Wednesday, 11 August 2021

পিঠে অক্সিজেন, হাতে প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য নিয়ে সিলেটে পুলিশ সদস্য সফি'র ছুটে চলা

পিঠে অক্সিজেন, হাতে প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য নিয়ে সিলেটে পুলিশ সদস্য সফি'র ছুটে চলা



পিঠে অক্সিজেন, হাতে রক্ত-প্লাজমা, কাঁধে খাদ্য সামগ্রী, করোনাকালে মানবিক সেবায় এমনই চিত্রে দেখা গেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য সফি আহমেদকে। করোনা মহামারির ক্রান্তিকালে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া সফি আহমদের প্রশংসা এখন গণমানুষের মুখে মুখে।



সিলেটে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ, বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদাও। এমন পরিস্থিতিতে অসহায়দের বিনামূল্যে অক্সিজেনসেবা দিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর পিঠে করে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।


সোমবার (০৯ আগস্ট) এক রোগীর স্বজনের জরুরি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে হাসপাতালের দিকে ছুটছেন সফি। মঙ্গলবার দিনভর এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। মানবিকতার এমন নজির স্থাপন করায় সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডারই নয়, করোনাকালে নিজের বেতনের টাকা দিয়ে অসহায় মানুষদের সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। কাঁধে করে অসহায় মানুষের দরজায় খাদ্য সামগ্রীও পৌঁছে দিতে দেখা গেছে তাকে। এমন মানবিক কাজে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মানবিক নানা কাজে অবদানের জন্য গত ১১ মার্চ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় নায়েক সফি আহমেদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।



করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সিলেটে আগের সকল রেকর্ড ভেঙে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। খালি নেই আইসিইউ শয্যা। অক্সিজেনের চরম সংকট সিলেটজুড়ে। এমন অবস্থায় অসহায় মানুষের ফোন পেলেই ঘরে বসে থাকতে পারেন না তিনি। নিজের সামর্থ্যের বাইরে হলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে অসহায় রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে তার এ মানবিক কাজ।

করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিল ও মরণব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতা করে আসছেন সফি। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। নিজের বেতনের টাকা দিয়ে অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। করোনার ভয় উপেক্ষা করে ছুটে চলেছেন অবিরত।


এব্যাপারে সফি আহমেদ বলেন, সোমবার ডিউটি শেষ করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে যাই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে। সেখানে অবস্থানকালে একজন রোগীর স্বজন অক্সিজেন সাপোর্ট চান। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের দরকার থাকায় আমি তাৎক্ষণিক কাউকে না পেয়ে অন্য একটি মোটরসাইকেলযোগে কাঁধে সিলিন্ডার বেঁধে দ্রুত সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, রোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেই। অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পর ওই রোগীর অবস্থা অনেকটা ভালো। আমি আজ (মঙ্গলবার) হাসপাতালে তাকে দেখে এসেছি।


সফি বলেন,  বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজে মানুষকে সহযোগতিা করেছি। কিন্তু করোনার এই সংকটকালীন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি অক্সিজেন সাপোর্টে। আমার ব্যক্তিগত ১১টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আরও আটটি সিলিন্ডার কোভিট-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এই ১৯টি সিলিন্ডার দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে আসছি। বিনিময়ে কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নিচ্ছি না। কেউ জোর করে দিতে চাইলেও না করছি।

তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা, রিফিল ও ক্যানোলাসহ মানবিক সহযোগিতায় বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনতে আমার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন ও প্রবাসীরা সাহায্য করছেন। কিন্তু এগুলো আমি সঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারছি বলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


এর আগে করোনা সংক্রমণের পর থেকে নিজের বেতনের টাকা থেকে অসহায় ও মধ্যবিত্ত সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে আলোচনায় আসেন পুলিশ সদস্য সফি। তার এই মানবিক কাজের জন্য পুলিশ বিভাগেও প্রশংসিত তিনি।
৫০ ফুট গভীর কুয়া থেকে যেভাবে নারীকে উদ্ধার করা হলো (ভিডিও)

৫০ ফুট গভীর কুয়া থেকে যেভাবে নারীকে উদ্ধার করা হলো (ভিডিও)

 

৫০ ফুট গভীর কুয়ার পড়ে যাওয়া এক নারীকে উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকল বাহিনীর কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় জাল আর দড়ির সাহায্যে ওই নারীকে টেনে উপরে তুলছেন। তিনি জালের ভেতর বসে উপরে উঠে আসেন। 

