Sunday, 3 October 2021

বহরগ্রামের সমাজ হিতৈষী মাওলানা নুরুল ইসলাম'র মৃত্যুঃ দাফন সম্পন্ন

বহরগ্রামের সমাজ হিতৈষী মাওলানা নুরুল ইসলাম'র মৃত্যুঃ দাফন সম্পন্ন



গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বহরগ্রামের প্রবীণ মুরুব্বি,পরহেজগার ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম (নুনু মিয়া) আর নেউ। শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ১২টায় সিলেট আল হারামাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন, (ইন্নালিল্লাহি.......রাজিউন)।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।

আজ (রোববার) বাদ যোহর বহরগ্রাম ঈদগাহ ময়দানে মাওলানা নুরুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

মাওলানা নুরুল ইসলাম (নুনু মিয়া) ছিলেন বহরগ্রাম মাদ্রাসার নিবেদিত প্রাণ। তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মাদ্রাসার উন্নয়নে তাঁর অবদান এলাকাবাসী চিরদিন মনে রাখবে। একজন পরহেজগার মানুষ হিসেবে তিনি সর্বদাই গ্রাম এবং এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নকল্পে অগ্রণী ভূমিকা রাখতেন। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।


মাওলানা নুরুল ইসলামের জানাজায় বিভিন্ন মাদ্রাসার মুফতি, মুহাদ্দিস, হাফিজ, মাওলানা, সমাজসেবী এবং দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের ৪ ছেলে হেলাল উদ্দিন, জাকারিয়া হুসেন জয়নাল, কিবরিয়া ইসলাম ও নজরুল ইসলাম রাজু তাদের পিতার মাগফেরাত কামনা করে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

Saturday, 2 October 2021

ফেঞ্চুগঞ্জে সীমান্তিকের মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফেঞ্চুগঞ্জে সীমান্তিকের মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত



এস.এম.সি ও ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকের উদ্যোগে ফেঞ্চুগঞ্জে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পিঠাইটিকর গ্রামে নতুন দিন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত মা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান। 

সমাবেশে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিচের শিশুদের পুষ্টির আওতায় নিয়ে আসার জন্য মায়েদের প্রতি আহবান জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীমান্তিক নতুন দিন প্রকল্পের ফিল্ড সুপার ভাইজার শাহনাজ শারমিন, সিএম শিলুফা বেগম, সিএম শাকির আহমদ ও জি.এস.এম দিলারা বেগম।
লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন

লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন



ব্রিটেনের  লাল তালিকা থেকে অ্যাম্বার তালিকায়  বাংলাদেশ স্হান পাওয়ায় সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও  পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফ্রন্ট এর নেতৃবৃন্দ। 

২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর তালতলাস্হ বাংলাদেশ ইয়ুথ ফ্রন্ট এর  অস্হায়ী কার্য্যালয়ে আয়োজিত জরুরী সভায় নেতৃবৃন্দ এ অভিনন্দন জানান। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের গভীর  সম্পর্ক। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই ব্যবসা বানিজ্য ও কর্মসংস্থান এর দিক বিবেচনা করে ব্রিটেন বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। যাদের চেষ্টা ও সাধনায় বাংলাদেশের এ তালিকা লাভ করেছে তাদের সকলের প্রতি নেতৃবৃন্দ আন্তরিক অভিনন্দন কৃতজ্ঞতা জানান। 

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফ্রন্ট এর চেয়ারপারসন মোঃ রফিকুল ইসলাম খসরুর সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি আনিসুর রহমান আবুর পরিচালনায় জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ট্রাষ্টি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সায়েদুর রহমান চৌধুরী রুপা, ডাঃ নজরুল ইসলাম ফারুকী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তুতি,সিনিয়র মেম্বার ডাঃমোঃ বাহার উদ্দিন, সমাজসেবী এইচ এম আলমগীর, ইসহাক আহমদ,সুহেল আহমদ,মজনু মিয়া, ধন মিয়া লস্কর, মাওলানা আব্দুল মালিক ও মনসুর আহমদ।

