Saturday, 5 March 2022

গোলাপগঞ্জে দুই দিনব্যাপী ধারাবহর সিক্সসাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

গোলাপগঞ্জে দুই দিনব্যাপী ধারাবহর সিক্সসাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন


গোলাপগঞ্জে দুই দিনব্যাপী ধারাবহর সিক্সসাইড ক্রিকেট টূণামের্ন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরুষ্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শুকবার (৪ মার্চ) বিকাল ৫টার সময় উপজেলার প্রস্তাবিত শেখ রাসের মিনি স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করে ধারাবহর ক্রিকেট টিম।

ধারাবহর বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক, তরুণ সেমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী কাওছার আহমদের সভাপতিত্বে এবং ধারাবহর সূর্যদয় তরুণ সংঘের সাধারন সম্পাদক আজমির আহমদ রাসেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপাস্থিত ছিলেন ধারাবহর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার খলিলুর রহমান, বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল জলিল, জামাল মিয়া, বরদা চন্দ্র, সেলিম আহমদ, মুহিবুর রহমান, সাবেক ক্রিকেটার জাকের লষ্কর, খাইরুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাকিল, তরুণ সমাজ সেবক সুলতাম মাহমুদ।

এসময় আরও উপাস্থিত ছিলেন ধারাবহর ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির সদস্য উজ্জল, ফাহিম আহমদ, মুকিত আহমদ, রফি, মাসুদ আহমদ, হানিফ আহমদ।

এসময় নাহি ক্রিকেট টিম রানাপিং বনাম আমুড়া ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই উইকেট হাতে নিয়ে নাহি ক্রিকেট টিম রানাপিং জয় লাভ করে।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১৬ টি টিম নিয়ে দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

Tuesday, 1 March 2022

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারে সতর্কাবস্থায় রাশিয়া, পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারে সতর্কাবস্থায় রাশিয়া, পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ


পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা দলকে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে রাখার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ২৭ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এমন নির্দেশ দেন- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ব্যাপারে অবন্ধুত্বসুলভ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় নিয়ে এসেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেদেশের পারমাণবিক শক্তিকে বিশেষ সতর্কাবস্থায় রাখার জন্য আদেশ দেবার পর ন্যাটো জোটের প্রধান একে "বিপজ্জনক ও দায়িত্বহীন" বলে বর্ণনা করেছেন।

ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর একটি পরিস্থিতি আরো গুরুতর করে তুলছে।রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য এটাই সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কাবস্থা। মি. পুতিন তার ভাষায় “নেটো দেশগুলোর আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি”র পর এ ঘোষণা দেন। 

যুক্তরাষ্ট্র একে “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” বলে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড সিবিএস নিউজকে বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, মি. পুতিন এমনভাবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি করছেন, যা “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
 
পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় এ ছাড়া দেশটির হাতে বিপুল পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ইউক্রেনে হামলার পর যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা চরমে, সে মুহূর্তে পুতিনের ওই নির্দেশ পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ করে তুলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমা ব্যবহার করে রাশিয়ার সব ধরনের বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পুতিনের পারমাণবিক হুমকিকে রাজনৌতিক বিশ্লেষকরা বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছেন। ২০২০ সালে, মস্কো কখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এ বিষয়ে পুতিন চারটি ক্ষেত্রে "মৌলিক নীতি"কে  অনুমোদন করেছিলেন।

এগুলো ছিল যখন রাশিয়ার বা মিত্র অঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে, যখন কোনো শত্রু পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, কোনও রাশিয়ান পারমাণবিক অস্ত্রের সাইটে আক্রমণ করে বা রাশিয়ান রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে। বর্তমান সংঘাতে সেসব মানদণ্ডের কোনোটিই পূরণ হয়নি। এছাড়াও  রাশিয়া জানুয়ারিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার স্থায়ী সদস্যদের সাথে যোগ দিয়েছিল এবং একটি নথিতে স্বাক্ষর করে যে "পরমাণু যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না এবং কখনোই এ লড়াই করা উচিত নয়"।(সূত্র: এএফপি) মস্কো-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ারের মতে, 'পুতিন শক্ত অবস্থানে আছেন। একবার যদি পশ্চিমারা রাশিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সম্পদ আটকে রাখে এবং রাশিয়ার অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, এতে পুতিনের কাছে তেমন বেশি বিকল্প পথ নেই। পুতিনের কাছে একটি পথ হচ্ছে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, এতে ইউরোপিয়ানরা ধাক্কা পাবে। আরেকটি বিকল্প পথ হচ্ছে ব্রিটেন ও ডেনমার্কের মধ্যে উত্তর সাগরের কোথাও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্ফোরণ করা (বিবিসি) ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসী অভিযান যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপে তার অবস্থান সুসংহত করতে সহায়তা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল জার্মানি ও ফ্রান্সকে নিজ বলয়ে ধরে রাখা। ইউরোপজুড়ে আবারো ন্যাটো নড়েচড়ে বসছে।  যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় ইউরোপকে রাশিয়ার ভয় দেখিয়ে আয়ত্তে রেখেছে।
  
