Wednesday, 11 August 2021

ব্যারিস্টার সুমন, মেহজাবিন ও নিশোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ব্যারিস্টার সুমন, মেহজাবিন ও নিশোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন



নিশো-মেহজাবিন-ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। নাটক এবং টেলিভিশনের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা এবং শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে এই মামলার আবেদন করা হয়।

বুধবার (১১ আগস্ট) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকীর আদালতে বশির আল হোসাইন নামের একজন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী মামলা দুটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

জানা গেছে, প্রথম মামলাটি করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে। চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল নাটকটি। এ বিষয়ে মামলায় আসামি করা হয়েছে-চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে।

আর দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ।

এ মামলায় আসামি করা হয়েছে- ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইমলাম এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে।

বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত এ তথ্য জানান।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার আ'লীগের ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু

গোলাপগঞ্জ উপজেলার আ'লীগের ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু



গোলাপগঞ্জ উপজেলার আওয়ালীগের উদ্যোগে ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।

এসময় এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জনগণের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দফতর সম্পাদক হোসেন আহমদ।

অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, তিনি করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে মানবিক দিক বিবেচনায় এই কার্যক্রম করছেন, ভবিষ্যতে তিনি দলকে সম্পৃক্ত রেখে মানবতার সেবায় তার কার্যক্রম অব‍্যাহত রাখবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, তথ‍্য ও গবেষণা সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, দফতর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্কর, ধর্ম সম্পাদক আবুল লেইছ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ফরিদ উদ্দিন ইরান, জয়নাল আবেদিন, রুহেল আহমদ রিপন, আজমল হোসেন মনি, কামাল আহমদ, ক্বারি তোফায়েল আহমেদ জিল্লু।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান লুতি , ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মলিক, লক্ষীপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মস্তাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফতার হোসেন, বাদেপাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আাহমদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিক আহমদ, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল আলম, ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আলী, বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, আমুড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামরান আহমদ, লক্ষীপাশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ চৌধুরী কফি, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম ফয়সল, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম, মাজেদ শরীফ চৌধুরী, নাদিম মাহমুদ শিপলু, সুমন আহমদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরান আহমদ, সুমন আলী, ছাত্রলীগ নেতা ফারহান মাসউদ আফছর প্রমুখ।

উল্লেখ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান এর পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বমোট ৩০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় এ ফ্রি অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সকল ইউনিয়নে এই কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান বক্তারা।
বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

ফাইল ছবি


ডেস্ক নিউজঃ আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইমরান হোসেনকে (৩২) ফরিদপুরের সদরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরপুর থানার পুলিশ ইমরানকে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, গোপন সূত্রে খবর আসে পলাতক ইমরান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চরবিষ্ণুপুর এসেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চরবিষ্ণুপুর এলাকার একটি সড়ক থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করে।  আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে তাকে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানার পুলিশ তাকে আদালত থেকে বুঝে নেবে।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ইমরানের অনুপস্থিতিতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। মামলা চলার সময় থেকেই ইমরান পলাতক ছিলেন। ইমরান ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে-দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। অনেক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনেই ওই ঘটনা ঘটে। তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়।

২০১৭ সালের ৬ আগস্ট মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দেন। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আপিলকারী দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।

২০০৬ সাল থেকে ঢাকার শাঁখারিবাজারে দর্জির কাজ করতেন বিশ্বজিৎ। দোকানের নাম ছিল নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স। বড় ভাইয়ের দোকান। নিহত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর দাসপাড়া গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বজিতের এক আত্মীয় বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আপিল বিভাগের রায়ে আশা করি সব আসামি শাস্তি পাবে।
রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু

রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু



পেছনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২২ জনের।এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে সিলেটজুড়ে করোনাক্রান্ত ২২ জন মারা গেছেন। তন্মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনসহ সিলেট জেলাতেই মারা গেছেন ১৯ জন। হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর এটাই নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ৩ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৪ আগস্ট সকাল ৮টার মধ্যে ২০ জন মারা গিয়েছিলেন সিলেটে।

সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জনসহ সিলেট জেলাতে মারা গেছেন ৬৭৭ জন। সুনামগঞ্জের ৫৯ জন, মৌলভীবাজারের ৬৬ জন  ও হবিগঞ্জের ৪২ জন মারা গেছেন।

এদিকে, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ৫৫৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ১৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ২৯.০৬ ভাগ। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩১৯ জন, সুনামগঞ্জের ৬৩ জন, মৌলভীবাজারের ১১৪ জন ও হবিগঞ্জের ৬১ জন রয়েছেন।