Thursday, 30 September 2021

শুক্রবার থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটে নেটওয়ার্ক পাবে না

শুক্রবার থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটে নেটওয়ার্ক পাবে না



শুক্রবার থেকে অবৈধ বা চোরাই পথে আসা হ্যান্ডসেটে আর চলবে না মোবাইল সিম কার্ড। এখন থেকে নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে সচল করতে হলে অবশ্যই তার আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসি'র ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় নিবন্ধিত থাকতে হবে। শুধুমাত্র বৈধভাবে দেশে উৎপাদিত এবং বৈধ পথে আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো এনআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধিত থাকবে। ফলে চোরই পথে আসা এবং নকল হ্যান্ডসেট আর বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।


অবৈধ হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে সচল থাকলে তা একটি এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানানো হবে এবং কিছু সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেটওয়ার্কে সচল হওয়া হ্যান্ডসেটগুলো আগের মতই সচল থাকবে, এ ক্ষেত্রে নতুন নিয়মের প্রভাব পড়বে না। এ তথ্য জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।

তিনি জানান, অবৈধ পথে আসা এবং নকল হ্যান্ডসেট নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এ কারনে সাধারন মানুষের জন্য নিরাপদ টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতেই বিটিআরসি এনইআইআর ব্যবস্থা চালু করেছে। এর আগে গত পহেলা জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হয়। তিন মাস পরীক্ষামূলক থাকার পর পহেলা অক্টোবর থেকে চূড়ান্তভাবে চালু হচ্ছে।


তিনি আরও জানান, পহেলা অক্টোবর থেকে নতুন হ্যান্ডসেটে সিমকার্ড সচল করতে বৈধভাবে উৎপাদিত এবং আমদানি করা হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। কিন্তু গেলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় মেসেজ আসবে। মেসেজের মাধ্যমে ক্রেতাকে জানানো হবে যে 'তার ফোন সেটটি বৈধ নয়' এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে। এই মেসেজ ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার ফোন সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন। বিক্রেতা ফোন বদলে দিতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈধ নিশ্চিত হতে হ্যান্ডসেট কেনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে KYD টাইপ করে করে স্পেস দিয়ে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে কিনা তা জানানো হবে।

বিটিআরসি'র সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, পহেলা অক্টোবর থেকে বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট কিনে দেশে আনা হলে তা বিটিআরসি'র অনলাইনে গিয়ে প্রযোজ্য তথ্য ও দলিল জমা দিয়ে এনইআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সিমকার্ড চালু করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। বিদেশ থেকে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ আটটি হ্যান্ডসেট নিয়ে আসতে পারবেন। এর মধ্যে দু'টি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে আনা যাবে। বাকি ছয়টির জন্য শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে, যে সাজা হতে পারে ক্রিকেটার নাসিরের



অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যাভিচার ও মানহানির অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই।প্রতিবেদনে তাদের বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে প্রতিবেদনটি দেন মামলার পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করে, নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি।  তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।  রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন।  তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি।  আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি।


অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের বিষয়ে আইন কী বলে?

অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও কোনো বিবাহিত নারীকে কোনো পুরুষ যদি ফুসলিয়ে বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশে কোথাও নিয়ে যায় বা একই উদ্দেশে কোথাও আটকে রাখে তাহলে সেটি একটি অপরাধ যা দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডনীয়, অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। 


দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড। তবে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির কোনো শাস্তির বিধান আইনে নেই।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাসিরের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড হতে পারে।

জানা গেছে, নাসিরের সহধর্মিণী তামিমা হোসেন তাম্মির এটাই প্রথম বিয়ে নয়।  তার আরও এক স্বামী রয়েছে এবং সেই সংসারে ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। আর সেই স্বামী-সন্তানকে ফেলে এসে নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তামিমা।

তামিমার সেই স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি।  তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।  তামিমা তাকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

রাকিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি। বছরচারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পাইয়ে দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে (তামিমা) বদলে যেতে থাকে।  


