Thursday, 12 August 2021

চার সন্তানের জন্য বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত জিলু মিয়া

চার সন্তানের জন্য বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত জিলু মিয়া



বিশ্বনাথে বিরল রোগে ‘নিউরোফাইব্রোমাটোসিসে’ আক্রান্ত দিনমজুর জিলু মিয়া (৪৫)। হতদরিদ্র এই দিনমজুরের স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার।

জিলু মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাখিছিরি গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। নিজের সঙ্গে তার দুই সন্তানের শরীরেও এই বিরল রোগে বাসা বেঁধেছে। 

সামান্য ভিটে অবশিষ্ট থাকা জিলু অন্যের কাজ করে ক্ষুদ্র উপার্জন করেন। এই অর্থ ও সরকার থেকে পাওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালান তিনি। 


ডাক্তার জানিয়েছেন, শুধু তার চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের আহার জোগাতে যেখানে তাকে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে চিকিৎসা জন্য এত টাকা সংগ্রহ তার জন্য দুঃসাধ্য। 

অসহায় জিলু মিয়া নিজেকে নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার থেকে বেশি চিন্তিত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সংসারের হাল ধরে রাখতে তার সুস্থ হওয়া খুবই প্রয়োজন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জিলু মিয়া। চিকিৎসার অর্থ বহনে অক্ষম উল্লেখ করে হৃদয়বান সকল মানুষকে তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে 'এক রেটে' ইন্টারনেট সেবা

১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে 'এক রেটে' ইন্টারনেট সেবা



সারাদেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এখন থেকে কম দামে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। নতুন এই দাম কার্যকর হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ইন্টারনেটের নতুন এই ট্যারিফ ঘোষণা করেন। জুমের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হলো- তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আজকের এ ঘোষণার ফলে সারা দেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট ঘোষণা দেওয়ার পর- তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন এটা আর থাকবে না। 

এসময় জানানো হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা পূর্বের উল্লেখিত তিনটি স্ল্যাবে (৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা) ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা এনটিটিএন চালু হওয়ার ১২ বছর পর নতুন এই সেবামূল্য নির্ধারণ করা হলো।


এর আগেও এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল। কিন্তু তা কখনই সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম নির্ধারণ করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত।

এ সময় কল ড্রপ নিয়েও কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে শত শত অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা বেশি থাকার কারণে সরাসরি অভিযোগ করেন অনেকে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ প্রমুখ।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হয়। এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আইআইজি এবং আইএসপিএদের জন্য বেসরকারি এনটিটিএন’র ব্যাকহল (ক্যাপাসিটিভিত্তিক) ট্যারিফ।

সংবাদ সম্মেলনে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ বলেন, সারা দেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। এতদিন ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। কিন্তু ট্যারিফ ঠিক করে দেওয়ার ফলে সারা দেশে এখন থেকে এক রেটে কিনবে।
বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা হলো বরের

বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা হলো বরের


বিয়ের প্যান্ডেলে বর সেজে নয়, নিথর দেহে শেষ নামাজ হলো বর আল আমিনের (২৭)।

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের আগের রাতে মাস্টার্স পড়ুয়া বর আল আমিনের মৃত্যু হয়।বৃহস্পতিবার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল দক্ষিণপাড়ার বাড়ি থেকে তার বরযাত্রার কথা থাকলেও সকালে শয়নঘরে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। পরে বিয়ের প্যান্ডেলে জানাজা শেষে দুপুরে তার লাশ দাফন করা হয়।


স্থানীয়রা জানান, আল আমিন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলম আকন্দের ছেলে। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি সংসারের কাজ করতেন। আল আমিনের সঙ্গে একই উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ী গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলীর মেয়ে আরেফা আকতারের (১৮) বিয়ে ঠিক হয়। 

আত্মীয়স্বজন এসে বাড়ি ভরে যায়। বুধবার পরিবারের সদস্যরা দুজনের গায়েহলুদের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বরযাত্রার কথা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। দরজা খুলে বিছানায় আল আমিনের নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। 


তার মৃত্যুতে দুটি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। বরযাত্রার সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ের প্যান্ডেলের কাছে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে দেউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাই প্রধান জানান, আল আমিন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। স্বজনদের ধারণা, তিনি ঘুমের মধ্যে স্ট্রোকে মারা গেছেন। 

