Wednesday, 11 August 2021

বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

ফাইল ছবি


ডেস্ক নিউজঃ আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইমরান হোসেনকে (৩২) ফরিদপুরের সদরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরপুর থানার পুলিশ ইমরানকে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, গোপন সূত্রে খবর আসে পলাতক ইমরান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চরবিষ্ণুপুর এসেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চরবিষ্ণুপুর এলাকার একটি সড়ক থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করে।  আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে তাকে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানার পুলিশ তাকে আদালত থেকে বুঝে নেবে।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ইমরানের অনুপস্থিতিতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। মামলা চলার সময় থেকেই ইমরান পলাতক ছিলেন। ইমরান ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে-দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। অনেক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনেই ওই ঘটনা ঘটে। তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়।

২০১৭ সালের ৬ আগস্ট মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দেন। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আপিলকারী দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।

২০০৬ সাল থেকে ঢাকার শাঁখারিবাজারে দর্জির কাজ করতেন বিশ্বজিৎ। দোকানের নাম ছিল নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স। বড় ভাইয়ের দোকান। নিহত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর দাসপাড়া গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বজিতের এক আত্মীয় বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আপিল বিভাগের রায়ে আশা করি সব আসামি শাস্তি পাবে।
রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু

রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু



পেছনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২২ জনের।এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে সিলেটজুড়ে করোনাক্রান্ত ২২ জন মারা গেছেন। তন্মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনসহ সিলেট জেলাতেই মারা গেছেন ১৯ জন। হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর এটাই নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ৩ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৪ আগস্ট সকাল ৮টার মধ্যে ২০ জন মারা গিয়েছিলেন সিলেটে।

সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জনসহ সিলেট জেলাতে মারা গেছেন ৬৭৭ জন। সুনামগঞ্জের ৫৯ জন, মৌলভীবাজারের ৬৬ জন  ও হবিগঞ্জের ৪২ জন মারা গেছেন।

এদিকে, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ৫৫৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ১৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ২৯.০৬ ভাগ। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩১৯ জন, সুনামগঞ্জের ৬৩ জন, মৌলভীবাজারের ১১৪ জন ও হবিগঞ্জের ৬১ জন রয়েছেন।

তাদের নিয়ে বিভাগে করোনাক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৭ হাজার ১১ জন। তন্মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে ৩৯১১ জনসহ সিলেট জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১২২ জন। শনাক্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৫ হাজার ৪৭৫ জন, মৌলভীবাজারের ৬ হাজার ৭৩০ জন ও হবিগঞ্জের ৫ হাজার ৬৮৪ জন রয়েছেন।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় বিভাগে ৭১৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৪৬৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Tuesday, 10 August 2021

যৌন হয়রানির ঘটনায় পদত্যাগ করলেন নিউইয়র্কের গভর্নর

যৌন হয়রানির ঘটনায় পদত্যাগ করলেন নিউইয়র্কের গভর্নর



অবশেষে পদত্যাগ করলেন যৌন হয়রানির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত নিউওয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।  কুমোর পদত্যাগ দুই সপ্তাহ পর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমো ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন। ভয়ের একটি কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা করতেন অ্যান্ড্রু কুমো।

এর আগে তাকে পদ থেকে সরে যেতে বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সময় অ্যান্ড্রু কুমো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্বপদে বহাল থাকার কথা জানিয়েছিলেন।

গভর্নরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর গতবছর অ্যাটর্নি জেনারেল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তকারীরা পাঁচ মাস ধরে স্টাফ, অভিযোগকারীসহ ২০০ জনের মতো মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তদন্তের অংশ হিসেবে ১০ হাজারের মতো ডকুমেন্ট, লেখা ও ছবি যাচাই করেন।

তথ্য-প্রমাণাদির সাপেক্ষে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লিতিতিয়া বলেছেন, তদন্ত থেকে প্রমাণিত হয় যে, গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের আইন ভঙ্গ করেছেন।'

