Monday, 6 September 2021

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণেও ঘুস!

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণেও ঘুস!



নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স সরদার ও হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জেনিথ কন্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি পেয়েছে। গত মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ চলাকালে মোট ৫ দিন ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। 

প্রতিটি ঢালায় কাজের দিন ১৫শ টাকা করে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ম্যুরালের স্ল্যাব করার সময় ১৫ হাজার টাকা, সর্বশেষ ঢালাইয়ের সময় ১ হাজার টাকা এবং বিলে স্বাক্ষর করার সময় ১১ হাজার টাকা উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুস আদায় করে বিলে স্বাক্ষর করেন। 

অপরদিকে এলজিইডির হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা প্রকৌশলীর জন্য ৪ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষর করানোর ব্যবস্থা করান। 
অভিযোগকারী ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। নির্মাণ কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স দফায় দফায় আমার কাছ থেকে ঘুস আদায় করেছেন। এছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর হিসাবরক্ষক সাখাওয়াতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে এভাবে দফায় দফায় ঘুস নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাণীনগর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স সরদার বলেন, ঠিকাদার বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজে অনিয়ম করেছিল। শতভাগ কাজ করে নেওয়ায় তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে এলজিইডির হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি এমন লোক না। তাদের কাছ থেকে কোনো ঘুস নেইনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক কোনো মন্তব্য না করে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।


এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কথা বলতে রাজি হননি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে তদন্তের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অফিসে আসতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিনহা চাইলেন পানি, গলায় পা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ

সিনহা চাইলেন পানি, গলায় পা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ



সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সোমবার আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলার ৯ নং ও চতুর্থ  সাক্ষী হিসেবে কামাল হোসেন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।


বরখাস্ত ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ এ মামলার ১৫ আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে আদালতের কার্যক্রম।

এ সময় চাঞ্চল্যকর এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কামাল হোসেন আদালতকে বলেন, ঘটনার সময় তারা কয়েকজন ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন। গুলি খেয়ে সিনহা মো. রাশেদ খান মাটিতে (রাস্তায়)  লুটিয়ে পড়েন। তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। তিনি (সিনহা) তখন পানি পানি বলে ছটফট করছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে পানি দেয়নি। উল্টো টেকনাফের দিক থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে এসে সিনহার বুকে লাথি মারেন। গামবোট দিয়ে গলা চেপে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ।


এরপর বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১৫ জন আসামির পক্ষে আইনজীবীরা পৃথকভাবে কামাল হোসেনকে জেরা করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। 

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, সোমবার তিনজন সাক্ষী হাজির ছিলেন। কিন্তু একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরাতেই  আদালতের সময় শেষ হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, বিচার কাজের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনে মাত্র ৪জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ করা সম্ভব হয়েছে। 


মঙ্গলবার পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এ সময় আসামি পক্ষ 'অপ্রাসঙ্গিক' জেরা করে সময় ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেন (পিপি) ফরিদুল আলম। 

এদিকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষী কামাল হোসেন আদালতকে বলেছেন, খুব কাছ থেকে সেদিনের সংঘটিত ঘটনাটি তিনি দেখেছেন। অথচ তা ইতোপূর্বে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি। আর সাক্ষী নিজেকে সিএনজিচালক দাবি করলেও তার কোনো প্রমাণ নাই।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত আরও দাবি করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরই প্ররোচনায় সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। 

এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিনে মামলার বাদী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই হত্যা মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলী।


প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যা্ব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
জকিগঞ্জে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

জকিগঞ্জে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু



সিলেটের জকিগঞ্জে ভীমরুলের কামড়ে নাহিদ আহমদ নামের চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের পলাশপুর গ্রামের শাবলু আহমদের ছেলে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।


নাহিদের পিতা শাবলু আহমদ জানান, বাড়ীর ঘরের পাশে বড় একটি গাছে ভীমরুল বাসা বাঁধে কয়েকদিন আগে। সেটি দেখে আজ ভীমরুলের বাসা লক্ষ্য করে পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়েন শাবলু।পরে ব্যক্তিগত কাজে বাহিরে চলে যান তিনি। ঢিল ছুড়ার সাথে সাথে ভীমরুলরা চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার ছেলে নাহিদ তখন ঘরে ছিল। কিছু সময় পর ছেলে নাহিদ ঘর থেকে বের হলে ভীমরুলরা তাকে ঘিরে ফেলে ও তার হাত, পা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে আহত করে। তার (ছেলে নাহিদ) চিৎকার শুনে নাহিদের মা ও বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এসে নাহিদকে ভীমরুলের কবল থেকে উদ্ধার করেন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু নাহিদের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাসেম খাঁন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

