Friday, 22 October 2021

নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বাবা-মা-মেয়ে!

নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বাবা-মা-মেয়ে!


মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ৩য় ধাপের নির্বাচনে ২টি ইউনিয়নে একই পরিবারের পিতা, মাতা ও মেয়ে তিন সদস্য আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে প্রার্থী হয়েছেন। 

২টি ইউনিয়ন থেকে প্রেরিত তালিকায় তাদের নাম ১ নম্বরে রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রার্থীরা হলেন- উপজেলার সোনারং গ্রামের বাসিন্দা পিতা শেখ মোহাম্মদ হোসেন লিটন, মাতা এমিলি পারভিন ও মেয়ে মোসা. ফারজানা হোসেন লিজা। 

উপজেলা সদর সোনারং-টঙ্গীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলি পারভিন ও বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মোহাম্মদ হোসেন লিটন প্রার্থী হয়েছেন। ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে প্রেরিত প্রার্থী তালিকায় ১১ জনের মধ্যে ১ নম্বরে রয়েছেন মা এমিলি পারভিন। 

অপরদিকে উপজেলার ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন মেয়ে মোসা. ফারজানা হোসেন লিজা। তিনিও ধীপুর ইউনিয়ন ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক কেন্দ্রে প্রেরিত তালিকায় ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন ১ নম্বর তালিকায়। লিজা ধীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্যঘোষিত তালিকায় সহ-সভাপতি। 

একই পরিবারের তিন সদস্য তাদের নাম আবার দুটি ইউনিয়নের ১ নম্বর তালিকায় থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তারা এখন আলোচিত প্রার্থী। ৩ প্রার্থীর মধ্যে মা এমিলি পারভিন উপজেলার নারী নেত্রী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। মাঠের রাজনীতির সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 
পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার কথা ‘স্বীকার করেছেন’ ইকবাল

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার কথা ‘স্বীকার করেছেন’ ইকবাল


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার কথা স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এ কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও জানাননি।’

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতারের পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছেন।

জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট।

এর আগে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ইকবালকে বহন করা পুলিশের গাড়ি কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছায়। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় কুমিল্লায়। এরপর সাড়ে ১২টা তাকে পুলিশ লাইন্সে হেলমেট ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর হোসেন বলেন, ‘কালো গ্লাসের একটি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় ইকবালকে কুমিল্লায় আনা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।’
গোলাপগঞ্জে নিউ স্পাইসি স্ন্যাকবার'র উদ্বোধন

গোলাপগঞ্জে নিউ স্পাইসি স্ন্যাকবার'র উদ্বোধন


গোলাপগঞ্জে রুচিশীল খাবারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে নিউ স্পাইসি স্ন্যাকবার।

উপজেলার পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমূহনীতে মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এ প্রতিষ্ঠানটির।

রুচিশীল ও মানসম্পন্ন খাবার পরিবেশনের অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটিতে রুচিশীল, সমসা, আলু চপ, বেগুণী, পোলাও, বিরিয়ানী, সুস্বাধু পিয়াজু, মগলাই, চাইনিজ নাস্তাসহ রয়েছে রকমারী আইটেম। এছাড়া রং চা, দুধ চা ও সবুজ চায়ের রয়েছে বিশাল আয়োজন।

অতিশীঘ্রই বিশালাকারে রেষ্টুরেন্ট করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

স্ন্যাকবারের স্বত্বাধিকারী খন্দকার ইকবাল আহমদ ও খন্দকার আলীম উদ্দিন জানান, আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে শতভাগ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা এবং রুচিশীল খাবার পরিবেশন করা।

Thursday, 21 October 2021

কুমিল্লার ঘটনায় ইকবাল সন্দেহে একজন আটক

কুমিল্লার ঘটনায় ইকবাল সন্দেহে একজন আটক



কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে ইকবাল সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে কুমিল্লা পাঠানো হবে। 

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে ইকবাল সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে কুমিল্লা আনা হচ্ছে। আনার পর জানা যাবে তিনি সেই ইকবাল কি না।

এর আগে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেন নামের সেই যুবককে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

এরই মাঝে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও একাধিক যুবককে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে।

বুধবার অভিযুক্ত ইকবালের একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের কাছে কয়েকটি সিসিটিভির সমন্বয়ে করা একটি ভিডিও এসে পৌঁছায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিজ্ঞ টিম দীর্ঘক্ষণ ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করা হয়। সেই ভিডিওটি কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজের সমন্বয়ে করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করেন এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে নিয়ে ফেরেন।

গণমাধ্যমে আসা নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১২ অক্টোবর রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন। এরপর রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন ইকবাল। এসময় খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন ইকবালের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। ঠিক রাত ১১টায় তারা তিনজনই সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

ওইদিন রাত ২টা ১২ মিনিটের দিকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করে কুরআন নিতে দেখা যায় ইকবালকে। এসময় পাশেই অজ্ঞাতপরিচয় একজন ঘুমিয়ে ছিলেন, আরেকজন ছিলেন নামাজরত অবস্থায়। এর দুই মিনিট পর মেঝেতে কুরআন রেখে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর রাত ২টা ১৮ মিনিটে মসজিদে আবারও প্রবেশ করে মেঝেতে রাখা কুরআন নিয়ে মসজিদ থেকে বের হতে দেখা যায় তাকে। এরপর মসজিদ থেকে বের হয়ে তাকে মূল সড়কে উঠে মন্দিরের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।

পরে তিনি চকবাজার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক মোড় ঘুরে পূজামণ্ডপের দিকে রওনা হন। এ সময় তার সঙ্গে দুজন নৈশপ্রহরীর দেখা হয়। তাদের সঙ্গে ইকবালের কথাও হয়। এরপর ইকবাল কুরআন হাতে নিয়ে ডিগাম্বরীতলা সড়ক দিয়ে নানুয়া দিঘির পূজামণ্ডপে প্রবেশ করেন। পরে মূল পূজামণ্ডপের বাইরে সড়কের পাশে থাকা ফুটপাতের ওপর সীতার তিনটি প্রতিমার পাশে থাকা হনুমানের প্রতিমার পায়ের ওপর কুরআন রাখেন। এরপর হনুমানের হাতে থাকা গদা কাঁধে নিয়ে চলে যান।

পুলিশ বলছে, ইকবাল দারোগাবাড়ি মসজিদ ও মাজার থেকে কুরআন হাতে নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তারপর পূজামণ্ডপে রাখেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে আটটায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, পূজামণ্ডপে যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন রেখেছে তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনই তার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না।

গত বুধবার নগরীর নানুয়া দীঘিরপাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার খবরে নগরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ ঘটনায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, মন্দির ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বৈধ-অবৈধ কোনো মোবাইল সেট বন্ধ না করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

বৈধ-অবৈধ কোনো মোবাইল সেট বন্ধ না করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের


দেশে অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধে গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু করা হয়।তিন মাস পর ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

৭ অক্টোবর বিটিআরসি গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায়, গত ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত- এই পাঁচদিনে দেশে ২ লাখ ৮ হাজার ৪টি অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ফোনগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।তবে সেসব মোবাইল সেট প্রমাণ দিয়ে নিবন্ধনের কথাও বলা হচ্ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ও উপহার হিসেবে পাওয়া ফোনসেট নিবন্ধনে ভোগান্তির তথ্যও পাওয়া যাচ্ছিল।

এ অবস্থায় মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনছে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যে কোনো মোবাইল সেট নেটওয়ার্কে চালু হলে- তা বন্ধ না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ মোবাইল সেট বৈধভাবে আমদানি হোক কিংবা অন্য কোনোভাবে আসুক- তা গ্রাহক ব্যবহার শুরু করলে আর বন্ধ করা হবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবস্থাটি চালুর পর মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।এখনো বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ফোনের ৭০ শতাংশ হয় ফিচার ফোন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তাদের জন্য নিবন্ধন একটি ভোগান্তির কাজ। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ জানে না মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে কীভাবে বৈধ-অবৈধ যাচাই করতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন।তিনি (সজীব ওয়াজেদ জয়) মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে- সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবার প্রকাশ হলো মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে ইকবালের বের হওয়ার ভিডিও

এবার প্রকাশ হলো মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে ইকবালের বের হওয়ার ভিডিও



কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের দাবি করা ইকবাল নামের ওই ব্যক্তি কীভাবে মসজিদ থেকে কোরআন সংগ্রহ করেন এবং এরপর কীভাবে মন্দিরের দিকে বের হয়ে যান।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার আগের দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মসজিদে প্রবেশ করেন হাফেজ হুমায়ুন ও খেদমতকারী ফয়সাল এবং রাত ১১ দিকে প্রবেশ করেন ইকবাল। এরপর তাদেরকে পরামর্শ করতে দেখা যায়। রাত সোয়া ২টার দিকে কোরআন হাতে নিয়ে মসজিদের মেঝেতে রেখে বের হন ইকবাল। এর কিছুক্ষণ পর মেঝে থেকে কোরআন হাতে তুলে নিয়ে বের হন তিনি। এরপর পূজামণ্ডপের যাওয়ার পথের সিসিটিভি ফুটেজে তাকে কোরআন হাতে দেখতে পাওয়া যায়।

আগে প্রকাশ পাওয়া অপর ফুটেজে দেখে গেছে, কোরআন সদৃশ গ্রন্থটি নিয়ে পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করে হনুমানের হাতে থাকা গদাটি নিয়ে অন্যদিকে চলে যান। পুলিশের দাবি, ইকবাল নামের ওই ব্যক্তিই মণ্ডপে কোরআন রেখে আসেন।

এর আগে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ওই যুবকের নাম ইকবাল হোসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বিবৃতি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বিবৃতি


দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই অমানবিক ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। 

‘কোরআন অবমাননার’ ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে অনেকের মতো আমাদেরও সন্দেহ। কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছে বলে আমরা মনে করি। এরকম ঘটনা সাজিয়ে তারা সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রীদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন। জনগন সচেতন হলে ষড়যন্ত্রীরা কোনোভাবেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে পারত না। জনগণকে সচেতন করা, তাদের মননকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার দায় রাষ্ট্রের। 

কুমিল্লার ঘটনায় আমরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।