Thursday, 17 March 2022

বিশ্বনেতার জন্মদিনে

বিশ্বনেতার জন্মদিনে


বিশ্বনেতার জন্মদিনে
মোঃ আব্দুল মালিক

পরাধীন ভারতের পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮:০০ ঘটিকার সময় ভবিষ্যতের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশব থেকেই স্বাধীনচেতা ও একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। ০৭ বছর বয়সে গিমাডাংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু। ১৯৩৪ সালে তিনি যখন ৭ম শ্রেণির ছাত্র তখন বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। কলকাতার নামী—দামী চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করেন। প্রায় ২ বছর চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে তাঁর হার্ট দুর্বল হয়ে যায়। ১৯৩৬ সালে তাঁর চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে। আবারও কলকাতার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর দুই চোখেই অপারেশন করা হয়। সেই সময় থেকেই তিনি চশমা পড়া শুরু করেন। অপারেশনের পর তাঁর চোখ দুটি ভাল হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে কিছু দিনের জন্য তাঁকে লেখাপড়া বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় তিনি স্বদেশী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬ বছর। গান্ধী পূর্বকালে ব্রিটিশ বিরোধী ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যতগুলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হয়েছিল স্বদেশী আন্দোলন তার মধ্যে অন্যতম। এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন সুভাষ বসু। স্বদেশি আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
 
আপাদমস্তক বাঙালি, খাঁটি মুসলমান, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী এই নেতা স্বদেশী আন্দোলনের পর যোগ দেন পাকিস্তান আন্দোলনে। তিনি কখনো স্বজাতি বা স্বধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। উল্লেখ্য ১৯০৬ সালে ভারতের মুসলিম নেতৃবৃন্দ যখন নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন তখন তরুণ ব্যারিষ্টার, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কংগ্রেস নেতা সরোজিনি নাইডুর সেক্রেটারি হিসেবে কংগ্রেসে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু কিন্তু কংগ্রেসে যোগ দেন নি।

১৯৪৭ সালে দ্বি—জাতিতত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানীরা বাঙালিদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে। অর্থনৈতিক শোষণ ছাড়াও তারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে। ৫৬% নাগরিকের মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে ৭% নাগরিকের মাতৃভাষা ঊর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নেয়। পাকিস্তানীদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রুখে দাঁড়ান। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন। বাঙালির উপর নেমে আসে অত্যাচার, নির্যাতন। ’৫২’র ভাষা আন্দোলন ’৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬’র ৬—দফা আন্দোলন, ’৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের পথ ধরে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম এক যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য, গতিশীল নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসনের নিপীড়ন, বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর ১৯৭০ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। তারা উল্টো বাঙালিদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন শুরু করে।

এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভার ডাক দেন। সেদিনের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা।

৭ মার্চের ভাষণে শেখ মুজিব তাঁর অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বাঙালি জাতির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে একসূত্রে গ্রথিত করেন। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণের দিক নির্দেশনাই ছিল সে সময়ের বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। যার আবেদন আজও অম্লান। প্রতিনিয়ত এ ভাষণ তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে এবং অনাদিকাল ধরে অনুপ্রাণিত করে যাবে। এরপর জাতির পিতা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের অন্যতম সংস্থা ‘ইউনেস্কো’ ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার’ এ অন্তর্ভূক্ত করেছে।

