Wednesday, 29 September 2021

দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন



নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১১ নভেম্বর দেশের ৮৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব।

সিলেট বিভাগের যে সকল ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেসব ইউনিয়নের তালিকা নিচে দেওয়া হলো :



প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে  বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার কেক কাটা ও খাদ্য বিতরন

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার কেক কাটা ও খাদ্য বিতরন




সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক বলেছেন, স্বাধীনতার অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসার স্বাক্ষর স্বরূপ জাতিসংঘ তাঁকে ইতিমধ্যে এসডিজি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষায় মুজিব আদর্শকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি গণমেহনতি মানুষের অগ্রদূত, সুখী বাংলাদেশের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতায়ূ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। 

তিনি ২৮ সেপেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত কেক কাটা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দেব এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী শাহ মোহাম্মদ সাদেক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট জেলার শাখার কার্যকরী কমিটির সভাপতি এডভোকেট মুহিদ হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জমির উদ্দিন, নিখিল দাশ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সত্তার, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মুকিত, আতিক মিয়া, আব্দুল আহাদ, যুবলীগ নেতা লিমন আহমদ, এনাম আহমদ, জেবু মিয়া, কনর মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সুয়েব আহমদ জয়, ফয়সল আহমদ প্রমুখ। 

শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মুজিবুর রহমান মিন্টু। 

আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করেন এবং খাবার বিতরণ করেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে নির্বাচন ১১ নভেম্বর

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে নির্বাচন ১১ নভেম্বর



আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।


বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর।

এছাড়া বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর। ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর।

এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।


ইসি সচিব জানান, আগামী সপ্তাহের তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সভায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ

টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ



টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার   রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে এ আদেশ দেন।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আ্যডভোকেট শিশির মনির এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ফোনালাপ ফাঁসের ২০টি ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন—অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী। এতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।


নোটিশে বলা হয়, সার্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।

এ ছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

Tuesday, 28 September 2021

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস

শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌস



শরীরে ৩৫টি গুলি নিয়ে বেঁচে আছেন কক্সবাজার মহেশখালীর গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস (২৭)। অসহ্য যন্ত্রণায় প্রতিটি দিন পার হচ্ছে তার।

গত ২০ সেপ্টেম্বরের ইউপি ভোট চলাকালে নির্বাচনী সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের ছররা গুলির শিকার হন এই গৃহবধূ।  তবে তার দাবি, প্রতিপক্ষকে গুলি করার দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকেও প্রাণে মারার জন্য গুলি করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি দিলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম, মো. তারেক, জহির মিয়া ও আবুল বশরের ছেলে আজিজুল বশরসহ আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার একটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি করে। এসময় এক ব্যক্তিকে আমার সামনে গুলি করা হয়। আমি এই দৃশ্য দেখে ফেলায় আমাকেও গুলি করে তারা। এমনকি আমার বাড়িতে এসে দরজা, জানালায় গুলি করে। বাড়ির আসবাবপত্রও ভেঙে ফেলে।

তিনি বলেন, আমার শরীরে ৩৫টা গুলি। চিকিৎসক বলেছেন, গুলিগুলো বেরও করা যাবে না। হাতটাও অবশ হয়ে যাবে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই নিষ্ঠুরতার বিচার দাবি করছি।


মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই বলেন, কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ জান্নাতুল ফেরদৌসের শাশুড়ি থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

গোলাপগঞ্জে এমসি একাডেমির শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ



নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ‘এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র উজ্জ্বল কুমার দেব নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান। 

তবে ঘটনাটার পর ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। এছাড়াও ছাত্রের কোন বক্তব্য বা পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

ফেইসবুকের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ১০ম শ্রেণির মানবিক শাখার ৫জনের কাছে মোবাইল পান একজন শিক্ষক। এই ৫ জনের মধ্যে একজনের মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি ছিলো। তখন ওই স্যার এ ছাত্রকে জামাত-শিবির তকমা দিয়ে গালিগালাজ করা শুরু করেন বলে তারা পোস্টে অভিযোগ করে। ওই ছাত্রটি তখন স্যারকে জানায় সে তবলীগে ছিলো তাই বাড়িতে মোবাইল রেখে আসার সুযোগ পায়নি। প্রমাণস্বরূপ তার সঙ্গে থাকা কিছু কাপড়ও সে স্যারকে দেখায়। কিন্তু ওই স্যার এতে কর্ণপাত না করে তাকে চরম অপমান করেন ও গালিগালাজ করেন। 

সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে আরো অভিযোগ করে লেখেন, ওই স্যারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে কথা বলা। আর শিবির নাম নেয়া ছিলো একটি কৌশলমাত্র। তিনি ৫জনের কাছে মোবাইল পেয়েছেন, তাই ৫ জনকেই সমানভাবে শাস্তি দিবেন। তা না করে শুধু দাড়ি-টুপিওয়ালা ছাত্রকেই কেন টার্গেট করলেন? এর আগেও ওই স্যার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রদের। 

এদিকে বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা মাত্র সোমবার রাতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার প্রতিষ্ঠানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ক্ষুদেবার্তা প্রদান করেন। এতে তিনি লেখেন, ‘স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, আমি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ঢাকায় ছিলাম। আজ দুপুরে বাসায় এসেছি। কিছুক্ষণ আগে এমসি একাডেমির একটি বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমসি একাডেমি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। আগামীকাল আমি প্রতিষ্ঠানে এসে তোমাদের সাথে নিয়ে আমরা দেখবো। এখন পরীক্ষার্থীসহ কলেজ সেকশনের আমার যে সকল ছাত্র ফেইসবুকে এ কমেন্ট করছো তা প্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনা করে ডিলিট করে দাও। এটা তোমাদের প্রতি আমার বিশেষভাব অনুরোধ। তা না হলে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। বিষয়টি আমরা সবাই বসে গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। আশা করি তোমরা আমার কথাটি দায়িত্ব নিয়ে বিবেচনা করবে। সবাই ভালো থেকো।’

এমসি (মোহাম্মদ চৌধুরী) একাডেমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসবে। 

এ ব্যাপারে শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার দেবের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

এদিকে এই খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। 

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি সমাধানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে। আর যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

গোলাপগঞ্জে 'ষড়যন্ত্রমূলক' মিথ্যা মামলায় আসামি ৪ জন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ৪ জনকে আসামি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে এলাকাবাসী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 


তারা বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সুন্দিশাইল গ্রামের আব্দুছ ছত্তার ও তার স্ত্রী নুরুন্নেছার মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় স্বামী চিৎকার করলে স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় শুরু করেন। আব্দুছ ছত্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজা সুমন, আহাদ, এমন এগিয়ে এসে দেখতে পান কেউ একজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তারা দৌড়ে পালানো ব্যক্তির পিছু নেন। পরে পাশের আরেকটি বাড়ির উঠানে গিয়ে ধরে ফেললে তারা ঐ মহিলাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মহিলার চিৎকার শুনে ঐ ঘরের মালিক প্রত্যক্ষদর্শী মামলার স্বাক্ষী সাহেল আহমদ বের হয়ে দেখেন সুমন, আহাদ, এমন তারা ৩ জন মিলে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন মহিলাকে। পরে এলাকাবাসীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মহিলা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর থানায় উপস্থিত হয়ে আহত মহিলার ভাইপো মো.দেলোয়ার হোসেন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ এমরান আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। 

এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামি ব্যতিত বাকি ৪ জন নির্দোশ বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী। 

এবিষয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান আহমদের মামা অলিম উদ্দিন বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার ভাগনাসহ ৪ জনকে আসামি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না। মামলায় মূল আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা মহিলাকে কুপিয়ে আহত করেছে তাদের ১ জন ব্যাতিত বাকি ২ জনের নাম মামলায় দেওয়া হয়নি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা জড়িত নয় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'


স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.কামরান আহমদ বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পরে আমি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এজাহারে ১নং আসামি পরে বাকি যারা মামলায় রয়েছেন তার ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। আমি আসার পর তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। আমিও জানি তারা নির্দোশ। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।' 

এসময় উপস্থিত আসামি এমরানের মামাতো ভাই আলি আহমদ, এলাকার মুরব্বি আওলাদ হোসেন, লোকমান আহমদ, মুনশি নজমুল হক, আলাল আহমদ, জামাল আহমদ, রিয়াজ উদ্দিন, খালেদ আহমদ, মঈন উদ্দিন সাকন, জলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ উপস্থিত সবাই মূল আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্দোশদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, 'তদন্ত করে পাওয়া যাবে কারা ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, ১নং আসামি পরে বাকিরা যে ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তারা কোথায় ছিলেন, আপনি আমাকে বলেন?'