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতার ভিডিও ফাঁস, দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি

সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতার ভিডিও ফাঁস, দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি



বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েন।বিপুল মাদকসহ পরীমনিকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি থেকে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (দাঙ্গা দমন বিভাগ, পশ্চিম) বদলি করা হয়।

ওই সময় পরীমনি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। ফুটেজটি সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের। সেখানে তারা এক সঙ্গে ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে সাকলায়েন ও পরীমনির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এক মিনিটি ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সাকলোয়েনের জম্মদিনে কেক কাটছেন তারা। পরে পরীমনি তাকে খাইয়ে দিচ্ছেন। পরে সাকলায়েনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে দেখা গেছে পরীমনিকে। 

ওই ভিডিওটি এখন নেট পাড়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত।    

এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমনি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন।পরীমনি জানান, সাকলায়েনকে তিনি পছন্দ করেন। সুযোগ পেলে সাকলায়েনের সঙ্গে দেখা করতে চান পরীমনি। 

জকিগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ আর চাকরী দেয়ার দাবী

জকিগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ আর চাকরী দেয়ার দাবী



জকিগঞ্জে উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করার পর থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে উপজেলাবাসীর মাঝে। নিজেদের মাটিতে গ্যাসের বিশাল মজুদ পাওয়ায় উপজেলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবী তুলেছেন উপজেলার সচেতন মহল। পাশাপাশি এ গ্যাসক্ষেত্রে উপজেলার বেকারদের চাকরি দেয়ারও দাবী তুলেছেন তারা।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা,পোস্ট, মন্তব্য এবং নতুন নতুন দাবী উত্তাপিত হচ্ছে।

ফেসবুকে ❤আমরা হক্কল জকিগঞ্জী❤ নামক গ্রুপে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।


গ্রুপের এডমিন মো মোছলেহ্ উদ্দিন এবং মডারেটর জে এফ চৌধুরী ফাহিম লিখেছেন, 'জকিগঞ্জে গ্যাস সংযোগ চাই'। 

গ্রুপের মেম্বার রাহেল আহমদ চৌধুরী লিখেছেন, 'জকিগঞ্জ গ্যাস ফিল্টে জকিগঞ্জের স্হানীয় যুবকদেরকে প্রথমে চাকরির সুযোগ করে দিতে হবে'।

আরেক মেম্বার আব্দুল মুমিন লিখেছেন, 'জকিগঞ্জের সব ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হোক'।

শিহাব উদ্দিন লিখেছেন, 'জকিগঞ্জের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেয়া হোক'।

তাদের ছাড়াও আরোও শতশত মানুষ এসব দাবী তুলে ধরছেন।

এদিকে জকিগঞ্জ গ্যাস বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ। তিনি জানিয়েছেন এ লক্ষে শিগগিরই শুরু হবে কর্মসূচি। 


তিনি জানান আমাদের প্রধান দাবীগুলো হচ্ছে, জকিগঞ্জের প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে, গ্যাসক্ষেত্রে স্থানীয় যুবকদেরকে কর্মসংস্থান প্রদান করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে উপজেলায় গ্যাসনির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে।


এছাড়া জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে পুরো সিলেটজুড়েও গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠেছে।

উল্লেখ্য, দেশব্যাপী গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ফলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটজুড়েও গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধীনস্থ এলাকা হয়েও সিলেটবাসী ওই সময় থেকে নতুন করে গ্যাস সংযোগ পাননি। সোমবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণার পর থেকে নতুন করে দাবি তুলেন সিলেটবাসী।

জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। যার মূল্য হবে প্রায় ১২৭৬ কোটি টাকা। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে গ্যাসক্ষেত্র সন্ধানের তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।


এ ঘোষণার পর থেকে সিলেটে সচেতন মহলের মাঝে নতুন করে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠে। তারা বলছেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাস এলাকাধীন থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাই অনতিবিলম্বে সিলেটে সর্বত্র গ্যাসের আওতাধীন করার দাবি জানান তারা।


‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের যুগ্ম আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর বলেছেন, সিলেটে অযৌক্তিক কারণে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাস সিলেটে উৎপাদন হয়, অথচ সিলেটের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে মূলত সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে। আমরা গ্যাস সংযোগ বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের শুরু থেকে প্রতিবাদ করে আসছি। বিগত সংসদ নির্বাচনে শাসক দলের অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্যাস সংযোগের। কিন্তু এখন তারা ভুলে গেছেন। জকিগঞ্জের গ্যাসষ্কেত্র আবিষ্কার হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা সিলেটসহ সর্বত্র আবার আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু হবে।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের আহ্বায়ক ধীরেন সিংহ বলেন, গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ, এর মালিক জনগণ। কিন্তু সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সিলেটে দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তিনি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সিলেটের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান।


নাগরিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কতিপয় লোকের স্বার্থের কারনে সিলেটবাসীকে তাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোর দাবি- সিলেটের সর্বত্র যেন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া সিলেট সহ সারা দেশের জন্য সুখবর। আমাদের দাবি- আগে সিলেট বিভাগের সকল জায়গায় গ্যাস সংযোগ চালু করা হোক। এরপর দেশের যেকোন জায়গায় গ্যাস দেওয়া হোক।‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ নেতাদের দাবি- সিলেট অঞ্চলে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ রাখার আদেশকে ‘বায়বীয়’। এর কারণ সম্পর্কে নেতারা বলেন, লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবে বায়বীয় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শুধু জনভোগান্তি নয়, সরকারও রাজস্ব খাত থেকে কোটি কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি এক আদেশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জালালাবাদ গ্যাসের অধীন এলাকা ছাড়া অনুমোদন সাপেক্ষে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর সারা দেশে গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলেও সিলেটে চালু ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ৮ জুলাই আরেকটি নির্দেশনায় জালালাবাদ গ্যাসকে একইভাবে সারা দেশের সঙ্গে নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কমিটির অনুমোদন নেওয়ার অফিস আদেশ জারি হয়।


এরপর ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।এ অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহকে আহ্বায়ক করে ‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ গঠন করা হয়। সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাদের ওই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

৬ জানুয়ারি তাদের প্রথম সভায় ১০ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনের পক্ষে ১০ দিনের টানা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এতে কোন ফলপ্রসু হয়নি।এদিকে সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যেখান থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যার মূল্য প্রায় এক হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, জকিগঞ্জে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৮ পিসিএফ (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাসের সন্ধান আমরা পেয়েছি। এরপর থেকেই সিলেটবাসীর মনে নতুন করে গ্যাস সংযোগের আশা জাগে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে পেরেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি ধন্যবাদ জানাই। সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে জ্বালানি বিভাগের যে টিম এই কাজ করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।


গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কম্পানিটি।কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি, অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ঘণ্টা দুয়েক পর্যবেক্ষণের পর বলতে পারব। তার আগে বললে সেটি সঠিক না-ও হতে পারে।

এর আগে একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে, এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে।

আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরো ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে।সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিসিএফের মতো।১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতিবছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত জুনে গণমাধ্যমে বলেন, ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি। হয়তো বড় মজুদ হবে না। আমরা আরো বেশ কিছু গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।
‘মাত্র ১১ মিনিট ধর্ষণ হয়েছে' বলে শাস্তি কমল ধর্ষকেরঃ উত্তাল সুইজারল্যান্ড

‘মাত্র ১১ মিনিট ধর্ষণ হয়েছে' বলে শাস্তি কমল ধর্ষকেরঃ উত্তাল সুইজারল্যান্ড

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল সুইজারল্যান্ড। ইনসেটে অভিযুক্ত জোওয়াও পি। ছবি: মেইল


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ধর্ষণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করল সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত। ধর্ষকের শাস্তি কমানোর যুক্তিতে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মাত্র ১১ মিনিট ধর্ষণ করা হয়েছে ও নির্যাতিতা গুরুতর আহতও হয়নি।

আদালতের ওই বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে উত্তাল সুইজারল্যান্ড।

সে দেশের বাসেল শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। কী করে আদালত এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী দুই পুর্তগীজ নাগরিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। এর মধ্যে একজন ৩৩ বছর বয়সী। আরেকজনের বয়স ১৭ বছর। 

তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণও মেলে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ৩৩ বছর বয়সী ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সঙ্গীকে কোনো সাজা দেওয়া হয়নি। 

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, জোওয়াও পি. নামের ৩৩ বছর বয়সী পর্তুগীজ নাগরিককে ৫১মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তা থেকে কমিয়ে ৩৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

দোষী সাব্যস্ত করার পর অভিযুক্তকে এর আগে ৫১ মাসের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আদালত সেই শাস্তি কমিয়ে ৩৬ মাস করে। শাস্তি কমাতে গিয়ে আদালত যে মন্তব্য করেছে, তা নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে নেমে পড়েছে বাসেল শহরের মানুষ।

আদালতের সামনে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার নিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায়। তাঁরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, '১১ মিনিট, ১১ মিনিট অনেক বেশি'। আদালতের শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার রায়কেও মানেন না বলে তাঁরা দাবি করছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। আদালতের কাছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। নির্যাতিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি আদালতের রায়ে হতবাক।

সুইজারল্যান্ডের  সমাজকর্মী মার্সেল কলাম্ব এক টুইটবার্তায় বলেন, ৪ বছরের কারাদণ্ড এমনিতেই কম। তার মধ্যে আরও কমালে নারীরা আরও নিরাপত্তাহীন হবে। এরকম অপরাধ আরও সংগঠিত হতে থাকবে। এটা যৌন সহিংসতার জন্য ভুক্তভোগীদের আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের রায়ে অপরাধীদের এরকম আরও কাজ করতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ১১ মিনিট তো শুধুমাত্র শারীরিকভাবে অত্যাচার। কিন্তু নির্যাতিতার অনেক বেশি সময় লাগে ওই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে।
সংকটকালীন সময়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা দিচ্ছে মুক্তাঞ্চল সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ

সংকটকালীন সময়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা দিচ্ছে মুক্তাঞ্চল সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ



হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের  তীব্র  সংকট নিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর প্রায় ৩ লক্ষ টাকা সমমূল্যের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে গত ৬ আগষ্ট, ২০২১ থেকে মুক্তাঞ্চল অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক এর কার্যক্রম শুরু হয়।    

মুক্তাঞ্চল সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ এর আহ্বায়ক সম্পন্ন মহাপাত্র জানিয়েছেন, “রোগীরা বিনামূল্যে এই অক্সিজেন সেবা ভোগ করতে পারবেন এবং শহরের প্রয়োজনে বর্তমানের চেয়েও কার্যক্রম দ্বিগুন প্রসারিত করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।


 

উল্লেখ্য যে, মুক্তাঞ্চল সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ সংগঠনটির বেশিরভাগ সদস্য স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। অল্প বয়সে বৃহৎ কর্মসূচি হাতে নেয়ায় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ইতোপূর্বে শহরের কালীগাছতলা এলাকায় দেয়াল লিখা সহ বই পড়া ও সাহিত্য চর্চা বিষয়ক মুক্তাঞ্চলের বিভিন্ন কর্মসূচী হবিগঞ্জের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মহলে প্রশংসীত হয়েছে।

মুক্তাঞ্চল অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক এর হটলাইন নাম্বারঃ ০১৭০৪৯০৭১৪৭, ০১৫২১৫৬৩২৫১, ০১৭৩২২৮৮৭০৬, ০১৭৫২০৯৪৯৩১