ইউক্রেন যুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারে নতুন রাস্তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন করে খোলে গেছে। আফগানিস্তানে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে এ সঙ্কট। সবদিক বিবেচনা করেই ইউক্রেন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক এক মেরুভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তে বহু মেরুকেন্দ্রিক অবস্থার উন্মেষ ঘটছে বলে আলাপ প্রচলিত আছে। রাশিয়া নিজের পেশিশক্তি প্রদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের  মেরুভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার পথকে প্রশস্থ করে দিলো। পারমাণবিক বিকল্পের প্রচার নিঃসন্দেহে রাশিয়ার একটি মরিয়া পদক্ষেপ যে পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় বেলারুশ ও তার পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

হোয়াইট হাউসের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইউক্রেনে রুশ হামলা গড়াল পঞ্চম দিনে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপের দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে দুই দেশেরই অসংখ্য সেনা-বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র ও সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
 
নজিরবিহীন ছায়াযুদ্ধে পশ্চিমারা/ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, গ্রিস
ইউক্রেন থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে বসে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে এই যুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধে জয়লাভের জন্য যত উপায় অবলম্বন সম্ভব, পশ্চিমা দেশগুলো তার কোনোটিই বাকি রাখেনি। তবে একটি যুদ্ধে সশরীরে অংশগ্রহণের যে বেদনা, হাজারো ক্ষত নিয়ে সেই বেদনা ইউক্রেন একাই সয়ে যাচ্ছে। পরাশক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই ইউক্রেনের মাটিতে মর্টার শেল ও মিসাইলের রূপে দেখা দিচ্ছে। এ কথা নিশ্চিত, ইউক্রেনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ইতিহাসের নজিরবিহীন ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমারা। ইউক্রেন হামলার আগের কয়েক মাসজুড়ে এই ছায়াযুদ্ধেরই মহড়া চলেছে। যে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে সংকট তৈরি হয়েছিল, মাসব্যাপী একাধিক কূটনৈতিক আলোচনায় সেই ইউক্রেনই অনুপস্থিত ছিল। তার বদলে আলোচনার টেবিলে দরকষাকষি করেছে ইউক্রেনের পশ্চিমা বন্ধুরা। নিজেদের স্বার্থ ও চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কোনো সমাধানে না পৌঁছে ইউক্রেনকে এক প্রকার যুদ্ধের মাঠে ঠেলে দিয়েছে সেই পশ্চিমারাই। একটি যুদ্ধের যে ভয়াবহতা, তার সামনে এখন বিপন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইউক্রেনবাসী। আর অর্থ, অস্ত্র, প্রযুক্তি ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে সেই যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় শান্তিপ্রিয় মানুষ। সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে এখনই বিশ্বনেতৃবৃন্ধকে  আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতিসংঘের মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোযোগ সৃষ্টির সময় ও সুযোগ যেন দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। 
চন্দরপুরে শিউলী নিহতের ঘটনায় স্বামী ইকবাল কারাগারে

চন্দরপুরে শিউলী নিহতের ঘটনায় স্বামী ইকবাল কারাগারে


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে শিউলী বেগম(২৫) নিহতের ঘটনায় তার স্বামী ইকবাল হোসেনকে(৩৫) আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয়। 

জানা যায়, শিউলী বেগম নিহতের ঘটনায় তার স্বামী লাপাত্তা থাকলেও ঘটনার ৩দিন পর (সোমবার রাতে) ইকবাল হোসেন থানায় উপস্থিত হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত ইকবাল হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

এর আগে শিউলী বেগম নিহতের ঘটনায় তার স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

ইকবাল হোসেনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী।

তিনি জানান, মামলার এজাহার সূত্রে ইকবাল হোসেনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

তিনি আরোও বলেন, ঘটনার ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় তদন্তও অব্যাহত আছে। তদন্ত শেষেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত শিউলী বেগমের চাচা চেরাগ আলী বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ইকবাল হোসেন (৩৫), দেবর রাজন আহমদ (২৫) এবং শাশুড়ি সরলা বেগম (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৪/৫ জনকে বিবাদী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বাদী চেরাগ আলী উল্লেখ করেন, আসামীগণ যৌতুকলোভী হয়ে বিভিন্ন সময় নিহত শিউলী বেগমের উপর নির্যাতন করতেন। তিনি আসামীগণের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ আনেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির একটি কক্ষ থেকে শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

