Tuesday, 18 January 2022

গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল

গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল



নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে নোমান উদ্দিন মুরাদ সভাপতি, হেলালুজ্জামান হেলাল সিনিয়র সহ-সভাপতি, মনিরুজ্জামান উজ্জল সাধারণ সম্পাদক, আমিন উদ্দিন আহমদ ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হাজী আব্দুল জলিল সেলিম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কাউন্সিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সিলেট জেলা বিএনপি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়েও আমাদের দল পূণর্গঠন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃনমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছে।
 
এর ফলে তৃনমূল নেতাকর্মীরাই তাদের নেতা নির্বাচন করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলা বিএনপির কাউন্সিল আয়োজনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনকে রুখে দেয়া সম্ভব হবে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা: আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা কামরুল হাসান শাহীন, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, জেলার সাবেক সহ কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আহমদ রেজা, সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম আজিজ, সাবেক ছাত্রদল নেতা কুহিনুর আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, দেওয়ান মজিদ রাজা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজ উস সামাদ চৌধুরী, রায়হান আহমদ ও আলী আহমদ আলম, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান, বিএনপি নেতা শিপু আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কামরান আহমদ ও সুহেদুল ইসলাম সুহেদ প্রমুখ।
বস্তা বাঁধার সুতার সূত্র ধরে শিমু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

বস্তা বাঁধার সুতার সূত্র ধরে শিমু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন



অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধারের সময় বস্তা দুটি প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা ছিল। সেই সুতার সূত্র ধরেই তার 'খুনিদের' শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 
মরদেহ উদ্ধারের পর শিমুর বাসায় গিয়ে একটি গাড়ি দেখতে পায় পুলিশ। সেটিতে প্লাস্টিকের এক ধরনের সুতা দেখতে পায় তারা। যা কিনা মরদেহের বস্তায়ও সেলাই করা ছিল। মিলিয়ে দেখা যায়, সুতা দুটি একই রকমের।

এরপরই শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে আনে পুলিশ। এবং পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও প্রাথমিকভাবে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম সমকালকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে অভিনেত্রী শিমুর গ্রিনরোডের বাসা যায় পুলিশ।

তিনি বলেন, মরদেহ গুম করতে দুটো বস্তা যে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, সেই সুতারই হুবহু এক বান্ডিল শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। এছাড়া গাড়িটি ধোয়া ছিল এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ছিল। এতেই সন্দেহ হয়।

পরে তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ হত্যার কথা স্বীকার করেন, যোগ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।



জানা গেছে, নোবেল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, শিমুকে গলা টিপে হত্যার পর ফরহাদকে ফোনে ডেকে আনেন। পরে দুইজনে পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে বস্তা আনেন। শিমুর মরদেহ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন। এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে করে মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যান নোবেল।

গ্রেপ্তার ফরহাদ জানিয়েছেন, প্রথমে তারা গাড়িটি নিয়ে মিরপুরের দিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে মরদেহ ফেলার উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে তারা আবার বাসায় ফেরেন। রোববার সন্ধ্যায় আবার তারা লাশ গুম করতে মোহাম্মদপুর ও বছিলা ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের কাছে গিয়ে সুযোগ বুঝে বস্তাটি ফেলে দেন তারা।
শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার স্বামী নোবেলের

শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার স্বামী নোবেলের


 

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দী (৩৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার রাতে স্বামী নোবেলসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নায়িকা শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল।


এর আগে সোমবার কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় চলচ্চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ। সেদিন সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শিমু। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত ও বস্তাবন্দি করে লাশ ফেলে দেয়ার ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিমুর ভাই বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছেন। শিমুর বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, শিমু ও তার স্বামীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই ঝগড়ার সূত্র ধরেই হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বলেন, লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Monday, 17 January 2022

আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ দেবে শাবিপ্রবি প্রশাসন

আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ দেবে শাবিপ্রবি প্রশাসন



শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় আহতদের চিকিৎসা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (১৬ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসের ভেতরে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে চিকিৎসাজনিত যাবতীয় ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের এমন ঘোষণার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে ও পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ তার বাসভবনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে।

বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রোববার (১৬ জানুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রধান রাস্তা ‘কিলো সড়ক’ অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অনেক ছাত্রী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেন।
ফেসবুক-ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করেন হিরো আলম?

