Sunday, 30 January 2022

এড.ইকবাল চৌধুরী’র মৃত্যুতে নুরুল ইসলাম বেলালের শোক

এড.ইকবাল চৌধুরী’র মৃত্যুতে নুরুল ইসলাম বেলালের শোক


বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মিডল্যান্ডস আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম বেলাল।

এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, রাজনীতির মহান শিক্ষক এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা হারালাম স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ ও সত্যিকারের নিবেদিত প্রাণ একজন আওয়ামীলীগ নেতাকে।

তিনি আরোও বলেন, ইকবাল আহমদ চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলা রাজনীতির অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন, তাঁর অবদান ছিলো স্মরণীয়। তাঁর অভাব কখনো পূরণ হওয়ার নয়, তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। 

শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন

উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮০ বছর। তিনি আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অগণিত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি-সহ বাধ্যর্ক জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তাঁর শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর সিলেটের দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহঃ) জামে মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জ সরকারি এম,সি একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।  

জানাযা শেষে নিজ গ্রাম রফিপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে প্রবীন এ রাজনীতিবিদের দাফন সম্পন্ন করা হবে। 

প্রসঙ্গত,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে জীবন অতিবাহিত করা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ-সহ পুরো সিলেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এড.ইকবাল চৌধুরী’র মৃত্যুতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর শোক

গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এড.ইকবাল চৌধুরী’র মৃত্যুতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর শোক


সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী আর নেই। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮০ বছর। তিনি আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অগণিত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাধ্যর্ক জনিত ও বিভিন্ন রোগী ভুগছিলেন। শনিবার দুপুরে (২৯ জানুয়ারি) তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।

এদিকে,বর্ষিয়ান রাজনীবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এক শোকবার্তায় বলেন, প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা, গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ছাত্রজীবন থেকে আজ পর্যন্ত  দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রসেনানী আমাদের সকলের প্রিয় নেতা ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর মর্মাহত হয়েছি। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। 

তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের চিরবিদায়

এক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের চিরবিদায়

এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী
জন্ম : ১৭ জুলাই ১৯৪২
মৃত্যু: ২৯ জানুয়ারী ২০২২।

মৃত্যু এক অমোঘ নিয়ম। জগতের এই অমোঘ নিয়মে দূর আকাশে হারিয়ে গেলেন গোলাপগঞ্জ তথা সিলেটের রাজনীতির এক উজ্জল নক্ষত্র এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী। নিজের কর্মময় আলোকিত জীবনের মাধ্যমে আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি থাকবেন পুরো সিলেটের মানুষের মাঝে।

জাগতিক সব অধ্যায় থেকে চির প্রস্থান করলেও মানুষের মনের হীরক দ্যুতিতে চিরদিন জ্বলে থাকবেন এ কীর্তিমান মানুষ। ক্ষণজন্মা এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিদায়ে গোলাপগঞ্জসহ পুরো সিলেট জুড়ে দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
 
তাঁর প্রস্থানে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে তা নিঃসন্দেহে অপূরণীয়। তবুও মৃত্যুতে কারো হাত নেই, সব মৃত্যুই সুনির্দিষ্ট। এই চরম সত্যটা আমাদের মেনে নিতে হয়।

রাজনৈতিক জীবন: বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ১৭ জুলাই গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মিছিলে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। শিক্ষা জীবনে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি করেন। আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমদের মতো জাতীয় নেতারা ছিলেন তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।

ইকবাল আহমদ চৌধুরী ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইকবাল আহমদ চৌধুরী ২০০৪ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এরপর আমৃত্যু সে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

তিনি স্কাউটসে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ রৌপ্যপদক লাভ করেন। ১৯৫০-৬০ এর দশকে প্রগতিশীল ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতমদের একজন ছিলেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী। ১৯৬২ সালে আইয়ুব শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলনের পথ বেয়ে ১৯৬৯-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির নেতা হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছিলেন । অপার সংগ্রামী পথ ধরে ঢাকার কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতৃবৃন্দের বন্ধুত্বে-ভালোবাসায় সিক্ত হোন।

বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী, মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ, উচ্চ শিক্ষার অনুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলার রফিপুর গ্রামে ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইইউবি)-এর চেয়ারম্যান (বোর্ড অব ট্রাস্টিজ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ইচ্ছে করলেই ষাটের দশকে রাজধানী ঢাকা শহরে চাকচিক্যময় জীবন সাজাতে পারতেন, সেই সুযোগ ও সম্ভাবনা তাঁর সামনে পূর্ণমাত্রায় ছিল। কিন্তু লালিত স্বপ্ন ও প্রতিজ্ঞার প্রতি সম্মান দেখাতেই নিজের জীবন নিবেদিত করেছেন সমাজপ্রগতি ও মানুষের কল্যাণে।

অবদান রেখে চলেছেন বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও মানবকল্যাণমূলক কাজে। ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নের প্রয়াসে নিজেকে নিবেদিত করেন ‘নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তা ও পরিচালক হিসেবে, যেখানে স্বল্প খরচে ছাত্র-ছাত্রীরা এমবিবিএস পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ স্বল্প মূল্যে পাচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষানুরাগী ও মধ্যবিত্তের উচ্চশিক্ষা অর্জনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ২০১২ সালে ‘নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইইউবি) প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং দরিদ্র অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ।

পরিশেষে বলি সব বিদায় বিদায় নয়; আপনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমীন।

সৌজন্যেঃ সিলেট প্রতিদিন
এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুঃ জানাজা সোমবার

এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুঃ জানাজা সোমবার


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী আর নেই।ইন্নালিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার রাত ১২টা ২০মিনিটের সময় সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। তিনি আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অগণিত গুনগাহী রেখে গেছেন।

আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর সিলেটের দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহঃ) জামে মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জ সরকারি এম,সি একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।  

জানাযা শেষে নিজ গ্রাম রফিপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে প্রবীন এ রাজনীতিবিদের দাফন সম্পন্ন করা হবে। 

ইকবাল আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি-সহ বাধ্যর্ক জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তাঁর শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে জীবন অতিবাহিত করা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ-সহ পুরো সিলেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।

Saturday, 29 January 2022

গোলাপগঞ্জে বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেট'র শীত বস্ত্র বিতরণ

গোলাপগঞ্জে বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেট'র শীত বস্ত্র বিতরণ


গোলাপগঞ্জের বানিগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছে বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেট।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বানিগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবকদের হাতে এ শীত বস্ত্র তুলে দেয় সংগঠনটি।

শীত বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে এল.জি.ই.ডি সিলেটের সাবেক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মহি উদ্দিন কলি'র সভাপতিত্বে এবং বানিগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেটের জেলা কমিশনার সিদ্দিকা খাতুন চৌধুরী।


অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বানিগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ রত্না বেগম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাবেক ব্যাংকার ও বানিগাজী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন আমান, সমাজসেবী নূর মিয়া, বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেটের জেলা ট্রেজারার শামীমা আক্তার, আঞ্চলিক ট্রেইনার সুফিয়া বেগম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলতাফ হোসেন।

এসময় বক্তারা বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেট-এর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সিলেট থেকে গোলাপগঞ্জের একটি পল্লীতে এসে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করায় গার্লস গাইড এসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচীর ব্যাপক প্রশংসা করেন তারা। এসময় বক্তারা গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেট-এর আরোও সাফল্য কামনা করেন।


অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা রুলি বেগম, খালেদ আহমদ, গার্লস গাইড এসোসিয়েশন সিলেটের আঞ্চলিক রেঞ্জার পূর্বা দাস প্রমা ও উম্মে হুরায়রা-সহ আরোও অনেকে।
করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, শনাক্ত কমেছে

করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, শনাক্ত কমেছে


দেশে করোনাভাইরাসের শনাক্ত উদ্বেগজনক।তবে টানা কয়েক দিন ১৫ হাজারের বেশি শনাক্তের পর গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ।অপরদিকে ধীরে ধীরে মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৩৭৮ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু ২১ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ হাজার ৩২৯ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। 

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। 
শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকার মা'র আহবানে বিষপানে ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন প্রেমিক

শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকার মা'র আহবানে বিষপানে ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন প্রেমিক