তাদের নিয়ে বিভাগে করোনাক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৭ হাজার ১১ জন। তন্মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে ৩৯১১ জনসহ সিলেট জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১২২ জন। শনাক্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৫ হাজার ৪৭৫ জন, মৌলভীবাজারের ৬ হাজার ৭৩০ জন ও হবিগঞ্জের ৫ হাজার ৬৮৪ জন রয়েছেন।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় বিভাগে ৭১৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৪৬৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Tuesday, 10 August 2021

যৌন হয়রানির ঘটনায় পদত্যাগ করলেন নিউইয়র্কের গভর্নর

যৌন হয়রানির ঘটনায় পদত্যাগ করলেন নিউইয়র্কের গভর্নর



অবশেষে পদত্যাগ করলেন যৌন হয়রানির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত নিউওয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।  কুমোর পদত্যাগ দুই সপ্তাহ পর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমো ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন। ভয়ের একটি কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা করতেন অ্যান্ড্রু কুমো।

এর আগে তাকে পদ থেকে সরে যেতে বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সময় অ্যান্ড্রু কুমো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্বপদে বহাল থাকার কথা জানিয়েছিলেন।

গভর্নরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর গতবছর অ্যাটর্নি জেনারেল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তকারীরা পাঁচ মাস ধরে স্টাফ, অভিযোগকারীসহ ২০০ জনের মতো মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তদন্তের অংশ হিসেবে ১০ হাজারের মতো ডকুমেন্ট, লেখা ও ছবি যাচাই করেন।

তথ্য-প্রমাণাদির সাপেক্ষে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লিতিতিয়া বলেছেন, তদন্ত থেকে প্রমাণিত হয় যে, গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের আইন ভঙ্গ করেছেন।'

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতার ভিডিও ফাঁস, দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি

সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতার ভিডিও ফাঁস, দেখুন ভাইরাল ভিডিওটি



বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েন।বিপুল মাদকসহ পরীমনিকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি থেকে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (দাঙ্গা দমন বিভাগ, পশ্চিম) বদলি করা হয়।

ওই সময় পরীমনি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। ফুটেজটি সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের। সেখানে তারা এক সঙ্গে ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে সাকলায়েন ও পরীমনির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এক মিনিটি ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সাকলোয়েনের জম্মদিনে কেক কাটছেন তারা। পরে পরীমনি তাকে খাইয়ে দিচ্ছেন। পরে সাকলায়েনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে দেখা গেছে পরীমনিকে। 

ওই ভিডিওটি এখন নেট পাড়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত।    

এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমনি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন।পরীমনি জানান, সাকলায়েনকে তিনি পছন্দ করেন। সুযোগ পেলে সাকলায়েনের সঙ্গে দেখা করতে চান পরীমনি। 

জকিগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ আর চাকরী দেয়ার দাবী

জকিগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ আর চাকরী দেয়ার দাবী



জকিগঞ্জে উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করার পর থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে উপজেলাবাসীর মাঝে। নিজেদের মাটিতে গ্যাসের বিশাল মজুদ পাওয়ায় উপজেলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবী তুলেছেন উপজেলার সচেতন মহল। পাশাপাশি এ গ্যাসক্ষেত্রে উপজেলার বেকারদের চাকরি দেয়ারও দাবী তুলেছেন তারা।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা,পোস্ট, মন্তব্য এবং নতুন নতুন দাবী উত্তাপিত হচ্ছে।

ফেসবুকে ❤আমরা হক্কল জকিগঞ্জী❤ নামক গ্রুপে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।


গ্রুপের এডমিন মো মোছলেহ্ উদ্দিন এবং মডারেটর জে এফ চৌধুরী ফাহিম লিখেছেন, 'জকিগঞ্জে গ্যাস সংযোগ চাই'। 

গ্রুপের মেম্বার রাহেল আহমদ চৌধুরী লিখেছেন, 'জকিগঞ্জ গ্যাস ফিল্টে জকিগঞ্জের স্হানীয় যুবকদেরকে প্রথমে চাকরির সুযোগ করে দিতে হবে'।

আরেক মেম্বার আব্দুল মুমিন লিখেছেন, 'জকিগঞ্জের সব ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হোক'।

শিহাব উদ্দিন লিখেছেন, 'জকিগঞ্জের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেয়া হোক'।

তাদের ছাড়াও আরোও শতশত মানুষ এসব দাবী তুলে ধরছেন।

এদিকে জকিগঞ্জ গ্যাস বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ। তিনি জানিয়েছেন এ লক্ষে শিগগিরই শুরু হবে কর্মসূচি। 


