Wednesday, 2 February 2022

জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে পারে

জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে পারে



বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদের পরাজিত প্রার্থী নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে বুধবার আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা এসেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ২৯ তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরপর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ এনে সেই ফল বাতিলের জন্য আপিল বিভাগের কাছে আবেদন করেছিলেন নিপুণ। এ সময় কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিলের আবেদন করেছিলেন তিনি।

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন নিপুণ। শুধু মৌখিক অভিযোগই নয়, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও হাজির করেন নিপুণ। জায়েদ খান ভোটে কারচুপি করেছেন অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত কারো সঙ্গে তার গোপন স্ক্রিনশট দেখান। এছাড়া এক ভিডিও দেখিয়ে জায়েদ খান এক ভোটারকে টাকা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন নিপুণ। 

অবশ্য জায়েদ খানও চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনিও নিপুণের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রমাণ হাজিরের অভিযোগ তোলেন। 
নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন নিপুণ। 

জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সোহানুর রহমান।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-এ বলা আছে, এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে তদন্তে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। গঠনতন্ত্রে যদি সমাধান পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হওয়া যাবে।

এদিকে সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা না থাকায় নিজের দায়িত্ব নিজেই বুঝে নিয়েছেন জায়েদ খান। এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রের কোথাও শপথের কথা উল্লেখ নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেবে। যেহেতু আমি নিজেই সেক্রেটারি, তাই আমারটা আমি বুঝে নিয়েছি।
 এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে বিতর্ক চলমান থাকায় ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে একটু সময় লাগবে।

তবে বুধবার ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ এখন আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে জায়েদ ও চুন্নুর পদ। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আপিল বিভাগের পুনর্গণনা শেষে নিপুণ তার পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরে এ আবেদন মন্ত্রণালয়ের যেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে।

অন্যদিকে, দুই প্যানেলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরও  বুধবার  নব-নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে জায়েদ খানকে। দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শোতে হাজির হয়ে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সেখানে উপস্থাপকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা। এক ফাঁকে ফুল হাতেও একসঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায় এ দুই তারকাকে।

Tuesday, 1 February 2022

বাংলাদেশে বিরক্ত হয়ে সিনেমা বানাতে ভারত যাচ্ছেন হিরো আলম

বাংলাদেশে বিরক্ত হয়ে সিনেমা বানাতে ভারত যাচ্ছেন হিরো আলম


বগুড়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে গিয়ে বারবার অপমানিত হয়েছেন হিরো আলম। আর সেই কষ্টে সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম বলেছিলেন, ‘আশা করি সবাই ভালো আছেন। কাল থেকে অনেক বিষয়ে ভেবে দেখলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আর এফডিসিতে যাব না। আর কোনো সিনেমাও বানাব না। কারণ, আমি দেখেছি এই সুশীল সমাজের লোক আমাকে মেনে নেবে না। চলচ্চিত্রের লোকজন কখনো আমাকে মেনে নেবে না। আমাকে ওরা একের পর এক ধিক্কার, লাঞ্ছিত, অপমান করছে।’

তবে আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশে নয়, এখন থেকে কলকাতায় কাজ করব।’

এ বিষয়ে আরটিভি নিউজকে জানান, ‘অনেক ভেবে দেখেছি, অভিনয় কিংবা নির্মাণের সঙ্গে না থাকতে পারলে আমি আসলে ভালো থাকতে পারব না। সিনেমা তো আমার ভালোবাসার জায়গা। কারণ, এ দেশের মানুষ আসলে আমাকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। কিছু মানুষ তো আমাকে কাজই করতে দেবে না। তাই নতুন করে ভেবে দেখলাম, আসলে আমি এই দেশে আর কিছু বানাতে কিংবা অভিনয় করতে চাই না। এখন থেকে কলকাতায় অথবা দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করব। ওখানে আমার সঙ্গে কেউ আর ঝামেলা করতে পারবে না। এখন দেখা যাক এই পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারি।’

এর আগে সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত (৩০ জানুয়ারি) এফডিসিতে পরিচালক শাহীন সুমন অনেক লোকের মধ্যে অপমান করে আমাকে বের করে দেয়। আমি আর কারও বিরুদ্ধে কোনো কথা বলব না, এফডিসিতে যাব না, চলচ্চিত্রও নির্মাণ করব না।’ 
এড. ইকবাল চৌধুরীকে নিয়ে কবি ইকবাল বাল্মিকীর শোকগাঁথা

এড. ইকবাল চৌধুরীকে নিয়ে কবি ইকবাল বাল্মিকীর শোকগাঁথা



বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সর্বত্র বইছে শোকের ছায়া। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন দেশ ও মাটির তরে নিবেদিত এ মহান নেতাকে। তেমনি কবিতার ছন্দে এ দীক্ষা গুরুকে বিদায় জানিয়েছেন প্রবাসী কবি ইকবাল বাল্মিকী। নিচে ইকবাল বাল্মিকীর রচিত কবিতাটি দেয়া হলো-


বিদায় হে দিক্ষা গুরু বিদায় 
ইকবাল বাল্মিকী

(জনতার মুখ প্রিয় ইকবাল ভাইয়ের জন্য শোকগাঁথা)