গোলাপগঞ্জে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

গোলাপগঞ্জে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: উচ্চশিক্ষায় দেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ শিক্ষকের অভাব। দক্ষতা ও পেশাগত প্রশিক্ষণ ভালো শিক্ষক হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) এর উদ্যোগে ৪৫তম স্যাটেলাইট ট্রেনিং কোর্স অন টিচার্স প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দক্ষ শিক্ষক সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির। 


সোমবার বিকেল ৩টায় ৬দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দ্বিতীয় দিনে পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেছেন। এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ পাল, এমসি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দাস, টিচার ট্রেইনার মিজানুর রহমান, কামরুল আহসান, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে গত শনিবার সকাল ১০ টায় গোলাপগঞ্জ সরকারি এম.সি একাডেমি এন্ড স্কুলের একটি হলরুমে এম.সি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে টিচার ট্রেইনার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রফেসর ড. শাহ মোঃ আমির আলী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন মাস্টার আব্দুল হামিদ, নাছিমা বেগম, জিন্নুর আহমদ চৌধুরী, নাজমুল হক, আজিজ খান, খলিলুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
গোলাপগঞ্জে স্টুডেন্টস ক্লাব'র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে স্টুডেন্টস ক্লাব'র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত



গোলাপগঞ্জে স্টুডেন্টস ক্লাব'র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জের একটি অভিজাত পার্টি সেন্টারে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে গোলাপগঞ্জ স্টুডেন্টস ক্লাব গঠনের লক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 


সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন। 

প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা জাতির ভবিষ্যৎ, আগামীতে জাতি পরিচালনা তারাই করবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ  সুবিধা আদায়ের লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। সভায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিতে সর্ব সম্মতিক্রমে গোলাপগঞ্জ স্টুডেন্টস ক্লাবের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি
লালাবাজারে প্রস্তাবিত  ব্রীজ নির্মানের স্হান পরিদর্শনে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা

লালাবাজারে প্রস্তাবিত ব্রীজ নির্মানের স্হান পরিদর্শনে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা


গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের বাঘরখলা থেকে কৈকুড়ী বলদা খালের উপর বাঘরখলা থেকে জাফরাবাদ ভুরীবরাখ খালের উপর পৃথক অনুমোদন প্রাপ্ত ২টি ব্রীজ নির্মানের টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য ব্রীজ নির্মান এর স্হান পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা  মোঃ নূরুল ইসলাম, (সহকারী প্রকৌশলী সিলেট জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন) এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পিআইও বাধণ কান্তি সরকার।


৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রীজ নির্মান স্হান পরিদর্শনে অন্যান্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন  লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, বাংলাদেশ ফিউচার ফাউন্ডেশন বাঘরখলা পীরবাড়ী এর সভাপতি শাহ ওবায়দুল হক ও হযরত শাহ জাকারিয়া ইসলামী যুব সংঘের সভাপতি শাহ বাবর আহমদ উজ্জ্বল সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


এসময় পীর ইকবাল লালাবাজার ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে বাঘরখলা গ্রামের কৃতি সন্তান গ্রামের গর্ব বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সম্মানিত সচিব  মোঃ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
অবশেষে সিলেট-সহ দেশের ৩ বিমানবন্দরে বসছে পিসিআর টেস্ট

অবশেষে সিলেট-সহ দেশের ৩ বিমানবন্দরে বসছে পিসিআর টেস্ট



দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আমাদের বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যাচ্ছে তিন জায়গা।  


প্রাথমিকভাবে পিসিআর টেস্ট ঢাকা বিমানবন্দরে হবে। কিন্তু আলোচনার মধ্যে তিনটি (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দর) বিমানবন্দরই রয়েছে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় দুটি বিষয় এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে কন্ডিশন দেওয়া হচ্ছে, ফ্লাইয়ের চার থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্ট করতে হবে। বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এমন শর্ত দিয়েছে। সেজন্য গত কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল, আজকে এটা প্রিসাইজ করে দেওয়া হয়েছে- ‘ভেরি কুইকলি দুই বা তিনদিনের মধ্যে এয়ারপোর্টেই একটা টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ করা। অন্যান্য দেশেও যেরকম রয়েছে। যাতে ফ্লাই করার চার ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্ট করতে পারেন।


তিনি বলেন, এখন পৃথিবীর বড় বড় এয়ারপোর্টে কুইক, ইনস্ট্যান্টলি (করোনা পরীক্ষা) করতে পারবেন। আমরা বলি ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট লাগবে। আমাদের লোকরা যে দেশে আছে, তারা সেখান থেকে পরীক্ষা করে আসবে। অনেক দেশ আছে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দেয়। যে যে দেশে যাবে তার যে রকম রিকয়ারমেন্ট লাগবে, যাতে এয়ারপোর্ট থেকেই সে টেস্ট করে নিতে পারে।

বিমানবন্দরে কবে থেকে পিসিআর টেস্ট চালু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকেই ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। ’


কত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে পারবে এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা কথা বলে দেখেছি চার ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারবে।