Saturday, 26 February 2022

চন্দরপুরের সেই শিউলী বেগমের পরিবারে ছিলো কলহ: হয়েছিলো তালাক

চন্দরপুরের সেই শিউলী বেগমের পরিবারে ছিলো কলহ: হয়েছিলো তালাক


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের পরিবারে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাক পর্যন্ত হয়েছিলো বলে জানা গেছে। শিউলী বেগমের পরিবার এবং স্থানীয় একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিউলী বেগম চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তার পিতার বাড়িও একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় বেশ কিছুদিন শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়ি ফিরেন। স্বামীর বাড়িতে ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স


সামরিক জোট ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর ফ্রান্স এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি সেনাপ্রধান থিয়েরি বুরখার্ড। 

সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল ও ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরকে তিনি এ কথা বলেছেন।

ফরাসি সেনাপ্রধান থিয়েরি বুরখার্ড বলেন, ন্যাটো তার কৌশলগত সংহতির সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়। এ জন্যই রোমানিয়াতে সেনা উপস্থিতি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আমরা সেখানে ৫০০ সেনা পাঠাব। 

এ ছাড়া মার্চ মাসের পরও রুশ সীমান্তবর্তী দেশ অ্যাস্তোনিয়ায় ফ্রান্স তার সেনা উপস্থিতি বজায় রাখবে বলেও জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাল্টিক অঞ্চলে সাঁজোয়া যানসহ ২৫০ সেনা মোতায়েন বজায় রাখবে ফ্রান্স। 

গত কয়েক দিনের ইউক্রেন-রাশিয়ার উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে শুরু থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তার সব তৎপরতা ব্যর্থ করে দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ চলছে সেখানে। 

এদিকে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা এলাকায় ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ খবর পাওয়া গেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিয়েভ দখল করতে চারপাশ থেকে হামলা করেছে রাশিয়া। 
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি রাশিয়ার


রুশ সেনাবাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দখল করার পর এবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মালিতপোল দখল করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে ইউক্রেনের জাপোরিঝজা অঞ্চলের এ শহরটিতে রাশিয়ার সেনাদের প্রবেশের খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা টিএএসএস।

তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, শহরটিতে তাদের সেনাদের সঙ্গে রুশদের তুমুল লড়াই হচ্ছে। 

মালিতপোল মাঝারি আয়তনের একটি শহর। এর অবস্থান ইউক্রেইনীয় বন্দর শহর মারিওপোলের কাছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে মালিতপোল শহরের বিমান ঘাঁটি থেকে কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে ইউক্রেনের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি জানানো হল।

মালিতপোল শহরে আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার লোক বসাবাস করে। 
প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আফতার আলী স্যারের পরিবারকে আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে'র চেক হস্তান্তর

প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আফতার আলী স্যারের পরিবারকে আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে'র চেক হস্তান্তর


আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, জ্ঞান সাধক প্রয়াত আফতার আলী স্যারের পরিবারকে উপহারস্বরূপ ১০লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন স্যারের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গঠিত আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে।

শুক্রবার বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলগ্রামে আফতার আলী স্যারের নিজ বাড়িতে গিয়ে এ উপহার পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। এসময় শিক্ষাগুরু আফতার আলী স্যারের কবর জিয়ারত, মোনাজাত, পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করেন তারা।

আলোচনা সভা এবং চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক ও আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য জহির হোসেন গৌছ এবং মাটিজুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সহ-সভাপতি ও আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য আব্দুল কাইয়ুম হান্নান।

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আফতার আলী স্যারের নাতি মোঃ সৌরভ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক সালমান কাদের দিপু।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডাইরেক্টর নূর উদ্দিন, আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য ফারুক মিয়া, বারহালের হাজী সিদ্দিকুর রহমান শিক্ষা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন রনি, লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল মালিক, একতা ফোরাম জকিঞ্জের সহ-সভাপতি নুরুল হক চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নেওয়াজ, ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম।

এসময় বক্তাগণ প্রয়াত শিক্ষাগুরু আফতার আলী স্যারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, আফতার আলী হেডমাস্টার ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতিম জ্ঞান সাধক। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, শিক্ষাগুরু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, মহান পুরুষ এবং সর্বজনবিদিত একজন সফল শিক্ষক। তিনি ছিলেন নিজেই এক জ্ঞান ভাণ্ডারের উন্মুক্ত বই। আমরা তাঁর সান্নিধ্যে যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা আজও আমাদের জীবনে সফলভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

