Saturday, 26 February 2022

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ সন্ধ্যায় লামা-চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে ময়না তদন্ত শেষে শিউলী বেগমের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার পিত্রালয়ে। তার পিতার বাড়ি একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শিউলী বেগম(২৫) চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছেন শিউলী বেগমের পরিবার। আর প্রত্যক্ষদর্শী-সহ এলাকাবাসী রয়েছেন রহস্যের বেড়াজালে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় প্রায় দুই মাস শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরেন। স্বামীর বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ইকবাল হোসেন বাড়িতে আসলে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় শিউলী বেগম ঘুমিয়ে আছেন মনে করে ইকবাল আবারও বাড়ির বাইরে চলে যান। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের ভেতর শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

তবে শিউলী বেগমের পরিবারের দাবী, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তারা।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
নির্বাচন কমিশনার হলেন যারা

নির্বাচন কমিশনার হলেন যারা


সার্চ কমিটির দেওয়া নামের তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেওয়ার তথ্য জানানো হয়।

নিয়োগপ্রাপ্ত চার কমিশনার হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রি. জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।

যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।

সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই ১০ জন থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলেন রাষ্ট্রপতি। 
সিইসি হলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল

সিইসি হলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল


কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।তাকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।

সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।

এর আগে বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্ম সচিব এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার। 

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। 

গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করে সার্চ কমিটি। সরাসরি ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্চ কমিটির কাছে প্রায় পাঁচশজনের নাম জমা পড়ে।

এসব নাম থেকে প্রথম দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি কমন নাম বাদ দিয়ে ৩২২ জনের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমেও বেশ কিছু নাম পায় সার্চ কমিটি। সেখানেও কিছু কমন নাম বাদ দিয়ে তালিকায় প্রস্তাবিত নামের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৯ জনে। এসব নাম থেকে একাধিক দফায় বৈঠক করে ২০ জনের নাম বাছাই হয়, দ্বিতীয় দফায় সেটা ১২-১৩ জনে আসে। গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ দশজনের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সার্চ কমিটি।

উল্লেখ্য, কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন সর্বশেষ বিদায়ী ইসির মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। 
চন্দরপুরের সেই শিউলী বেগমের পরিবারে ছিলো কলহ: হয়েছিলো তালাক

চন্দরপুরের সেই শিউলী বেগমের পরিবারে ছিলো কলহ: হয়েছিলো তালাক


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের পরিবারে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাক পর্যন্ত হয়েছিলো বলে জানা গেছে। শিউলী বেগমের পরিবার এবং স্থানীয় একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিউলী বেগম চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তার পিতার বাড়িও একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় বেশ কিছুদিন শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়ি ফিরেন। স্বামীর বাড়িতে ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স


সামরিক জোট ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর ফ্রান্স এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি সেনাপ্রধান থিয়েরি বুরখার্ড। 

সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল ও ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরকে তিনি এ কথা বলেছেন।

ফরাসি সেনাপ্রধান থিয়েরি বুরখার্ড বলেন, ন্যাটো তার কৌশলগত সংহতির সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়। এ জন্যই রোমানিয়াতে সেনা উপস্থিতি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আমরা সেখানে ৫০০ সেনা পাঠাব। 

এ ছাড়া মার্চ মাসের পরও রুশ সীমান্তবর্তী দেশ অ্যাস্তোনিয়ায় ফ্রান্স তার সেনা উপস্থিতি বজায় রাখবে বলেও জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাল্টিক অঞ্চলে সাঁজোয়া যানসহ ২৫০ সেনা মোতায়েন বজায় রাখবে ফ্রান্স। 

গত কয়েক দিনের ইউক্রেন-রাশিয়ার উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে শুরু থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তার সব তৎপরতা ব্যর্থ করে দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ চলছে সেখানে। 

এদিকে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা এলাকায় ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ খবর পাওয়া গেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিয়েভ দখল করতে চারপাশ থেকে হামলা করেছে রাশিয়া। 
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি রাশিয়ার


রুশ সেনাবাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দখল করার পর এবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মালিতপোল দখল করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে ইউক্রেনের জাপোরিঝজা অঞ্চলের এ শহরটিতে রাশিয়ার সেনাদের প্রবেশের খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা টিএএসএস।

তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, শহরটিতে তাদের সেনাদের সঙ্গে রুশদের তুমুল লড়াই হচ্ছে। 