নাসিরকে তামিমার বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর আপ্লুতকণ্ঠে রাকিব হাসান বলেছিলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি। আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?- এমন প্রশ্নও রাখেন তামিমার প্রথম স্বামী।

নাসির হোসেনের সঙ্গে কবে কীভাবে তামিমার যোগাযোগ হলো, সে বিষয়ে কিছু জানতেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, বছরখানেক আগে আমি তামিমার ইনস্টাগ্রামে নাসির হোসেনের সঙ্গে তার ছবি দেখেছিলাম। এমন একটি ছবি নাসিরও ফেসবুকে দিয়েছিল। তখন তামিমা বলেছিল, নাসির হোসেন তার বন্ধু।
রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর

রায়হানের মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন আকবর



সিলেটের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে নির্মম নির্যাতনে মেরে ফেলেন বন্দরবাজার ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা। আলোচিত সেই হত্যা মামলায় এক বছরের মাথায় অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গৃহীত হয়েছে।


এর আগে কারাফটকে রায়হানের মা সালমা বেগম ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহ’র পা ধরে ক্ষমা চান ‘হত্যাকারী’ এসআই আকবরসহ বরখাস্তকৃত ৫ পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার চার্জশিট গ্রহণের পর আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় সালমা বেগম ও হাবিবুল্লাহ’র। এসময় তারা জানান, কিছুদিন আগে রায়হান হত্যা মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে রায়হানের মা সালমা, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহকে পুলিশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে নিয়ে সাক্ষী গ্রহণ করে। ওইসময় কারান্তরীণ আসামি বরখাস্তকৃত এস.আই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সামনে নিয়ে আসা হলে তারা রায়হানের মা ও সৎ বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান। তবে সালমা ও হাবিবুল্লাহ এস.আই আকবরদের কখনো ক্ষমা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এসময় তারা সালমা বেগমকে বলেন, ‘আমরা ভুল ইনফরমেশন পেয়ে রায়হানের মতো ভালো একটি ছেলেকে নির্যাতন করেছি। আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন।’

তবে তাদের এমন অনুনয়-বিনয়ে মন গলেনি সালমা বেগমের। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেও তো তোমাদের কাছে সেদিন প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু তোমরা সেদিন পাষণ্ড ছিলে। আমার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা দাওনি। তাই আজ আমরাও তোমাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করবো না।’

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অবশেষে আদালতে গৃহিত হয়েছে। বাদীপক্ষ নারাজি না দেওয়ায় চার্জশিট দাখিলের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় এসে সেটি আদালতে গৃহিত হলো। এদিকে, চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসাথে তিনি নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট গৃহিত হওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সকল আসামি হাজির ছিলেন।


 বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী জানান, চার্জশিটে নারাজি দেওয়ার মতো তেমন কিছু ছিল না। তাই নারাজি দেওয়া হয়নি। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। আজ আদালতে রায়হানের মা, স্ত্রী, চাচাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
 
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতে পালিয়ে গেছে।

এদিকে, পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রায়হান হত্যা ঘটনার পর পালিয়ে যান এসআই আকবর। পরে গেল বছরের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন, ১০ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা; আদালত সাত দিনের আবেদনই মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আকবরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

দাঁড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিকারী গোলাপগঞ্জের সেই শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার


নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি এমসি একাডেমিতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে দাড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে সরগরম ছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভাইরাল ইস্যুর সমাধান নিয়ে এক জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে জরুরি সভায় তাদেরকে সন্তুষ্টমূলক সমাধান দেয়া হয়। 

জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল কুমারকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ড থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।উজ্জ্বল কুমারের পক্ষ থেকে লিখিত ও মৌখিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। ছাত্রদের যে জোর দাবি ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি সেটা আইনগত জটিলতার কারণে তৎক্ষনাৎ সম্ভব না হওয়ায় সময় চাওয়া হয়েছে ও প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের সমস্ত পদক্ষেপ শেষ হওয়ার পর সেটার কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটবেনা এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

এমসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ সরকারি এমসি একাডেমির শিক্ষকবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।