গ্রিক নগররাষ্ট্র এথেন্সের রাষ্ট্রনায়ক পেরিক্লিস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮৭ সালে বার্লিন দেয়াল ভেঙে চূর্ণ—বিচূর্ণ করার আহ্বান সংবলিত ভাষণ পর্যন্ত আড়াই হাজার বছরের বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে অধিক প্রভাব বিস্তারকারি ৪১ জন সামরিক—বেসামরিক জাতীয় বীরের বিখ্যাত ভাষণ নিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ Jacob F Field, “We Shall Fight to The Beaches. The Speeches That Inspired History” শিরোনামে একটি ইতিহাস গ্রন্থ ২০১৩ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে অন্যান্যের মধ্যে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট (মেসিডোনিয়া), জুলিয়াস সিজার (ইতালি), অলিভার ক্রমওয়েল (ইংল্যান্ড), জর্জ ওয়াশিংটন (যুক্তরাষ্ট্র), নেপোলিয়ান বোনাপার্ট (ফ্রান্স), যোসেফ গ্যারিবোল্ডি (ইতালি), আব্রাহাম লিংকন (যুক্তরাষ্ট্র), ভস্নাদিমির লেনিন (রাশিয়া), উইড্রো উইলসন (যুক্তরাষ্ট্র), উইনস্টন চার্চিল (যুক্তরাজ্য), ফ্রাষ্কলিন রুজভেল্ট (যুক্তরাষ্ট্র), চার্লস দ্য গল (ফ্রান্স), মাও সেতুং (গণচীন), হো চি মিন (ভিয়েতনাম) প্রমূখ নেতাদের বিখ্যাত ভাষণের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এটা বাঙালি জাতির জন্য বিরাট গৌরবের বিষয়।

জাতিসংঘের অন্যতম সংস্থা ‘ইউনেস্কো’ প্যারিসে অনুষ্ঠিত তাদের ৪০ তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ফলে ইউনেস্কোভূক্ত ১৯৫টি রাষ্ট্রে বছর ব্যাপী মুজিববর্ষ উদযাপন করার কথা ছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী কোভিড—১৯ এর কারণে তা যথাযথভাবে পালিত হয় নি। 

২০২০ সালে জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’আখ্যায়িত করেছে। ১৭ মার্চ ২০২২ খ্রিস্টাব্দে এই মহান নেতার ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বের ইতিহাসে আর কোন নেতার জন্মশতবার্ষিকী জাতিসংঘ কতৃর্ক পালিত হয় নি। তাই জাতিসংঘ ঘোষিত একমাত্র বিশ্বনেতা হচ্ছেন বাঙালি ও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের অবিসংম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ফলে বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই কেবল সম্মানিত হন নাই, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য এটি এক মহা আনন্দ, বিরল সম্মান ও গৌরবের। 
সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি লেচু মিয়া আর নেই

সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি লেচু মিয়া আর নেই


সিলেট-৬ আসনের সাবেক দুইবারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া আর নেই ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

বুধবার(১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও লেচু মিয়ার ছেলে সৈয়দ তানভীর হোসেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর।

ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার- বাসীর কাছে লেচু মিয়া হিসাবেই বেশী পরিচিত ছিলেন।দুইবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ হিসাবে তিনি এই নির্বাচনী এলাকার অনেক উন্নয়ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও নির্বাচনী এলাকার সচেতন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে নিশ্চিত করেছেন তাঁর একমাত্র পুত্র সৈয়দ তানভীর হোসেন।

মরহুমের মৃত্যুর সংবাদে গোলাপগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৪৬ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।মকবুল হোসেন সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে তিনি উপসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে ব্যবসা শুরু করেন।তিনি তাঁর জন্মস্থান আমুড়া ইউনিয়নে  প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ।

এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকলেও ১৯৯১ সালের পর যোগ দেন বিএনপিতে।

১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি থেকে তিনি অবসরে ছিলেন। 

Wednesday, 16 March 2022

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গ বইয়ের  মোড়ক উন্মোচন

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন


গত ১৪ মার্চ, সোমবার ছিল ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের পঞ্চদশ বই মেলার সমাপনী দিন। ঐদিন মেলায় ছিল লেখক পাঠক সহ বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। এমনই এক আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী বর্তমানে ভাদেশ্বর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা, জয়ন্তী রানী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগের উপ—পরিচালক ড. সালাহ উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক ও সংগঠক ড. সেলু বাসিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরটিএম আল কবীর টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড ডেভলাপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিষ্ট্রার (্পিআর) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

