Wednesday, 1 September 2021

উচ্ছ্বাস-আনন্দে পরীর মুক্তিঃ হাতে লেখা 'ডোন্ট লাভ মি বিচ'

উচ্ছ্বাস-আনন্দে পরীর মুক্তিঃ হাতে লেখা 'ডোন্ট লাভ মি বিচ'



মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে বের হন তিনি। বের হওয়ার সময় কারাফটকে উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান পরী।


এসময় তার হাতে লেখা ছিল, ‘Dont ও লাভ চিহ্ন, এরপর me Bitch’ (ডোন্ট লাভ মি বিচ)। তবে এ লেখার উদ্দেশ্য কি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে তাকে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর কাছে তাকে হস্তান্তর করেন কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। পরীমনিকে নিতে কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় পরীমনিকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়। এসময় সাদা পোশাকে ছিলেন তিনি। তার মাথায় ছিল একটি সাদা পাগড়িও। তার মুখে ছিল হাসি। তিনি সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে বের হন। বের হওয়ার সময় তিনি সেলফি তুলেন এবং হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান।


এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা ও তিন বিবেচনায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। তখন তার বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব।

এরপর ৫ আগস্ট র‍্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।


২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করেন পরীমনি। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।

Tuesday, 31 August 2021

কাগজের তৈরি নৌকা দিয়ে নৌকাবাইচ (ভিডিও)

কাগজের তৈরি নৌকা দিয়ে নৌকাবাইচ (ভিডিও)


‘কাগজের নৌকা পানিতে ভাসে’ - এ কথা ছোট-বড় সবারই জানা। তবে কাগজের নৌকায় মানুষ চড়ে বেড়ানোর কথা কল্পনাতীত। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এই অসাধ্যই সাধন হয়েছে উত্তর ইউরোপের দেশ লাটভিয়ায়। ফেলে দেয়া কাগজের প্যাকেট দিয়ে নৌকা বানিয়ে এতে শুধু চড়েই ক্ষান্ত থাকে না দেশটির জেলগাভা শহরের বাসিন্দারা। কাগজের নৌকা দিয়ে আয়োজিত হয় নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতাও।

ফেলে দেয়া দুধের প্যাকেট দিয়ে তৈরি নৌকা দিয়ে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।


লাটভিয়ার জেলগাভা শহরে দুধের কার্টন দিয়ে তৈরি নৌকা দিয়ে প্রতি বছরই আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা। এর আঞ্চলিক নাম ‘রেগাট্টা’। যার বাংলা মানে হচ্ছে নৌকা বাইচ।

নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে একটি করে ওয়াটারক্রাফ্ট তৈরি করতে হয়, যা দলের ক্রুদের নিয়ে পানিতে অনায়াসে ভাসতে সক্ষম। সেইসাথে তাদের নৌকা এবং রাফটের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা প্রদর্শনও এই প্রতিযোগিতার একটি অংশ।

তবে শর্ত হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীরা নৌকা চালানোর জন্য কোনো মোটর, প্রযুক্তি বা মেশিন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেবল মানব শক্তির সাহায্যে চালাতে হবে এই নৌকা।


জেলগাভা সিটি মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউশন ‘কালচার’-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইয়ানা বখমান বলেন, এই বছর রেগাটার জন্য প্রায় ৩০ হাজার ফেলে দেয়া দুধের কার্টন ব্যবহার করা হয়েছে। নৌকা নির্মাণের উপকরণগুলি একটি খাদ্য কোম্পানি সরবরাহ করেছে, যারা প্রায় প্রতিবারই বার্ষিক রেগাট্টা আয়োজনে সাহায্য করে।

দুধ, রুটি এবং মধু দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা লিলুপ নদীর পারে অনুষ্ঠিত হয়। যে কেউ নৌকা তৈরি করে ফ্লোট-আউটে অংশ নিতে পারেন।


২০০২ সালে প্রথম এই রেগাট্টা প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল দেশটিতে। সে সময় এই প্রতিযোগিতায় ১০টি রাফ্ট অংশ নিয়েছিল। যার নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার ফেলে দেয়া প্যাকেট ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতিবারের ন্যায় এবার ১৯তম রেগাট্টা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে।


সৌজন্যেঃ আরটিভি
জামিন পেলেও কারাগারেই পরীঃ গুনছেন মুক্তির প্রহর

জামিন পেলেও কারাগারেই পরীঃ গুনছেন মুক্তির প্রহর



ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনি গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগারে রয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) আদালত থেকে জামিন পেলেও রাতে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারাগার কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত জামিননামার কপি হাতে পায়নি।


কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখনো পরীমনির জামিননামা পাইনি। সেজন্য তাকে লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আজ আর তিনি মুক্তি পাবেন না। তার জামিননামা আমাদের কাছে এসে পৌঁছালে আগামীকাল (বুধবার) তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জামিন দেন আদালত। দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিনের আদেশ দেন।

এরপরে বিকালে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত পরীমনির পক্ষে জামিননামা দাখিল করেন। সেই জামিনামায় বিচারকের স্বাক্ষরের পরে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের সেরেস্তাদার রাশেদ। 


তিনি বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় আদালত থেকে স্পেশাল বাহক দিয়ে জামিননামা পাঠানো হয়েছে। জামিননামা কেরানীগঞ্জের কারাগারে যাওয়ার পরে সেখান থেকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে গাজীপুরের কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে পাঠানো হবে। এরপরে তিনি মুক্তি পাবেন।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টায় জামিননামা পাওয়ার পরে মেইলে আমরা গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেখান থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পর দিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ, আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।


ওই দিনই পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

সবশেষ গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আদালতে হাজির করা হলে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।  

গত ২২ আগস্ট পরীমনির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। 

পর দিন আরেক দফা আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিন আবেদনও করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৬ আগস্ট সরাসরি জামিন আদেশ না দিয়ে রুল জারি করেন। 

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুদিনের মধ্যে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে ২২ আগস্ট পরীমনি জামিন অবেদন করার পর শুনানির জন্য ২১ দিন পরের তারিখ রেখে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চান হাইকোর্ট।


১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আর হাইকোর্টের এ আদেশ বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের আইন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন।


সূত্রঃ যুগান্তর
সিলেটে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নারীকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা

সিলেটে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নারীকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এক নারীকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে অজ্ঞাত হ্যাকাররা।


ওই নারীর ব্যক্তিগত ছবির সাথে অশ্লীল ছবি জুড়ে দিয়ে একের পর এক পোস্ট করছে হ্যাকাররা। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের কাতার প্রবাসী জোনাব আলীর স্ত্রী সাফিয়া বেগম সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, ‘Alamin bapasha ও Samina akther’ নামীয় দুটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করতেন তিনি। গেল ৫-৬ দিন থেকে তার এই দুটি আইডি হ্যাক করে তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চালায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।


তিনি ও তার আত্মীয়দের ছবি ব্যবহার করে একাধিক অশ্লীল পোস্টও দেয় তারা। এতে সামাজিকভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।

এ বিষয়ে কথা হলে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই অমিত সিংহ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
ছাতকে বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় শ্যালিকাকে নিয়ে দুলাভাই উধাও

ছাতকে বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় শ্যালিকাকে নিয়ে দুলাভাই উধাও



সুনামগঞ্জের ছাতকে বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় শ্যালিকাকে (স্ত্রীর মামাতো ছোটবোন) নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।


সোমবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাজুড়েই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, আড়াই মাস আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলম গ্রামের বতুমিয়ার কন্যা রুনা বেগমের সঙ্গে ছাতক উপজেলার সদর ইউপির চারচিরা গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র সুমন মিয়ার (২৫) বিয়ে হয়। সুমন তার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।


একপর্যায়ে তার শ্যালিকার (স্ত্রী মামাতো ছোটবোন) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে সুমন মিয়া কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামাশ্বশুরের ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় সুমন মিয়া।

এ বিষয়ে মামাশ্বশুর জানান, তার মেয়ের খোঁজ জানতে সুমন মিয়ার বাড়িতে গেলে রুনা বেগমকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে তাকে কৌশলে তাড়িয়ে দেয়।


এ ব্যাপারে ছাতক সদর ইউপির মেম্বার ইব্রাহিম আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্যালিকা ছাতকে সুমন মিয়ার বাড়িতে তার সঙ্গেই আছে।
শ্রীলঙ্কায় চরম খাদ্য সংকট, জরুরি অবস্থা জারি

শ্রীলঙ্কায় চরম খাদ্য সংকট, জরুরি অবস্থা জারি



চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় শ্রীলঙ্কার সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। শ্রীলঙ্কার সরকার বলছে, দেশটির ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোর ফরেন এক্সচেঞ্জ শেষ হয়ে যাওয়া আমদানি করার মতো যথেষ্ট টাকা নেই। খবর আল জাজিরার। 

f

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এমনিতেই বেশ খারাপ সময় পার করছে। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি চিনি, চাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারের মজুদ মোকাবেলায় জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ থাকা খাদ্য জব্দ, প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের নিয়ন্ত্রিত মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের।

