Monday, 14 February 2022

নিজ কন্যা সন্তানকে বালিশ চাপায় হত্যা করেন গোলাপগঞ্জের নাজমিন

নিজ কন্যা সন্তানকে বালিশ চাপায় হত্যা করেন গোলাপগঞ্জের নাজমিন


নুসরাত জাহান সাবিহা। বয়স ছিলো মাত্র ১৭ মাস। কিন্তু সে জানতো না- বোধশক্তি হওয়ার আগেই নিজের মায়ের হাতে উড়ে যাবে তার প্রাণবায়ু। 

নিজের গর্ভে ধরা এই সন্তানকে নিজ হাতে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন পাষণ্ড নাজমিন জাহানকে (২৮)। পুরো তিন মিনিট সাহিবার মুখে বালিশচাপা দিয়ে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। পুলিশের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন নাজমিন। 

তথ্যটি সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। 
 
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নাজমিনকে আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তবে ৩ দিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের প্রথম দিন শুক্রবারই সব কিছু স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। যে কারণে আর বাকি দুইদিন রিমান্ড প্রয়োজন হয়নি। তাই শনিবার নাজমিনকে আদালতে প্রেরণ করলে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন ভূঁইয়া তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

সিলেটে নিজের শিশুসন্তানকে হত্যার দায়ে গ্রেফতারকৃত নাজমিন জাহানকে (২৮) ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁকে আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিন মঞ্জুর করেন সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন ভূঁইয়া। 

স্বামীর প্রতি ক্ষোভ ও নানা অভিযোগ ছিলো সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে নাজমিনের। স্বামীর কাছ থেকে ‘অযত্ন, অবহেলা আর অপবাদ’ পাওয়ার অভিযোগ তার। সে ক্ষোভ উগড়ে দেন নিজের ১৭ মাস বয়েসি শিশুসন্তান নুসরাত জাহান সাবিহার উপর। গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। । 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু নুসরাত জাহান সাবিহার বাবা সাব্বির আহমদ সিলেট দক্ষিণ সুরমার বলদি এলাকার বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী। সম্প্রতি সাব্বির দেশে ছুটিতে এসেছেন। কিন্তু সাব্বিরের সঙ্গে নাজমিনের বনিবনা না থাকায় তিনি (নাজমিন) শাহপরাণ এলাকার নিপোবন-৪৯ এ আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সঙ্গে তার ছোট বোন ও আগের স্বামীর ঘরের ১১ বছরের এক সন্তান থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে বুধবার বেলা ২টার দিকে ১৭ মাস বয়েসি শিশু সাবিহার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন নাজমিন। এসময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে নাজমিনের কবল থেকে তার বোন ও প্রতিবেশী এক মহিলা শিশুটিকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবিহাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এসময় হাসপাতাল থেকে নাজমিন পালাতে চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

থানায় আসার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাংবাদিকদের সামনে নিজের শিশুমেয়েকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন নাজমিন। এসময় তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মে মাসে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের ৬ মাস পর সাব্বির বিদেশে চলে যান। পরে তিনি শাহপরান এলাকার নিপোবন-৪৯ নং বাসায় থেকে সিলেটের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে থাকেন। 

নাজমিনের অভিযোগ, বিদেশের যাওয়ার পর থেকে স্বামী সাব্বির আর তার খোঁজ নেননি। ভরণ-পোষণও করেননি। বিদেশে থাকা অবস্থায় সাব্বির পরিচিতজনদের মাধ্যমে নাজমিনকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলতেন। এমন অবস্থায় চার বছর পর ২০২০ সালে দেশে আসেন সাব্বির। দেশে এসে নাজমিনকে বুঝিয়ে আবার সংসার শুরু করেন তিনি। তখন নাজমিন গর্ভবতী হন। তাকে গর্ভবতী রেখে সাব্বির আবারও কাতার চলে যান। তবে প্রবাসে যাওয়ার পরপরই গর্ভের সন্তান নিজের নয় বলে দাবি করেন সাব্বির। 

নাজমিন বলেন, আমি তখন ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলি। কিন্তু এরপরও সাব্বির আমার বিরুদ্ধে পরিচিত সকলের কাছে কুৎসা রটাতে থাকে এবং আমাকে অপবাদ দিতে থাকে। তবে জন্মের পর মেয়ের চেহেরা অবিকল তার বাবার মতো হওয়ায় মানুষের প্রশ্ন থেকে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। 

নাজমিন আরও বলেন, সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। চার-পাঁচ দিন পর পর শুধু কয়েক মিনিটের জন্য মেয়েকে দেখতে যান। কিন্তু আমি স্ত্রী হিসেবে তাকে কাছে পাইনি। 

স্বামীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে নাজমিন বলেন, ও পরকীয়া করে না। বহু নারীর কাছে যায়। একজনের সঙ্গে পরকীয়া করলে হয়তো তাকে ফেরাতে পারতাম। 
 
কিন্তু সবকিছুর পরে নিজের সন্তানকে হত্যা করলেন কেন? সে তো নির্দোষ ছিলো? পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার তো সব শেষ। আমার জীবনকে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে সাব্বির। নিজের সন্তানকে- আমাকে সময় দেয় না। আমাকে জিন্দা লাশ করে ফেলছে সে। তাই আমার মাথা কাজ করেনি। তার প্রতি ক্ষোভে-কষ্টে মেয়েকে বালিশচাপা দেই। আমি ইমোশন থেকে আমার বাচ্চাটাকে মারছি। কিন্তু বালিশাচাপা দেওয়ার পর আমার আবেগ জেগে ওঠে। আমি আমার মেয়েকে মারার পর তাকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরি এবং অনেক্ষণ কান্না করি। এসময় আমার বাচ্চার হৃদস্পন্দন আমি বুঝতে পারি। ওইসময় বাড়িওয়ালি এসে আমার কাছ থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে নেন। এর পরপরই আমার মেয়ে হড়হড়িয়ে বমি করে। পরে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহমদ বুধবার রাতে বাদি হয়ে নাজমিনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান সিলেটভিউ-কে বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেননি নাজমিন। যে কারণে তাঁকে ৫ দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে প্রথম দিনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। ফলে শনিবারই তাকে আবার আদালতে প্রেরণ করি এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সূত্র : সিলেট ভিউ  

Saturday, 12 February 2022

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটির সিলেট জেলা কমিটি গঠিত

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটির সিলেট জেলা কমিটি গঠিত


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটি'র (রেজি নং এস-৯০২৩) সিলেট জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে অ্যাডভোকেট মুজাক্কির হোসেনকে সভাপতি ও আবরার আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সিলেট জেলা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

শুক্রবার (১১ ফ্রেবুয়ারি) রাতে সংগঠনের ঢাকাস্থ (বাড়ি  ৯৭১/এ-১ রোড, ব্লক-১১ জি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ঢাকা ১২২৯) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব  মো. মনিরুল ইসলাম রিপন ও কেন্দ্রীয় সহ-নির্বাহী পরিচালক জুশেফ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এবং সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আতাউর  রহমান কাওছারের প্রস্তাবিত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমদ, সহ-সভাপতি হাজী মাসুক মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিপকলাল পুরকায়স্থ পলাশ, জেলা প্রশাসনিক সমন্বয়ক মো. ছানার আলী সানওয়ার, জেলা আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক মাইদুল ইসলাম সোহাগ, জেলা আইন মানবাধিকার সমন্বয়ক সালমান কাদের দিপু, জেলা অর্থনৈতিক সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম মাছুম, জেলা সহ-অর্থনৈতিক সমন্বয়ক জাবের সরদার, জেলা উন্নয়ন তথ্য সংগ্রহকারী জালাল উদ্দিন, জেলা পরিবেশ উন্নয়ন সমন্বয়ক হাফিজ আব্দুল হাকিম, জেলা শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়ক ফেরদাউস আলী, জেলা সমাজ কল্যাণ সমন্বয়ক আতহার আলি, জেলা জনস্বাস্থ্য সমন্বয়ক আব্দুল আজিজ, জেলা সিনিয়র তথ্য সংগ্রহকারী শাহজাহান গাজী, জেলা মানবাধিকার ট্রেইনার দেওয়ান জাকি, জেলা প্রকাশনা সমন্বয়ক জামিল রানা তালুকদার জাবেদ, জেলা প্রকল্প সমন্বয়ক ইকবাল আহমেদ, জেলা কার্যনির্বাহী সদস্য কামরান উজ্জামান ও জেলা সদস্য শামছুল ইসলাম।

উল্লেখ্য,  আন্তজার্তিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটি (গভঃরেজি নংঃ এস-৯০২৩) আইনের শাসন ও সর্বস্তরে শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নিবেদিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক মানবাধিকার বিষয়ক এবং নির্যাতন দুর্নীতি বিরোধী আন্তঃমহাদেশীয় ও এশিয়ার বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ (Bill of Rights) এর উপর ভিত্তি করে ২০০৯ইং সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত জয়েন্ট স্টক অব কোম্পানিজ এন্ড ফার্ম এর অধীনে রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত হয়।

অহিংসার প্রতিপাদ্যে বিশ্বাসী, সংস্থার  সারাদেশে প্রতিটি জেলা শাখা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসভা শাখায় রয়েছেন হাজারো সদস্য। যারা প্রতিনিয়ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। দেশের বরেণ্য তথা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, আইনবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিশিষ্ট সমাজ সেবীগণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী সোসাইটির সদর দপ্তর ও শাখাগুলোতে সদস্য/সদস্যা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। 

সারা দেশের প্রতিটি শাখা তথা শাখার সদস্য/সদস্যারা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে সমাজের অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে তথা আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সোসাইটির  প্রতিটি শাখা নিজ নিজ ক্ষেত্রে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণকল্পে অসহায় নারী-পুরুষদের বিনামূল্যে আইনগত সাহায্যের লক্ষ্যে সালীশির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান, প্রশাসনের মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘন রোধ, বিভিন্ন মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তদন্ত ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ, মানবাধিকার ম্যাগাজিন নিয়মিত প্রকাশ, নির্যাতিতদের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে অধিকারহীন নারী-পুরুষের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থা করা, মানবাধিকার বিষয়ে সচেনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা, মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন পুস্তিকা লিফলেট ও পোস্টার প্রকাশনা, সকল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা, আত্মনির্ভরশীল প্রকল্প চালু করা এবং দুর্যোগকালীন সময়ে দূর্গতদের পাশে এগিয়ে আসা-সহ বহুমুখী কর্মসূচি অব্যাহত ভাবে পালন করে চলেছে।
আলোচনা ফলপ্রসু, জানালেন শাবির আন্দোলনকারীরা

আলোচনা ফলপ্রসু, জানালেন শাবির আন্দোলনকারীরা


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে প্রেসব্রিফিংয়ে তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আন্দোলন চলবে কি না, সে ব্যাপারে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শনিবার বিকেল ৪টায় আবারও প্রেসব্রিফিং করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

শাবির ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় এক মাস ধরে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে শুক্রবার সকালে সিলেট এসে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ জন প্রতিনিধি সাথে। ব্ঠৈকে শাবি ভিসির পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীদের ৭দফা দাবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভালো আলোচনা হয়েছে। তাদের সব দাবি পূরণযোগ্য কেবল ভিসির পদত্যাগের বিষয়টি ছাড়া। সেটির এখতিয়ার কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের।

রাত ৯টায় শিক্ষার্থীদের প্রেসব্রিফিংয়েও তারা একই কথা বলেছেন। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আর শিক্ষামন্ত্রী আচার্যকে ভিসির ব্যাপারে তাদের অসন্তোষের কথা জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

তবে আন্দোলন চলবে না স্থগিত থাকবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে হিমসিম খেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে তারা বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, আপাতত শনিবার বিকেল ৪টায় প্রেসব্রিফিংয়ের আগ পর্যন্ত তারা কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকছেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে তারা জানিয়ে দিবেন, শনিবারের পর থেকে তারা আন্দোলনে থাকবেন কি থাকবেন না।

 
শাবি ভিসিকে দুঃখ প্রকাশের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর

শাবি ভিসিকে দুঃখ প্রকাশের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা কারো জন্য কাম্য নয়। এজন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সব মহলের কাছে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কোন সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত তাকে তার দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছেন তিনি।  

আজ শুক্রবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি ) রাত ৮টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বৈঠক শেষে শাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে আসে।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। বৈঠক শেষে ৭টা ৩৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী, ভিসিসহ প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাস ছাড়েন। 

এর আগে বিকালে সিলেট সার্কিট হাউসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণে শিক্ষার্থীদের দাবি রাষ্ট্রপতির কাছে জানানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতিই উপাচার্যের নিয়োগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত দেন। এ কারণে শাবি উপাচার্যের অপসারণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সব বক্তব্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমি তুলে ধরব।

Tuesday, 8 February 2022

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখক মুসল্লী অংশ নেন। 

জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

এর আগে, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।

Monday, 7 February 2022

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার



প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী এবং হাজার হাজার ছাত্র রেখে গেছেন।

মরহুমের জানাযা মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রখ্যাত আলেমের ইন্তেকালে জকিগঞ্জ তথা সিলেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।
প্রখ্যাত আলেম আল্লামা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রখ্যাত আলেম আল্লামা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল


প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

মরহুমের জামাতা মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী এই তথ্য জানিয়েছেন।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।