কবি ও সংগঠক কামাল আহমদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক, কলামিস্ট, গীতিকার বেলাল আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক মাওলানা শামসীর হারুনুর রশিদ, কবি ও কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনা, কবি ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন চৌধুরী মহি, উপনস্যাসিক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, ছড়াকার তারেশ কান্তি তালুকদার, প্রভাষক মাহবুবুর রব নয়ন, কবি শাহ আব্দুস সালাম, কবি ও শিক্ষক লিলি বেগম, গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, বইটির লেখক মোঃ আব্দুল মালিক একটি ভালো কাজ করেছেন, তিনি একটি ভালো বই লিখেছেন, সময় উপযোগী বই লিখেছেন, বইটির মূল বিষয়ের বর্ণনা আরো বিস্তৃত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আগামী সংস্করণে বইটি আরো বড় আকারে, আরো তথ্য সমৃদ্ধ করে লেখক প্রকাশ করবেন লেখকের লেখনি অব্যাহত থাকবে। পাঠকরা তাঁর কাছ থেকে আরো মূল্যবান বই উপহার পাবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রধান বক্তা ড. সেলু বাসিত বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন ভূমিকা নিয়েছেন এমন কোন লিখিত তথ্য পাওয়া যায় না। তিনি গড়ের মাঠের সভায় উপস্থিত ছিলেন না এ কথা সম্পূর্ণ সত্য। লেখক আব্দুল মালিক বিষয়টির স্বপক্ষে অনেক তথ্য সূত্র দিয়েছেন। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, লেখক মোঃ আব্দুল মালিক উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত বইটি লিখেছেন। একজন স্পষ্টভাষী মানুষ; যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে স্বীকার করেন। এ বইটি পাঠে পাঠকরা অনেক বিভ্রান্তি থেকে নিস্কৃতি পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমদ বলেন, বিষয়ের তুলনায় বইটির কলেবর অনেক ছোট হয়ে গেছে, আগামী সংস্করণে লেখক আরো বেশি তথ্য সমৃদ্ধ করে বইটি আরো বড় আকারে প্রকাশ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, শিক্ষক আব্দুল মালিক একটি গবেষণাধর্মী বই আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, তিনি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন, তাঁর কাছ থেকে আমরা আরো অনেক অনেক মূল্যবান বই উপহার পাবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অতিথিবৃন্দ ও সুধী মন্ডলীকে উপস্থিত হয়ে সভাকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জানান। 

বইটির লেখক মোঃ আব্দুল মালিক তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা, বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত হয়ে বইটির সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও “সার্জন টিভি চ্যানেল” অনলাইনে অনুষ্ঠানটির সম্পূর্ণ লাইভ প্রচার করায় ও উপস্থিত সুধী মন্ডলীকে ধন্যবাদ জানান। 

Tuesday, 15 March 2022

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্নঃ বিজয়ী যারা

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্নঃ বিজয়ী যারা


গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ৮টা থেকে একে একে বিজয়ী প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল।


বিজয়ী যারাঃ

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাজারের এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক (আনারস প্রতীক) ৭৬১ ভোট পেয়ে আবাড় বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালেহ আহমদ (চেয়ার প্রতীক) পেয়েছেন ৫২১ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে বিলাল আহমদ (টেবিল প্রতীক) ৬২৫ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি নজমুল ইসলাম (দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৩১১ ভোট। অপর প্রার্থী ছয়ফুল হক কফ (হরিণ প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোট পেয়ে হ্যাট্টিক বিজয় লাভ করেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ। তিনি (কাপ পিরিছ প্রতীক) ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমদ আলী (দোয়াত কলম প্রতীক) নিয়ে ৫১২ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী আব্দুল খালিক (আম প্রতীক) ৭১ ও ইউনুছ আহমদ চৌধুরী (ফুটবল প্রতীক) পেয়েছেন ৫৩ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ছালেক আহমদ (ডাব প্রতীক) প্রথমবারের মত ৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজাদুর রহমান শিপার (রিকশা প্রতীক) নিয়ে পেয়েছেন ৩৪২ ভোট। অপর প্রার্থী সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ (মাছ প্রতীক) পেয়েছেন ২৯৪ ভোট ও আফজাল হোসেন (বোতল প্রতীক) পেয়েছেন ২৩৭ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে সব প্রার্থীর চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে (চাকা প্রতীক) পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯২৭টি । তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ আহমদ (মোবাইল ফোন প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪০ ভোট।

এছাড়া ১নং ওয়ার্ডে নাজিম আহমদ (সেলাই মেশিন প্রতীক) ১৬৬ ভোট (প্রথম), নাছির উদ্দীন (নারিকেল গাছ প্রতীক) ১৫৯ ভোট (দ্বিতীয়) ও আপ্তাব আলী (চশমা প্রতীক) ১৪৮ ভোট পেয়ে (তৃতীয়) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

২নং ওয়ার্ডে জাহেদ আহমদ (নারিকেল গাছ প্রতীক) ১৫৮ ভোট পেয়ে (প্রথম), মাহবুবুর রহমান (চশমা প্রতীক) ১৫৬ ভোট পেয়ে +দ্বিতীয়) ও মাছুম আহমদ (দোয়েল প্রতীক) ১৩৮ ভোট পেয়ে (তৃতীয়) সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন ।

৩নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান সেলিম (নারিকেল গাছ প্রতীক) ১৪৩ ভোট পেয়ে (প্রথম, মো.মুহিবুর রহমান (চশমা প্রতীক) ১০১ ভোট পেয়ে (দ্বিতীয়) ও সোহেল আহমদ (বালতি প্রতীক) ১০১ ভোট পেয়ে (তৃতীয়) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

৪নং ওয়ার্ডে কাওছার আহমদ (বালতি প্রতীক) ২৩০ ভোট পেয়ে(প্রথম), শহিদুর রহমান সুহেদ (নারিকেল গাছ প্রতীক) ২১৯ ভোট পেয়ে (দ্বিতীয়) ও মো.শাকিল আহমদ (সেলাই মেশিন) ১৮৮ ভোট পেয়ে (তৃতীয়) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে ৪ টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ভোটার ছিলেন ১৩৭৯ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২৯৪ জন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব নুরুল হুদা জানান, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে তারা অনেক কষ্ট করেছেন। 
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক মাহবুবের বাজিমাত

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক মাহবুবের বাজিমাত


গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে বাজিমাত দেখিয়েছেন গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। এ নির্বাচনে তিনি (চাকা প্রতীক) সকল প্রার্থীদের চেয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ৯২৭টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত বিজয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ আহমদ (মোবাইল প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪০টি ভোট।

উল্লেখ, সোমবার সকাল ৯টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনে ৪ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৭৯ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২৯৪ জন। 
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক আব্দুল আহাদের হ্যাট্রিক বিজয়

গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক আব্দুল আহাদের হ্যাট্রিক বিজয়


গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে তৃতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল আহাদ। এর আগেও তিনি দুইবার বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 

এ নির্বাচনে ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা সাংবাদিক আব্দুল আহাদ (কাপ পিরিছ প্রতীক) ৬৩৫ ভোট পেয়ে হ্যাট্রিক বিজয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমদ আলী (দোয়াত কলম প্রতীক) পেয়েছেন ৫১২ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল খালিক (আম প্রতীক) ৭১টি ও ইউনুছ আহমদ চৌধুরী (ফুটবল প্রতীক) পেয়েছেন ৫৩টি ভোট। 

নির্বাচনে ৪ টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ভোটার ছিলেন ১৩৭৯ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২৯৪ জন। 

Sunday, 6 March 2022

মুজিববর্ষে শত কবিতায় বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

মুজিববর্ষে শত কবিতায় বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন


মুজিববর্ষে দেশি-বিদেশি কবিদের কালজয়ী শত কবিতায় বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়ে‌ছে। লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষক আব্দুল মালিক সম্পাদিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শ‌নিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় অনু‌ষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. নুহ-ই ইসলাম সেলু বাসিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন, কবি নীপা চৌধুরী, অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন, কবি হাসনাইন সাজ্জাদী প্রমুখ।

বইটি প্রকাশ ক‌রে‌ছে সময়ের সুর প্রকাশনী।