Sunday, 20 February 2022

২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ থাকছে না

২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ থাকছে না


আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার বিধিনিষেধ আর থাকছে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। 

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১ কোটি করোনা টীকা দেয়া হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াই স্থায়ী ঠিকানা লিখে নিয়ে গিয়েই টীকা দেয়া যাবে।  ২২ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনও করোনা বাধা নিষেধ থাকবে না। তবে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক থাকবে।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চ থেকে।

এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ‘বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন’ হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম এ তথ্য দিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিনের একটা ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা দেওয়ার। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আমরা বুস্টার ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। কাজেই আর বিলম্ব না করে আপনারা সবাই টিকা নিয়ে নিন।

উল্লেখ্য, করোনার ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় এবারের বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বাধ্যতামূলক হচ্ছে জয় বাংলা স্লোগান

বাধ্যতামূলক হচ্ছে জয় বাংলা স্লোগান


'জয় বাংলা'কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  এ বিষয়ে সার্কুলার দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাধ্যতামূলকভাবে সকলে এই স্লোগান ব্যবহার করবে।

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
 
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সকল সাংবিধানিক পদ, সরকারি, বেসরকারি অফিসে কর্মরতদের বক্তব্যে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে। 

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি, সভা সেমিনারে, সমাবেশে জয় বাংলা স্লোগান ব্যবহার করতে হবে। দু'একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 
দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘুমন্ত বাংলাদেশিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘুমন্ত বাংলাদেশিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা


প্রবাস ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকার ঘুমন্ত বাংলাদেশি এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হত্যাকারী আফ্রিকান কর্মচারী তার বাসা ও দোকানে থাকা টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার হামাস্ক্রাল শহরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ হাসান (৩৩)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য জিরতলী গ্রামে মৃত আমিন উল্যা দরবেশের ছেলে।

এদিকে সাত বছর আগে আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন হাসানের বড় ভাই টিপু।

জিরতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লালু এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ বছর আগে আফ্রিকায় যান মোহাম্মদ হাসান। আফ্রিকায় তার ছোট ভাই হেলালও থাকেন। আফ্রিকায় যাওয়ার পর ভাইদের সহযোগিতায় প্রিটোরিয়ার হামাস্ক্রাল শহরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য ওই আফ্রিকান এক যুবককে কর্মচারী হিসেবে কাজ দেন হাসান।
দীর্ঘদিন পর বাড়ি আসবেন, তাই টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিজের বাসায় রাখেন হাসান। শুক্রবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে খাওয়ার পর আফ্রিকান কর্মচারীসহ ঘুমিয়ে পড়েন হাসান। রাতের কোনো একসময় আফ্রিকান ওই কর্মচারী ঘুমের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাসানের ওপর হামলা চালিয়ে টাকা ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

হাসানের চিৎকারে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাড়ি পৌঁছলে বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। 
যে কারণে যেভাবে হত্যার পর ছয় টুকরা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রীকে!

যে কারণে যেভাবে হত্যার পর ছয় টুকরা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রীকে!


কেন, কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জোসনাকে- সেই তথ্য বের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একটি ফার্মেসি থেকে জোসনার ছয় টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানাল সিআইডি।

এ ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ, তার বন্ধু অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত চন্দ্র গোপকে।

শনিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেন সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকার ব্যারিস্টার আবদুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান থেকে শাহনাজ পারভীন জোসনার ছয় টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জোসনা জগন্নাথপুর থানার নারকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরুক মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

সিআইডি জানায়, শাহনাজ জোসনা ২০১৩ সাল থেকে জগন্নাথপুর পৌর শহরে নিজের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও ভাই-বোনদেরকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে মুক্তাধর জানান, ওষুধপত্র কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে জোসনার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোসনা কিছুদিন ধরে গোপন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোসনার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যান। তখন জোসনা তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে দোকানে যেতে বলেন। ওই দিন বিকালে জোসনা জিতেশের দোকানে গেলে তাকে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

মুক্তাধর আরও জানান, অনেক রাত হলে বাসায় যাওয়ার জন্য জোসনার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে তাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ। এতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন জোসনা। তখন জিতেশ, তার দুই বন্ধু অনজিৎ এবং অসীত গোপ তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। জিতেশ তার ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষে জোসনাকে বসিয়ে রাখেন। সেখানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখে ফার্মেসির তালা বন্ধ করে বাইরে চলে যান জিতেশ।

এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন জিতেশ ও তার দুই বন্ধু ফার্মেসি খুলে এনার্জি ড্রিংকস পান করে ধর্ষণ করেন।

বিষয়টি শাহনাজ তার পরিবারকে জানিয়ে দেবেন বললে জিতেশ ও তার বন্ধুরা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ওই ফার্মেসিতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে লাশটি দুই হাত, দুই পা এবং বুক পেটসহ ছয়টি টুকরা করেন। এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টুন দিয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে ফার্মেসিতে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে খণ্ডিত লাশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, এ ঘটনার পর সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামি গ্রেফতারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিতেশকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় অনজিৎ এবং অসীত গোপকে।

গ্রেফতার জিতেশ চন্দ্র গোপ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার শহিলা গ্রামের যাদব চন্দ্র গোপের ছেলে, অনজিৎ চন্দ্র গোপ একই এলাকার রসময় চন্দ্র গোপের ছেলে ও অসীত চন্দ্র গোপ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সুয়াইর অলিপুর গ্রামের পতিত পবন গোপের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিআইডির বিশেষ সহকারী পুলিশ সুপার রাকিবুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শাহজাহান খান। 
আসেন খেলি, আমি খেলতে চাই: শামীম ওসমান

আসেন খেলি, আমি খেলতে চাই: শামীম ওসমান


নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, চারিদিকে গন্ধ পাচ্ছি। আগে থেকেই আমি গন্ধ পাই এবং যা বলি তা হয়। জানি গতকাল গাজীপুরে কোথায় মিটিং হয়েছে। জানি নারায়ণগঞ্জে কোথায় মিটিং হয়েছে। এই নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলীর বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আপনারা যদি খেলতে চান। আসেন খেলি, আমি খেলতে চাই। কারণ আমরা খেলতে খেলতে এ জায়গায় এসেছি।

তিনি বলেন, আমার বিয়ের আগের দিন মা বলল বাসা থেকে বের হবে না। এমন সময় শুনলাম নেত্রীর ওপর গুলি হয়েছে। বসে থাকতে পারিনি। যা ছিল সেটা নিয়েই বের হলাম। পুলিশ চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পরে আমি বললাম আজকে অ্যারেস্ট কইরেন না। কালকে আমার বিয়ে। পরে আমাকে ছেড়ে দেন। বাচ্চা জন্মের সময় জেলে ছিলাম। আমাদের জন্মের সময় আমার বাবা জেলে ছিলেন। তাই আমাদের নিয়ে খেলতে আইসেন না।

শনিবার বিকালে শহরের কালিরবাজারে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তিনটি কারণে আমি টার্গেট হয়েছিলাম। নারায়ণগঞ্জে একটা নিষিদ্ধ পল্লি ছিল। সেখানে ইজ্জত বিক্রি হতো। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ তখন পেত ৪৫ টাকা। ৫০টা মদের দোকান ছিল। ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিল। আমি কাবা শরিফ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি আপাকে বললাম আমি এই শপথ করেছি। তিনি বললেন- তুমি করো। আমি বললাম বাধা আসবে, তিনি বললেন বাধা আসবেই। তখন সবাই মিলে সাড়ে তিন কোটি টাকা দিল। আমার বড়ভাই সেলিম ওসমান দিলেন দেড় কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে তাদের পুনর্বাসিত করেছি। পতিতালয় উচ্ছেদ করা, গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ করা এবং যে রাতে ক্যু হবার কথা ছিল সেটি রুখতে সেদিন নির্দেশিত হয়ে লংমার্চ ঠেকিয়েছিলাম। এই তিনটি কারণে আমি টার্গেট হয়েছি। তারা নেই কিন্তু তাদের তাবেদাররা এখনো আমাকে টার্গেট করছে।

শামীম ওসমান বলেন, চাষাঢ়ার হলটির নাম জিয়া হল ছিল না। সেটা টাউন হল ছিল। আমি সেটাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করেছিলাম। পরবর্তীকালে এসে আবার দেখলাম সেটা জিয়া হল। কারো নাম নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। এটা জেলা প্রশাসকের প্রপার্টি। এখানে কমিটি নেই, যারা ছিলেন মারা গেছেন। আমি চেয়েছিলাম এটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস হবে। তারা সবকিছু এখানে পাবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছোট বাচ্চারা যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- একটা মানুষ কাজ করলেই প্রশান্তি হয় না। এখানে জেলা প্রশাসন আছেন। তাদের ছাড়া আমি পারব না। সত্য লেখা দায়িত্ব সাংবাদিকদের। জনগণের ভোটে পাশ করেছি তাই কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ কাজ আমাদের হাত দিয়ে এসেছে। তোলারাম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য পদত্যাগ করেছিলাম। ডিএনডির জন্য সংসদে মন্ত্রীকে বলেছিলাম আমি পদত্যাগ করব না হয় আপনি পদত্যাগ করবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু জিনিস চেয়েছিলাম। তখন বলল তুমি কী চাও। আমি বললাম ডিএনডি, লিংক রোডসহ কয়েকটি প্রজেক্ট চেয়েছি এবং তিনি দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন এটুকুই তোমার চাওয়া। এতে তোমার লাভ কী। তখন বললাম মৃত্যুর পরে যেন মানুষ আমার জন্য কাঁদে। 

Saturday, 19 February 2022

বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা

বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা

গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের পুড়ে যাওয়া সেই বসতঘর পরিদর্শন করেছেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি খাদ্য সামগ্রী ও শীত নিবারণী কম্বল নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান।

এসময় পরিবারগুলোর সাথে তিনি কথা বলেন এবং স্বচক্ষে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বসতঘর ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান।

ঘরের ভিতর পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ

পরিদর্শন শেষে নাজিরা বেগম শিলা বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো উপজেলা পরিষদ এবং সরকারের বিশেষ তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতিও আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলিম উদ্দিন বাবলু, বানিগাজী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর নুর, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ লিটন, কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক সালমান কাদের দিপু, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তাহের আহমদ প্রমুখ।

ঘরের ভিতর পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ

উল্লেখ্য, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বানিগাজী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথ ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দু'টি বসতঘরের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


এদিকে, দুর্ঘটনার সময় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ে গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিম দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে ফায়ার সার্ভিস টিম আসার পূর্বেই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ মুহুর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহত্তর চন্দরপুর এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এসময় শতশত মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকল বাহিনী এসেই পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিমের লিডার মোঃ লিয়াকত আলী জানান বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এলাকাসীর সহযোগিতায় দীর্ঘসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও জানান তিনি।
গোলাপগঞ্জে নিহত তারিকের দাফন সম্পন্ন

গোলাপগঞ্জে নিহত তারিকের দাফন সম্পন্ন


গোলাপগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তারিক আহমদকে ( ২৬) দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা না হলেও এর প্রস্তুতি চলছে বলে নির্ভরযোগ্য পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলি নয়াগ্রাম এলাকার মৃত তখলিছ আলীর ছেলে তারিক আহমদ ( ২৬)। শুক্রবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকালে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরপাড়া রাঙাবিছরা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হন তারিকসহ আরও দু’জন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারিককে মৃত ঘোষণা করেন। 
 
তাল লাশ ময়না তদন্ত শেষে আজ শনিবার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্তানে তারিককে দাফন করা হয়।

কয়েকশ’ মানুষ তারিকের জানাজায় উপস্থিত হন এবং অনেকেই তার জীবনের নানা দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। 

এদিকে তারিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। দাফন শেষ হয়েছে। আজই মামলা দায়েরের ইঙ্গিত দিয়েছে সূত্রটি। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, তারিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। তিনি একজন ক্রীড়া মনস্ক মানুষ ছিলেন। বিশেষ করে স্থানীয় তরুণ সমাজ এ ব্যাপারে গভীর শোকাহত। তারা শুক্রবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। আগামীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রণকেলি নয়াগ্রামের তছন আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান (২০) ও পারভেজ আহমদ (২১)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো তাদের অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।