তিনি জানান আমাদের প্রধান দাবীগুলো হচ্ছে, জকিগঞ্জের প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে, গ্যাসক্ষেত্রে স্থানীয় যুবকদেরকে কর্মসংস্থান প্রদান করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে উপজেলায় গ্যাসনির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে।


এছাড়া জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে পুরো সিলেটজুড়েও গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠেছে।

উল্লেখ্য, দেশব্যাপী গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ফলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটজুড়েও গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধীনস্থ এলাকা হয়েও সিলেটবাসী ওই সময় থেকে নতুন করে গ্যাস সংযোগ পাননি। সোমবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণার পর থেকে নতুন করে দাবি তুলেন সিলেটবাসী।

জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। যার মূল্য হবে প্রায় ১২৭৬ কোটি টাকা। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে গ্যাসক্ষেত্র সন্ধানের তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।


এ ঘোষণার পর থেকে সিলেটে সচেতন মহলের মাঝে নতুন করে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠে। তারা বলছেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাস এলাকাধীন থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাই অনতিবিলম্বে সিলেটে সর্বত্র গ্যাসের আওতাধীন করার দাবি জানান তারা।


‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের যুগ্ম আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর বলেছেন, সিলেটে অযৌক্তিক কারণে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাস সিলেটে উৎপাদন হয়, অথচ সিলেটের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে মূলত সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে। আমরা গ্যাস সংযোগ বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের শুরু থেকে প্রতিবাদ করে আসছি। বিগত সংসদ নির্বাচনে শাসক দলের অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্যাস সংযোগের। কিন্তু এখন তারা ভুলে গেছেন। জকিগঞ্জের গ্যাসষ্কেত্র আবিষ্কার হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা সিলেটসহ সর্বত্র আবার আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু হবে।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের আহ্বায়ক ধীরেন সিংহ বলেন, গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ, এর মালিক জনগণ। কিন্তু সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সিলেটে দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তিনি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সিলেটের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান।


নাগরিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কতিপয় লোকের স্বার্থের কারনে সিলেটবাসীকে তাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোর দাবি- সিলেটের সর্বত্র যেন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া সিলেট সহ সারা দেশের জন্য সুখবর। আমাদের দাবি- আগে সিলেট বিভাগের সকল জায়গায় গ্যাস সংযোগ চালু করা হোক। এরপর দেশের যেকোন জায়গায় গ্যাস দেওয়া হোক।‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ নেতাদের দাবি- সিলেট অঞ্চলে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ রাখার আদেশকে ‘বায়বীয়’। এর কারণ সম্পর্কে নেতারা বলেন, লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবে বায়বীয় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শুধু জনভোগান্তি নয়, সরকারও রাজস্ব খাত থেকে কোটি কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি এক আদেশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জালালাবাদ গ্যাসের অধীন এলাকা ছাড়া অনুমোদন সাপেক্ষে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর সারা দেশে গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলেও সিলেটে চালু ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ৮ জুলাই আরেকটি নির্দেশনায় জালালাবাদ গ্যাসকে একইভাবে সারা দেশের সঙ্গে নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কমিটির অনুমোদন নেওয়ার অফিস আদেশ জারি হয়।


এরপর ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।এ অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহকে আহ্বায়ক করে ‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ গঠন করা হয়। সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাদের ওই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

৬ জানুয়ারি তাদের প্রথম সভায় ১০ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনের পক্ষে ১০ দিনের টানা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এতে কোন ফলপ্রসু হয়নি।এদিকে সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যেখান থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যার মূল্য প্রায় এক হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, জকিগঞ্জে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৮ পিসিএফ (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাসের সন্ধান আমরা পেয়েছি। এরপর থেকেই সিলেটবাসীর মনে নতুন করে গ্যাস সংযোগের আশা জাগে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে পেরেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি ধন্যবাদ জানাই। সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে জ্বালানি বিভাগের যে টিম এই কাজ করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।


গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কম্পানিটি।কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি, অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ঘণ্টা দুয়েক পর্যবেক্ষণের পর বলতে পারব। তার আগে বললে সেটি সঠিক না-ও হতে পারে।

এর আগে একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে, এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে।

আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরো ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে।সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিসিএফের মতো।১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতিবছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত জুনে গণমাধ্যমে বলেন, ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি। হয়তো বড় মজুদ হবে না। আমরা আরো বেশ কিছু গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।