উপরে ওঠার পর জাল থেকে নিচে নামার সময় তিনি দাঁড়াতে গিয়ে কাঁপছিলেন বলে ওই ভিডিওতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার জেরে তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরে অবশ্য সেখানে উপস্থিত জনতা তাকে সাহায্য করেন। ভিডিওতে তাকে হাঁটতেও দেখা যায়।

গত মঙ্গলবার ভারতের কেরালায় ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই ওই ভিডিও প্রকাশ করলে তা ভাইরাল হয়। অনেকেই ওই নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য দমকল বাহিনীর কর্মীদের প্রশংসা করেছেন। তবে কিভাবে তিনি কুয়ায় পড়ে গেলেন সে ব্যাপারে ওই প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি।

এ ধরনের উদ্ধার অভিযান দক্ষ আর প্রশিক্ষিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধায়নে না হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতের মধ্য প্রদেশে কুয়ায় পড়ে যাওয়া এক শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।

গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল ভয়ংকর কোবরা, তার দংশনেই মারা গেলেন চালকসহ ৫ যাত্রী

গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল ভয়ংকর কোবরা, তার দংশনেই মারা গেলেন চালকসহ ৫ যাত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিনিবাসে কার্টুনে করে একটি অজগর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাসটির সহমালিকের পীড়াপীড়িতে ড্রাইভার গাড়িতে করে এই অজগর বহনে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তো জানতেন না এটাই তার কাল হবে!

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মিশরে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কোবরার কামড়ে মিনিবাসে থাকা একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

মিশরের ইয়ুম সেভেন নামে এক সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, বাসের ড্রাইভার গাড়িটির সহমালিকের অনুরোধে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে মিশরের উত্তর কাফর ইল-শেখ শহরে কার্টুনে করে কোবরা নিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন।

তবে মিনিবাসে থাকা যাত্রীরা গাড়িতে কোবরা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল-এই তথ্য জানতেন কী না, সেটা জানা যায়নি।

ড্রাইভারসহ গাড়িটির সব যাত্রী অজগরটির কামড়ে মারা যান। নিহতরা হলেন- ত্বহা আব্দুল গাফ্ফার খলিফা, তার স্ত্রী সুন্দুস নসর ইসা, নসবি সাইদ শরসের এবং তার বড় খালা জয়নব নববার।

খবরে বলা হয়, গাড়ির পেছনে থাকা কার্টুন থেকে বের হয়ে অজগরটি যাত্রী সিটের নিচ দিয়ে পরপর পাঁচজন দংশন করে।

অজগরের কামড়ে চার যাত্রীসহ বাসটির ড্রাইভার যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন- গাড়িটি তখন একটি কংক্রিটের ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়। এ সময় অজগরটি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা কোবরাটি দেখতে পান এবং মেরে ফেলেন। 
জোর করে আল-আকসায় ঢুকে পড়েছে ইহুদি চরমপন্থীরা

জোর করে আল-আকসায় ঢুকে পড়েছে ইহুদি চরমপন্থীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে জোর করে ঢুকে পড়েছে কয়েক ডজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মসজিদের দায়িত্বে থাকে প্রতিষ্ঠান। খবর আল আরাবির।

ওই মসজিদটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জর্ডানের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। তারা জানিয়েছে, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থানটিতে ১১৬ জন ইসরায়েলি জোর করে ঢুকে পড়ে।

ওই বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি পুলিশের সুরক্ষা নিয়েই আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেছে বলেও জানায় ওয়াকফ বিভাগ।

চরম ডানপন্থী ইসরায়েলিরা প্রায়ই আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। এজন্য তারা প্রায়ই মুঘরাবি গেট ব্যবহার করে। এই গেটটি পবিত্র এই স্থাপনার দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত।

২০০৩ সাল থেকেই এভাবে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আল-আকসা মসজিদে ঢুকে পড়ে চরমপন্থী ইসরায়েলিরা। ইসরায়েলি পুলিশের ‍সুরক্ষা নিয়েই তারা এমন কাজ করে। যদিও প্রায়ই এর প্রতিবাদ জানায় ওয়াকফ বিভাগ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পবিত্র এই মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমেই অবস্থিত।
নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার ১৯৮১ সালের বিয়ের এক টুকরো কেক

নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার ১৯৮১ সালের বিয়ের এক টুকরো কেক



প্রিন্সেস ডায়ানা, যার পুরো জীবনকে সিনেমা বললেও কম হবে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের একজন তিনি। সেই প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের সময়কার এক টুকরো কেক নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রায় ৪০ বছর আগে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ের যে কেকগুলো কাটা হয়েছিল, তারই এক টুকরো বুধবার নিলামে উঠছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

প্রিন্স চার্লাস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে হয়েছিল ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই। ওইদিন তাদের বিয়েতে ২৩টি কেক কাটা হয়েছিল। সেই কাটা কেকগুলোর এক টুকরো নিজের কাছে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন রাণীর কর্মচারী মোয়রা স্মিথ। আর সেই কেকের টুকরোটিই এখন নিলামে উঠছে।


ওই কেকের টুকরোর পাশে একটি লেবেলে লেখা রয়েছে, হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার, প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানাজ ওয়েডিং কেক। ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা ডমিনিক উইন্টার এই কেকের টুকরো নিলামে তুলছে। এই কেকের টুকরো ৩০০ থেকে ৫০০ পাউন্ডে বিক্রি হবে বলে আশা করছে তারা।

জানা গেছে, যেভাবে কাটা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই আছে কেকের টুকরোটি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত কেকের টুকরোটি যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন স্মিথ। পরে এক ব্যক্তি সেটি তার থেকে চেয়ে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরে ডমিনিক উইন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের।

এদিকে কেকের টুকরোটি নিলামে তোলা হলেও সেটি না খাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন ডমিনিক উইন্টারের নিলামকারী ও জ্যেষ্ঠ মূল্য নির্ধারণকারী ক্রিস অ্যালবারি। তিনি বলেন, কেকটি ওইদিনের মতোই আছে বলে মনে হয়। কিন্তু আমরা এটা না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
ব্যারিস্টার সুমন, মেহজাবিন ও নিশোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ব্যারিস্টার সুমন, মেহজাবিন ও নিশোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন



নিশো-মেহজাবিন-ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। নাটক এবং টেলিভিশনের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা এবং শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে এই মামলার আবেদন করা হয়।

বুধবার (১১ আগস্ট) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকীর আদালতে বশির আল হোসাইন নামের একজন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী মামলা দুটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

জানা গেছে, প্রথম মামলাটি করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে। চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল নাটকটি। এ বিষয়ে মামলায় আসামি করা হয়েছে-চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে।

আর দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ।

এ মামলায় আসামি করা হয়েছে- ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইমলাম এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে।

বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত এ তথ্য জানান।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার আ'লীগের ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু

গোলাপগঞ্জ উপজেলার আ'লীগের ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু



গোলাপগঞ্জ উপজেলার আওয়ালীগের উদ্যোগে ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।

এসময় এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জনগণের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দফতর সম্পাদক হোসেন আহমদ।

অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, তিনি করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে মানবিক দিক বিবেচনায় এই কার্যক্রম করছেন, ভবিষ্যতে তিনি দলকে সম্পৃক্ত রেখে মানবতার সেবায় তার কার্যক্রম অব‍্যাহত রাখবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, তথ‍্য ও গবেষণা সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, দফতর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্কর, ধর্ম সম্পাদক আবুল লেইছ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ফরিদ উদ্দিন ইরান, জয়নাল আবেদিন, রুহেল আহমদ রিপন, আজমল হোসেন মনি, কামাল আহমদ, ক্বারি তোফায়েল আহমেদ জিল্লু।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান লুতি , ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মলিক, লক্ষীপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মস্তাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফতার হোসেন, বাদেপাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আাহমদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিক আহমদ, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল আলম, ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আলী, বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, আমুড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামরান আহমদ, লক্ষীপাশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ চৌধুরী কফি, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম ফয়সল, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম, মাজেদ শরীফ চৌধুরী, নাদিম মাহমুদ শিপলু, সুমন আহমদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরান আহমদ, সুমন আলী, ছাত্রলীগ নেতা ফারহান মাসউদ আফছর প্রমুখ।

উল্লেখ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান এর পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বমোট ৩০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় এ ফ্রি অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সকল ইউনিয়নে এই কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান বক্তারা।