Friday, 25 February 2022

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিউলী বেগমের স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন। তাদের ২ কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলেও জানান তারা। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে পরিবারের লোকজন জানান, ইকবাল হোসেন গতকাল(বৃহস্পতিবার) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। 

শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন।

বিস্তারিত আসছে....

বিস্তারিত পড়ুনঃ 

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

Thursday, 24 February 2022

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা


ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের মোঃ সহির উদ্দিনের পুত্র সুলতান আহমদ খালেদ(২৬)। বর্তমানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ করে সুলতান আহমদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় আছিরগঞ্জ বাজারে ডাক্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার হাত-পা অবশ হয়ে আসলে পরিবারের লোকজন তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে পরীক্ষায় তার জিবিএস ভাইরাস ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার নিবিড় চিকিৎসা চলছে।

সুলতান আহমদ খালেদ পরিবারের একমাত্র পুত্র। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সুলতান আহমদ মেঝো সন্তান। সে বর্তমানে আছিরগঞ্জ বাজারের সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী। পরিবারের একমাত্র পুত্রের দ্রুত সুস্থতার জন্য তার পিতা সহির উদ্দিন সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

জিবিএস একটি বিরল নিউরোলজিক্যাল রোগ যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভুলভাবে তার পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের অংশ, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুর নানা অংশকে আক্রমণ করে।

জিবিএস (গুলেন ব্যারি সিনড্রোম) একদিকে যেমন সংক্ষিপ্ত/সংক্ষিপ্ত দুর্বলতাসহ প্রায় খুব খারাপ পক্ষাঘাতের মত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যাতে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ১০% রোগী জিবিএসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অপর ৯০% রোগীই সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেন। সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত রোগী, জিবিএসের সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা থেকেও পরিত্রান পান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আজীবন পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াতে হয়।

ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী ও পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু  বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী ও পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন


বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ সিলেট এর সাবেক সহ-সভাপতি, লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল মালিকের ৩য় গ্রন্থ “ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী ও পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের নজরুল একাডেমিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ সিলেট এর আহ্বায়ক, সিসিক কাউন্সিলর কবি নাজনীন আক্তার কনার সভাপতিত্বে ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক, লন্ডন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক জিলু ও বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব কবি শহীদুল ইসলাম লিটনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুর রহমান চৌধুরী।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ল রির্ফম কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল বারী, লেখক-কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, ভাদেশ্বর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা জয়ন্তী রানী চক্রবর্তী, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছড়াকার তারেশ কান্তি তালুকদার, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জ্যোর্তিময় দাশ যিশু, সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী দেলোয়ার হোসেন জিলন, লন্ডন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা বিলাল আহমদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি শফিকুর রহমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও জনক। তিনি সারাজীবন নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর জীবনের একেবারে শুরুতে মাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী ও পরে মুসলিম লীগ ও মুসলিম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় যোগদান করেন। যেখানেই মুসলিম লীগ, মুসলিম ছাত্রলীগ, সেখানেই শেখ মুজিব। হিন্দু—মুসলিম দাঙ্গা দমনেও তিনি মহাত্মা গান্ধী, তাঁর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই অবদানের কথা তেমন আলোচনা হয় না। লেখক আব্দুল মালিক একজন গবেষকের অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে বইটি লিখেছেন, আমি তাকে সাধুবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। বইটি পাঠে পাঠকরা ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন বলেও জানিয়ে তিনি বইটির বহুল প্রচার কামনা করেন।

প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদান, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ বীর শহীদানের আত্মার মাগফেরাত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। 

প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক, উন্মোচিত বই ও বইয়ের লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁরাও বইটির বহুল প্রচার, লেখকের সাফল্য, ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদান ও ১৫ আগস্টের শহীদানদের রুহের মাগফেরাত ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করেন।

লেখক আব্দুল মালিক তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে সভায় উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান। 
রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা, নতুন ইসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন শিগগিরই

রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা, নতুন ইসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন শিগগিরই


নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। এখন এই ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপ্রধান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সার্চ কমিটির পাঁচজন সদস্য। এরপর তারা রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা তুলে দেন। তবে অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি নাম তুলে দেওয়ার পর রাতে বঙ্গভবনের সামনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সার্চ কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে নাম জমা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন। এখন রাষ্ট্রপতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্দেশনা দেবেন। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করে সার্চ কমিটি। সরাসরি ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্চ কমিটির কাছে প্রায় পাঁচশজনের নাম জমা পড়ে।

এসব নাম থেকে প্রথম দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি কমন নাম বাদ দিয়ে ৩২২ জনের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমেও বেশ কিছু নাম পায় সার্চ কমিটি। সেখানেও কিছু কমন নাম বাদ দিয়ে তালিকায় প্রস্তাবিত নামের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৯ জনে। এসব নাম থেকে একাধিক দফায় বৈঠক করে ২০ জনের নাম বাছাই হয়, দ্বিতীয় দফায় সেটা ১২-১৩ জনে আসে। 

গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ দশজনের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সার্চ কমিটি। 
নাগরিকদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের

নাগরিকদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ান বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে যারা প্রস্তুত সেসব নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা চায় তাদের সবাইকে অস্ত্র দেবে কিয়েভ।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্য রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হামলা।

জেলেনস্কি রাশিয়ানদেরও যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়ানোর এবং প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের সবাই, যারা তাদের বিবেক হারাননি, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এখনই সময়।

ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং রাশিয়ান আগ্রাসন থেকে এর আকাশসীমা রক্ষায় সাহায্য করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা এবং লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদার সঙ্গে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, আমরা পুতিন বিরোধী জোট গঠন শুরু করেছি। আমি ইতোমধ্যেই বিশ্বনেতাদের রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া ইউক্রেনকে বড় ধরনের প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে এবং আক্রমণকারীদের জন্য ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছি। একসঙ্গে আমাদেরকে অবশ্যই ইউক্রেনকে বাঁচাতে হবে, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বাঁচাতে হবে এবং আমরা তা করব।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উইক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে হামলার প্রথম ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, তারা '৫০ জন রাশিয়ান দখলদার সৈন্যকে' হত্যা করেছে। রাশিয়ার স্থল বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করার ঘণ্টাখানেক পর এ ঘোষণা আসে।

সূত্র: আলজাজিরা 
রাশিয়া-ইউক্রেন: পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহত ১০০

রাশিয়া-ইউক্রেন: পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহত ১০০


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উইক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে হামলার প্রথম ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সর্বশেষ ৫ তথ্য

ইউক্রেন বলছে, তারা '৫০ জন রাশিয়ান দখলদার সৈন্যকে' হত্যা করেছে। রাশিয়ার স্থল বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করার ঘণ্টাখানেক পর এ ঘোষণা আসে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টন গেরাশচেঙ্কো বলেন, সামরিক সদর দপ্তর, বিমানবন্দর, কিয়েভ, খারকভ এবং ডিনিপারের কাছে সামরিক অস্রাগারগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরের কাছেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

সূত্র: এনডিটিভি