‘ভালোবাসি’ শুধু এটা প্রমাণ করার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছে এক তাজা প্রাণ। প্রেমিকার মায়ের কাছে ভালোবাসার জন্য যখন প্রেমিক আকুতি জানায়, প্রেমিকার মা জানায় -সে তার মেয়েকে কতটা ভালবাসে তা প্রমাণের জন্য বিষ পানের আহবান করেন। জবাবে নির্ভিক প্রেমিক সাথে সাথে কীটনাশক পান করে জীবন দিয়ে তার প্রমাণও দেয়। প্রেমিকাকে ভালবাসা জন্য প্রাণ বিসর্জনের এই ঘটনা ঘটে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। ভালবাসার এমন বিয়াগাত্মক ঘটনায় গোটা শ্রীমঙ্গল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা গেছে, শহরের সুরভীপাড়া এলাকার সামসু মিয়ার পুত্র অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র জুনেদ রহমানের সাথে উপজেলার মোহাজেরাবাদ গ্রামের হামিদ উল্লার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে ৪ বছর ধরে মন দেয়া-নেয়া চলছিল। তবে এসম্পর্ক মেয়েটির পরিবার কখনও মেনে নেয়নি। গত কয়েকদিন আগে পারিবারিক ভাবে জুনেদের বিয়ের কথা বার্তা চলছিল-এমন খবর পেয়ে মেয়েটি জুনেদকে জানিয়ে দেয় অন্যত্র বিয়ে করলে সে বিষপানে আত্মহত্যা করবে। এ নিয়ে জুনেদ দিশেহারা হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, মেয়েটির পরিবারও তাকে মেনে নিতে রাজী নয়। 

জুনেদের বন্ধু পায়েল ও সাজু জানায়, এনিয়ে জুনেদকে মেয়েটি তার মাকে রাজি করাতে তাদের বাসায় যাবার জন্য বলেছিল। এজন্য শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) বিকাল আড়াইটার দিকে জুনেদ, তাদের সাথে নিয়ে মেয়েটির বাড়ি যায়। এসময় তাদের বাড়ির বাহিরে রেখে জুনেদ বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। জুনেদ ভেতরে গিয়ে মেয়েটির মায়ের পা ধরে কাকুতি মিনতি করে তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে বলে। এতে মেয়টির মা কর্ণপাত না করে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। মেয়েটির মা জুনেদকে বলে তার মেয়েকে সত্যিকারের ভালবাসে কিনা তা প্রমাণ দিতে। কি করতে হবে- জুনেদ জানতে চাইলে মেয়েটির মা তাকে বিষ পান করার আহবান জানায়। এতে জুনেদ ভালোবাসার মানুষকে পেতে তীব্র আবেগের বসে বাড়িতে রাখা কীটনাশকের বোতল খুলে পান করেন। এতে বিষক্রীয়া শুরু হলে জুনেদ দৌঁড়ে বাহিরে এসে ঘটনা জানায়। এরপর তাকে দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে- সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেটের আল-রায়হান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুনেদ মারা যায় বলে বন্ধুরা জানায়।

দুপুরে লাশ শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসা হলে শত শত মানুষ সেখানে ভীড় করে। আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের আহাজারিতে পুরো থানা চত্বরের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত জুনেদ রহমান শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শনিবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে- জুনেদের প্রেমিকা সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে জুনেদ আমাদের বাসায় এসে দীর্ঘসময় মায়ের পা ধরে কান্নাকাটি করে। এসময় সে আমাদের সম্পর্ক মেনে নিতে মা’কে অনুরোধ করে। কিন্তু আমার মা তাকে জানায় তার বাবা মা যেখানে বিয়ে ঠিক করেছে সেখানেই বিয়ে করতে। এতে মা রাজি না হলে সে চলে যায়। বিষপানে আত্মহত্যার খবরটি তারা আজ জেনেছেন।

মেয়েটির মা সেলিনা বেগম বলেন, জুনেদ তাদের বাড়ি আসার সময়, বাড়িতে পুরুষ মানুষ ছিল না। এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি জিডিও করি।

এদিকে বিকালে- জুনেদের পরিবার পক্ষে জুনেদের প্রেমিকা, তার বাবা ও মা’কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ নিয়ে থানায় আসার খবর পাওয়া গেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেন, এ ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।