Tuesday, 8 February 2022

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখক মুসল্লী অংশ নেন। 

জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

এর আগে, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।

Monday, 7 February 2022

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার



প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী এবং হাজার হাজার ছাত্র রেখে গেছেন।

মরহুমের জানাযা মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রখ্যাত আলেমের ইন্তেকালে জকিগঞ্জ তথা সিলেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।
প্রখ্যাত আলেম আল্লামা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রখ্যাত আলেম আল্লামা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল


প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

মরহুমের জামাতা মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী এই তথ্য জানিয়েছেন।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন। 
ঘরের মাঠেও খুলনার কাছে ধরাশায়ী সিলেট

ঘরের মাঠেও খুলনার কাছে ধরাশায়ী সিলেট



ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নাটকীয়তার জন্ম দিল সিলেট সানরাইজার্স। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একাদশে থাকলেও টস করতে নামলেন ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। পরে জানানো হলো, অধিনায়ক দায়িত্ব সামলাবেন এই অলরাউন্ডার। নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিলেন বোপারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বল টেম্পারিং করলেন তিনি। ধরা পড়ায় ৫ রানর পেনাল্টি গুণতে হলো সিলেটকে। 

এমন নাটকীয় ম্যাচে মাঠের লড়াইয়েও খানিক নাটক জমলো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে টানা ৩টি ছয় মারেন আলাউদ্দিন বাবু। যদিও শেষরক্ষা হয়নি সিলেটের। আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ফিফটিতে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের বিশাল পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে পরে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় পায় খুলনা। 

এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট খুলনার। অন্যদিনে সমান ৭ ম্যাচে সিলেটের অর্জন মাত্র ৩ পয়েন্ট। 
 
যদিও ১৮৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও লেন্ডন সিমন্স। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সিমন্স ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই পার্টনারশিপ। এরপর ফিফটির পথে ছুঁটতে থাকেন বিজয়। তবে ৩ রানে আক্ষেপে ৩৩ বলে ৪৭ রানে থামতে হয় তাকে। যেখানে সমান ৩টি করে চার-ছক্কা আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। 

এরপর ১৩ রানের মধ্যে আরো দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে তারা। মোহাম্মদ মিঠুন ৮ বলে ২ আর রবি বোপারা সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। ৭৩ রান ৪ উইকেট হারানো দলটির হাল ধরেন কলিং ইনগ্রাম ও মোসাদ্দেক। তবে চাহিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি তারা। শেষদিকে হাত খুলে খেলতে গিয়ে খালেদ আহমেদের বলে আউট হন ইনগ্রাম। ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৩৭ রানে থামেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে ভাঙে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ। 

মোসাদ্দেকের ২২ বলে ৩৯ এবং আলাউদ্দিন বাবুর ৭ বলে ২৫ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা। ব্যাটিংয়ে অনবদ্য ৮২ রানে ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার। 

এর আগে টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিলেটের নতুন অধিনায়ক রবি বোপারা। প্রথম ওভারে দুটি উইকেটের পতন ঘটিয়ে সিলেট পায় স্বপ্নের মতো শুরু। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ১ রান করে। আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসান রানের খাতা খুলতে পারেননি। সোহাগ গাজীর বলে আউট হন অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে। 

ইনিংসে প্রথম ওভারেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। পরে সৌম্য সরকার আর ইয়াসির আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ১৮ বলে ২৩ রান করে ইয়াসির বিদায় নিলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। এরপর সৌম্যর সাথে দলের হাল ধরেন মুশফিক। নবম ওভারে বল টেম্পারিংয়ের কারণে ৫ রান জরিমানা গুণে সিলেট। তাতে যেন মোমেন্টামও হারিয়ে ফেলে দলটি। খুলনার আর কোনো উইকেটের পতন ঘটাতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ১৩৬ রান যোগ করেন দুজন। মাঝে দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। সৌম্য ৬২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৮২ এবং মুশফিক ৩৮ বলের মোকাবেলায় ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। টুর্নামেন্টজুড়ে উজ্জ্বল থাকলেও আজ বল হাতে পাননি নাজমুল ইসলাম অপু। দলের পক্ষে সোহাগ গাজী ও অভিষিক্ত একেএস স্বাধীন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রকাশিত হলো— কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহর নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’

প্রকাশিত হলো— কবি এ.কে.এম আব্দুল্লাহর নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’


যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি, ইমেইল বডিতে সময়ের অনুবাদ কবিতাগ্রন্থের সাফল্যের দুবছর পর প্রকাশিত হল কবি, গল্পকার এ কে এম আব্দুল্লাহর নিজস্ব ধারার নতুন কবিতার বই ‘শাজরাতকাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড’।  

বইটি ২০২২ এর মহান একুশের গ্রন্থমেলায় অনার্য প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এছাড়া রকমরারী-সহ বিভিন্ন লাইব্রেরিতেও পাওয়া যাবে। বইটি প্রকাশ করেছে অনার্য প্রকাশনী। 

উল্লেখ্য, কবি এ কে এম আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে কবিতায় তৈরী করেছেন তার এক নিজস্ব ধারা। যা পাঠকসমাজে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। আধুনিতায় ভরপুর প্রতিটি লাইন পাঠককে কৌতূহলী করার পাশাপাশি নিয়ে যায় এক ব্যাকুল ভাবনার রাজ্যে।নতুন এবং ভিন্ন স্বাদের তাঁর এ বইটিও পাঠক নন্দিত হবে বলেই প্রত্যাশা।
জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বৈঠক আজ

জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বৈঠক আজ


জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের পাঁচ দিনব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ জেনেভায় শুরু হতে যাচ্ছে। জেনেভায় গ্রুপের ১২৬তম বৈঠকে বিভিন্ন দেশের গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হবে। যেসব দেশের গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হবে সেসব দেশের সরকারের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হবে। তবে গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের পাঁচ সদস্যের গোপন বৈঠকে বাংলাদেশে গুমের ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। যদিও গ্রুপটির গত বৈঠকে বাংলাদেশের ৭৬টি গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। এসব ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের জবাব জানতে চাওয়া হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে খুব কম ঘটনার জবাব দেওয়া হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল হলো জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা। এর সদর দপ্তর জেনেভায়। গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিশ্বের খ্যাতিমান পাঁচ বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত। তারা কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতিনিধি হিসাবে নন; বরং স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিযুক্ত হন। গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ এ সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। গ্রুপটি কোনো দেশের কাছ থেকে সরকারিভাবে তথ্য সংগ্রহ করে না। বরং গ্রুপটি নিজস্ব সূত্রে বিভিন্ন দেশের গুমসংক্রান্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে। যেসব দেশে গুমের তথ্য পায়; সেসব দেশের সরকারের কাছে গ্রুপটি তথ্যগুলো পাঠিয়ে তার প্রতিকার আশা করে। পাশাপাশি, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ওই সব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ায় কমিটি এজেন্ডা প্রকাশ করে না। তবে আলোচনার পর গ্রুপের পর্যালোচনা প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এবারও বৈঠকের পর ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এরপর তা জানা যাবে। যেসব দেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে সেসব দেশের সরকারের কাছে মূল্যায়ন প্রতিবেদন শেয়ার করা হবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা জেনেভায় থাকেন না। বৈঠকে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা জেনেভায় হাজির হন। বছরে তিনবার বৈঠকে তারা মিলিত হন। গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশের ৭৬টি গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করা হয়।

ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো আলোচনা হলে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সেগুলো সংগ্রহ করে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ওয়ার্কিং গ্রুপের কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটির জবাব দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোনো ঘটনার বিষয়ে সরকারের জবাব থাকলে তা স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে ওয়ার্কিং গ্রুপের কাছে উপস্থাপন করা হয়। গ্রুপের প্রতিবেদনে কোনো ভুল তথ্য থাকলে তাও তুলে ধরা হয়। গত বছরে ওয়ার্কিং গ্রুপের উত্থাপিত ৭৬টি গুমের ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কয়েকটির ব্যাপারে জবাব দিয়েছে।

বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় র‌্যাব এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সদস্যও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। এসব ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিতর্কের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গুমের ঘটনার শিকার বলা হলেও অনেকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন। 
শোক-শ্রদ্ধায় পীর হাবিবকে শেষ বিদায় জানালো সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ

শোক-শ্রদ্ধায় পীর হাবিবকে শেষ বিদায় জানালো সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ


শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানকে। আজ রোববার রাত ১০ টায় সিলেটের চৌহাট্রাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিলেটের সর্বস্তরের মানুষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব,ইমজা,ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, সিলেটে সিটি কর্পোরেশন,সাংবাদিক ইউনিয়ন ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 
রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ ছড়াও বিভিন্ন দল, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এ সময় তাঁর কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় আয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ,মরহুমুরে ছোট ভাই পির মিসবাহ এমপি,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ,জেলা ছাত্রলীগের সভাপি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ,মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের লাশবাহী এম্বুলেন্স তার প্রিয় শহর সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বাদ জোহর জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং পরে নিজ গ্রাম মাইজবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের পর পীর হাবিবের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হয়। বেলা তিনটায় সাংবাদিক পীর হাবিবের কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। এরপর গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনির জটিলতায় পীর হাবিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।