Wednesday, 23 February 2022

বিয়ানীবাজারের জামায়াত সমর্থিত দুই ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

বিয়ানীবাজারের জামায়াত সমর্থিত দুই ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে


বিয়ানীবাজার উপজেলার জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোওয়ার হোসেন এবং মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে সিলেটের কোতোয়ালী থানায় ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখের দায়েরকৃত মামলায় হাজিরা দিতে এলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।

এছাড়া, একই মামলায় গোলাপগঞ্জের ১০নং উত্তর বাদেপাশা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জাহিদ হোসাইনকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

তারা সকলেই ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করে সম্প্রতি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।

বাদেপাশা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদ হোসাইন কারাগারে

বাদেপাশা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদ হোসাইন কারাগারে



গোলাপগঞ্জের ১০নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক জাহিদ হোসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করে সম্প্রতি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।

জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে সিলেটের কোতোয়ালী থানায় ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখের দায়েরকৃত মামলায় হাজিরা দিতে এলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া, একই মামলায় বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোওয়ার হোসেন এবং মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফরিদ আহমদকেও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিজাম উদ্দিন।

১০ জনের নাম চূড়ান্ত করল সার্চ কমিটি

১০ জনের নাম চূড়ান্ত করল সার্চ কমিটি


নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ১০ ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। রাত সোয়া ৮টায় এ বৈঠক শেষ হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এই ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির বাকি পাঁচ সদস্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন অংশ নেন।

ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে দেশের সব রাজনৈতিক দল। ব্যক্তি এবং পেশাজীবীদের মধ্যেও এ নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রোববারের বৈঠকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ২০ জনের যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনার পর ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। ওই ১০ জনের বিষয়ে যে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়াতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ১০ জনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। এই ১০ জনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে আটজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই তালিকা থেকেই একজনকে সিইসি এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এই ইসির অধীনেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।

সূত্র আরও জানায়, সিইসি পদে এবার বিচার বিভাগের কারও না আসার সম্ভাবনাই বেশি। কয়েকজন সাবেক সচিব ও একটি বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে সিইসি পদে আলোচনায় রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার পদে অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিচারক, নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ থাকতে পারেন। তালিকা চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত কিনা, সে বিষয়েও তাদের মতামত নেওয়া হবে।

এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে সার্চ কমিটির শনিবারের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র মত থাকলেও অধিকাংশ মনে করেন, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের (সার্চ কমিটি) তালিকা পাঠাতে হবে। এই তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের প্রয়োজন হলে সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রয়োজন হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সেটি করবে।

তবে রাষ্ট্রপতির কাছে তালিকা পাঠানোর আগে তা জনসমক্ষে প্রকাশের জন্য দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনসহ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন। তাদের দাবি, তালিকা প্রকাশ হলে সাধারণ মানুষ সার্চ কমিটির তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা সুযোগ পাবে। নিয়োগের পর এ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ থাকবে না। 
বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘর পরিদর্শনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ও সিলেট জেলা পুলিশ

বানিগাজীতে পুড়ে যাওয়া বসতঘর পরিদর্শনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ও সিলেট জেলা পুলিশ



গোলাপগঞ্জের বানিগাজীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া সেই বসতঘর পরিদর্শন করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানা এবং সিলেট জেলা পুলিশের মোবিলাইজেশন কন্টিনজেন্ট এর অফিসার ফোর্স। মঙ্গলবার রাত ১১টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এসআই মোফাখখারুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেন।

এসময় অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ঘর পরিদর্শন করে এসআই মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। ঘরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি ঘরের স্বত্বাধিকারীদের সাথে কথা বলে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বানিগাজী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল ফয়েজ মাস্টার এবং বুধবারীবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের যৌথ ঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যৌথঘরের ৬টি রুমই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের ব্যাপকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল মুহিতের বসতঘরেও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া বসতঘরের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ করে এমন দুর্ঘটনায় একমাত্র বসতভিটা হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন ফয়েজ মাস্টার এবং আব্দুল হামিদের পরিবার। তারা সরকারের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া হঠাৎ করে নিঃস্ব হওয়া পরিবার দুটিকে সরকারী-বেসরকারি পর্যায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন বলেও মনে করেন সমাজের সচেতন মহল।
গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত

গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত

প্রতীকী ছবি

গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মটরসাইকেল আরোহী যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।  

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের ঢাকাদক্ষিণ-গোলাপগঞ্জ সড়কে এ ঘটনাটি। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে এই তিন যুবকের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদের সামনের ঢাকাদক্ষিণ-গোলাপগঞ্জ সড়কে নতুন কালভার্ট নির্মাণে পুরনো কালভার্ট ভেঙ্গে একটি বড় গর্ত খুড়া হয়েছে। যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তার সাইটে একটি রাস্তা মাটি ভরাট করে তৈরী করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোলাপগঞ্জ থেকে আসা একটি দ্রুত গতির মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে হারিয়ে এই গর্তের মধ্যেই পড়ে যায়। এতে মটরসাইকেলে থাকা ৩ জন আরোহী গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রেরণ করা হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 
 
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুয়েল আহমদ নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী। তিনি জানান, মটরসাইকেলের যে যুবক চালাচ্ছিল তার অবস্থা বেশি আশংকাজনক। 


সূত্রঃ জিভয়েস২৪
 কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে পথশিশুর পা বিচ্ছিন্ন

কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে পথশিশুর পা বিচ্ছিন্ন

কুলাউড়া রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে ডান পা হারিয়েছে ১০ বছরের এক পথশিশু। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুটি স্টেশন এলাকায় থাকে। তাৎক্ষণিক তার নাম জানা যায়নি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুলাউড়া রেলস্টেশনে ঢুকছিল। এ সময় রেললাইনে রাখা একটি বোতল কুড়াতে যায় ওই পথশিশুটি। স্টেশনে ট্রেন ঢুকায় লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি করে বাধা দিলেও বোতলটি কুড়াতে গিয়ে পথশিশুটির ডান পা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যায়। 

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সিলেট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

Monday, 21 February 2022

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

তবে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে এ বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০ নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ গ্রহণ করেছে সে সকল শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।

৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন-ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।

৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ-প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ-প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ-প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।

৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।

৯.প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা।

১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।

১১. প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।

১২. প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।

১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ-অবস্থান-প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।

১৪. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।

১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।

১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা।

১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা।

২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গত, করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়।