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করেন হিরো আলম?



আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনেও লড়বেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া হিরো আলমকে।

বগুড়ার এই যুবক একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা, গায়ক ও সমাজহিতৈষী। ডিসলাইনের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায়ী হিরো আলম এখন পুরো বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত। অনেকেই হিরো আলমের আয়ের উৎস জানতে চায়। তিনি কীভাবে সিনেমা প্রযোজনা করেন, সেটা জানতে চান।

এ ব্যাপারে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফেসবুকে আমার ১৯ লাখের একটি ফ্যান পেজ রয়েছে। আর ইউটিউবে Hero Alom Official-এ সাবস্ক্রাইবার এখন ১৩ লাখের বেশি। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করেই আমার যত আয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তো আমার গাওয়া গানও দর্শকশ্রোতারা গ্রহণ করছেন। তবে আয় স্থিতিশীল না- কখনো বাড়ে, কখনো কমে। কোনো মাসে ৩ লাখ, কোনো মাসে আবার ১ লাখ, আবার এমনও হয় ৫০ হাজার আয় হয়।’

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যতীত স্টেজ-শো করেও আয় করেন হিরো আলম। তিনি জানান, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে কিছু টাকা আসে। এই আয়ের টাকা থেকে গরিবদের সাহায্য করি, সিনেমা নির্মাণ করি। টাকা তো জমাই না; যা আয়, তাই ব্যয়। তবে অর্থ বেশি হলে খুব ইচ্ছে ছিল বড় আয়োজনের আরও ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করার।’

 
প্রসঙ্গত, হিরো আলম অভিনীত ও প্রযোজিত ‘টোকাই’, ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’, ‘নষ্ট হওয়ার কষ্ট’ সিনেমা তিনটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। 
খুলছে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের পথ

খুলছে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের পথ


রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এই তালিকা তৈরির বিধান রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২-এর সংশোধিত খসড়া সরকারের সায় পেয়েছে। 

সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী একটি কাউন্সিল থাকবে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন  মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। কাউন্সিলে সদস্যসংখ্যা ৯ জনের পরিবর্তে ১১ জন হবে। আর কাউন্সিলের মহাপরিচালক সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন।

এই কাউন্সিলের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইনের খসড়ার তথ্য বলতে গিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব কাউন্সিলের কাছে দেওয়া হয়েছে। 

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য অপরাধ করেছে, তাদের তালিকা বা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের তালিকা প্রণয়ন এবং গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে এই কাউন্সিলের কাজ। 

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব স্তরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করাও হবে এই কাউন্সিলের কাজ।

২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়।

এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এখন জাতীয় সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে।
ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শাবিতে আন্দোলন

ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শাবিতে আন্দোলন



সোমবার নতুন করে কোন অঘটন না ঘটলেও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রীতিমতো উত্তাল। আন্দোলন চলছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শাবিতে প্রথমে হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু রোববার ভিসিকে অবরোধ করা এবং পুলিশী সহায়তায় তাকে মুক্ত করা, আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ গুলি টিয়ারশেল কাণ্ডের পর এখন তাদের দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবিতে সোমবার দিনভর তারা আন্দোলন করেছেন। তালা ঝুলিয়েছেন ভিসির কার্যালয় এবং প্রশাসনিক ভবনে।

এরপর বিকেলের দিকে আন্দোলনকারীরা ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাসভবন ঘেরাও করেন। এখনো তারা সেখানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন। 

আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকেলে ঘোষণাা দিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এমনকি আজ সোমবার রাতেও তারা ক্যাম্পাস ছাড়ছেন না। সারারাত গানবাজনা ও প্রতিবাদী শ্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জাগিয়ে রাখবেন।

এদিকে, রোববার রাতে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও আজ সোমবার দুপুরের মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা দিয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তারা কিছুতেই আন্দোলন থামাবে না বা ক্যাম্পাসও ছাড়বে না। 

এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে শাবি ক্যাম্পাসে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রাইসিস রেন্সপন্স টিম’ বা (সিআরটি) কে মোতায়েন করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ' ছাত্রী।