বক্তারা আরোও বলেন, আফতার আলী স্যার ছিলেন জ্ঞান বিলিয়ে দেয়ার এক নিপুণ কারিগর। স্যারের পরম স্নেহ আর শাসনভরা পরশে আজ অজস্র শিক্ষার্থী সফল ও প্রতিষ্ঠিত। তারা সকলেই প্রয়াত এ দীক্ষাগুরুর আত্মার শান্তি কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, আফতার আলী হেডমাস্টারের পরিবারকে আর্থিক উপহার দেয়ার লক্ষে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা মিলে গঠন করেন আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে। গ্রুপের সদস্য গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি আফছর হোসেন এনাম, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক জহির হোসেন গৌছ, সদস্য সচিব ফারুক মিয়া এবং বোর্ড মেম্বার ফজলুল হক ফজলু ও মকলু মিয়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের থেকে আফতার আলী স্যারের পরিবারের জন্য আর্থিক উপহার সংগ্রহে কাজ করেন। তাদের উদ্যোগে  জ্ঞান তাপসের হাতেগড়া শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাড়া দিয়ে মোট ১১লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা উপহার সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে পৃথক পৃথক সময় ১ লক্ষ টাকা স্যারের পরিবারে পৌছিয়ে দেয়া হলেও শুক্রবার এককালীন ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, আফছার হোসেন, নজরুল ইসলাম-সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এসময় আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের পক্ষ থেকে দেয়া ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক আফতার আলী স্যারের স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমের পক্ষে গ্রহণ করেন তাদের পুত্র মনসুর আলম ও জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, আফতার আলী স্যার ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি জ্ঞান-গরিমায় অনবদ্য স্বাক্ষর রেখে চন্দরপুর-সহ আশপাশের এলাকায় শিক্ষার বিস্তারে ব্যাপক কাজ করেছিলেন। তিনি ছিলেন এ অঞ্চলের শিক্ষা আর জ্ঞান বিস্তারের এক নিপুণ কারিগর। পরবর্তীতে জ্ঞান তাপস এ মহান শিক্ষক ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন।



Friday, 25 February 2022

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিউলী বেগমের স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন। তাদের ২ কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলেও জানান তারা। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে পরিবারের লোকজন জানান, ইকবাল হোসেন গতকাল(বৃহস্পতিবার) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চন্দরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। 

শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে থেকে শিউলী বেগম(২৫) নামের এ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন।

বিস্তারিত আসছে....

বিস্তারিত পড়ুনঃ 

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার

Thursday, 24 February 2022

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা

ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত চন্দরপুরের যুবক সুলতানঃ দোয়া কামনা


ভয়ংকর রোগ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর গ্রামের মোঃ সহির উদ্দিনের পুত্র সুলতান আহমদ খালেদ(২৬)। বর্তমানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ করে সুলতান আহমদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় আছিরগঞ্জ বাজারে ডাক্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার হাত-পা অবশ হয়ে আসলে পরিবারের লোকজন তাকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে পরীক্ষায় তার জিবিএস ভাইরাস ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার নিবিড় চিকিৎসা চলছে।

সুলতান আহমদ খালেদ পরিবারের একমাত্র পুত্র। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সুলতান আহমদ মেঝো সন্তান। সে বর্তমানে আছিরগঞ্জ বাজারের সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী। পরিবারের একমাত্র পুত্রের দ্রুত সুস্থতার জন্য তার পিতা সহির উদ্দিন সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

জিবিএস একটি বিরল নিউরোলজিক্যাল রোগ যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভুলভাবে তার পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের অংশ, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুর নানা অংশকে আক্রমণ করে।

জিবিএস (গুলেন ব্যারি সিনড্রোম) একদিকে যেমন সংক্ষিপ্ত/সংক্ষিপ্ত দুর্বলতাসহ প্রায় খুব খারাপ পক্ষাঘাতের মত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যাতে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ১০% রোগী জিবিএসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অপর ৯০% রোগীই সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেন। সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত রোগী, জিবিএসের সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা থেকেও পরিত্রান পান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আজীবন পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াতে হয়।