ধান, চাল, চিনি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সরবরাহের সমন্বয় সাধনের জন্য একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে এসেনশিয়াল সার্ভিসের কমিশনার জেনারেল হিসবে নিয়োগ দিয়েছেন রাজাপাকসে।


চিনি, চাল, পেঁয়াজ এবং আলুর ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর শ্রীলঙ্কার সরকার এমন পদক্ষেপ নিলো। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আগামী সোমবার পর্যন্ত ১৬ দিনের কারফিউ রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপরও গুঁড়ো দুধ, কেরোসিন তেল এবং রান্নার গ্যাসের জন্য দোকানের বাইরে দীর্ঘ লাইন গেছে।

শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যমন্ত্রী বান্দুলা গুণবর্ধেনা বলেছেন, কিছু ব্যবসায়ী মজুদ করে রাখছেন। ফলে খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতি হচ্ছে এবং জনসাধারণের অসুবিধা হচ্ছে।

খাদ্য মজুদ করার সাজা বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এরপরও খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। মূলত মহামারির কারণে দেশটিতে এই খাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে।


মহামারির কারণে ২০২০ সালে দেশটির অর্থনীতি রেকর্ড ৩.৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়। এমতাবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানোর জন্য গত বছরের মার্চ মাসে ভোজ্য তেল, হলুদ, যানবাহন এবং অন্যান্য জিনিস আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

আমদানিকারকরা বলছেন, অনুমতি আছে এমন খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ কেনার জন্য এখনও প্রয়োজনীয় ডলার যোগাড় করতে পারছেন না তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘বীর্য সন্ত্রাস’, আতঙ্কে রাস্তায় মেয়েরা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘বীর্য সন্ত্রাস’, আতঙ্কে রাস্তায় মেয়েরা


যৌন হেনস্তার এক নতুন উপায়! দুষ্কৃতীদের হাতিয়ার এখন বীর্য সন্ত্রাস বা Semen Terrorism। মহিলাদের জিনিসপত্রে মাখিয়ে দেওয়া হচ্ছে বীর্য। এমনকী, কফি বা খাবারেও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের উপর রাগ মেটাতে এহেন উপায় বেছেছেন পুরুষদের একাংশ। মজার কথা হল, এই কাণ্ড ঘটালেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা করা যায় না। আর এই ইস্যুতেই উত্তাল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) রাজপথ। মহিলাদের বিক্ষোভ সামাল দিতে নাজেহাল দশা পুলিশের। ব্যাপারখানা কী?


বছর কয়েক আগেই #MeToo নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা বিশ্ব। সেই সময়ই অর্থাৎ ২০১৯ সালে সামনে আসে এই বীর্য সন্ত্রাসের কাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার মহিলা এই সন্ত্রাসের কোপে পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে এক মহিলার জুতোতে বীর্য লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত অভিযুক্তকে ৪৩৫ ডলার জরিমানা করে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ এমন অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও আইনই নেই। সেই শুরু।


এ ধরনের আরও একটি অভিযোগ সামনে আসে। যেখানে দেখা যায়, এক মহিলার পানীয়তে বীর্য মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কারণ, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে একাধিকবার প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই বদলা নিতে গিয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল। অভিযুক্তকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩ বছরের জেল দেওয়া হয় তার। দিন কয়েক আগে তো এক সরকারি আধিকারিকের কফিতেও বীর্য মেশানো হয়েছিল। একবার নয়, ছ’বার তার কফিতে বীর্য মিশিয়েছিল সহকর্মী। যদিও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কেবলমাত্র কফি কাপ নোংরা করার অভিযোগ আনে। 


লাগাতার এ ধরনের অভিযোগ সামনে আসছে। অথচ অভিযুক্তের শাস্তির সংস্থান নেই সে দেশের আইনে। তাই এবার বীর্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষে সওয়াল করছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদরাও। আন্দোলন করছে সে দেশের মহিলারা। এ প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা  Baek Hye Ryun জানান, “ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়নি। কারণ, অভিযোগকারিনীকে সে স্পর্শ করেনি। ফলে এটি আইন অনুযায়ী যৌন হেনস্থার পর্যায়ে পড়ে না। তবে এই আইনের দ্রুত বদল দরকার।”