আরোও পড়ুনঃ 

চন্দরপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার



সিলেটে প্রতারক আমিন গ্রেপ্তার

সিলেটে প্রতারক আমিন গ্রেপ্তার


সিলেটের আমিন রহমান ট্রাভেলস এর মালিক প্রতারক সেই আমিন রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

কুশিয়ারা নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের এসএমপি’র কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ।

উল্লেখ্য, সিলেটে রোমানিয়া পাঠানোর নামে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন এ ট্রাভেল এজেন্টের মালিক। প্রায় ৩শ' যুবক তার প্রতারণার স্বীকার বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত শনিবার দুপুরের দিকে আমিন রহমান ট্রাভেলসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতারিতদের কয়েকজন। তাদের দাবি, প্রতারক আমিন রহমানকে গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করা হউক।
চন্দরপুরে শিউলী নিহতের ঘটনায় স্বামী ইকবাল আটক

চন্দরপুরে শিউলী নিহতের ঘটনায় স্বামী ইকবাল আটক


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে শিউলী বেগম(২৫) নিহতের ঘটনায় তার স্বামী ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, শিউলী বেগম নিহতের ঘটনায় তার স্বামী লাপাত্তা থাকলেও ঘটনার ৩দিন পর ইকবাল হোসেন থানায় উপস্থিত হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে শিউলী বেগমের পরিবার ইকবাল হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম ইকবাল হোসেনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...

Monday, 28 February 2022

ফেঞ্চুগঞ্জে মস্তক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছিলো নয়নের মৃতদেহঃ ৩ দিন পর মাথার খুলি উদ্ধার

ফেঞ্চুগঞ্জে মস্তক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছিলো নয়নের মৃতদেহঃ ৩ দিন পর মাথার খুলি উদ্ধার


সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মোমিনছড়া চা বাগানে রেল লাইনের পাশ থেকে হাত ও মস্তক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দোকান কর্মচারী নয়ন দেব নাথের (১৮) মরদেহ। দুর্বৃত্তরা হত্যার পর হাত ও মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অন্যত্র ফেলে দেয়।

হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পর রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থলের অদূরে একটি জমি থেকে মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা মাথার খুলিটি নয়নেরই হবে।

সিলেট রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মোমিনছড়া চা বাগানের বাসিন্দা কৃষক লাক্সমি গোয়ালা জমিতে বিচ্ছিন্ন মাথার খুলিটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে খুলিটি উদ্ধার করে। তবে মাথার খুলিটি নয়নের কি না, তা যাচাইয়ে মরদেহ এবং তার পরিবারের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নুল আবেদীন কাজ করছেন।

গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেঞ্চুগঞ্জের মোমিনছড়া চা বাগান এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় নয়নের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার নিহতের বাবা দিলীপ চন্দ্র বাদী হয়ে সিলেট রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ধারালে অস্ত্র দিয়ে নয়নের গলা কাটা হয়। মাথা ও বাম হাত খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডান হাত ছিল অর্ধমুষ্টি বন্ধ অবস্থায়। বাম হাতের বগল থেকে পেট পর্যন্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা। বুকে থেঁতলানো জখম।

নিহত নয়ন দেবনাথ (১৮) কুমিল্লা জেলার দৌলতপুর গ্রামের দিলীপ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপমা ফ্যাশন নামে একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী ছিলেন। এ ঘটনায় দোকান মালিক দুর্জয় দেবনাথ ভৌমিককে আটক করা হয়েছে।
আজ পবিত্র শবে মেরাজ

আজ পবিত্র শবে মেরাজ


আজ হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখ, সোমবার দিনগত রাত পবিত্র শবে মেরাজ। ফারসি শব শব্দের অর্থ রাত ও আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন।

মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এ সময় তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন।

এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। মুসলিম বিশ্ব অলৌকিক ও ঐতিহাসিক এ ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে প্রতিবছর ২৬ রজবের দিবাগত রাতটিকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওত লাভের একাদশ বছরের রজব মাসে (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাক নামক বাহনে চড়ে প্রথমে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর নবীজির (সা.) সঙ্গে পরিভ্রমণ করেন। এ সময় নবীজি (সা.) নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন। পরে রফরফ নামক বাহনে চড়ে নবীজি (সা.) আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আরশে আজিম পর্যন্ত যাওয়ার ও মহান রব্বুল আলামিনের দিদার লাভের সৌভাগ্য লাভ করেন। নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। প্রতিদিন নামাজে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদী সেই ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করেন।