বাবা আলম আকন্দ জানান, ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে তাদের কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ নেই।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের কাছে এমন ঘটনা শুনলেও পরিবারের কেউ থানায় অবহিত করেননি।
এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা



চলতি বছরের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

এর মধ্যে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ফরম পূরণ। এরপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড। নির্ধারিত ফি'র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার তথ্য দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর অনলাইনে ফরম পূরণ ও অনলাইনেই ফি পরিশোধ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী বা অভিভাবককে সশরীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হতে হবে না।

এছাড়া করোনার কারণে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফিও নেওয়া যাবে না।


কোন বিভাগে কত ফি:

ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১০৭০ টাকা ফি বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

আলিম পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ১০০ টাকা রিটেনশন ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদেরও ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা সনদ ফি দিতে হবে।

আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীকে ৩০০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য পত্র প্রতি ৫ টাকা ফি দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।

ফরম ফি পরিশোধের নিয়মঃ

এসএমএস-এ পাওয়া লিংক বা সোনালী ব্যাংকের ই-সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী সেবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে স্টুডেন্ট প্যানেল থেকেও সোনালী সেবা গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।


এ ছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউপে ও সোনালী ই-ওয়ালেট যে কোনো একটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে। যে কোনো ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস প্রভৃতি ব্যবহার করেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করা যাবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি সোনালী ব্যাংক ও বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। করোনার কারণে এবারের আলিমেরও টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
অনলাইনে এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ শুরু

অনলাইনে এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ শুরু



চলতি বছরের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

প্রথমবারের মতো এ বছর অনলাইনে ফরম পূরণ ও অনলাইনেই ফি পরিশোধ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী বা অভিভাবককে সশরীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হতে হবে না।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

গত ৩১ জুলাই ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।

জানা গেছে, এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফিও নেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে এক হাজার ৭০ টাকা ফি ধরা হয়েছে। নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

এতে আরও বলা হয়েছে, এসএমএস-এ পাওয়া লিংক বা সোনালী ব্যাংকের ই-সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী সেবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে স্টুডেন্ট প্যানেল থেকেও সোনালী সেবা গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউপে ও সোনালী ই-ওয়ালেট যে কোনো একটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে। যে কোনো ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস প্রভৃতি ব্যবহার করেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করা যাবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি সোনালী ব্যাংক ও বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। করোনার কারণে এবারের আলিমের টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

আলিম পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Wednesday, 11 August 2021

পুলিশকে রড দিয়ে পেটাল আসামির স্ত্রী

পুলিশকে রড দিয়ে পেটাল আসামির স্ত্রী



ডেস্কঃ
নওগাঁর মান্দায় আসামি ধরতে গিয়ে আসামির স্ত্রীর হামলার শিকার হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্য। হামলা চালিয়ে আটককৃত মাদক কারবারি খলিলুর রহমানকে (৪৮) ছিনিয়ে গেছে তার লোকজন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন (৩০) আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়বেলালদহ (নাপিতপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


মাদক কারবারি খলিলুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আবদুল মণ্ডলের ছেলে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদক কারবারি খলিলুর রহমানের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী মৃত মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে লাদু মোল্লাকে (৫০) আটক করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মহসীন আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক কারবারি খলিলুর রহমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০ গ্রাম হেরোইনসহ খলিলকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন। এ সময় খলিলুর রহমানের স্ত্রী পারুল বেগম লোহার একটি রড দিয়ে কনস্টেবল আনোয়ার হোসেনকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে খলিলুর রহমানের প্রতিবেশী লাদু মোল্লা একটি হাতুড়ি নিয়ে বাড়ির ভেতরে এসে কনস্টেবল আনোয়ার হোসেনকে মারপিট করে মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেন। পরে আহত কনস্টেবলকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি এসএস পাইপ, একটি হাতুড়ি ও একটি লাঠি। 

মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কেএম শামসুদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক খলিলুর রহমানকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জলবায়ূর ভয়াবহ রূপ, জলের তলায় যাবে ভারতের ১২ শহর: নাসা

