকে দান করে এখন সে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। নিজে একটা ফ্ল্যাট করে নাই। প্রত্যেক বছর এফডিসিতে কোরবানি বাড়ায় দেয় গরীবদের জন্য। সব কিছু মানুষকে বিলিয়ে দেয়। এখন আল্লাহ পাক যদি ওরে মাপ করে আরকি।

পরীমণির বাসায় মাদক পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসায় খালি বোতল ছিল। এগুলো মাদকের বোতল কিনা জানি না।

গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমণিকে আদালতে তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে।
বুধবার থেকে ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু

বুধবার থেকে ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু



বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে চালু হচ্ছে। ভ্রমণ ভিসা ছাড়া সব ধরনের আবেদন নেবে ভিসা সেন্টারগুলো। 

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের কথা ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লকডাউন/বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন সেন্টারগুলো বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে পুনরায় চালু হবে। পর্যটক ভিসা ছাড়া সব আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদনকারীদের ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে (আইভেক) আবেদন করার জন্য কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

এর আগে, গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে সকল ভারতীয় ভিসা আবেদন বন্ধের ঘোষণা করা হয়। প্রায় এক মাস ১০ দিন পর আবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো খোলা হচ্ছে।  

ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ১৫টি ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) আছে। সেগুলো ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, বগুড়া, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায় অবস্থিত।

উল্লেখ্য, ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে বিজনেস, কনফারেন্স, কূটনৈতিক, চাকরি, জরুরি, এন্ট্রি, সাংবাদিক, মেডিকেল, মিশনারি, দুই মাসের মধ্যে পুনঃপ্রবেশ, গবেষণা, শিক্ষার্থী, পর্যটক ও ট্রানজিট ভিসা দেয় ভারত।
সিলেটজুড়ে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি

সিলেটজুড়ে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশব্যাপী গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ফলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটেও গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধীনস্থ এলাকা হয়েও সিলেটবাসী ওই সময় থেকে নতুন করে গ্যাস সংযোগ পাননি। সোমবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণার পর থেকে নতুন করে দাবি উঠেছে সিলেটবাসীর।

জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। যার মূল্য হবে প্রায় ১২৭৬ কোটি টাকা। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে গ্যাসক্ষেত্র সন্ধানের তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।


এ ঘোষণার পর থেকে সিলেটে সচেতন মহলের মাঝে নতুন করে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠে। তারা বলছেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাস এলাকাধীন থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাই অনতিবিলম্বে সিলেটে সর্বত্র গ্যাসের আওতাধীন করার দাবি জানান তারা।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের যুগ্ম আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর সিলেট প্রতিদিনকে বলেছেন, সিলেটে অযৌক্তিক কারণে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাস সিলেটে উৎপাদন হয়, অথচ সিলেটের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে মূলত সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে। আমরা গ্যাস সংযোগ বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের শুরু থেকে প্রতিবাদ করে আসছি। বিগত সংসদ নির্বাচনে শাসক দলের অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্যাস সংযোগের। কিন্তু এখন তারা ভুলে গেছেন। জকিগঞ্জের গ্যাসষ্কেত্র আবিষ্কার হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা সিলেটসহ সর্বত্র আবার আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু হবে।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের আহ্বায়ক ধীরেন সিংহ সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ, এর মালিক জনগণ। কিন্তু সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সিলেটে দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তিনি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সিলেটের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান।


নাগরিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কতিপয় লোকের স্বার্থের কারনে সিলেটবাসীকে তাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোর দাবি- সিলেটের সর্বত্র যেন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী সিলেট প্রতিদিনকে বলেছেন, জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া সিলেট সহ সারা দেশের জন্য সুখবর। আমাদের দাবি- আগে সিলেট বিভাগের সকল জায়গায় গ্যাস সংযোগ চালু করা হোক। এরপর দেশের যেকোন জায়গায় গ্যাস দেওয়া হোক।‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ নেতাদের দাবি- সিলেট অঞ্চলে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ রাখার আদেশকে ‘বায়বীয়’। এর কারণ সম্পর্কে নেতারা বলেন, লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবে বায়বীয় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শুধু জনভোগান্তি নয়, সরকারও রাজস্ব খাত থেকে কোটি কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে।


জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি এক আদেশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জালালাবাদ গ্যাসের অধীন এলাকা ছাড়া অনুমোদন সাপেক্ষে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর সারা দেশে গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলেও সিলেটে চালু ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ৮ জুলাই আরেকটি নির্দেশনায় জালালাবাদ গ্যাসকে একইভাবে সারা দেশের সঙ্গে নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কমিটির অনুমোদন নেওয়ার অফিস আদেশ জারি হয়।

এরপর ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।এ অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহকে আহ্বায়ক করে ‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ গঠন করা হয়। সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাদের ওই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

৬ জানুয়ারি তাদের প্রথম সভায় ১০ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনের পক্ষে ১০ দিনের টানা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এতে কোন ফলপ্রসু হয়নি।এদিকে সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যেখান থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যার মূল্য প্রায় এক হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, জকিগঞ্জে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৮ পিসিএফ (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাসের সন্ধান আমরা পেয়েছি। এরপর থেকেই সিলেটবাসীর মনে নতুন করে গ্যাস সংযোগের আশা জাগে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে পেরেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি ধন্যবাদ জানাই। সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে জ্বালানি বিভাগের যে টিম এই কাজ করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।

গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কম্পানিটি।কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি, অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ঘণ্টা দুয়েক পর্যবেক্ষণের পর বলতে পারব। তার আগে বললে সেটি সঠিক না-ও হতে পারে।

এর আগে একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে, এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে।

আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরো ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে।সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিসিএফের মতো।১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতিবছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত জুনে গণমাধ্যমে বলেন, ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি। হয়তো বড় মজুদ হবে না। আমরা আরো বেশ কিছু গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।

সৌজন্যেঃ sylhetprothidin24.com
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা একা

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা একা



মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা একা। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।গত ১ আগস্ট একাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পুলিশ মামলা দুটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ড আবেদন করে।শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ৩১ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্মী হাজেরা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আর একার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর উলনের বাসা থেকে ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় একাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে ইয়াবা এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিং করে তাক লাগালেন নারী (ভিডিও)

বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিং করে তাক লাগালেন নারী (ভিডিও)



মাটি থেকে ৮২৮ মিটার উপরে উঠলে অনেকেরই ভয়ে গলা শুকিয়ে আসবে, হাত-পা কাঁপবে। অথচ সেই উচ্চতায় হচ্ছে বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং, তাতে দেখা যাচ্ছে কেবল এক নারীকে। সম্প্রতি এমনই এক ‘অসাধ্য’ সাধন করেছে আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্স। কোনো ধরনের ‘গ্রিন স্ক্রিন’ বা স্পেশাল ইফেক্টস ছাড়াই বুর্জ খলিফার চূড়ায় এক নারীকে দাঁড় করিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিং সেরেছে তারা। কিন্তু কীভাবে?

দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, এমিরেটসের বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা যাওয়া ওই সাহসী নারীর নাম নিকোল স্মিথ-লুডভিক। তিনি পেশাদার স্কাইডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর। বুর্জ খলিফার চূড়ায় ওঠা হাতেগোনা কিছু মানুষের তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে তার নাম। এর আগে দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ও হলিউড তারকা টম ক্রুজসহ অল্প কয়েকজনের বুর্জ খলিফার চূড়ায় ওঠার সৌভাগ্য হয়েছিল।


কী আছে বিজ্ঞাপনে?

৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওক্লিপে দেখা যায়, এমিরেটসের কেবিন ক্রুদের ইউনিফর্ম পরা নিকোলের হাতে কয়েকটি সাদা বোর্ড রয়েছে, যাতে আমিরাতকে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ সংক্রান্ত আম্বার তালিকায় যুক্ত করায় খুশি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। শুরুতে এটিকে আর দশটা সাধারণ জায়গার মতো মনে হলেও ক্যামেরা দূরে যেতেই পরিষ্কার হয়ে ওঠে নিকোলের অবস্থান। দেখা যায়, তিনি একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চূড়ায়।



যেভাবে করা হয় বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংঃ

এমিরেটস কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিজ্ঞাপনটি চিত্রায়িত হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা আর কঠোর সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণের ভিত্তিতে। কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। ৮২৮ মিটার উঁচু বুর্জ খলিফার চূড়ায় উঠে মাত্র ১ দশমিক ২ মিটার অর্থাৎ চার ফুটের চেয়েও ছোট একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে সব কাজ সারতে হয়েছে মডেলকে।


এমিরেটস জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনের মডেল খুঁজতে তাদের নিজস্ব কেবিন ক্রুদের মধ্য থেকেই আগ্রহীদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যোগ্যও ছিলেন। তবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেষ পর্যন্ত একজন পেশাদার স্কাইডাইভার ইনস্ট্রাক্টরকেই বেছে নেয়া হয়। এরপরও বিজ্ঞাপনচিত্রের গোটা শুটিও ও এর প্রস্তুতিকালে নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে।

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বুর্জ খলিফার চূড়ায় দাঁড়ানোর জন্য একটি পোলযুক্ত কাস্টম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছিল। ইউনিফর্মের নিচ দিয়ে লুকিয়ে প্ল্যাটফর্মের ওই পোলটি নিকোলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, এছাড়া চূড়ার আরও দুটি প্রান্তের সঙ্গে সরাসরি বাঁধা ছিলেন তিনি।


সোনালি আলো পেতে শুটিং শুরু হয়েছিল একদম সূর্যোদয়ের সময়। সূর্য ওঠার অনেক আগেই চূড়ায় ওঠা শুরু করে বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট টিম। বুর্জ খলিফার ১৬০ তলা থেকে শীর্ষে পৌঁছতে তাদের প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল বলে জানিয়েছে এমিরেটস কর্তৃপক্ষ।

চূড়ায় পৌঁছতে টিউবের ভেতর কয়েক ধাপে মই সংযুক্ত করতে হয়েছিল বিজ্ঞাপন টিমকে। তারা সেখানে ছিলেন পাঁচ ঘণ্টার মতো। পুরো সিকোয়েন্স ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ড্রোন।

এমিরেটস জানিয়েছে, ৮২৮ মিটার উঁচুতে ধারণ করা এ বিজ্ঞাপন গোটা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ উচ্চতায় ধারণ করা বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে অন্যতম।


প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট স্যার টিম ক্লার্ক বলেন, বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিংয়ের অনুমতি পাওয়া কিছু বিশিষ্টজনের মধ্যে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের সুন্দর শহর দুবাইকে দেখাতে পেরে আমরা আরও বেশি গর্ববোধ করছি।

জানা গেছে, দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক বার্তা সংযোজন করে এমিরেটসের নেটওয়ার্কের বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞাপনটি দেখানো হবে। এর প্রথম টিভি ক্যাম্পেইন শুরু হবে যুক্তরাজ্যে।