০১ 
একরাশ কান্না গলার কাছে থেমে আছে
একদল শাদা কবুতর  কালো হয়ে গেছে 
গোলাপের বাগান থেকে বনমালী আজ অদৃশ্য হলেন
বটবৃক্ষ যেন  মাথার উপর থেকে ছায়া সরিয়ে নিলেন ॥ 
প্রায় ত্রিশ বসন্তের আরও  আগে
একটি লাল বসন্তের গানে 
আমরা জেগেছিলাম মহামন্ত্রে 
মহামানুষের মিছিলের পুরোভাগে ….
তুমি ছিলে কান্ডারী আমরা মাত্র মাঝি মাল্লা 
শিকল ভাঙ্গার প্রশ্নে  ভীম সমুদ্রে ধরেছ পাল্লা 
কতো না চড়াই কতো না উৎরাই 
দিয়েছ পাড়ি, শঙ্কাহীন, ডরনাই 
তোমাকে কী কেড়ে নিতে পারে মৃত্যু হীমাগার 
যার স্হান  ধমনিতে, যে বক্ষ ছিল জনতার ॥

০২ 
এসো এক মহাপ্রাণের জন্য ক্রন্দন করি 
এসো এক কবিপ্রাণের জন্য ক্রন্দন করি
অশ্রু এবং প্রেম যে সম্পর্কে বাঁধা 
মানব কল্যাণে তেমন তোমার ইরাদা
আসন গেড়েছিল ,কর্মে 
তুমি চিরঞ্জীব এই মর্মে …
তোমার জন্য তাই অশ্রু বুঝাই শোকতরী ভাসিয়ে দিলাম 
ওগো বন্ধু, অদীনের মুজিবীয় সালাম এবং লাল সালাম ॥

০৩
হতে পারে ,কিশোর রাতে আর ডাকবেনা পাখি 
হয়তো বা লাল বইয়ের পাতায় জাগবেনা আখি
তবুওতো কিছু গল্প রেখে গেলে 
অনাগত কাল দেখবে চোখ মেলে
মানবপ্রেমী আদর্শের আল ধরে
নিভৃতে হাটে,কালে ও কালান্তরে …


উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮০ বছর। তিনি আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অগণিত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি-সহ বাধ্যর্ক জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

প্রবীন এ রাজনীতিবিদকে তাঁর নিজ গ্রাম রফিপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ জোহর সিলেটের দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহঃ) জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জ সরকারি এম,সি একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রসঙ্গত,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে জীবন অতিবাহিত করা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ-সহ পুরো সিলেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
মৌলভীবাজারে আমেরিকায় পড়তে যাওয়ায় ঝর্ণা'র পরিবার ‘সমাজচ্যুত’

মৌলভীবাজারে আমেরিকায় পড়তে যাওয়ায় ঝর্ণা'র পরিবার ‘সমাজচ্যুত’


মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মেয়ে ঝর্ণা চৌধুরী। তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান গত ২৬ ডিসেম্বর।

ঝর্ণা অভিযোগ করেছেন, তাকে বিদেশ পাঠানোয় দেশে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি।

এই অভিযোগ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দিয়েছে ঝর্ণার পরিবার।

ইউএনও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মসজিদ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে। আর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, বিষয়টা ভুল বোঝাবুঝি।

ঝর্ণার বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী সোমবার ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

তাতে বলা হয়েছে, ঝর্ণা ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। একটি সামাজিক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। নারী অধিকার নিয়ে তিনি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এ কারণে এলাকার কিছু মানুষের বিরাগভাজন হন ঝর্ণা।

আব্দুল হাই জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝর্ণার নামে কুৎসা রটান কিছু লোক। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় জিডিও করেছিলেন ঝর্ণা। পরে গত ২৬ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা চলে যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আমেরিকায় অবস্থানরত ঝর্ণার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে এলাকায় নানা অপবাদ প্রচার করে একটি গোষ্ঠি। বলা হয়, ঝর্ণা নাস্তিক হয়ে গেছেন। এরপর স্থানীয় মসজিদ কমিটি সভা ডেকে আব্দুল হাইয়ের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। এ ঘটনায় তিনি সামাজিকভাবে চাপে আছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ঝর্ণার সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ ডিসেম্বর আমি উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় আসি। ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় একটি মৌলবাদী গোষ্ঠি ফেসবুকে আমাকে নিয়ে কুৎসা রটাতে থাকে। বিদেশ গিয়ে ছোট কাপড় পরছি, নাস্তিক হয়ে গেছি- এই সেই নানা কিছু গল্প তারা তাদের মতো বানাতে থাকে।

‘পরদিন শুক্রবার স্থানীয় ভাটেরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটি আমার বাবা আব্দুল হাইকে সালিশ বৈঠক ডাকেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় বাবা যেতে পারেননি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাখন মিয়া ও সম্পাদক আমিন মিয়ার নির্দেশে আমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেয়া হয়।’

ঝর্ণা আরও বলেন, ‘অতি উৎসাহী কিছু মানুষ স্থানীয় মসজিদে আমাকে নিয়ে বিচার ডাকেন। আমার বাবাকে সেই বিচারে উপস্থিত হতে বলেন, কিন্তু ৭০ বছর বয়সী আমার বাবা ইতোমধ্যে তিনবার স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসক বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।’

ঝর্ণা জানান, এ খবর পেয়ে তিনি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আমিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ঝর্ণা বলেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? জবাবে তিনি জানান, আমি আমেরিকায় এসে আমার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী একজনকে বিয়ে করেছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া আমার বাবা কেন তাদের নির্দেশ মানেননি, তাই আমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সমাধান হয়ে যাবে।’

কুলাউড়ার ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘সামাজিকভাবে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, তার জন্য অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমি কমিটিকে সতর্ক করে দিয়েছি।

‘সেই সঙ্গে আগামী ৯ তারিখ তাদেরকে অফিসে আসতে বলেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও বলেছি বিষয়টি আজই দেখে দিতে। ঝর্ণার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় থানাকেও অবগত করেছি। ঝর্ণার বাবার সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। তিনিও আশ্বস্ত হয়েছেন।’
বাসার উদ্দেশে খালেদা জিয়া

বাসার উদ্দেশে খালেদা জিয়া


২ মাস ১৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তার চিকিৎসক প্রফেসর ফখরুদ্দিন মো. সিদ্দিকী বলেন, আপাত দৃষ্টিতে খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ভবিষ্যতে যে রক্তক্ষরণ হবে না সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই ম্যাডামের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েই গেছে। যেহেতু উনার অবস্থা এখন স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছে সেক্ষেত্রে আমাদের তত্ত্বাবধানে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সে কারণেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে আবার তাঁকে হাসপাতালে রিসিভ করতেও প্রস্তুত আছি আমরা।’

অসুস্থতার কারণে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয় খালেদাকে। পরদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয় তাঁকে।

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি (খালেদা জিয়া) লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার। যদিও সরকার এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।

এর মধ্যে সেবা-পরিচর্যায় তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে সিসিইউ থেকে ৯ জানুয়ারি রাতে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বিএনপি প্রধানকে।

এরপর গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়ার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে-আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ব্লাড-সুগার, সোডিয়াম, হিমোগ্রোবিন,স্টুল, ইউরিন ও করোনাভাইরাস। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির কথা উঠে আসে।
মিথ্যা কথা ধরতে ইসরায়েলের নতুন প্রযুক্তি

মিথ্যা কথা ধরতে ইসরায়েলের নতুন প্রযুক্তি


লাই ডিটেকশন অর্থাৎ মিথ্যা শনাক্তকরণের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ পদ্ধতিতে মুখের বাঁ-পাশে কয়েকটি ইলেকট্রোড সেঁটে দিতে হয় প্রথমে। গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক অধ্যাপক হানেইন এবং তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি।

তারা বলছেন, মিথ্যাবাদী আছে দুরকম। এক দল আছেন মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই যাদের চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকে। আরেক দল আছেন, মিথ্যা বলার সময় যাদের ঠোঁটের খুব সামান্য একটা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

অধ্যাপক হানেইন বলেন, তারা যে সফটওয়্যার এবং অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তা ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং এখন তারা কাজ করছেন এ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য।

 
অধ্যাপক লেভি বলেন, আপনি যখন মিথ্যে বলছেন এবং তা লুকানোর চেষ্টা করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন যাতে আপনার শরীরে কোনও প্রতিক্রিয়া না হয়। কিন্তু এই প্রযুক্তির হাত থেকে একটা মিথ্যাকে গোপন রাখা খুবই, খুবই কঠিন।

তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করেন, একসময় এ ক্ষেত্রে ভিডিও ক্যামেরার জায়গা নেবে ইলেকট্রোড। তারা বলছেন, একসময় এমন সফটওয়্যার আসবে যার ফলে দূর থেকে বা এমনকি ইন্টারনেটে লিংকেও একজন মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করা যাবে – তার মুখের পেশীর নড়াচড়া থেকে।

অধ্যাপক লেভি বলেন, ব্যাংকে, বিমান বন্দরে, অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ বা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, শক্তিশালী ক্যামেরা থাকবে যা মুখমণ্ডলের পেশীর নড়াচড়া দেখেই ধরা যাবে কোনটি সত্য বক্তব্য এবং কোনটি মিথ্যা।

তবে লাই ডিটেক্টরের বৈধতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন রকম। যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধ এবং পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে পলিগ্রাফকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও লাই ডিটেকটর সংক্রান্ত আইন একে অঙ্গরাজ্যে একেক রকম।

 
সূত্র: বিবিসি বাংলা
 এড. ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকসভা অনুষ্ঠিত

এড. ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকসভা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ও উপজেলা সভাকক্ষে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজির বেগম শীলার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবীর, পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সুলতানা, বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তমজ্জুল আলী, ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান, লক্ষ্মিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রহিম, লক্ষনাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান খলকুর রহমান, ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, আমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু, বাদেপাশা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, শরীফগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এম কবীর উদ্দিন আহমদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল, সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল হকসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শোকসভায় বক্তারা এড. ইকবাল আহমদ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।