জলবায়ূর ভয়াবহ রূপ, জলের তলায় যাবে ভারতের ১২ শহর: নাসা



জলবায়ূ পরিবর্তন মারাত্মক পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে, এমনটা রিপোর্ট দিয়েছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। আর নাসা তার বিশ্লেষণ করেছে। তারপর নাসা যে সিদ্ধান্তে এসেছে, তা ভারতের পক্ষে রীতিমতো চিন্তার কারণ। দেশের ১২টি উপকূলীয় শহর ও বন্দর এক থেকে তিন ফুট জলের তলায় চলে যাবে। এই শহরগুলির মধ্যে আছে বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর চেন্নাই।  কেরাতাছাড়ালার কোচি, অন্ধ্রের বিশাখপত্তনম এবং পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর এই তালিকায় আছে।

বিশ্বে পরিবেশ দূষণ, উষ্ণায়ন সহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। এশিয়ায় জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ অন্য জায়গার তুলনায় বেশি। আইপিসিসি-র মতে, আগে  একশ বছরে যে পরিবর্তন হতো, ২০৫০-এর মধ্যে প্রতি ছয় থেকে নয় বছরে তা হবে। এই শতাব্দী জুড়ে উপকূলে জলস্তর বাড়বে, ভাঙন দেখা দেবে, অনেক শহর জলের তলায় চলে যাবে। এককথায় পরিস্থিতি বড় সুখের নয়।

কী করে ঠেকানো যাবে এই ভয়ংকর ভবিষ্যৎকে? পুনর্বসু চৌধুরী পরিবেশবিজ্ঞানী। তিনি অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের মিশন থেকে সম্প্রতি ফিরেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টা সেখান থেকেই সব চেয়ে ভাল বোঝা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ১৮ ডিগ্রি। তখনো তিনি সেখানে ছিলেন।

ডয়চে ভেলেকে পুনর্বসু জানিয়েছেন, ''জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নানারকম আলোচনা হয়। প্যারিস কনভেনশন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবেশকে তখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, যখন ব্যক্তিপর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রায় কার্বন নিঃসরণের হার কমানো অসম্ভব।'' তার মতে, ''গাড়ি, এসি সহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার বা অভ্যাস বদল না করলে শুধু জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না।''

পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বোঝাতে একটা উদাহরণ যথেষ্ট। শিল্পবিপ্লবের সময় কার্বন নিঃসরণের যে পরিমাণ ছিল, এখন তা দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে মানুষকে বাঁচতে গেলে, বিশ্বকে বাঁচাতে হলে প্রতিটি ব্যক্তিকে উদ্যোগী হতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন পুনর্বসু।

দীর্ঘদিন সরকারি পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন অমিতাভ রায়। পরিকল্পনা কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্তার মতে, ''আমরা প্রায়ই শপথ নিই যে, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ফেলব, বাস্তবে তা হয় না। খাতায়-কলমে অনেক পরিকল্পনা নেয়া হয়, আমরা অনেক প্রতিজ্ঞা করি, অনেক চুক্তিতে সই করি, বাস্তবে তার প্রয়োগ করা হয় না বলেই আইপিসিসি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা সত্যি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।''

অমিতাভ জানিয়েছেন, ''এর আগে জাতিসংঘ সব দেশের জন্য মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বেঁধে দিয়েছিল। ২০০০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হতো। তাতে ১৫ দফা বিষয় ঠিক করা হয়ছিল। ২০১৫ সালে মূল্যায়নের সময় দেখা গেল, তার রূপায়ণ হয়নি।'' অমিতাভ বলেছেন, ''এরপর ২০১৫ থেকে ২০৩০-এর মধ্যে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ঠিক করলো জাতিসংঘ। সেটাও পূরণ হবে এমন আশা কম। তখন হয়তো আবার ১৫ বছরর জন্য অন্য নামে কোনো লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্ত রোধ করার কাজটাও এভাবেই হচ্ছে।''

ফলে পরিস্থিতি খুব সুখের নয়। আইপিসিসি রিপোর্ট বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক স্তরেও নানা পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হবে, আবার কোথাও বৃষ্টি হবে না। খরা দেখা দেবে। কোথাও প্রচুর বরফ পড়তে পারে। ২০০৬-১৮ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর জলস্তরের গড় বৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭ মিলিমিটার। ফলে এখন থেকেই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন রোধ করার চেষ্টা না করলে ভবিষ্যৎ ভয়ংকর হতে বাধ্য। কারণ, পরিবর্তন রোধ করার কাজ রাতারাতি হয় না। তাতে অনেক সময় লাগে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই অনেক দেরি হয়ে গেছে। অবিলম্বে ব্যক্তি থেকে সরকার প্রতিটি পর্যায়ে উদ্যোগ দরকার।