মালিতপোল মাঝারি আয়তনের একটি শহর। এর অবস্থান ইউক্রেইনীয় বন্দর শহর মারিওপোলের কাছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে মালিতপোল শহরের বিমান ঘাঁটি থেকে কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে ইউক্রেনের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি জানানো হল।

মালিতপোল শহরে আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার লোক বসাবাস করে। 
প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আফতার আলী স্যারের পরিবারকে আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে'র চেক হস্তান্তর

প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আফতার আলী স্যারের পরিবারকে আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে'র চেক হস্তান্তর


আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, জ্ঞান সাধক প্রয়াত আফতার আলী স্যারের পরিবারকে উপহারস্বরূপ ১০লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন স্যারের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গঠিত আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে।

শুক্রবার বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলগ্রামে আফতার আলী স্যারের নিজ বাড়িতে গিয়ে এ উপহার পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। এসময় শিক্ষাগুরু আফতার আলী স্যারের কবর জিয়ারত, মোনাজাত, পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করেন তারা।

আলোচনা সভা এবং চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক ও আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য জহির হোসেন গৌছ এবং মাটিজুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সহ-সভাপতি ও আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য আব্দুল কাইয়ুম হান্নান।

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আফতার আলী স্যারের নাতি মোঃ সৌরভ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুশিয়ারা নিউজ ডটকমের সম্পাদক সালমান কাদের দিপু।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডাইরেক্টর নূর উদ্দিন, আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের অন্যতম সদস্য ফারুক মিয়া, বারহালের হাজী সিদ্দিকুর রহমান শিক্ষা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন রনি, লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল মালিক, একতা ফোরাম জকিঞ্জের সহ-সভাপতি নুরুল হক চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নেওয়াজ, ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম।

এসময় বক্তাগণ প্রয়াত শিক্ষাগুরু আফতার আলী স্যারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, আফতার আলী হেডমাস্টার ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতিম জ্ঞান সাধক। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, শিক্ষাগুরু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, মহান পুরুষ এবং সর্বজনবিদিত একজন সফল শিক্ষক। তিনি ছিলেন নিজেই এক জ্ঞান ভাণ্ডারের উন্মুক্ত বই। আমরা তাঁর সান্নিধ্যে যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা আজও আমাদের জীবনে সফলভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

বক্তারা আরোও বলেন, আফতার আলী স্যার ছিলেন জ্ঞান বিলিয়ে দেয়ার এক নিপুণ কারিগর। স্যারের পরম স্নেহ আর শাসনভরা পরশে আজ অজস্র শিক্ষার্থী সফল ও প্রতিষ্ঠিত। তারা সকলেই প্রয়াত এ দীক্ষাগুরুর আত্মার শান্তি কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, আফতার আলী হেডমাস্টারের পরিবারকে আর্থিক উপহার দেয়ার লক্ষে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা মিলে গঠন করেন আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকে। গ্রুপের সদস্য গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি আফছর হোসেন এনাম, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক জহির হোসেন গৌছ, সদস্য সচিব ফারুক মিয়া এবং বোর্ড মেম্বার ফজলুল হক ফজলু ও মকলু মিয়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের থেকে আফতার আলী স্যারের পরিবারের জন্য আর্থিক উপহার সংগ্রহে কাজ করেন। তাদের উদ্যোগে  জ্ঞান তাপসের হাতেগড়া শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাড়া দিয়ে মোট ১১লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা উপহার সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে পৃথক পৃথক সময় ১ লক্ষ টাকা স্যারের পরিবারে পৌছিয়ে দেয়া হলেও শুক্রবার এককালীন ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, আফছার হোসেন, নজরুল ইসলাম-সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এসময় আল-এমদাদ গ্রুপ ইউকের পক্ষ থেকে দেয়া ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক আফতার আলী স্যারের স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমের পক্ষে গ্রহণ করেন তাদের পুত্র মনসুর আলম ও জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, আফতার আলী স্যার ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি জ্ঞান-গরিমায় অনবদ্য স্বাক্ষর রেখে চন্দরপুর-সহ আশপাশের এলাকায় শিক্ষার বিস্তারে ব্যাপক কাজ করেছিলেন। তিনি ছিলেন এ অঞ্চলের শিক্ষা আর জ্ঞান বিস্তারের এক নিপুণ কারিগর। পরবর্তীতে জ্ঞান তাপস এ মহান শিক্ষক ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন।